উষ্ণতার পাপরী ছড়িয়ে দিলাম সকলের হৃদয় আঙ্গিনায়। আশা করি সকলেই ভাল আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও বেশ ভালোই আছি। আর আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের প্রতিটি মানুষ, সবসময় ভালো থাকুক, সুস্থ থাকুক, সুন্দর থাকুক এটাই প্রত্যাশা করি।
স্লোগানকে সামনে রেখে, বাংলাদেশের খুবই জনপ্রিয় একটি পত্রিকা "প্রথম আলো" ২৪ বছর পূর্তি উপলক্ষে, "সুধী সমাবেশ"আগামীর প্রথম আলোকে আপনি কিভাবে দেখতে চান,,এবং প্রশ্ন-উত্তর পর্ব সহ
খুবই চমৎকার ভাবে আয়োজন করেছেন সত্যে তথ্যে ২৪।দেশ-বিদেশে ছড়িয়ে থাকা প্রায় 50 লাখ পাঠক প্রতিদিন প্রথম আলো পত্রিকার শক্তি জুগিয়ে এসেছেন।প্রথম আলোর নিয়মিত পাঠক হিসেবে প্রথম আলোর বর্ষপূর্তিতে অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও গভীর কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি।সেইসাথে আন্তরিক অভিনন্দন জানাচ্ছি প্রথম আলোকে।গতকাল 24 ডিসেম্বর, রোজ শনিবার সকাল 10 টা 30 মিনিটে জেলা শিল্পকলা একাডেমীর নীলফামারীতে,, নীলফামারী সম্মা নিত সাংবাদিক বৃন্দ এবং জেলার সুধীবৃন্দের নিয়ে খুবই চমৎকার একটি আয়োজন করেছে। সুধী সমাবেশ।আয়োজনটি ছিল যেমন পরিপাটি ঠিক তেমনি প্রাণবন্ত।
সুধী সমাবেশ অনুষ্ঠানটিতে নিলফামারীর বরেণ্য ব্যক্তিবর্গ বক্তব্য রাখেন। উক্ত অনুষ্ঠানে আমারও বক্তব্য দেয়ার সুযোগ এসেছিল।এবং আমার বক্তব্যটি এতটাই শ্রুতিমধুর হয়েছিল যে সবাই বাহবা দিচ্ছিল।যাইহোক খুব অল্প কথা অল্প সময়ে সাবলীল বক্তব্য গঠনমূলকভাবে পরিসমাপ্তি করেছি।
একে একে বিশিষ্ট সাংবাদিক বৃন্দ এবং গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ সবাই তাদের মূল্যবান বক্তব্য রাখেন।এবং আগামীর প্রথম আলোর কাছে আমাদের প্রত্যাশা গুলো তুলে ধরেন। সেই সাথে কিছু ত্রুটি বিচ্যুতির তুলে ধরার চেষ্টা করেছিলেন অনেকেই।
এবার খুবই সুন্দর ভাবে শুরু হলো প্রশ্নোত্তর পর্ব।নীলফামারী জেলার অনেক বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ অনেক ভালো ভালো প্রশ্ন করেছিলেন।প্রশ্নোত্তর পর্বে যেমন ভালো ভালো প্রশ্ন ছিল ঠিক তেমনি, কিছু বিরূপ প্রশ্ন এসেছিল।তবে সকলের প্রশ্নের উত্তর দিতে সেখানে উপস্থিত ছিলেন প্রথম আলোর জ্যেষ্ঠ সাংবাদিকরা।প্রশ্নোত্তর পর্বে কেউ কেউ বেশ উত্তেজিত হয়ে গিয়েছিলেন।এরকম উত্তেজনা আর কিছুক্ষণ চলমান থাকলে সেখানে বিশৃংখল একটা পরিবেশে তৈরি হতে পারত।তাই অনুষ্ঠানটিকে শান্তিপূর্ণ রূপ দিতে আমি একটি কৌশল অবলম্বন করলাম।চট করে হাত তুললাম।কিছু বলার জন্য। তাৎক্ষণিক সাংবাদিকরা মাইক নিয়ে আমার কাছে হাজির।সেখানে পরিবেশটি কে নিয়ন্ত্রণ রাখতে গিয়ে আমি বলেছিলাম অনেক প্রশ্ন উত্তর হলো এবার আমরা একটু আলোকিত প্রত্যাশার দিকে যাই।তাই ওখানে এক মুহূর্ত ভেতরে কয়েক লাইন কবিতা লিখে সেই কবিতাটি আমি সবার উদ্দেশ্যে শুনিয়ে দেই।আমার কবিতা শোনার পর পুরো হলের পরিবেশটা অনেক শান্তি পূর্ণ হয়ে গেল।মুহূর্তেই অন্তরঙ্গ একটা পরিবেশের সৃষ্টি হল।প্রথম আলোর কেন্দ্রীয় যে সাংবাদিকরা এসেছিলেন ঢাকা থেকে তারা আমার এই কৌশলটিকে ধরতে পেরেছিলেন এবং প্রোগ্রাম শেষে আমাকে একান্তে ডেকে অনেক ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন। যা আমার কাছে দারুণ লেগেছিল।
অতঃপর তারা খুবই চমৎকার একটি মগ আমাকে গিফট করেন।যার মধ্যে খুবই সুন্দর করে লেখা "প্রথম আলোর" মনোগ্রামটি। সাদা কালো এবং লাল এর সংমিশ্রণে মগটি যেন দেখতে দারুণ লাগছিল।যাইহোক খুব সফলভাবে কালকের এই আয়োজন টি সুসম্পন্ন হয়েছে।
যাই হোক সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠে যথারীতি বাসার কাজগুলো শেষ করে রান্না ঘরে গিয়েছিলাম রান্না করার জন্য।কি আশ্চর্য একের পর এক কল আসছিল।সবার মুখে একই কথা আপু প্রথম আলোতে তোমার এত সুন্দর, এত বড় একটা ছবি দেখে খুব আপ্লুত হলাম।কালকের সুধী সমাবেশে তোমার বক্তব্যের যে ছবিটি সেটা কিন্তু দারুণভাবে পত্রিকায় ছাপিয়েছে।কেউ বলছে সাথী তোমাকে পত্রিকায় দেখলাম।অনেকেই চারিদিক থেকে আমাকেঅভিনন্দন জানাচ্ছিলেন। কিন্তু তখন পর্যন্ত আমি পত্রিকাটি হাতে পাই নাই।অন্যরা সবাই যেভাবে আপ্লুত হয়েছিল। আমার কাছে এটি নতুন কোনো বিষয় নয়। কারণ এর আগে অনেকগুলো খবরের শিরোনামে আমার ছবি এসেছিল।তারপর এক ভাইয়া আমার মেসেঞ্জারে পত্রিকার ছবিগুলো তুলে পাঠিয়ে দিলেন।সত্যি দেখে অনেক আনন্দ পেয়েছি।লাখো লাখো মানুষের কাছে পৌঁছে গেলাম একদিনে।মজার বিষয় হচ্ছে, এখানে অনেক বড় বড় মাপের ব্যক্তিবর্গরা বক্তব্য দিয়েছিলেন। প্রশ্ন-উত্তর-পর্ব করেছিলেন। কিন্তু তেমন কারো ছবি এত বড় করে পত্রিকায় আসেনি। সেখানে আমার ছবিটি স্থান পাওয়ায় আমি নিজেকে গর্বিত মনে করছি।
সেলিনা সাথী
ভালোর সাথে
আলোর পথে
প্রিয় "প্রথম আলো"
নির্ভীক ভাবে তুলে ধরেন
এই সমাজের কালো।
পাঠক আমি, প্রেমি আমি
আমি সাহিত্য পাতা,,
প্রথম আলো বন্ধুসভা
অমর কাব্য গাঁথা।
সথ্যে তথ্যে ২৪শে
প্রিয় প্রথম আলো
সত্য সন্ধানের-
নিখুঁত প্রদীপ জ্বালো।
তোমার কাছে প্রত্যাশাটা
আরো অনেক বেশি,,
এই চব্বিশে বলছি তোমায়
ভীষন ভালোবাসি।
প্রথম আলোর আলোক ছটা
আলো হয়েই ঝরুক,
প্রথম আলোর স্বচ্ছলতা
বিশ্বে মেলে ধরুক।**♥
তাৎক্ষণিক এই কবিতাটি লিখে, সেখানে পাঠ করে, পুরো পরিবেশটাকে আমি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে এসেছিলাম।
অনেক অনেক শুভকামনা। প্রথম আলোর জন্য।বন্ধুরা আজ এ পর্যন্তই। আগামীতে আবার নিয়ে আসবো নতুন নতুন কিছু বিষয় নিয়ে। তবে আপনাদের উৎসাহ, আপনাদের অনুপ্রেরণা, আমাকে সামনে এগিয়ে যেতে অনেক বেশি উৎসাহিত করে।
♥♥
আমি সেলিনা সাথী। আমার প্রফেশন, প্রেজেন্টার, ট্রেইনার ও মোটিভেটর। আমি একজন সমাজ কর্মি ও সংগঠক। এছারা ও তৃনমূল নারী নেতৃত্ব সংঘের নির্বাচিত সভাপতি বাংলাদেশ। আমি "নারীসংসদ"
এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, ও প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি "সাথী পাঠাগার"। আমার লেখা মোট ১০ টি একক ও যৌথ কাব্য গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। একুশে বই মেলায় প্রতি বছর একটি করে কাব্য গ্রন্থ প্রকাশের চেস্টা করি। আমার লেখা কাব্যগ্রন্থের মধ্যে "মিস্টি প্রেম" (উপন্যাস), "অশ্রু ভেজা রাত" (কবিতা), "জীবন যখন যেমন" (কবিতা), "একুশের বুকে প্রেম" (কবিতা), "নারীকন্ঠ" (ম্যাগাজিন) অন্যতম।
চমৎকার বক্তব্য দিয়েছো, সেই সাথে একটি পুরস্কার পেয়েছো। সত্যি তোমাকে নিয়ে অনেক গর্ব করি আম্মু।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
তোমরা দুই ভাই আমাকে ছাড়িয়ে যাবে। আরো অনেক বড় কিছু করবে। ভাল কিছু করবে। যেন তোমাদের কথা কাজের জন্য আমি ও গর্ববোধ করতে পারি।এখনও করি। কারণ তোমাদের দুই ভাইয়ের মত সন্তান সবার ঘরে জন্ম নেয় না।আমার কাছে তোমরা দুই ভাই সেরা সন্তান।অনেক অনেক দোয়া ও ভালোবাসা তোমাদের জন্য♥♥
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আসলে আপনাকে নিয়ে গর্ব করার মতো। আপনি সব বিষয়ে পারদর্শী। এই অনুষ্ঠানে আপনাকে দেখতে পেয়ে খুবই ভালো লাগলো এবং আপনি পুরস্কার জিতেছেন, সত্যিই আপনার জন্য রইল শুভকামনা।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপু আপনাকে প্রথম আলো প্রত্রিকায় দেখে খুব ভাল লাগলো। বক্তব্য দিয়ে খুব সুন্দর একটি পুরষ্কারও পেয়েছেন। খুব সুন্দর একটি সময় অতিবাহিত করে আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। ধন্যবাদ আপু।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit