এসো নিজে করি- শুকনো ডাল এবং রঙিন ক্লে দিয়ে চমৎকার ফুলের তোড়া ||ও তার গল্প||~~

in hive-129948 •  4 months ago 

আস্সালামুআলাইকুম /আদাব
সকলকে শুভেচ্ছা। আশা করি সবাই ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও ভালো আছি। আর আপনারা সবাই সবসময় ভালো থাকবেন, এটাই প্রত্যাশা করি।💕

1000015772.jpg

বন্ধুরা আজ আমি ডাই ইভেন্টে ব্যতিক্রম একটি আয়োজন নিয়ে হাজির হয়েছি। আশা করছি আমার আজকের এই নতুনত্ব আপনাদের মনে স্থান করে নেবে। আজ আমি প্লে দিয়ে খুবই চমৎকার একটি ফুলের তোড়া বানিয়েছি। গভীর রাতে বানিয়েছিলাম এই ফুলের তোড়াটি। তোরা টিপ বানানোর পর যখন ছবিগুলো এডিট করছিলাম। তখন হঠাৎ করেই এই তোরা কে কেন্দ্র করে একটি গল্প মনে পড়ে গেল।

আমি এক মুহূর্ত দেরি না করে গল্পটি লিখে ফেললাম ঝটপট। এই রূপক গল্পটি আশা করছি আপনাদেরকে দারুণভাবে স্পর্শ করবে। আর হ্যাঁ গল্পটি লিখতে লিখতে আমার প্রায় রাত ৩:০০ টা বেজে ৩৫ মিনিট হয়ে গিয়েছিল। পুরো গল্পটি লিখেছি এই তোরাটিকে দেখে দেখে। আজ শুরুতেই গল্পটি আপনাদের সাথে শেয়ার করছি। গল্পের শেষে এই তোরাটি আমি কিভাবে প্রস্তুত করলাম। সেটি একে একে শেয়ার করব।

1000015787.jpg

DIY প্রোজেক্ট-ও রূপক গল্প

DIY ফুটন্ত🌹 স্বপ্ন

🌻🌻🌻🌻🌻🌻🌻🌻🌻🌻🌻🌻🌻🌻

একটি ছোট্ট শহরে সাথী নামে এক তরুণ শিল্পী বাস করত। তার কিছু বিশেষ প্রতিভা ছিল –অনেক গুনে গুনাম্বিত। তবে হাঁ তৈরী ক্লে / মাটির জিনিসপত্র এতটাই জীবন্ত লাগত যেন সেগুলোর মধ্যে এক ধরনের জাদু ছিল। একদিন বিকেলে সে , জঙ্গলে হাঁটতে গিয়ে সাথী একটি শুকনো গাছে দেখতে পেল, যা সবুজের মাঝে অদ্ভুত লাগছিল। গাছেটি যেন,, কিছু বা কারোর অপেক্ষায় ছিল।

সাথী গাছ থেকে কয়েকটি ডালপালা সংগ্রহ করে তার কর্মশালায় নিয়ে এল। নিজের কল্পনা আর কোমল হাতে সে ডালগুলোকে একটি অসাধারণ তোড়ায় রূপান্তরিত করল। যা উজ্জ্বল মাটির ফুল দিয়ে সাজানো ছিল। প্রতিটি পাপড়ি ছিল একটি শিল্পকর্ম, রঙিন যা ঘরকে জীবন্ত করে তুলেছিল।

দিন যেতে লাগল, সাথী কিছু অবিশ্বাস্য ব্যাপার লক্ষ্য করল। প্রতিটি সকালে তার মাটির ফুলগুলো দেয়ালে যে ছায়া ফেলত, তা যেন এক একটি রূপক গল্প বলত। একদিন, ছায়াগুলো একটি নৃত্যরত যুগলের আকার নেয়, আরেকদিন তারা পাখিদের উড়ান নিয়ে যাওয়ার মতো দেখাত। ছায়াগুলো চলাচল করত এবং পরিবর্তিত হত, যেন দূরদেশের রহস্যময় গল্প বলছে।

1000015763.jpg

সাথী মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে ছায়াগুলো পর্যবেক্ষণ করতে লাগল। সে বুঝতে পারল যে জাদু শুধুমাত্র মাটিতেই নয়, তার স্বপ্ন ও কল্পনায় যা সে তার সৃষ্টিতে ঢেলে দিয়েছে। প্রতিটি হলুদ ফুল তার হৃদয়ের একটি অংশ ধারণ করতে লাগলো। প্রতিটি ডালপালা তার কল্পনার একটি খণ্ড।

এক সন্ধ্যায়, সে ছায়াগুলো দেখছিল যখন তারা একটি তরুণী মেয়ের আকার ধারণ করল, অনেকটা তার মতো, যে একটি জঙ্গলে হাঁটছে। ছায়ার মেয়েটি যেন কিছু খুঁজছিল। সাথীর মনে হল এ যেন তার নিজের যাত্রার একটি প্রতিফলন।

সে ছায়াগুলোর অনুসরণ করতে সিদ্ধান্ত নিল, তাদের পথ দেখানোর অনুমতি দিল। ছায়াগুলো তাকে আবার সেই শুকনো গাছে নিয়ে গেল। অবাক হয়ে সাথী দেখল, গাছটি এখন আসল ফুলে ফুলে ফুটে উঠেছে। প্রতিটি তার তৈরি মাটির ফুলের প্রতিরূপ। এককালে নিষ্প্রাণ গাছটি এখন রঙ এবং জীবনের একটি বাতিঘর।

1000015747.jpg

সাথী বুঝতে পারল যে, তার স্বপ্ন ও সৃষ্টিগুলো গাছটিকে পুনরায় জীবিত করেছে। এটি ছিল শিল্পী ও প্রকৃতির মধ্যে একটি জাদুকরী বন্ধন, স্বপ্ন ও বাস্তবতার মধ্যে একটি সংযোগ। সেই দিন থেকে, সাথীর মাটির ফুলগুলো শহরে আশার ও রূপান্তরের প্রতীক হয়ে উঠল। দূর দূরান্ত থেকে আমার বাংলা ব্লগে মানুষ গাছটিকে দেখতে এবং ছায়াগুলোর দ্বারা বোনা গল্পগুলো শুনতে আসত।

সাথীর যাত্রা তাকে শিখিয়েছিল যে প্রতিটি সৃষ্টি, যত ছোটই হোক না কেন, পৃথিবীকে বদলে দেওয়ার ক্ষমতা রাখে। আর তাই, সে মাটিতে তার স্বপ্নগুলোকে ঢালতে থাকল, অন্য রকম ভালোবাসার পরম মমতায়।

1000015771.jpg

আশা করি গল্পটি আপনাদের ভালো লেগেছে!


☆꧁ DIY প্রোজেক্ট- ক্লে দিয়ে ফুলের তোড়া꧂


1000015750.jpg

💞

প্রয়োজনীয় উপকরন

siam 2.png


1000015651.jpg

1000015660.jpg

1000015775.jpg

1000015781.jpg

  • শুকনো ডাল
  • বিভিন্ন রঙের ক্লে
  • ফুলদানি
  • টিসু

siam 2.png

১ম ধাপ
প্রথমে দুটি শুকনো ডাল একসাথে বেঁধে নিলাম। এবং বিভিন্ন রঙের ক্লে গুলো গোল গোল করে নিলাম। এবং ডালের মাথা গুলোতে লাগিয়ে দিলাম। প্রথমেই গোলাপি কালারের, ক্লে গুলো লাগিয়ে নিলাম।

1000015775.jpg

1000015777.jpg

1000015778.jpg

1000015776.jpg

siam 2.png

দ্বিতীয় ধাপ
এক এক করে অনেকগুলো রঙের ক্লে গোল গোল করে শুকনো ডালের মধ্যে লাগিয়ে নিলাম। এবং ফুলের তোড়া টি ফুলদানির ভেতরের ঢুকে এড করে নিলাম।

1000015660.jpg

1000015780.jpg

1000015666.jpg

1000015779.jpg

siam 2.png

তৃতীয় ধাপ
এবার বিভিন্ন রঙের ক্লে দিয়ে ছোট ছোট গোল গোল পাথরের মত করে তৈরি করে, ফুলদানির মুখে গুঁজে দেয়া টিস্যুগুলোর উপর সাজিয়ে দেব। সেই সাথে হলুদ এবং লাল রঙের প্লে দিয়ে সুন্দর সুন্দর ফুল বানিয়ে সেট করে দেব ফুলের তোড়া টিকে আরও মনোরম করে তুলতে।

1000015782.jpg

1000015668.jpg

1000015786.jpg

1000015783.jpg

siam 2.png

চতুর্থ ধাপ
এবার পরিপূর্ণভাবে ফুলের তোড়াটিকে সাজিয়ে নিলাম।

1000015768.jpg

1000015676.jpg

1000015772.jpg

1000015683.jpg

siam 2.png

পঞ্চম ধাপ
তৈরি হয়ে গেল আমার নিজে হাতে করা শুকনো ডাল এবং নানা রঙের ক্লে দিয়ে অসাধারণ একটি ফুলের তোড়া। এবার ঘরের বিভিন্ন রং এর দেয়ালের সাথে তোরা কি সাজিয়ে প্রেজেন্টেশন করার চেষ্টা করছি।

1000015747.jpg

1000015749.jpg

1000015753.jpg

1000015762.jpg

1000015763.jpg

1000015736.jpg

siam 2.png

*ষষ্ঠ ধাপ
রান্নাঘরে, পড়ার টেবিলে, ডাইইনিং টেবিলে, ড্রেসিং টেবিলে কিংবা সোবার ঘরে, যেখানে খুশি ফুলদানিতে করে, এই সুন্দর তোরাটিকে সাজিয়ে রাখতে পারবেন। এতে করে অনেক বেশি সুন্দর্য বৃদ্ধি পাবে।

1000015787.jpg

1000015709.jpg

1000015681.jpg

1000015774.jpg

1000015755.jpg

1000015761.jpg

1000015788.jpg

1000015744.jpg

siam 2.png

ফাইনাল আউটপুট

1000015772.jpg

1000015702.jpg

1000015704.jpg

siam 2.png

photo_2021-06-30_13-14-56.jpg

photo_2023-07-07_17-27-00.jpg

আমি ছন্দের রাজ্যে, ছন্দরাণী কাব্যময়ী-কাব্যকন্যা বর্তমান প্রজন্মের নান্দনিক ও দুই বাংলার জনপ্রিয় কবি সেলিনা সাথী। একধারে লেখক, কবি, বাচিক শিল্পী, সংগঠক, প্রেজেন্টার, ট্রেইনার, মোটিভেটর ও সফল নারী উদ্যোক্তা।আমার পুরো নাম সেলিনা আক্তার সাথী। আর কাব্যিক নাম সেলিনা সাথী। আমি নীলফামারী সদর উপজেলায় ১৮ মার্চ জন্মগ্রহণ করি। ছড়া কবিতা, ছোট গল্প, গান, প্রবন্ধ, ব্লগ ও উপন্যাস ইত্যাদি আমার লেখার মূল উপজীব্য। আমার লেখনীর সমৃদ্ধ একক এবং যৌথ কাব্যগ্রন্থের সংখ্যা ১৫ টি। আমার প্রথম প্রকাশিত কবিতার বই- সাথীর শত কবিতা,অশ্রু ভেজা রাত, উপন্যাস মিষ্টি প্রেম, যৌথ কাব্যগ্রন্থ একুশের বুকে প্রেম। জীবন যখন যেমন। সম্পাদিত বই 'ত্রিধারার মাঝি' 'নারীকণ্ঠ' 'কাব্যকলি' অবরিত নীল সহ আরো বেশ কয়েকটি বই পাঠকহমলে বেশ সমাদৃত। আমি তৃণমূল নারী নেতৃত্ব সংঘ বাংলাদেশ-এর নির্বাচিত সভাপতি। সাথী পাঠাগার, নারী সংসদ, সাথী প্রকাশন ও নীলফামারী সাহিত্য ও সংস্কৃতি একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি। এছাড়াও আমি জেলা শাখার সভাপতি উত্তোরন পাবনা ও বাংলাদেশ বেসরকারি গ্রন্থাগার পরিষদ নীলফামারী জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক এবং কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্বে রয়েছি। আমি মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনে ২০১৪ সালে নীলফামারী জেলা ও রংপুর বিভাগীয় পর্যায়ে সমাজ উন্নয়নে অসামান্য অবদানের জন্য শ্রেষ্ঠ জয়িতা অ্যাওয়ার্ড অর্জন করেছি। এছাড়াও সাহিত্যের বিভিন্ন শাখায় ও সামাজিক সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে বিশেষ অবদান রাখায় আমি বহু সম্মামনা পদক অর্জন করেছি। যেমন সাহিত্যে খান মইনুদ্দিন পদক ২০১২। কবি আব্দুল হাকিম পদক ২০১৩। শিশু প্রতিভা বিকাশ কেন্দ্র কর্তৃক সম্ভাবনা স্মারক ২০১৩। সিনসা কাব্য সম্ভাবনা ২০১৩। বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস উদযাপন উপলক্ষে সম্মামনা স্মারক ২০১৩। জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ৩৭ তম মৃত্যুবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে সম্মাননা স্মারক ২০১৩। জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম এর ১১৫ তম জন্ম জয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে ২০১৪। দৈনিক মানববার্তার সম্মামনার স্মারক ২০২৩। চাতক পুরস্কার চাতক অনন্যা নারী সম্মাননা ২০২৩ ওপার বাংলা মুর্শিদাবাদ থেকে মনোনয়ন পেয়েছি। এছাড়াও ,ওপার বাংলা বঙ্গবন্ধু রিসার্চ এন্ড কালচারাল ফাউন্ডেশন ভারত বাংলাদেশ। কবিগুরু স্মারক সম্মান ২০২৪ অর্জন করেছি।

A5tMjLhTTnj4UJ3Q17DFR9PmiB5HnomwsPZ1BrfGqKbjddgXFQSs49C4STfzSVsuC3FFbePnB7C4GwVRpxUB36KEVxnuiA7vu67jQLLSEq12SJV1etMVkHVQBGVm1AfT2S916muAvY3e7MD1QYJxHDFjsxQDqXN3pTeN2wYBz7e62LRaU5P1fzAajXC55fSNAVZp1Z3Jsjpc4.gif



বিষয়: আমার বাংলা ব্লগের" তৃতীয় বর্ষপূর্তি উপলক্ষে বিশেষ প্রতিযোগিতা "এবিবি স্বপ্নের রিসোর্ট"||~

কমিউনিটি : আমার বাংলা ব্লগ

আন্তরিক ভাবে ধন্যবাদ জানাই এ

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

আপনার লেখা মানেই অসাধারণ কিছু। গল্পটা অনেক সুন্দর হয়েছে। আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে পড়ে। আর আপনার তৈরি করার ডাই প্রজেক্ট টাও অসাধারণ হয়েছে। খুব সুন্দর লাগছে বিভিন্ন কালারের ফুল গুলো দেখতে। খুব সুন্দর ফটোগ্রাফি করেছেন আপনি। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি গল্প এবং সেই সাথে এত সুন্দর একটি ডাইপ্রজেক্ট শেয়ার করার জন্য।

