হ্যালো আমার বাংলা ব্লগ এর প্রিয় বন্ধুরা কেমন আছেন সবাই?আশা করি আপনারা সবাই অনেক ভালো আছেন।আমিও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর অশেষ রহমতে ভালো আছি।আমি @shahid540 বাংলাদেশ থেকে।বন্ধুরা আজকে আপনাদের মাঝে উপস্থিত হলাম নতুন একটি ব্লগ নিয়ে।চলুন আজকের ব্লগ টি শুরু করা যাক।
একটি সত্য ঘটনা আপনাদের সাথে শেয়ার করবো আজকে থেকে। এক পরিবারের বড় ছেলের মুখ থেকে শোনা তার জীবন কাহিনী আপনাদের মাঝে তুলে ধরবো। তার জীবনীর কিছুটা অংশ তার মুখ থেকেই শুনেছিলাম আর বাকিটা আমার নিজের চোখেই দেখা। আমার গল্পে সেই ছেলেকে আকাশ নামে উপস্থাপন করবো। আকাশের জন্ম হয়েছিলো ১৯৭৫ সালের দিকে। জন্মগ্রহণ করে বাংলাদেশের উত্তরের জেলা রংপুরে। যুদ্ধের পরবর্তী অবস্থা দেশের খুবই ভয়াবহ ছিলো। সেই সময়ে এক দরিদ্র পরিবারে জন্মগ্রহণ করে আকাশ। জন্মের পর থেকেই যেনো কঠিন পরিবেশকে মোকাবিলা করে বড় হচ্ছিলো আকাশকে।
তখনও আকাশের মা-বাবা জয়েন্ট ফ্যামিলিতেই বসবাস করতো। যার ফলে আকাশ দাদা দাদী সহ প্রত্যেকের যত্ন পেয়েছে ঠিকই কিন্তু নিজের চাহিদা মতো তেমন কোনো জিনিসই পায়নি। এর মূল কারণ হলো তারা ছিল দরিদ্র পরিবারের। বাবা দিনমজুরের কাজ করে সংসার চালাতো। আর আকাশের মা গৃহিনী তথা বাড়ির কাজ করে অন্য লোকেদের বাড়িতে কাজ করার জন্য যেতো। এভাবেই টানাপোড়নের মধ্য দিয়ে চলছিলো তাদের সংসার। এরই মাঝে আস্তে আস্তে বড় হতে থাকে আকাশ। যতই বড় হতে থাকলো ততই যেনো আকাশের কাছে আশেপাশের পরিবেশ আরো জটিল হয়ে যেতে লাগলো।
আকাশের বয়স গুটি গুটি করে যখন পাঁচের ঘরে এসে পৌঁছালো। তখন আকাশ মোটামুটি অনেক কিছুই বুঝতে পারতো।সে খেয়াল করলো মাঝে মাঝেই তার মা-বাবা না খেয়ে থাকেন। কিন্তু আকাশকে কখনোই না খাইয়ে রাখতো না। বারবার আকাশ তার মা-বাবাকে এই বিষয়টি নিয়ে জিজ্ঞেস করলে তার মা-বাবা বলেন আমরা এক বেলা করেই ভাত খাই তোর বাবা আর আমি। আর বাকি দুবেলা একবেলা খুব বেশি হলে একটু নাস্তা খাই আর এক বেলা না খেলেও চলে। নাস্তা বলতে শুধুমাত্র একটি করে রুটি ।এটাকেই আকাশের মা-বাবা নাস্তা বলতো।
কিন্তু আকাশ ধীরে ধীরে সবকিছু বুঝতে শিখলো। খেয়াল করে দেখলো পাশের বাসার প্রতিবেশীরা বিভিন্ন খাবার খেতো নিত্যদিন। কেননা তারা ছিলো ধনী পরিবারের মানুষ। সে ভাবে যদি আমিও এইরকম পরিবারে জন্মগ্রহণ করতাম। মনে একটা দুঃখের আভা ফুটে উঠতো। কিন্তু তারপরেও আকাশ মা-বাবার সাথে ভালোই ছিল। সেই ধনী পরিবারের জীবন স্টাইল দেখে আকাশ তার মা-বাবাকে বলতো, পাশের বাসার আঙ্কেলেরা তিন বেলায় নানারকম খাবার খেয়ে থাকে তোমরা কেনো না খেয়ে থাকো? তখন আকাশের বাবা আকাশকে বিভিন্ন বুজ দিয়ে শান্ত করে। কিন্তু একদিন আকাশ পাশের বাসার সেই বড়লোক বাড়িতে চুপি চুপি ঢুকে পড়ে রাতের আঁধারে। আর তখনই সে ধরা পড়ে যায়,আর..........
আমার লিখে যাওয়া প্লাটফর্ম এর এই লেখাগুলো থেকে যাবে চিরকাল, সেই সাথে আমার পোস্টের নিচে করা আপনাদের মন্তব্য গুলিও থেকে যাবে অনন্তকাল।তাই গভীর আশা ব্যক্ত করছি আপনাদের সুন্দর সুন্দর মন্তব্য গুলো দেখতে পাবো কমেন্ট বক্সে।
Device | Redmi 12 |
---|---|
Country | Bangladesh |
Location | Rangpur, Bangladesh |
vote@bangla.witness as a witness
250 SP 500 SP 1000 SP 2000 SP 5000 SP
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
https://x.com/mdetshahidislam/status/1885904263953682812?t=wcKpivsgxFON002Qmkv9UQ&s=19
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Deily task
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
দারুন একটি গল্প নিয়ে আজ আপনি আমাদের মাঝে হাজির হয়েছেন। আপনার গল্পটি পড়ে একদিকে যেমন ভালো লেগেছে অন্যদিকে আবার কষ্ট লেগেছে। যারা দরিদ্র তারা মনে করেন দারিদ্রতা হল একটি অভিশাপ। কিন্তু সেটা নয়, এটা হল আল্লাহতালার এক পরীক্ষা ধনী গরিবের মাঝে। আমরা যদি আমাদের আশেপাশের দরিদ্র মানুষদেরকে সবাই মিলে কিছু না কিছু সাহায্য করি তাহলে এই দারিদ্রতা অনেকখানি কমে যাবে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
গল্পটি পড়ে অনেক খারাপ লাগলো। আসলে দারিদ্র পরিবার গুলোই বাস্তবতা কতটা ভয়ংকর তা উপলব্ধি করতে পারে। এই গল্পটি থেকে আমরা অনেক কিছু শিখতে পারি বিশেষ করে আমাদের প্রতিবেশী যারা দারিদ্র পরিবার রয়েছে তাদের প্রতি আমাদেরকে সহানুভূতিশীল হতে হবে। তাহলেই আমাদের সমাজ সুখে শান্তিতে এগিয়ে যাবে। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এমন একটি গল্প আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য। পরবর্তী পর্বের জন্য অপেক্ষায় রইলাম। আশা করি পরবর্তী পর্ব পড়ে ভালো কিছু শিখতে পারবো।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit