হ্যাল্লো বন্ধুরা,
কেমন আছেন সবাই?আশা করি আপনারা সবাই অনেক ভালো আছেন।আমিও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর অশেষ রহমতে ভালো আছি।আমি @shahid540 বাংলাদেশ থেকে।বন্ধুরা আজকে আপনাদের মাঝে উপস্থিত হলাম নতুন একটি ব্লগ নিয়ে।চলুন আজকের ব্লগ টি শুরু করা যাক।
ফটোগ্রাফি করা আমার একটি নেশা বলতো পারেন। আর ফটোগ্রাফিকে আমি একটি আর্ট ও মনে করি। কেননা এই ফটোগ্রাফির মধ্যেও মনে অন্য রকম একটা প্রশান্তি অনুভব করা যায়। কোথাও কোন সৌন্দর্যপূর্ণ জিনিস দেখলেই সেটি ক্যামেরাবন্দি করে নেই আমি। এখানে আপনাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। আমি যদিও বা প্রফেশনাল ফটোগ্রাফার না কিন্তু আমি আমার পক্ষ থেকে যথাসাধ্য চেষ্টা করি আমার করা ফটোগ্রাফি গুলি শ্রোতাদের দৃষ্টি আকর্ষণীয় করার জন্য। আশা করি আপনারা আমার করা ফটোগ্রাফি সম্বন্ধে নিচের কমেন্ট বক্সে আপনাদের নিজস্ব মন্তব্য জানাবেন। চলুন তাহলে এবার ফটোগ্রাফির পর্ব টি শুরু করি।
ফটোগ্রাফি পোস্ট এর শুরুতেই দেখতে পাচ্ছেন আমি একটি চিকন রাস্তার ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছি। আসলে শুধু রাস্তার কথা বললেই ভুল হবে কেননা রাস্তার পাশে একটি ভুট্টা ক্ষেত রয়েছে এবং তারও একপাশে কিছু ব্লক রয়েছে। আর এই ফটোগ্রাফিটি করেছিলাম গতবারের শীতকালীন সময়ে। এটি হচ্ছে আমার বাসা থেকে খানিকটা দূরে একটি নদীর সাইড দিয়ে তথা নদীর পাড় দিয়ে চলে যাওয়া একটি রাস্তা। এই রকম চিকন মাটির রাস্তাগুলো দিয়ে চলতে বেশ ভালই লাগে। আর এই ফটোগ্রাফিটি করেছিলাম আমি ব্রিজের উপর থেকে।
এইবার আপনারা দেখতে পাচ্ছেন একটি বাঁশের ব্রিজ। মূলত এই বাঁশের ব্রিজ দিয়ে দৈনন্দিন অনেক মানুষের যাতায়াত হয়। বদরগঞ্জ পৌরসভার পাশের এক নদীতে এই ব্রিজ লক্ষ্য করা যায়। বাঁশের এরকম ব্রিজগুলোতে চলাফেরা করতে কিন্তু ভালই লাগে কিন্তু দুঃখের বিষয় হচ্ছে যাদের এই ব্রিজ ছাড়া যাতায়াত কোনোভাবেই সম্ভব নয় তাদের কথাটা একবার ভাবুন তো যদি ব্রিজ না থাকে তাহলে তাদের চলাফেরাতে কতটা কষ্ট হবে। যখন নদীতে পানি হয়ে যায় তখন নৌকা ব্যতীত নদীর ওপারের মানুষের এদিকে আসা কোনভাবেই সম্ভব হয় না। যাই হোক ব্রিজ টি আমার কাছে ভালো লেগেছিল ফটোগ্রাফি করে রেখেছিলাম তাই আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম।
এবার যে ফটোগ্রাফিটি দেখতে পাচ্ছেন এটা অনেকের কাছেই খুব বেশি পরিচিত। তবে এটি পরিচিত তাদের কাছে আরও বেশি যারা মেস এ জীবন অতিবাহিত করে। আমি যখন মেসে ছিলাম সে সময় বন্ধু-বান্ধবরা মিলে প্রায় প্রায় সন্ধ্যার দিকে এরকম মুড়ি পার্টির আয়োজন করা হতো। সবাই মিলে এরকম একসাথে বসে খাওয়াটার মজাই আলাদা। সে সময় গুলো এখন কেবলমাত্র স্মৃতি হয়ে রয়ে গেছে। সেই স্মৃতির পাতা থেকেই আপনাদের মাঝে একটি ফটোগ্রাফি শেয়ার করলাম।
লাভ সিম্বলের একটি টেডি বিয়ার। কমবেশি প্রায় সব মেয়েরাই টেডি বিয়ার পছন্দ করে। এই ভাববেন না যে আমি আবার কাউকে দিয়েছি তাই বলে পিকচার তুলেছি। সেরকম সৌভাগ্য হয়নি আমার কখনো। যাই হোক যদি কখনো সুযোগ পাই কাউকে দেওয়ার মতো তাহলে দিব। এই ফটোগ্রাফিটি করেছিলাম আমি আমাদের রংপুর শিল্প ও বাণিজ্য মেলা থেকে। সে এক অনেক আগের কথা। যাইহোক সেখান থেকে আমার ভালো লাগার একটি ফটোগ্রাফি শেয়ার করলাম।
আর্টিফিশিয়াল ফুল। এমন আর্টিফিশিয়াল অনেক রকমের ফুল রয়েছে যেগুলো দেখলে মনে হয় যে এগুলো বাস্তবিক ফুল। এতটাই নিখুঁতভাবে এবং সৌন্দর্য পূর্ণভাবে কারিগররা তৈরি করে থাকেন যে, সেগুলোর প্রতি নজর গেলে ফেরানো কঠিন হয়ে যায়। দেখে মনে হয় যেন কোন গাছে সুন্দর কিছু কিছু ফুল ফুটে রয়েছে। এই ফটোগ্রাফিটি করে রেখেছিলাম আমি রংপুর শিল্প ও বাণিজ্য মেলা থেকে। আশা করছি আপনাদের ভালো লেগেছে।
এখনকার যে ফটোগ্রাফিটি শেয়ার করেছি এটি হচ্ছে একটি জংলি ফুল। ফুলটির সঠিক নাম আমার জানা নেই তবে এই ফুলটি গ্রীষ্মকালে বেশিরভাগ সময় রাস্তার দু ধার দিয়ে লক্ষ্য করা যায়। গ্রীষ্মকালে এই ফুল জঙ্গলে বেশিরভাগ সময় ফুটে থাকে। তবে এই ফুলের ফটোগ্রাফি আমি করেছিলাম রাস্তার ধার থেকেই। পাপড়িগুলো খুব বেশি হলে তিন থেকে চারটার মত থাকে কিন্তু দুই কালারের হয়ে থাকে। একটা বেগুনি এবং অপরটা সাদা কালার। দুই কালারের কম্বিনেশন ফুলকে খুবই সুন্দর দেখায়। উপরে দেখলেই হয়তো বা বুঝতে পারবেন বিষয়টা।
নীল আকাশে মেঘ নামক শঙ্খচিলের মেলা। উপরের ফটোগ্রাফিটি দেখলেই সবার হয়তো বা মনে পড়ে যাবে শরৎকালের সেই সুনীল আকাশ এবং তার উপরে ঘুরে বেড়ানো শঙ্খচিলের মত মেঘ। শরতের আকাশ মায়াবতীর রূপবতী এবং অনন্য সৌন্দর্যের একটি প্রতীক। বিশেষ করে বিকেলের দিক শরতের আকাশ অসম্ভব সুন্দর দেখায়। যাই হোক একে একে প্রত্যেকটা ফটোগ্রাফির বর্ণনা দিয়ে ফেললাম আশা করি ভালো লেগেছে আপনাদের।
আশা করছি আমার আজকের এই লেখাটি বেশ ভালো লেগেছে আপনাদের। আমার লিখে যাওয়া এই প্লাটফর্ম এর এই লেখাগুলো থেকে যাবে চিরকাল, সেই সাথে আমার পোস্টের নিচে করা আপনাদের দুর্দান্ত মন্তব্য গুলিও থেকে যাবে অনন্তকাল।তাই গভীর আশা ব্যক্ত করছি আপনাদের দুর্দান্ত মন্তব্য গুলো দেখতে পাবো কমেন্ট বক্সে।
Device | Redmi 9A |
---|---|
Camera | 13 MP |
Country | Bangladesh |
Location | Rangpur, Bangladesh |
আমি মোঃ শাহিদ ইসলাম। আমি রংপুর বিভাগের রংপুর জেলায় বসবাস করি। আমি একজন বাঙালি হিসেবে মাতৃভাষা বাংলায় কথা বলতে এবং বাংলায় নিজেকে প্রকাশ করতে ভীষণ রকম স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। বর্তমানে আমি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুর কারমাইকেল কলেজ এর(IHC )ডিপার্টমেন্ট থেকে অনার্স এবং মাদ্রাসা থেকে ফাজিল করতেছি। সবথেকে বড় পরিচয় আমি "আমার বাংলা ব্লগ"কমিউনিটির একজন ভেরিফাইড ব্লগার। সংকল্প নিয়েছি এমনভাবে ব্লগিং করব যাতে প্রিয় বাংলা ব্লগ এর সাফল্যের ভাগীদার হতে পারি। আমার সব থেকে বড় ইচ্ছা আমি একজন উদ্যোক্তা হব। তাছাড়াও ভিন্ন ভিন্ন বিষয় কনটেন্ট লেখা-লেখি,কবিতা লেখা ,আর্ট করা ,ওয়ালমেট তৈরি , অরিগামী ডিজাইন, ফটোগ্রাফি করা ,গজল-গান কভার করা,ভ্রমণ করা,রেসিপি রিভিউ সহ সব রকম কাজ করতে আমি ভীষণ পছন্দ করি। আমি মনে করি ধৈর্য,পরিশ্রম, বিশ্বস্ততা এগুলো সফল হতে সম্মুখ ভূমিকা পালন করে। সর্বোপরি ধন্যবাদ জানাই বড়দাদা এবং ছোট দাদাকে।
vote@bangla.witness as a witness
আজ আপনি আমাদের মাঝে বিভিন্ন ধরনের ফটোগ্রাফি নিয়ে হাজির হলেন। আসলে এক একটা ফটোগ্রাফি এক একটা জিনিসকে তুলে ধরেছে। এছাড়াও প্রত্যেকটা ফটোগ্রাফি সম্পর্কে আপনি দারুণ দারুণ বর্ণনা দিয়েছেন। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর সুন্দর বিভিন্ন ধরনের ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আসলে ভাইয়া ফটোগ্রাফি পোস্টটা একরকম না করে ভিন্ন ভিন্ন বিষয় নিয়ে পোস্ট করতে একটু বেশিই ভালো লাগে। যাই হোক সুন্দরভাবে গুছিয়ে মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
অনেক অনেক ভালো লাগলো ভাইয়া আপনার ধারণা করা এত সুন্দর সুন্দর সব ফটো গুলো দেখে। আপনি কিন্তু অনেক সুন্দর ভাবে সব ফটোগুলোর ধারণ করেছেন। আসলে আমাদের অন্য ফটোগ্রাফি দেখলে বিভিন্ন পর্যায়ের ছবি দেখার সুযোগ মেলে পাশাপাশি অনেক কিছু জানা যায়।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আমার করা ফটোগ্রাফি গুলি আপনার ভালো লেগেছে শুনে বেশ অনুপ্রেরণা পেলাম।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
সবকটি ছবি ভীষণ সুন্দর ও প্রাণোচ্ছল হয়েছে। বিশেষ করে মুড়ি চানাচুরের ছবিটি তো প্রাণপ্রিয় ছবি। বাঙালির অন্যতম পরিচয় এই মুড়িতে। একদম শেষে আকাশের ছবিটি ও ভীষণ সুন্দর লাগলো। সব মিলিয়ে আপনি বেশ ভালো ফটোগ্রাফি আমাদের সঙ্গে শেয়ার করলেন।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
চেষ্টা করেছি ভাই ফটোগ্রাফি গুলি ভালোভাবে ক্যাপচার করে আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে আপনাদের ভালো লাগাতেই আমার সার্থকতা। যাইহোক গুছিয়ে গঠনমূলক মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit