আজ ২৯ জুন, ২০২২
রোজ বুধবার
বন্ধুরা সকলকে শুভেচ্ছা। আশা করি সবাই ভাল আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমি অনেক ভালো আছি আমার বাংলা ব্লগ কতৃক আয়োজিত এবারের কনটেস্ট শেয়ার করো বৃষ্টি নিয়ে তোমার মজার কোনো অনুভূতি। এই প্রতিযোগিতার বিষয়টি আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। খুবই ইন্টারেস্টিং একটি কনটেস্ট। এজন্য প্রথমেই ধন্যবাদ দিতে চাই, আমাদের সকলের প্রিয় এডমিন @shuvo35 ভাইকে এতো সুন্দর একটি কনটেস্টের ঘোষণা দেওয়ার জন্য। আজ আমি আমার জীবনে বৃষ্টির দিনে ঘটে যাওয়া কিছু স্পেশাল সময়ের অনুভুতি শেয়ার করবো। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে।
এখনো মুষলধারে বৃষ্টি আসলে আমি সেই সোনালি শৈশবে ফিরে যাই আনমনে।এখনো সেই চঞ্চলতা জেগে ওঠে মনের মাঝে।তবে সময়ের বলিরেখায় হার মানে সব ইচ্ছেগুলো।তাইতো এখন আর বাড়ির উঠোনে পানি জমলে তাতে কাগজের নৌকা তৈরি করে ভাসিয়ে দেই না।গামছা কিংবা ওড়না দিয়ে সবাই মিলে মাছ ধরি না।কিংবা ফুটবল নিয়ে সেই বৃষ্টিতে ভিজে ভিজে ফুটবলে লাথি মেরে ফুটবল খেলা বন্ধুদের সাথে এখন আর ইচ্ছে করলেও হয়ে ওঠে না।খেলার সাথী বন্ধু বান্ধবীর সবার সাথে এই বৃষ্টিতে ভিজে ভিজে পুকুরে আর লাফালাফি করতে ইচ্ছে থাকলেও করা হয়না।স্কুল থেকে আসার সময় হাতে ছাতা থাকলেও ছাতাটাকে মুড়িয়ে মহানন্দে বৃষ্টির পানিতে ভিজতাম।এই বাড়ি ওই বাড়ির সেই বাড়ি বন্ধু-বান্ধবীদের সাথে ঘুরে ঘুরে বেরিয়ে বৃষ্টি দেখতাম কার বাড়িতে কতটুকু বৃষ্টি উঠেছে।বাবার বকুনি মায়ের বকুনি দাদির বকুনি খেয়েও অবিরাম বৃষ্টিতে ভিজেছি।বৃষ্টিতে ভিজে ভিজে আম কুড়ানো।কিংবা দুষ্টুমি করে কারো গাছ থেকে আম পারিয়ে আনা।কত কিছুই না করেছি সেই সোনালি শৈশবে।টিনের চালায় পড়া বৃষ্টির রিমঝিম শব্দ যেন নতুন একটি মুগ্ধ করা সুর হয় কানে বাজে।তাইতো আনন্দে মুখরিত হয়ে গান গাইতাম। রিমঝিম রিমঝিম বৃষ্টি যখন ঝড়েরে,,,,,ব্যাকুল এ মন আনচান আনচান করে রে,,,,,বৃষ্টির দিনে গরম খিচুড়ি সাথে ভুনা মাংস আর সেই সাথে রকমারি আচার খেতে কত মজা লাগতো।
যদি ফিরে পেতাম,,
মায়ের সাথে বায়না করে
ডাল খিচুড়ি খেতাম।
কাগজের নৌকা বানিয়ে
ভাসিয়ে দিতাম জলে,,,
গামছা দিয়ে মাছ ধরতাম
ভরে যেত থলে।
ভিজে ভিজে আম কুড়াতাম
খেতাম সবাই মিলে,,
মাছে মাছে ভরে যেত
নদী,খাল-বিলে।
লুডু খেলার আসর হত
সাথে ক্যারামবোর্ড,,
ঝাল মুড়ি খেতাম আর
হারলে পেতাম চোট।।
পুতুল পুতুল খেলা করতাম
দিতাম পুতুল বিয়ে,,
সারাবেলা কাটিয়ে দিতাম
পুতুল সঙ্গে নিয়ে।।
এইতো সেদিন খুব জোরে বৃষ্টি হচ্ছিল।এলাকার ছোট ছোট ছেলে মেয়ে গুলো বৃষ্টিতে ভিজে খেলাধুলা করছে।আর আমি জানালার গ্রিল ধরে তাদের সেই খেলাধুলো গুলো উপভোগ করছি। তাদের মধ্য থেকে কেউ একজন বলে উঠল চল পুকুরে যাই।কথাটা আমার কানে আসা মাত্র আমি কেমন যেন চমকে উঠি।এক নিমিষেই ফিরে যায় অতীতে।
এ রকমই এক বৃষ্টির দিনে,,আমি, শিল্পী, শম্পা, শান্ত, তহমিনা, মাহমুদা আরো অনেকেই মিলে বৃষ্টিতে ভিজতে ছিলাম।এখানে সবাই আমার সহপাঠী।তবে শিল্পীর সাথে আমার একটু অন্তরঙ্গ মিল ছিল।বলতে গেলে গলায় গলায় পিরিত বলতে পারেন।শিল্পীদের বাড়ির পিছনে বিশাল বড় একটা পুকুর।ওখানে পাহাড় আর অনেকেই গোসল করে।আমার বাবা-মা ছোটবেলায় তেমন কারো সাথেই সে ভাবে মিশতে দিতো না।পুকুরের আশেপাশে যেতে দিত না।তাই তখনও সাঁতার শেখা হয়নি।সেদিন শিল্পী বলেছিলো চলো সবাই মিলে চোর-পুলিশ খেলে পুকুরে।সবাই মোটামুটি সাঁতার জানে শুধু আমি সাঁতার জানতাম না।এবং টস করে আমি পুলিশ হলাম এখন চোর ধরতে হবে।সবাই পানির মধ্যে ডুব দিয়ে দিয়ে লুকিয়ে থাকে একটু ভেসে উঠে আবার ডুব দেয়।যেহেতু আমি সাঁতার জানতাম না তাই ওদেরকে ধরার জন্য বেশি দূরেও যেতে পারছিলাম না কারন পানিভর্তি পুকুর।যাইহোক একজনকে ধরতে পুকুরের কিনারে যাচ্ছিলাম হঠাৎ করে,, পুকুরের কাঁদার ভিতর আমার পাগুলো তলিয়ে যাচ্ছে।বুঝতে পারলাম আমি ডুবে যাচ্ছি।খুবই আতঙ্কের বিষয় হলো আমি আমার পা অনেক চেষ্টা করেও নড়াচড়া করতে পারছিলাম না।হাত উঁচু করে দেখি আমার হাত পানির উপরে যাচ্ছে না।তারমানে আমি কতটা তলিয়ে গেছি।মনে মনে ভাবলাম আজকে আমার জীবনের শেষ দিন।তাই মনে মনে লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু পড়তে ছিলাম এবং সেই সাথে দোয়া ইউনুস পড়তেছিলাম।
এমন সময় লক্ষ্য করলাম আমার গায়ের পাশ দিয়ে কে যেন যাচ্ছে।আমি কোন কিছু না ভেবেই তাকে জড়িয়ে ধরলাম।আর সেটা ছিল শান্ত।সে নিজের জীবন বাঁচাতে পানির নিচে ছটফট করছিল এবং আমার হাত ছাড়ানোর অনেক চেষ্টা করছিল এমন সময় সে আমার পেটের ভেতর এত জোরে একটা লাথি দেয় যে কারণে আমার পাগুলো কাঁদার ভিতর একটু নড়েচড়ে উঠে।এবং আমি অনেক চেষ্টা করে হাতগুলো উঁচু করার জন্য।এমন সময় শান্ত- শিল্পী সম্পা সবাইকে ডেকে বলে সাথী ডুবে গেছে,,হাঁপাতে হাঁপাতে বলে ওকে সবাই খোঁজো।আমাদের পাসের বাড়ীর এক ভাইয়া আমাদের সাথে গোসল করতে ছিল।ওর নাম ছিল রিপন।আমি ওকে ছোট ভাই বলে ডাকতাম।ও হঠাৎ আমাকে খুঁজতে খুঁজতে আমার চুলগুলো দেখতে পায় পানির উপরে ভাসতেছে।তখন সে কোন কিছু চিন্তা না করেই আমার চুলগুলো ধরে ইচ্ছামত টানতে থাকে।এরপর শিল্পী সম্পা দুজন মিলে আমার দুই হাত ধরে টানতে শুরু করে।এক পর্যায়ে আমার পায়ের নিচে কাঁদাগুলো একটু নরম হলে আমি পা ফসকে উঠে আসি। এবং আমাকে পুকুরধারে নিয়ে যায়।এ যাত্রায় বেঁচে গেলাম।কিন্তু মজার বিষয় হচ্ছে এতক্ষণ পানির নিচে থেকেও আমি এক ফোঁটা পানিও খাইনি।কিন্তু শান্তকে আমি যখন জড়িয়ে ধরেছিলাম ও অনেক পানি খেয়ে ফেলেছিল।সেদিন খুব হাড়ে হাড়ে বুঝতে পেরেছিলাম সাঁতারের গুরুত্ব।সেদিনের সেই ঘটনা বাড়িতে জানানো হয়নি।সেদিন যদি বাবা-মা জানত জানিনা কি হতো আমার।যাইহোক পরদিন শিল্পী আমাকে বলেছিল যে ভাবেই হোক তোকে সাঁতার শিখতে হবে।আমি তোকে সাঁতার শেখাবো।এই বলে শিল্পী একটি কলার গাছ ধরিয়ে দিলো আমাকে। এবং বলল হাত পা গুলো এভাবে নাড়াচাড়া করতে হয়।প্রথম দিন চেষ্টা করেই সাঁতার শিখে ফেললাম। এবং তখন বিশাল পুকুরের এমাথা থেকে ওমাথা আমি সাঁতার কাটিয়ে যেতে পারতাম।এ জন্য অন্তরের অন্তস্থল থেকে শিল্পী এবং সেই ছোট ভাই রিপন তাদের কাছে বুঝি ঋণী হয়ে আছি এখনো।
তবে সেই ছোট ভাইয়ের সাথে এখনো দেখা হলে বলত কিরে ভুলে গেছিস সেদিন আমার জন্যই তুই তোর প্রাণ পেয়েছিস।আমি ছোট ভাইকে বলি ঠিকই বলেছেন ভাইয়া সেদিন আপনার উছিলায় মহান সৃষ্টিকর্তা আমাকে বাঁচিয়ে দিয়েছেন তাই আপনাকে জীবনে কোনদিন কখনই ভুলে যেতে পারবো না।হঠাৎ করেই এই স্মৃতিগুলো মনে পড়ে গেছিল। বন্ধুরা আমরা অনেকেই জানি দাগ থেকে দারুন কিছু হয়।করতে চাইলে।সেদিন ডুবে না গেলে হয়তো আজও সাঁতার শেখা হতো না।বন্ধুরা সকলের উদ্দেশ্যে গর্ব আমাদের প্রত্যেকটা মানুষের অন্তত সাঁতার শেখার খুবই জরুরী।তাই সবাইকে অনুরোধ করবো আমরা যেন প্রত্যেকের বাচ্চাদেরকে সাঁতার শেখাতে উৎসাহী করতে পারি।সিয়ামকে আমি নিজেও সাঁতার শেখানোর জন্য সেই কলেজের পুকুরে নিয়ে যেতাম।
বৃষ্টিতে ভিজে ভিজে পুকুরে গোসল করার মজার অনুভতি আজ আমি আপনাদের শেয়ার করতে পারলাম।তাই অনেকটা স্বস্তি বোধ করছি।অনেকেই বলতে পারেন এখানে মজার কি হলো??? আমার কাছে এই জন্য মজার সেইদিন ডুবে গিয়েছে জন্যই মৃত্যুর খুব কাছাকাছি যেতে পেরেছিলাম।সেদিন যদি ডুবে না যেতাম তাহলে সাঁতার শেখা কখনোই হতো না। মজার বিষয় হলো এখন আমি অনেক ধরনের সাতার পারি।এবং সেই দিনের সেই স্মৃতি গুলো এখনো মনে পড়লে একা একা হাসি, একা একা কাঁদা,একা একা নিশ্চুপ হই নির্জন নিভৃতে।
বন্ধুরা বৃষ্টির দিনে আমার মজার অনুভতি আপনাদের কেমন লাগলো জানিনা তবে আমার কাছে বিষয়টি অনেক শিক্ষণীয়।বৃষ্টির দিনে মজার মজার অনুভূতি আছে হাজারো।তার মধ্য থেকে।এই বিশেষ মুহূর্ত কি আপনাদের সাথে ভাগ করে নিলাম।আপনাদের যদি এতোটুকু ভালো লেগে থাকে তবেই আমার পরম পাওয়া ভালো থাকবেন শুভ কামনা সব সময়।
আমি সেলিনা সাথী। আমার প্রফেশন, প্রেজেন্টার, ট্রেইনার ও মোটিভেটর। আমি একজন সমাজ কর্মি ও সংগঠক। এছারা ও তৃনমূল নারী নেতৃত্ব সংঘের নির্বাচিত সভাপতি বাংলাদেশ। আমি "নারীসংসদ"
এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, ও প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি "সাথী পাঠাগার"। আমার লেখা মোট ১০ টি একক ও যৌথ কাব্য গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। একুশে বই মেলায় প্রতি বছর একটি করে কাব্য গ্রন্থ প্রকাশের চেস্টা করি। আমার লেখা কাব্যগ্রন্থের মধ্যে "মিস্টি প্রেম" (উপন্যাস), "অশ্রু ভেজা রাত" (কবিতা), "জীবন যখন যেমন" (কবিতা), "একুশের বুকে প্রেম" (কবিতা), "নারীকন্ঠ" (ম্যাগাজিন) অন্যতম।
আপনার বৃষ্টির দিনের স্মৃতিগুলো পড়ে অনেক ভালো লেগেছিল। কিন্তু শেষের দিকে শরীরের পশম গুলো যেন কাটা দিয়ে উঠেছে। ভয়ংকর একটা মুহূর্ত ছিল, আপনি ঠিকই বলেছেন আপনি মৃত্যুর খুব কাছ থেকে ফিরে এসেছেন। তবে সেখান থেকে যে আপনি সাঁতার শিখতে পেরেছেন এবং কি বিভিন্ন ধরনের সাতার জানেন খুবই ভালো লাগছে। এখনো কি সেই চোর পুলিশ খেলতে মন চায় আপু জানাবেন। অসাধারণ ছিল বৃষ্টির দিনে আপনার অনুভূতি গুলো। আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য শুভেচ্ছা রইল।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
বৃষ্টির দিনে দুষ্টামির ছলে পুকুরে চোর-পুলিশ খেলতে গিয়ে মৃত্যুর খুব কাছাকাছি গিয়েছিলাম।আর অল্প কিছুক্ষণ থাকলে হয়তো আজ পর্যন্ত আমি হইতাম না।অনুভূতিগুলো পুরোটাই পড়ে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ প্রিয় ভাইয়া।♥♥
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
মারাত্মক অভিজ্ঞতা । তবে কিভাবে এতক্ষন জল না খেয়ে জলের নিচে ছিলেন আমি ভাবছি। তবে ইশ্বর আপনাকে বাচিয়ে দিয়েছে নতুবা বাচার কথা নয়। এটা তো আমার কাছে মজার অভিজ্ঞতা নয় বরং বৃষ্টির দিনে ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতা মনে হচ্ছে। তবে হ্যা কবিতা টি কিন্তু দারুন হয়েছে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
বৃষ্টির দিনে মজার ছলে চরম অভিজ্ঞতা।আসলে মজার ছলে ও আমাদের জীবন বিপন্ন হয়ে যায় জীবন হারিয়ে যায়।এই অভিজ্ঞতাটুকু হতে পারে অনেকের জীবনে অনেক বড় একটি শিক্ষা।♥♥
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপনার বৃষ্টি দিনের অনুভূতি টা দারুন ছিল। সত্যি ছোট বেলায় অনেক মজা আনন্দ করেছি।আজ আপনার সেই বৃষ্টি দিনের অনুভূতি পড়ে। আমার ছোট বেলার কথা মনে পড়ে গেছে। তবে সব চেয়ে বড় মজা পেয়েছি। আপনার পুকুরে চোর পুলিশ খেলাটা।যত বেশি ভালো লেগেছে। আবার ততোটাই বেশি কষ্ট পেয়েছিলাম। আপনি যখন পুকুরে ডুবে গিয়েছিলেন। সত্যি আপনার পুরো পোস্টটি পড়তে পড়তে। মাঝখানে যখন পড়তে ছিলাম। তখন কেনো জানি আমার চোখে পানি চলে এসে ছিলো। আবার যখন নিচের লাইন গুলো পড়তে ছিলাম। তখন আমার খুবই ভালো লাগতে ছিলো। আসলেই কোনো কিছু শিখতে গেলে একটু কষ্ট করতে হয়। সত্যি আপনার বৃষ্টি দিনের অনুভূতি এক কথায় অসাধারণ ছিল। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। এতো সুন্দর করে গুছিয়ে গুছিয়ে লেখার জন্য। আপনার জন্য অনেক অনেক দোয়া রইল। ভালো থাকবেন।❤️❤️❤️
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। এভাবেই সব সময় পাশে থাকবেন। এই প্রত্যাশাই রাখছি।♥♥
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit