মানুষ সকল সৃষ্টির মধ্যে সেরা জীব কিন্তু কিছু কিছু বৈশিষ্ট্য নিকৃষ্ট প্রাণীর থেকেও নিম্নতম।
ছোটবেলা থেকে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত সকল বয়সের মানুষের সাথে চলাফেরার মাধ্যমে নিজেকে গতিশীল রাখতে হয়। আমাদের ছোটবেলা শুরু হয় প্রাইমারি স্কুলে পড়াশোনার মাধ্যমে এবং এরপর থেকে হাই স্কুল এবং সেখান থেকে কলেজ এবং এরপর উচ্চশিক্ষার জন্য বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান সাথে পরিচিত হতে হয় এবং নিজেকে খাপ খাইয়ে নিতে হয়।
সবকিছুই ঠিকঠাক মত চলে কিন্তু আমাদের মধ্যের সমস্যাগুলো বিভিন্নভাবে সামনে চলে আসে। সমস্যা গুলোর মধ্যে একটি সমস্যা হল নিজের স্বাধীনতার প্রাধান্য অন্য দশজনের মাঝে নিজেকে প্রকাশ করা এবং নিজের ভুলগুলো নিজে খুঁজে বের না করে অন্যের দোষ খুঁজে বেড়ানো।
আর ভুল খুঁজে পেলে আমরা সেটাকে নিয়ে হাসি তামাশা এবং তাকে নিয়ে বিভিন্নভাবে মজা করে থাকি। বিভিন্নভাবে হাসি তামাশার ছন্দে তার হৃদয় কে অশ্রুসিক্ত করে কষ্ট দেই বিভিন্নভাবে।
কিন্তু আমরা নিজেদের ভুল কোনভাবেই বের করার চেষ্টাই করি না। শুধুমাত্র অন্যের ত্রুটি -দোষ ত্রুটি নিয়ে আনন্দের জোয়ারে নিজেকে ভাসিয়ে দেই। আর এই বিষয়টি কোনভাবেই আমরা চিন্তা ভাবনা করতে পারিনা। এটা বাস্তব সত্য যে আমরা কখনোই নিজেদের সমালোচনা কখনোই করি না
কাউকে বা কাউকে দিয়ে নিজের দোষ ত্রুটি ধরে নিতে হবে। কারণ নিজের দোষ ত্রুটি কখনোই নিজের কাছে ধরা পরবে না।
তাহলে সহজ হয়ে যাবে নিজেকে সংশোধিত করার। নিজেকে সংশোধন করার জন্য নিজের ভেতর থেকে চেষ্টা করতে হবে। চেষ্টা ছাড়া কোন কাজ সফলভাবে করা সম্ভব নয়।আর নিজের ভুল নিজে ধরা অনেক বড় এবং কঠিন কাজ।
সচরাচর নিত্যদিনের কার্যকলাপগুলোতে আমরা আমাদের বন্ধুবান্ধব বা কাছের মানুষদের সাথে চলাফেরা করে থাকি। কিন্তু যখনই কয়েকজন এক জায়গায় একত্রিত হয়ে আড্ডা দেই তখনই আমরা একজন আরেকজনের বিভিন্ন কথা নিয়ে সমালোচনা করতে থাকি এবং বিভিন্নভাবে হেয় এবং অপমান করে থাকি।
কিন্তু যে সকল বিষয় নিয়ে তাদেরকে এসব নীতি বহির্ভূত এবং অপমানজনক কথাবার্তা নিজেদের মধ্যে বলে থাকি বা তাদেরকে বিব্রতকর অবস্থায় ফেলে দেওয়ার মতো অবস্থায় ফেলে দেয় কাজটি নিঃসন্দেহে নিন্দনীয় এবং অপরাধ এর মত।
নিজেকে সংশোধন করতে হলে অন্যের চর্চা করা বন্ধ করে দিতে হবে। আমরা মহৎ ব্যক্তি গুলোর দিকে তাকালে দেখা যাবে তারা সব সময় নিজের দোষ ত্রুটি ধরে সামনের দিকে এগিয়েছেন এবং সফলতার সর্বোচ্চ শিখরে পৌঁছেছেন।
এসব দোষ ত্রুটি চর্চা করা থেকে প্রত্যেকের বিরত থাকা উচিত। দোষ-ত্রুটি চর্চা করার মাধ্যমে অন্যদেরকে আমি বা আমরা যতটা খারাপ করে দিচ্ছি ঠিক ততটাই অন্য কারো আড্ডার আসরে বা গল্পে আমিও সেই পরিমাণ খারাপের অংশীদার হয়ে যাচ্ছি।
সুন্দর মনের অধিকারী হতে হলে সব সময় অন্যের দোষ ত্রুটি ধরা বা সমালোচনা থেকে দূরে থাকার সর্বোচ্চ চেষ্টা করতে হবে। তাহলে আমরা সমালোচনা করার মত খারাপ কাজ থেকে রেহাই পাব। আমি বা আপনি প্রত্যেকেই সকলের অবস্থান থেকে চেষ্টা করলে বিষয়টি সহজ হয়ে যাবে।
দুনিয়ার অল্প সময়ের জীবনে চলতে হলে সবকিছুকেই সঙ্গে নিয়ে চলতে হবে এবং এই প্রতিযোগিতাময় পৃথিবীতে টিকে থাকতে হলে সব ধরনের খারাপ গুণ থেকে নিজেকে বেঁচে থাকার সর্বোচ্চ চেষ্টা করতে হবে।
এছাড়াও মানুষ চলার পথে ভুল অবশ্যই করবে কিন্তু সেই ভুলকে আঁকড়ে ধরে থাকলে চলবে না। প্রতিনিয়ত যেভুলগুলো হচ্ছে সেই ভুলগুলো এক জায়গায় লিখে রাখা। প্রতিদিন সেই ভুলগুলো থেকে বেঁচে থাকার জন্য প্রাণপণে চেষ্টা করা।
তাহলেই তাহলেই দেখা যাবে একসময় নিজের মধ্যে থেকে ভুলগুলো সঠিক রাস্তায় রূপান্তরিত হয়ে জীবনকে সহজ ও সুন্দরের আভিজাত্য অলংকৃত করে দিয়েছে।
পোষ্টটি আপনাদের মূল্যবান সময় দিয়ে পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। একজন মানুষই পারে আরেকজন মানুষকে সাহায্য করতে। সকল বৈষম্য ভুলে গিয়ে একে অপরকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেই।
আমি মোহাম্মাদ সামাউন আলী। পড়াশোনা করছি প্রকৌশলবিদ্যায়। আপনাদের সাথে পোস্টটি শেয়ার করতে পেরে আমি অনেক আনন্দিত। আপনাদের সকলের কাছে দোয়া প্রার্থী।
হমম ভাইয়া আপনি সত্যি বলেছেন।মানুষ চলার পথে অনেক ভুল করে থাকে। কিন্তু কেউ কেউ আবার সেই ভুলের কারণে বসে থাকি।নিজের জীবনকে ধ্বংস করে দেই।এতো মূল্যবান পোস্ট শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ ভাই।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপনার জন্যও শুভকামনা রইল
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit