সকলকে শুভেচ্ছা। আশা করি সবাই ভাল আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও ভাল আছি।
বন্ধুরা,অনেক আনন্দের সাথে জানাচ্ছি যে,,বাংলাদেশে এই প্রথম কবি-সাহিত্যিকদের নিয়ে সাহিত্য সম্মেলন হতে যাচ্ছে সরকারি উদ্যোগে।তারই ধারাবাহিকতায় আগামী 28 ও 29 তারিখ নীলফামারী জেলায় সাহিত্য সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।উক্ত অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয় গতকাল।উক্ত অনুষ্ঠানে,,,নীলফামারী জেলা সাহিত্য সম্মেলন প্রস্তুতি সভা, স্হানঃ সম্মেলন কক্ষ।জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, নীলফামারী।সংযুক্ত ছিলেন, জনাব নুরুল হুদা, মহাপরিচালক, বাংলা একাডেমি। ও আসাদুজ্জামান নূর, এমপি মহোদয়। সভাপতি, ছিলেন ঃজেলা প্রশাসক মহোদয়।এবং আরো উপস্হিত ছিলেন জেলা ভিত্তিক লেখক, কবি, সাহিত্যিকবৃন্দ,,,,,
ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত ছিলেন আমাদের সাথে জনাব নুরুল হুদা, মহাপরিচালক, বাংলা একাডেমি। ও জনাব,আসাদুজ্জামান নূর, এমপি মহোদয়।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই 28 তারিখ সকাল 10 ঘটিকায় থাকবে এ বর্ণাঢ্য রেলি।এরপরে শান্তির প্রতীক পায়রা ও বেলুন উড়িয়ে অনুষ্ঠানের শুভ উদ্বোধন।এর পরেই জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সূচনা। থাকছে আলোচনা সভা।। এর পর থাকছে লাঞ্চ বিরতি।
দ্বিতীয় সেশনের শুরুতেই থাকছে,,কাঙ্ক্ষিত সেই শুভ খন,,নীলফামারী জেলার কবি-সাহিত্যিকদের স্বরচিত কবিতা পাঠের আসর।এখানে বিশেষভাবে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে কোন কবি সাহিত্যিক এই যেন বাদ না পড়ে।স্বরচিত কবিতাপাঠ এরপর থাকছে।বর্ণিল সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা।সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে থাকছে,নীলফামারী জেলার স্থানীয় সংস্কৃতি মাটিয়া গান।সেই সাথে আরো থাকছে বিয়ের আঞ্চলিক গীত।থাকছে যন্ত্রসংগীত।এরপর পরদিন হবে কর্মশালা মাত্রা ছন্দ এই বিষয়গুলোর উপরে এক দিনের প্রশিক্ষণ পর্ব।এবং প্রত্যেক কবি ও সাহিত্যিকদের একটি করে ফরম দেয়া হয় যে ফর্মে কবি-সাহিত্যিকদের বায়ো ডাটা থাকবে।এবং জেলা ভিত্তিক একটি কবি-সাহিত্যিকদের তালিকা নিবন্ধন থাকবে।এই উদ্যোগ এর আগে কখনোই গ্রহণ করা হয়নি এই প্রথম।সকল কবি সাহিত্যিকদের।চমৎকার উপহার সামগ্রী প্রদান করা হবে।এতে করে নীলফামারী জেলার কবি সাহিত্যিকগণ মহা খুশি।তারা প্রস্তুতি সভায় প্রাণখুলে মতামত প্রদান করেন।মজার বিষয় উক্ত অনুষ্ঠানের জন্য আমাকে এক্সট্রা কিছু দায়িত্ব দেয়া হয়।সেইসাথে জেলা প্রশাসক মহোদয় আমার কবিতার যথেষ্ট সুনাম করেন।এতে করে সত্যিই আমি অনেক গর্ব বোধ করেছি।এতগুলো মানুষের মধ্য থেকে জেলা প্রশাসক মহোদয়ের যখন আমার নামটি উচ্চারণ করেছিলেন।তখন সবাই আমার দিকে তাকিয়ে ছিল।আর আমারও খুবই ভালো লেগেছে।প্রোগ্রাম শেষ করে আমাদের আরেক কবি হযরত আলী ভাইয়া আমাদের সকলকে আপ্যায়ন করান।এবং সকলে মিলে কিছু সেলফি তোলা হয়।আর হ্যাঁ এই ফাঁকে বলেন এই অনুষ্ঠানটি জেলা শিল্পকলা একাডেমী অডিটোরিয়াম,নীলফামারী আপনারা সকলেই আমন্ত্রিত।
বন্ধুরা আপনারা সকলে আমন্ত্রিত উক্ত অনুষ্ঠানের জন্য।আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে।অনুষ্ঠানটির উত্তরোত্তর সফলতা ও সমৃদ্ধি কামনা করছি।পরিশেষে বলব জয় হোক কবি-সাহিত্যিকদের।তবে এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আমাদের যারা কবি-সাহিত্যিকরা আছেন সকলের মন মেজাজ আরও বেশি ফুরফুরে হয়ে যাবে।সকলের সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করছি।
আমি সেলিনা সাথী। আমার প্রফেশন, প্রেজেন্টার, ট্রেইনার ও মোটিভেটর। আমি একজন সমাজ কর্মি ও সংগঠক। এছারা ও তৃনমূল নারী নেতৃত্ব সংঘের নির্বাচিত সভাপতি বাংলাদেশ। আমি "নারীসংসদ"
এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, ও প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি "সাথী পাঠাগার"। আমার লেখা মোট ১০ টি একক ও যৌথ কাব্য গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। একুশে বই মেলায় প্রতি বছর একটি করে কাব্য গ্রন্থ প্রকাশের চেস্টা করি। আমার লেখা কাব্যগ্রন্থের মধ্যে "মিস্টি প্রেম" (উপন্যাস), "অশ্রু ভেজা রাত" (কবিতা), "জীবন যখন যেমন" (কবিতা), "একুশের বুকে প্রেম" (কবিতা), "নারীকন্ঠ" (ম্যাগাজিন) অন্যতম।