সকলকে শুভেচ্ছা। আশা করি সবাই ভাল আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও ভাল আছি।
জেলা সাহিত্য মেলা 2022 এ,,জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও জাতীয় সঙ্গীতে অংশগ্রহণ করেছিলেন মাননীয় সংসদ সদস্য জনাব আসাদুজ্জামান নূর এমপি মহোদয়।উপস্থিত ছিলেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি নুরুল হুদা।আরো উপস্থিত ছিলেন বাংলা একাডেমির সচিব।উপস্থিত ছিলেন সম্মানিত জেলা প্রশাসক।এবং নীলফামারী জ্ঞানীগুণী ব্যক্তি বর্গ।আমরা সকলেই একসাথে জাতীয় সংগীত পরিবেশন করলাম।
বন্ধুরা এই তো কিছুদিন আগে আমাদের নীলফামারীতে খুব জমকালোভাবে সাহিত্য মেলা উদযাপন হয়ে গেল। সাহিত্য মেলায় তুলে ধরা হয়েছিল আমাদের অঞ্চলের সেই হারিয়ে যাওয়া সংস্কৃতি নতুন করে তুলে ধরার জন্য এই বিশেষ আয়োজন করা হয়।আমাদের অঞ্চলে বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলে বিয়ে বাড়িতে কিছু মহিলারা গীত গাইতো।যা শুনতে অনেক ভালো লাগতো।যে সংস্কৃতি এখন প্রায় বিলীন হওয়ার পথে। তাই এই সংস্কৃতিকে তুলে ধরার জন্য সাহিত্য মেলায় একদল গ্রামের সাধারণ গীত শিল্পীদের নিয়ে এসে তাদের কণ্ঠে গীত পরিবেশন করা হয়।মজার বিষয় তারা সবাই বাসন্তী কালার শাড়ি এবং সাথে লাল পায়ের পড়েছিল পূজা আমার কাছে দারুন লাগে।তাদের কণ্ঠে গীত শুনে মুগ্ধ হলাম।
বন্ধুরা এ পর্যায়ে পরিচিত করিয়ে দেই।আমাদের ঐতিহ্যবাহী যন্ত্র শিল্পীদের সাথে।সাহিত্য মেলায় তারা খুবই চমৎকার করে যন্ত্র সঙ্গীত পরিবেশন করে সকলের মন ছুঁয়ে দেয়।সত্যিই তাদের যন্ত্রসংগীত শুনে আমি মুগ্ধ।শুধুমাত্র যন্ত্রসঙ্গীতে ও যে এতোখানি মোহিত হওয়া যায়, সেদিন সেই অনুষ্ঠানে না থাকলে বুঝতাম না।
সাহিত্য মেলায় বাংলা একাডেমি কর্তৃক একটি বইয়ের স্টল ছিল।আমি সেই স্টোরের অনেকগুলো বই দেখে দেখে বেশ কয়েকটি বই কিনে নিলাম।এবং সময় ও সুযোগ করে বইগুলো আমি পড়বো।বন্ধুরা বই পড়তে আমার খুবই ভালো লাগে।আর তাই সাহিত্য মেলায় এই বইয়ের স্টল কি আমার অনেক উপকারে এসেছেএখানে অনেক প্রয়োজনীয় বই ছিল।
সাহিত্যচর্চা সমৃদ্ধি আনে
প্রশান্তি দেয় মনে,,
সাহিত্যটাকে ধারণ করি
তাইতো মনে প্রানে।
লেখক এর সু লিখনী হোক
সমাজ সংস্কারের হাতিয়ার।।
বন্ধুরা সাহিত্য মেলার বিশেষ কিছু মুহূর্ত আপনাদের সাথে তুলে ধরলাম।আশাকরি আপনাদের ভাল লেগেছে।আর আপনাদের ভাল লাগাই আমার পরম তৃপ্তি।চমৎকার একটি শ্লোগান এখানে ব্যবহার করেছি।লেখক এর সু লিখনী হতে পারে সমাজ সংস্কারের হাতিয়ার।তাই সকলের কাছে প্রত্যাশা করব আসুন আমরা কলম হাতে নেই এবং বেশি বেশি লেখার চেষ্টা করি।আর ভালো কিছু লিখতে গেলে অবশ্যই পড়তে হবে।তাই সকলের কাছে প্রত্যাশা করছি আমরা বেশি বেশি বই পড়বো এবং সেইসাথে সাহিত্যচর্চার সাথে ওতপ্রোতভাবে নিজেকে নিয়োজিত রাখবো।সমাজ সংস্কারে আসুন আমরাও অবদান রাখি।ভাল থাকুন সুস্থ থাকুন আজ এ পর্যন্তই।
আমি সেলিনা সাথী। আমার প্রফেশন, প্রেজেন্টার, ট্রেইনার ও মোটিভেটর। আমি একজন সমাজ কর্মি ও সংগঠক। এছারা ও তৃনমূল নারী নেতৃত্ব সংঘের নির্বাচিত সভাপতি বাংলাদেশ। আমি "নারীসংসদ"
এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, ও প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি "সাথী পাঠাগার"। আমার লেখা মোট ১০ টি একক ও যৌথ কাব্য গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। একুশে বই মেলায় প্রতি বছর একটি করে কাব্য গ্রন্থ প্রকাশের চেস্টা করি। আমার লেখা কাব্যগ্রন্থের মধ্যে "মিস্টি প্রেম" (উপন্যাস), "অশ্রু ভেজা রাত" (কবিতা), "জীবন যখন যেমন" (কবিতা), "একুশের বুকে প্রেম" (কবিতা), "নারীকন্ঠ" (ম্যাগাজিন) অন্যতম।