আসলে এই কাজটি আমি মনের মাধুরী মিশিয়ে করেছি। অনেক বেশি সময় নিয়ে। আপনাদের ভালো লেগেছে এটাই আমার সার্থকতা। আমার জন্য দোয়া করবেন। আগামীতেও যেন সুন্দর সুন্দর ডাই প্রজেক্ট নিয়ে হাজির হতে পারি।

ওয়াও কি দুর্দান্ত কাজ!! শুকনো ডাল এবং রঙিন ক্লে দিয়ে চমৎকার ফুলের তোড়া তৈরি করে ফেলেছেন আপু। আমার কাছে এটি ভীষণ রকমের ভালো লেগেছে।এছাড়াও এই ফুলের তোরা তৈরির প্রত্যেকটা ধাপ আমাদের মাঝে খুব সুন্দরভাবে উপস্থাপন করার সাথে সাথে অনেক সুন্দর একটি গল্প শোনালেন।সবকিছু মিলিয়ে আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

আমার লেখা গল্প এবং ডাই প্রজেক্ট দুটোই আপনার কাছে ভালো লেগেছে জেনে বেশ ভালো লাগলো। আপনার সুন্দর মন্তব্য আমাকে অনেক বেশি অনুপ্রাণিত করেছে। অনেক অনেক শুভকামনা আপনার জন্য।

শুকনো ডাল এবং রঙিন ক্লে দিয়ে চমৎকার ফুলের তোড়া অসাধারণ হয়েছে। দেখতে পেয়ে মুগ্ধ হলাম। আপনি খুবই দক্ষতার সাথে সুন্দর ভাবে ডাই পোস্টটি তৈরি করেছেন। এত সুন্দর ভাবে তৈরি করেছেন দেখে খুবই ভালো লাগলো।

ফুলের তোড়াটি আপনার কাছে অসাধারণ লেগেছে জেনে অনেক বেশি ভালো লাগছে। আর প্রশংসা কার না ভালো লাগে বলুন, আমার কাছে ভীষণ ভালো লেগেছে।অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।

অনেক সুন্দর একটি ফুলের তোড়া তৈরি করে আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। শুকনো ডাল ও ক্লে দিয়ে এমন সুন্দর ফুলের তোড়া তৈরি করেছেন যা দেখে আমি সত্যি মুগ্ধ, ফুলের তোড়া তৈরি করার প্রতিটা পর্যায় আপনি সুন্দরভাবে উপস্থাপনা করেছেন ক্লেগুলো সুন্দর করে গোল গোল করে ফুল তৈরি করে ডালের সাথে লাগিয়ে নেওয়াটা আমার কাছে অনেক সুন্দর লেগেছে। এইসব ফুলের তোড়া টেবিলে বসিয়ে রাখলে সুন্দর্য বৃদ্ধি করে। ভালো লাগলো এমন সুন্দর একটি ফুলের তোড়া দেখে।

শুকনো ডাল এবং রঙিন ক্লে দিয়ে এই প্রজেক্টটি এত সুন্দর ভাবে তৈরি করতে পেরেছি, এবং আপনার কাছে ভালো লেগেছে, জেনে অনেক খুশি হলাম। সেই সাথে নতুনত্ব হিসেবে একটি গল্প সংযোগ করেছি আশা রাখছি সেটিও আপনার কাছে ভালো লেগেছে।

কি অসাধারণ লিখলে গল্পখানা৷ নিজের জীবনকে রূপকে মুড়ে অসাধারণভাবে একটি শিল্পকর্মের মাধ্যমে উপস্থাপন করলে গল্পটা। ভীষণ অবাক হলাম গল্প এবং ডাই প্রজেক্টের এই মিশেলটা দেখে। ফুলদানিটি দেয়ালে ছায়ার মাধ্যমে সত্যিই একটি তরুণী নারীর অবয়ব সৃষ্টি করেছে, যা গল্পের সঙ্গে ভীষণভাবে যাচ্ছে। তুমি এই নারী মূর্তিকে কল্পনায় পোষণ করে গল্পের আঙ্গিকে যে রূপ দিলে তা ভীষণ ভালো লাগলো।

সাহিত্যের সৌন্দর্য যে কত প্রকার হতে পারে -?আসলে সাহিত্য প্রেমিরাই ভালো বুঝতে পারে।
আমি যখন ফুলদানিটার ফটোগ্রাফি করছিলাম।তখনকার ফটোগ্রাফি গুলো দেখেই গল্পটি মনে এসেছে। আর তাই নতুন আঙ্গিকে লেখার চেষ্টা করলাম। তোমার ভালো লাগা,তোমার সুন্দর বক্তব্য, আমাকে অনেক বেশি অনুপ্রাণিত করে।অনেক বেশি উজ্জীবিত করে।

এভাবেই বন্ধু হয়ে পাশে থেকো সবসময়।
অন্তহীন শুভকামনা তোমার জন্য।

আপু আপনার লেখাগুলো বরাবরই আমার ভালো লাগে বেশ চমৎকার লিখেন আপনি। গল্পটা অনেক ভালো লেগেছে। শুকনা গাছের ডাল ও রঙ্গিন ক্লে দিয়ে দারুন একটি ফুলের তোরা তৈরি করেছেন। ফুলগুলো বিভিন্ন কালারের হওয়াতে দেখতে আরো বেশি সুন্দর লাগছে। অসংখ্য ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর একটি ডাই পোস্ট আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য।

আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি প্রিয় আপু সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।

আপু আপনি কবিতার পাশাপাশি এত সুন্দর গল্প লিখতে পারেন জানা ছিল না। নিজের জীবন কে রুপকথার রাজ্যে বসিয়ে দারুন একটি গল্প লিখছেন। সেই গল্প পড়ে মুগ্ধ হয়ে গেলাম। এর সাথে মুগ্ধ হলাম আপনার হাতের এত সুন্দর কারুকাজ দেখে। শুকনো ডালকে ক্লে এর মাধ্যমে নতুন ভাবে সাজিয়ে যেনো তার প্রাণ ফিরিয়ে দিয়েছেন। ফুলদানির মধ্যে রাখার জন্য ফুলের স্টিক গুলো আরও সুন্দর ভাবে ফুটে উঠেছে। তাছাড়া বিভিন্ন ভাবে ফটোগ্রাফি করার জন্য দেখতে আরও বেশি সুন্দর দেখাচ্ছে। ধন্যবাদ আপু এত চমৎকার একটি ডাই আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।

আসলে আমি মাঝে মাঝে কবিতার পাশাপাশি গল্প পোস্ট করে থাকি। হয়তো আপনার দৃষ্টিগোচর হয় না। তবে আমার এই রূপক গল্পটি আপনার কাছে ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম। অনেক অনেক শুভকামনা আপনার জন্য।

তোমার পোস্টটি ফিচারড হল। তুমিই জানিতে পারলে না৷ তোমায় খুব মিস করছি বন্ধু৷ কেমন আছো কোন খরব পাচ্ছি না। কবে যে সব ঠিক হবে আর দ্রুত আমাদের সাথে চলে আসবে নিশ্চিন্ত হই৷

কাজটি যেমন সুন্দর হয়েছে, গল্পের মতো লেখাও তেমনি দারুণ হয়েছে৷ অভিনন্দন সাথী৷

হঠাৎ করে এভাবে কালবৈশাখী ঝড় নেমে আসবে জীবনে এটা প্রত্যাশা করিনি কখনো। এরকম দুরবস্থায় থেকেও তোমাদেরকে অনেক বেশি মিস করেছি। এখনো নেট স্বাভাবিক নয় একটি পোস্ট করতে গেলে পাঁচ ছয় সাত ঘন্টা ও লেগে যায়। আমার এই পোস্টটি ফিচারড র্আর্টিকেল হওয়াতে আমি অনেক খুশি হয়েছি। প্রত্যাশা রাখছি আবারও খুব তাড়াতাড়িসু -সময় ফিরে আসবে।
💞