নিজের শরীরকে শেষ সময়ে প্রস্তুত করে নেওয়ার কিছু মুহূর্ত:-
বন্ধুরা আপনাদেরকে একটি বিষয় জানিয়ে দেই সেটি হচ্ছে গত সেপ্টেম্বর মাসের ২৬ তারিখ(২০২৩) আমি আনসার ব্যাটালিয়নের একটি সার্কুলার দেখতে পাই। তো সে সার্কুলার এ আমি আবেদন করি। সে আবেদন করার পর গতকালকে আমার আনসার ব্যাটালিয়ন এর পক্ষ থেকে একটি মেসেজ আসে আমার ফোনে। আবেদন করার পর থেকেই আমি আমার নিজেকে সম্পূর্ণরূপে তৈরি করার জন্য প্রতিনিয়ত কিছু না কিছু ব্যায়াম করি চলেছি। তারই ধারাবাহিকতায় আজকেও সকালে এক্সারসাইজ করার জন্য বের হই। সে বিষয় নিয়েই আজকে আপনাদের সাথে উপস্থাপন করব। শুরু করি তাহলে।
আমার এটা নিত্যদিনের অভ্যাস যে আমি খুব সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে যাই। ফজরের সালাত শেষ করে কিছুটা সময় দাঁড়িয়ে থেকে তারপর চলে যাই নিজেকে তৈরি করার জন্য একটু এক্সারসাইজ করতে। আমার সাথে আমার এলাকার আরও একটি ছেলে এই ব্যাটেলিয়ন আনসারে আবেদন করেছে, তো সেও ইদানিং আমার সাথে ব্যায়াম করার জন্য সকাল সকাল উঠে পড়ে কিন্তু সে আসলে নামাজ পড়ে না। এই বিষয়টাকে নিয়ে তাকে অবশ্য বেশ কয়েকবার বলেছি এবং বুঝিয়েছি। আশা করি সে সঠিক বুঝটা বুঝতে পারবে। আমার মাঠ যেহেতু খুব সন্নিকটেই তথা সোমবারে চলে এসেছে তাই নিজের ব্যায়ামগুলোর প্রতি আরো বেশি মনোযোগ দিতে হচ্ছে। প্রথমেই আমরা রান আপ করি। ৬ মিনিট ৩০ সেকেন্ডে আমাদের রান করতে হয় ১৬০০ মিটার পথ। প্রথমে দিক যদিও বা এটি করতে পারতাম না কিন্তু এখন নির্ধারিত সময়ের আগেই লক্ষ্যে পৌঁছে যাই।
রান আপ করা আমাদের শেষ হলে তারপর আমরা একে একে বুক ডাউন, পুষ-আপ সহ আরো অন্যান্য বেশ কয়েক ধরনের ব্যায়াম করে থাকি। যাতে করে আমাদের বডি ফিটনেস ঠিক থাকে। তবে এ সকল ব্যায়ামগুলোর মধ্যে সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ যেটি সেটি হচ্ছে রান করা এবং বুক ডাউন। আসলে আমি একটা সময় এ সকল এক্সারসাইজ করতাম না। কিন্তু যখন থেকে আমি এগুলো করা শুরু করি তখন থেকে এটা উপলব্ধি করতে পারি যে, সকালের এই কিছুটা রান করা কিংবা অন্যান্য সাধারণ হলেও কিছু ব্যায়াম করা আমাদের শরীরকে অনেকটা প্রশান্তি পাইয়ে দেয়। যেটা আমি আমার নিজের উপলব্ধির জায়গা থেকে বলতেছি।
আসলে জ্ঞানী লোকেরা যে বলেছিল সকালে উঠতে পারলেই মানুষ অর্ধেক সফল। কথাটির আসলেই অনেক গভীরতা রয়েছে। সকালের স্নিগ্ধ বাতাস মনোরম পরিবেশ মনকে করে তুলে একদম চাঙ্গা। বেশ কয়েকদিন ধরেই আমি অল্প অল্প করে কিছু ফটোগ্রাফি করে রেখেছিলাম প্রভাতের। ভাবলাম আজকে সেগুলো আপনাদের সাথে শেয়ার করব। সকালের সূর্য উদিত হওয়া, অনেকটাই নিজেকে বিস্মিত করে দেয়। পূর্ব আকাশ এতটাই সৌন্দর্য হয়ে উঠে যে, যে ব্যক্তি সেই দৃশ্য দেখেছে কেবলমাত্র সেই এই দৃশ্যের ব্যাখ্যা দিতে পারবে। আমরা দৌড়াচ্ছিলাম একটি ফাঁকা রাস্তা দিয়ে। তো সে সময় কিছু ধানক্ষেতের দৃশ্য আমার কাছে ভালো লেগে যায় সেগুলোর ফটোগ্রাফিও করে রেখেছি যাতে আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে পারি।
ঘনিয়ে আসছে দিন সময় যাচ্ছে ফুরিয়ে, আগামী শনিবার হয়তো রওনা হতে পারি ব্যাটারি আনসারের অফিসিয়াল মাঠ এর উদ্দেশ্যে। ভালো কিছুর প্রত্যাশা করে। সেই সাথে আপনাদের থেকেও দোয়া চাই যেন ভালো কিছু একটা ফলাফল করতে পারি। আপনারা সবাই দোয়া করবেন।
বন্ধুরা আজকের মত আমার ব্লগটি এখানেই শেষ করছি।আশা করি আপনাদের ভালো লেগেছে।দেখা হবে আবারো আপনাদের সাথে নতুন কোনো পর্বে।আল্লাহ হাফেজ।
Device | Redmi 9A |
---|---|
Camera | 13 MP |
Country | Bangladesh |
Location | Rangpur, Bangladesh |
vote@bangla.witness as a witness
ভাইয়া আপনার অভ্যাস অনেক ভালো আপনি সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে যান ।আনসার বিজিবি চাকরির জন্য আপনি নিজেকে অনেক সুন্দর ভাবে তৈরি করছেন ।দোয়া করি আপনি আরো এগিয়ে যান আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
অসংখ্য ধন্যবাদ আপু মন্তব্য করে উৎসাহ দেওয়ার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit