অপ্রতিরুদ্ধ এক বালকের গল্প#(পর্ব এক)#10%shy-fox&5%abb-school beneficiary

in hive-129948 •  last year 
❤️আসসালামু আলাইকুম ❤️
হ্যাল্লো বন্ধুরা,

কেমন আছেন সবাই?আশা করি আপনারা সবাই অনেক ভালো আছেন।আমিও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর অশেষ রহমতে ভালো আছি।আমি @shahid540 বাংলাদেশ থেকে।

Yellow Orange Modern Minimalist Webinar Marketing Banner_20231219_104322_0000.png
Source

বন্ধুরা আমরা আমাদের জীবনে অনেকেই অনেক ভাবে অনুপ্রাণিত হয়ে থাকি জীবনকে উন্নত স্থানে নিয়ে যাওয়ার জন্য।মানুষ জন্ম লগ্ন থেকেই কখনো সফল হয়ে আসে না।কোনো মাধ্যমেই আমরা সফলতা পাই কিংবা আমাদের পরিশ্রমই আমাদের সফলতা পেয়ে দেয়।সেরকমই একটি গল্প আপনাদের সাথে শেয়ার করবো,পর্ব আকারে। এটি হচ্ছে প্রথম পর্ব তথা পর্ব নং এক।চলুন তাহলে মূল কথায় যাওয়া যাক।

অপ্রতিরুদ্ধ বালকের জীবন কাহিনী:

আমরা আমাদের ইতিহাস কে পর্যালোচনা করলে দেখতে পারবো আমরা কখনোই জন্মগত সূত্রে সবাই ধ্বনি নই।সবার কপালে তো আর ধ্বনি পরিবারে জন্ম গ্রহণ করার ভাগ্য থাকে না।কেউ জন্ম নেয় আই সি ইউ নামক বিলাসী প্রাসাদে,আবার কেউ মেডিকেল নামক টাকার ঘরে বা কেউ মমতা ময়ী প্রিয় মাতার নিজস্ব কোলেতেই বা গরীবের বস্তিতেই।আসল কথাটি হচ্ছে আমরা সবাই কোননা কোনো স্থানে জন্ম গ্রহণ করেছি।আমি কে কোথায় জন্ম গ্রহণ করলো সেটাকে বেশি গুরুত্ব দিয়ে কথা বলতে চাচ্ছি না আমার কথা হচ্ছে আমরা কোন পরিবেশে বেড়ে উঠতেছি। কারণটা হলো এমনও অনেক সন্তান রয়েছে যার বাবার কোটি কোটি টাকা পয়সা থাকা সত্ত্বেও সবগুলো তার অর্ধেক জীবন যেতে না যেতেই শেষ করে ফেলে বা এমনও সন্তান রয়েছে যার বাবার কিছুই ছিল না সে একসময় গিয়ে কোটিপতি তে পরিণত হয়েছে। তাই আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ হল আমরা যে মানুষগুলোর সাথে থেকে বেড়ে উঠি তাদের সঠিক শিক্ষা।আমাদের জীবনের শুরুটাই হলো মূল বিষয়।যদি আমাদের জীবনটা সঠিক মানুষদের সাথে থেকে সঠিকভাবে শুরু হয় তাহলে খুব বেশি একটা কোথাও থেমে যেতে হয়না,কারণ আমাদের জীবনের পিছনে সেই পরিবার নামক ভালো মানুষগুলার সাপোর্ট থাকে।তাই আমাদের জীবনের সুষ্ঠ সুচুনা আমাদের ভবিষ্যৎ জীবনকে ত্বরান্বিত করে।ঠিক যেমন একটি ইঞ্জিন চালিত গাড়ির মতই।একটি ইঞ্জিন কে তেল, মবিল,অন্যান্য সকল জিনিস সঠিক পরিমাণ মত দিয়ে স্টার্ট করাটাই মূল বিষয়, যদি আমরা ইঞ্জিনটাকে একটা বার স্টার্ট করতে পারি তাহলে সে ইঞ্জিন সারাদিন আমরা যেভাবে ইচ্ছা সেভাবেই চালাতে পারি।

আমাদের সমাজের মধ্যে বেশ কয়েক শ্রেণীর পরিবার লক্ষ্য করা যায়। কয়েক শ্রেণীর পরিবার বলতে আমি বোঝাতে চেয়েছি উচ্চবিত্ত, মধ্যবিত্ত এবং নিম্নবিত্ত। এই পরিবারগুলোর মধ্যে হতেও গ্রামীণ সমাজে আরো কিছু পরিবার লক্ষ্য করা যায় যে পরিবারগুলো হতে এমন কিছু সন্তানেরা বেড়ে ওঠে যাদের লেখাপড়ার প্রতি সম্পূর্ণ মনোযোগ দৃষ্টি নন্দিত থাকে। ঠিক তেমনি একটি পরিবারের একজন অদম্য ,সাহসী ছেলের গল্প আপনাদের সাথে শেয়ার করব। ছেলেটির নাম হচ্ছে রাশেদ। তার পরিবারের সদস্য সংখ্যা ছয় জন তারা এক বোন তিন ভাই। ভাই বোনদের মধ্যে এসে হল দ্বিতীয়। রাশেদের বাবা একজন কৃষক এবং মা হচ্ছেন গৃহিণী। রাশেদের বয়স যখন পাঁচ বছর তখন রাশেদের বড় ভাই ক্লাস ফোরে লেখাপড়া করত। তো প্রায় সময়ই রাশেদ তার বড় ভাইয়ের বইগুলো নিয়ে দেখতো আর তার বড় ভাইকে বলতো ভাইয়া আমিও লেখাপড়া করব। আর তার ভাই ও তাকে লেখাপড়া শেখানো শুরু করে যতটুকু তার পক্ষে সম্ভব। সেখান থেকেই তার লেখা পড়া শুরু হয়। কিন্তু তাদের বাবা কৃষক হওয়ার দরুন রাশেদের বড় ভাই ঠিকমতো লেখাপড়া করতে পারে না। স্কুল থেকে এসে রাশেদের বড় ভাই তার বাবার সাথে ক্ষেত এ কাজ করতে যেত এবং সন্ধ্যা হলে বাসায় আসতো। এইটুকু বয়সেই খুব বেশি পরিশ্রম করার কারণে রাশেদের বড় ভাইয়ের শরীর খুব ক্লান্ত থাকতো এবং রাতের খাওয়া করেই খুব তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে পড়তো এবং পরদিন সকালবেলা একটু পড়াশোনা করেই স্কুলে চলে যেত। তার জন্য রাশেদ তার বড় ভাইকে প্রায় সময়ই বলতো ভাইয়া তুমি লেখাপড়া করো না কেনো ঠিকভাবে? রাশেদের বড় ভাই তখন রাশেদের দিকে অশ্রু ভরা নয়নে তাকিয়ে থাকত।রাশেদকে তখন কিছুই বলতো না।

রাশেদ তার বড় ভাইকে বলে ভাইয়া আমিও লেখাপড়া করতে চাই এবং অনেক বড় অফিসার হতে চাই।রাশেদের মুখে এই কথা শুনে রাশেদের বড় ভাই মলিন মুখে তার দিকে চেয়ে থাকে কেননা রাশেদের বড় ভাইয়ের, গরিব সংসারের টানাপড়নের কারণে লেখাপড়া বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়ে গিয়েছিল। তাও এভাবেই চলতে থাকে রাশেদের জীবন এবং তাদের পরিবার। এভাবেই রাশেদের বয়স যখন ছয় বছরে পৌঁছালো ঠিক তখন রাশেদ কেও তার বাবার সাথেই ক্ষেতে কাজ করতে যেতে হতো। রাশেদ তখন তার বাবাকে বলে বাবা আমি লেখাপড়া করতে চাই। আমার স্কুলে ভর্তি করায় দাও। বাবার কথা ছিল আমরা গরিব মানুষ, লেখা-পড়া করে কি হবে আমাদের, তাই ভেবে রাশেদের বাবা রাশেদকে স্কুলে ভর্তি করাতে চায় না। কিন্তু এদিকে রাশেদ ছিল লেখাপড়ার প্রতি খুবই অনুরাগী যার দরুন তার বাবার সাথে জেদ ধরে যে, সে স্কুলে ভর্তি হবে এবং ভালোভাবে লেখাপড়া করতে চায়। বারবার রাশেদ তার বাবাকে এত করে বলার পরে রাশেদের বাবার মন একটু নরম হয় কারণ তার বাবাও লক্ষ্য করছিল রাশেদের লেখাপড়ার প্রতি খুবই মনোযোগ। অবশেষে রাশেদ তার বাবার সাথে জেদ ধরে স্কুলে ভর্তি হয়। কিন্তু রাশেদ স্কুলে ভর্তি হওয়ার পরই তার জীবনের শুরু হয় এক কঠিন আঁধারের মুহূর্ত। যে আঁধারের তামানিশা ভেদ করে তার শিক্ষা জীবন এবং পারিবারিক জীবনের সহযোগী যোদ্ধা হিসেবে নিজেকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যেতে সে বদ্ধপরিকর হয়ে ওঠে।

বন্ধুরা আমার প্রথম পর্বের গল্পটি আজকে আমি এখানেই সমাপ্ত করছি। কি হয়েছিল সংগ্রামী রাশেদের জীবনে তা শেয়ার করব আপনাদের সাথে পরবর্তী পর্বে। ততক্ষণ ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।

🥰ধন্যবাদ পোস্টটি ভিজিট করার জন্যে🥰

received_150935148111922.jpeg

received_6740871932674823.jpeg

DeviceRedmi 9A
Camera13 MP
CountryBangladesh
LocationRangpur, Bangladesh

vote@bangla.witness as a witness

received_1423949511668636.jpeg

or

received_686410693469029.jpeg

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

আসলে সবার জীবন এক না। অনেকেই অনেক রকম ভাবে বড় হচ্ছে। কেউ হয়তো উচ্চবিত্ত আবার কেউ হয়তো মধ্যবিত্ত আবার বেশির ভাগ রয়েছে নিম্ন শ্রেণীর। রাশেদের গল্পটার প্রথম পর্ব আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে। ছোটবেলা থেকেই দেখছি রাশেদ পড়ালেখার প্রতি অনেক বেশি আগ্রহী। যাই হোক দ্বিতীয় পর্বে কি হবে এটাই ভাবতেছি আমি। আশা করছি আপনি দ্বিতীয় পর্বটা শীঘ্রই সবার মাঝে শেয়ার করবেন।

খুব তাড়াতাড়ি আসবে ভাইয়া দ্বিতীয় পর্বটি।

এগুলো লিখে লাভ কি ? #10%shy-fox&5%abb-school beneficiary

লাভ তো নেই ভাইয়া।ওকে আর লিখবো না।