সকাল শুরু হয় কাজের ব্যস্ততার মধ্যে দিয়ে। সারাদিন ব্যস্ততার মধ্যে কাটাতে গিয়ে এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় যেতে হয় ।আর এই সময়ের মধ্যেই অপ্রীতিকর এবং অপ্রত্যাশিত দুর্ঘটনা ঘটে। এর মধ্যে সড়ক দুর্ঘটনা খুব বেশি পরিমাণে প্রতিনিয়ত ঘটে যাচ্ছে।
আরেকটি বিষয় না বললেই নয়, মূলত দুর্ঘটনাটি ঘটে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ময়লা পরিবহনকারী গাড়ির বেপরোয়াভাবে গাড়ি চালানোর কারণে।
আর কত প্রাণ যাবে যে সড়ক দুর্ঘটনার কারণে। প্রতিনিয়ত আমাদের রাস্তায় গাড়ির সংখ্যা নিয়মিত বেড়েই চলছে। কিন্তু সেই পরিমাণে দক্ষ চালক ভালোভাবে তাদের গাড়ি পরিচালনা করতে পারছে না।এই পরিচালনা না করার কারণে নিত্যদিনের এই অপ্রীতিকর ঘটনা আমাদেরকে শুনতে হচ্ছে এবং চোখের সামনে ঘটেই যাচ্ছে।
Image Source
যে পরিবারের সদস্য সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যায় তাদের পরিবারে অস্বাভাবিক এবং খুব খারাপ অবস্থার সৃষ্টি হয় যা কথার মাধ্যমে বোঝানো সম্ভব নয়।
যে সড়ক দুর্ঘটনার শিকার হয় সে যদি মারা যায় তাহলে তার কষ্ট সেখানেই ইতি টানে কিন্তু যারা গুরুতর আহত হয় বা কারো হাত বা পা চিরদিনের জন্য কেটে ফেলতে হয় তাদেরকে দেখার মত আর মানুষ থাকে না। তারা আর্থিকভাবে সামাজিকভাবে বিভিন্ন অধিকার থেকে এবং বিভিন্ন সমস্যার দাঁড়া মারাত্মকভাবে কঠিন অবস্থা মাধ্যমে তাদেরকে বাকি জীবন কাটিয়ে দিতে হয়।এ জন্য মূলত দুর্ঘটনা কি জন্য হচ্ছে বা কিভাবে প্রতিরোধ করা যায় সেদিকে নজর দিতে হবে প্রত্যেকে প্রত্যেকের নিজের অবস্থান থেকে।
প্রতিনিয়ত সড়কে গাড়ির পরিমাণ যেহেতু বেড়েই চলছে সেহেতু রাস্তার পরিমাণ বাড়ানোর দিকে নজর দিতে হবে।
আজকের দুর্ঘটনা কথা বলতে গেলে, দুর্ঘটনায় যে ছেলেটি মারা গেছে সেই ছেলেটি আশেপাশে গাড়ি দেখে রাস্তা পার হওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিল। কিন্তু সিটি কর্পোরেশনের ময়লার গাড়ির চালক বেপরোয়াভাবে গাড়ি চালিয়েছে এবং তার মাথার উপর দিয়ে গাড়ি চলে যায়।
মোড় থাকার পরও গাড়ির চালক স্পিড না খাওয়ানোর কারণে এবং ভালভাবে না দেখার কারণে ছেলেটি দুর্ঘটনার শিকার হয়। কিন্তু সঠিকভাবে গাড়ি চালালে হয়তো ছেলেটি বেচে যেতে পারত। তার পরিবারের কান্নার পরিস্ফুটন কিছুটা হলেও কমে যেত। বেঁচে থাকার মত একটা বিশ্বাস পেত।
নাঈম এর মত অনেক মানুষ প্রতিনিয়ত এই দুর্ঘটনার শিকার হয়ে কেউ মারা যাচ্ছেন কিংবা অসুস্থ পঙ্গু জীবন কাটিয়ে দিচ্ছে। প্রতিরোধ করার মত কোন পদক্ষেপই নেয়া হয় না। কিছুদিন সেই বিষয়টা নিয়ে প্রচুর তোলপাড় হয় কিন্তু একটা নির্দিষ্ট সময় পর বিষয়টি ধামাচাপা পড়ে যায়।
সড়ক দুর্ঘটনা বন্ধ করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। এরমধ্যে প্রথমত ভাল হতে হবে চালকের ব্যবস্থা, সড়ক পরিবহন এর রাস্তা বাড়ানো, ট্রাফিক আইন মেনে চলা এবং প্রত্যেকে প্রত্যেকের জায়গা থেকে সচেতন হয় রাস্তাঘাট পারাপার হওয়া।
একটি দুর্ঘটনা সারা জীবনের জন্য কান্নার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। কেউই চাইবেনা তার পরিবার খারাপ অবস্থার মধ্যে কাটিয়ে দিক। সড়ক দুর্ঘটনার শিকার হলেও প্রকৃত বিচার যেন প্রত্যেকে পায় সেই সুযোগ যেন প্রত্যেকেই পায়।
সড়ক দুর্ঘটনার শিকার এর মত পরিবারের অবস্থা যেন আর কোন পরিবারের না হয় সেই প্রত্যাশাই করি। চলুন প্রত্যেকে মিলে সুস্থ, সুন্দর স্বাভাবিক , নিরাপদ ও ত্রুটিমুক্ত যানবাহন ব্যবস্থাকে উন্নতির শিখরে নিয়ে গিয়ে দেশকে উপস্থাপন করি।
এটাই ভাগ্যের নির্মম পরিহাস ।তাই সবাইকে সচেতন হতে হবে । খুব খারাপ লাগলো ঘটনাটি শনে।এর মা বাবার কেমন অবস্থ্যাহচ্ছে এখন ।আল্লহ ওনাদের ধৈর্য ধরার তৌফিক দান করুন ।ধন্যবাদ ভাই ।😢
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ভাগ্য মানুষকে কখন কোথায় নিয়ে যায় বলা যাবেনা।এজন্য প্রত্যেকেরই সচেতনতা এবং সাবধানতার সাথে রাস্তাঘাটে দেখেশুনে চলাফেরা করার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। আল্লাহতালা উনার পরিবারের সদস্যদের কে বুঝার তৌফিক দান করুক।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit