স্বরচিত -কবিতা-
সকলকে অনাবিল শুভেচ্ছা। আশা করি সকলেই ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও ভালো আছি। আর আপনারা সবাই সব সময় ভালো থাকবেন,এটাই প্রত্যাশা করি। আজ আবারো আমার লেখা আর একটি কবিতা নিয়ে হাজির হলাম। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে, আজকের কবিতাটিও।
"বিয়ের শপিং" কবিতাটি একটি মা এবং তার সন্তানের মধ্যে গভীর ভালোবাসা, আবেগ ও মায়ার সম্পর্কের প্রতিফলন। এটি লেখা হয়েছে একজন মা-র দৃষ্টিকোণ থেকে, যিনি তার সন্তানকে বড় হতে দেখেছেন এবং এখন তার বিয়ের প্রস্তুতিতে ব্যস্ত। এই কবিতার প্রতিটি স্তবক যেন তার মনের আবেগের সুতার টান।
গল্পের পটভূমি:
কবিতাটি লেখার পেছনে রয়েছে একজন মায়ের অনুভূতি, যিনি তার ছেলের বিয়ে উপলক্ষে নানা ভাবনায় বিভোর। ছোটবেলার স্মৃতিগুলো মনে পড়ছে—যখন তার ছেলে ছোট ছিল, তার কোলে খেলা করত, স্কুলে যাওয়ার সময় তার হাত ধরে রাখত, আর তার রান্নার প্রশংসা করত।
এখন, ছেলেটি বড় হয়েছে এবং মা বিয়ের কেনাকাটায় ব্যস্ত। কিন্তু আনন্দের পাশাপাশি তার মনের ভেতরে চিন্তার স্রোত বইছে। সমাজের বাস্তবতা, সম্পর্কের পরিবর্তন, এবং "মা" শব্দটির নতুন ভূমিকা—এগুলো নিয়ে তিনি দ্বিধাগ্রস্ত। সমাজে দেখা পাওয়া ভালো দৃষ্টান্তগুলো যেমন আশার আলো জ্বালায়, তেমনি নেতিবাচক ঘটনাগুলো তাকে অস্থির করে তোলে।
আসল অনুভূতি:
এই কবিতায় মায়ের ভালোবাসার গভীরতা স্পষ্ট। সন্তান যেন তার জীবনের কেন্দ্রবিন্দু। কবিতার প্রতিটি শব্দে ছেলের প্রতি তার অগাধ মমতা আর ভবিষ্যতের জন্য তার প্রার্থনা ফুটে উঠেছে। মায়ের এই চিন্তাগুলো শুধু ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ নয়, এটি তার জীবনের সব আশা, ভরসা ও স্বপ্নকে ধারণ করে।
কবিতার পরিপূর্ণতা:
কবিতাটি মা ও ছেলের সম্পর্কের একটি সুন্দর চিত্রায়ণ। বিয়ের মতো একটি বড় ঘটনার প্রেক্ষিতে একজন মায়ের মানসিক অবস্থার গভীর বিশ্লেষণ। মা হিসেবে ছেলের সুখ, ভালোবাসা, এবং ভবিষ্যতের প্রতি তার অগাধ ভরসা কবিতাটিকে আরও প্রাণবন্ত করে তুলেছে।
বিয়ের শপিং করতে গিয়ে
মনটা উড়ু উড়ু,
মনের ভিতর হঠাৎ করে
এ কি হলো শুরু-?
ভাবতে গেলে বুকের ভেতর
কাঁপে দুরু দুরু।
এইতো সেদিন ছোট্ট ছিলি
করতি কোলে খেলা,
তোর'ই সাথে খেলতে গিয়ে
কেটে যেত বেলা।
আমার হাতে হাত রেখে তুই
স্কুলেতে যেতি
আমার হাতের রান্নাটাও
মজা করে খেতি।
তুই যে আমার মানিক -রতন
সাত রাজারই ধন,
সারাজীবন থাকবি সুখে
বলে আমার মন।
দেখতে দেখতে বড় হলি
কদিন বাদে বিয়ে,
হাজার হাজার স্বপ্ন আমার
ওরে, তোকে নিয়ে।
বিপদবার্তা হঠাৎ করে
হৃদয়ে দেয় উঁকি,
আগামীটা হতেও পারে
আমার জন্য ঝুঁকি।
দুশ্চিন্তা এমনি করে
করছে মনে তারা
মাঝে মধ্যে আনমনে তাই
হই যে দিশেহারা।
বৌয়ের "মা"যে মা হয়ে যায়
নিজের মা টা পর,
এই সমাজে এমনি করে
ভাঙছে কত ঘর।
পাশাপাশি এই সমাজে
ভালো ছেলে ও আছে,
স্বর্গ ভেবে "মা"কে তারা
নেয় যে টেনে কাছে।
"ছেলে" হিসেবে সেরা যে তুই
আমার সোনা বাবা
তোর চোখেতে ভেসে উঠে
স্বপ্নে দেখা কাবা।
২১ জানুয়ারি ২০২৫
সময় রাত -৮:৩০
কবিতা কুটির- নীলফানারী।
বন্ধুরা আমার আজকের কবিতটি, নিশ্চয়ই আপনাদের কাছে ভালো লেগেছে। আর আপনাদের ভালোলাগাই আমার সার্থকতা ও পরম পাওয়া। সকলের সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করে আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি। পরবর্তীতে আবারো সুন্দর সুন্দর কবিতা নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হব, আমি সেলিনা সাথী...
আমি সেলিনা সাথী। ছন্দের রাজ্যে, ছন্দরাণী কাব্যময়ী-কাব্যকন্যা বর্তমান প্রজন্মের নান্দনিক ও দুই বাংলার জনপ্রিয় কবি সেলিনা সাথী। একধারে লেখক, কবি, বাচিক শিল্পী, সংগঠক, প্রেজেন্টার, ট্রেইনার, মোটিভেটর ও সফল নারী উদ্যোক্তা তার পুরো নাম সেলিনা আক্তার সাথী। আর কাব্যিক নাম সেলিনা সাথী। আমি নীলফামারী সদর উপজেলায় ১৮ মার্চ জন্মগ্রহণ করেন। আমার বাবা পিতা মরহুম শহিদুল ইসলাম ও মাতা রওশনারা বেগম। ছড়া কবিতা, ছোট গল্প, গান, প্রবন্ধ, ব্লগ ও উপন্যাস ইত্যাদি আমার লেখার মূল উপজীব্য। আমার লেখনীর সমৃদ্ধ একক এবং যৌথ কাব্যগ্রন্থের সংখ্যা ১৫ টি। আমার প্রথম প্রকাশিত কবিতার বই অশ্রু ভেজা রাত, উপন্যাস মিষ্টি প্রেম, যৌথ কাব্যগ্রন্থ একুশের বুকে প্রেম। জীবন যখন যেমন। সম্পাদিত বই 'ত্রিধারার মাঝি' 'নারীকণ্ঠ' 'কাব্যকলি'সহ আরো বেশ কয়েকটি বই পাঠকহমলে বেশ সমাদৃত। আমি তৃণমূল নারী নেতৃত্ব সংঘ বাংলাদেশ-এর নির্বাচিত সভাপতি। সাথী পাঠাগার, নারী সংসদ, সাথী প্রকাশন ও নীলফামারী সাহিত্য ও সংস্কৃতি একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি। এছাড়াও আমি জেলা শাখার সভাপতি উত্তোরন পাবনা ও বাংলাদেশ বেসরকারি গ্রন্থাগার পরিষদ নীলফামারী জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক এবং কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্বে রয়েছি। তিনি মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনে ২০১৪ সালে নীলফামারী জেলা ও রংপুর বিভাগীয় পর্যায়ে সমাজ উন্নয়নে অসামান্য অবদানের জন্য শ্রেষ্ঠ জয়িতা অ্যাওয়ার্ড অর্জন করেছি। এছাড়াও সাহিত্যের বিভিন্ন শাখায় ও সামাজিক সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে বিশেষ অবদান রাখায় আমি বহু সম্মামনা পদক অর্জন করেছি। যেমন সাহিত্যে খান মইনুদ্দিন পদক ২০১২। কবি আব্দুল হাকিম পদক ২০১৩। শিশু প্রতিভা বিকাশ কেন্দ্র কর্তৃক সম্ভাবনা স্মারক ২০১৩। সিনসা কাব্য সম্ভাবনা ২০১৩। বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস উদযাপন উপলক্ষে সম্মামনা স্মারক ২০১৩। জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ৩৭ তম মৃত্যুবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে সম্মাননা স্মারক ২০১৩। জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম এর ১১৫ তম জন্ম জয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে ২০১৪। দৈনিক মানববার্তার সম্মামনার স্মারক ২০২৩। চাতক পুরস্কার চাতক অনন্যা নারী সম্মাননা ২০২৩ ওপার বাংলা মুর্শিদাবাদ থেকে মনোনীত হয়েছি।
বিষয়: ক্রিয়েটিভ রাইটিং
কমিউনিটি : আমার বাংলা ব্লগ
আন্তরিক ভাবে ধন্যবাদ জানাই এই কমিউনিটির সকল সদস্য কে, ধন্যবাদ.......
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
একজন মায়ের ভালোবাসা সন্তানের জন্য সর্বদাই সমানভাবে বিস্তার করে। সন্তান যতই বড় হোক না কেন মায়ের কাছে সে স্নেহ তুললো এবং অত্যন্ত আদরের। সর্বদাই সেই সন্তানের জন্য একজন মা মঙ্গলকামী। সেরকমই অনুভূতি গুলি আপনার সন্তানের প্রতি অভিব্যক্ত করেছেন কবিতার মধ্য দিয়ে। যেখানে আপনার সন্তানের প্রতি আপনার মনের আশা গুলিকে এবং ইচ্ছা আকাঙ্ক্ষা গুলিকে সুন্দর করে বহিঃপ্রকাশ করেছেন। দারুন লিখেছেন আন্টি পদ্য কবিতাটি।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit