সময়ের কালক্রমে কিছু মুহূর্ত তৈরি হয়ে যায় যার মূল্য অনেক। ভালো মুহূর্ত তৈরি হয় তা নয় খারাপ মুহূর্ত এর কাছাকাছি থাকে।
প্রায় দুই বছরেরও বেশি সময় পর প্রাণ প্রিয় ক্যাম্পাসে পদচারণা হাওয়ায় নিজেকে অনেক আনন্দিত মনে হচ্ছে। করোনার ভয়াবহতার কারণে মাঝের দুই বছরের কঠিন দুর্বিষহ সময় অতিক্রান্ত হয়েছে।
করোনার ভয়াবহতায় পৃথিবীর সর্বস্তরের মানুষ বিভিন্ন দিক থেকে বিভিন্নভাবে ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে এবং এই ক্ষতি থেকে পরিত্রান পেতে তাদেরকে নিষ্পেষিত রোলার মত কঠিন পরিস্থিতিকে সামাল দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। এর মধ্যে থেকে শিক্ষার্থীদের ক্ষতি তুলনামূলক বেশি হয়েছে।
নিজের কথা ভাবলেই বুঝা যায় অন্য আরো দশ জনের কি পরিমান ক্ষতি হয়েছে। করোনাকালীন সম্পূর্ণ সময় পড়াশোনা থেকে বিচ্ছিন্ন থাকায় ভার্সিটি খোলার পর পড়াশোনার দিকে মনোনিবেশ করা পূর্বের তুলনায় কঠিন হয়ে পড়েছে।
করানো পূর্বকালীন সময়ে ক্যাম্পাসে মনমুগ্ধকর এবং চাঞ্চল্যকর পরিবেশ ছিল কিন্তু করোনার ভয়াবহতায় করোনাকালীন সময় পর ভার্সিটির পরিবেশ আগের মত অর্থাৎ পূর্বের মতো চাঞ্চল্যকর এবং থমথমে পরিবেশ এর মত সৌন্দর্যতা ধীরে ধীরে তৈরী হচ্ছে। পূর্বের মত পরিবেশ আবার ঠিক হয়ে যাচ্ছে।
করোনার পূর্বে হল থেকে চলে যাওয়ার সময় রুমের সবকিছু ঠিকঠাক করে গিয়েছিলাম। কিন্তু প্রায় দুই বছর পর এখানে আসার পর চেয়ার টেবিল সবকিছুর অবস্থান একেবারে নাজেহাল হয়ে গিয়েছে। পূর্বের মত শিক্ষার পরিবেশ শিক্ষার্থীদের দ্বারা হল পরিপূর্ণ হাওয়ায় আবার আগের মত হই হই পরিবেশের সৃষ্টি হচ্ছে প্রতিনিয়ত।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তখনই জাঁকজমকপূর্ণ হয়ে ওঠে যখন শিক্ষার্থীদের দ্বারা সেই স্থান কোলাহলে মেতে ওঠে। সেটি শুধু স্থবিরতার মত অর্থাৎ পাথরের মত নিশ্চুপ হয়ে থাকে যার কোন বিশালতা থাকে না ,শেখার মত কেউ থাকে না।
এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে কেন্দ্র করেই আশেপাশের মানুষের ব্যবসা-বাণিজ্য গড়ে ওঠে। তুলনামূলকভাবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান দীর্ঘদিন বন্ধ থাকায় তাদেরকে অনেক কঠিন অবস্থার মধ্যে দিয়ে অতিক্রম করতে হয়েছে।
এক কথায় দীর্ঘদিন পর হলেও ক্যাম্পাসে আসার মত এবং এখানকার পরিবেশ উপভোগ করার মতো সুযোগ আমার জন্য হয়েছে। করোনার মধ্যেও অনেকেই মারা গিয়েছে এবং অনেকেই তাদের নিজস্ব আত্মীয়স্বজনকে চিরতরে বিদায় জানিয়েছে।
পোষ্টটি আপনাদের মূল্যবান সময় দিয়ে পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। একজন মানুষই পারে আরেকজন মানুষকে সাহায্য করতে। সকল বৈষম্য ভুলে গিয়ে একে অপরকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেই।