হ্যালো,
বন্ধুরা কেমন আছেন সবাই আমি ভালো আছি।আশা করছি আপনারাও বেশ ভালোই আছেন?আজ আমি শেয়ার করছি অসুস্থতার,শেষ পর্ব।
আবারও ডাক্তার দেখাতে গেলাম এবং বিস্তারিত সব শুনে কিছু ব্লাড টেষ্ট, ইউরিন টেষ্ট, আলট্রা,এক্সরে করতে দিলেন এবং সেগুলো একে একে সব করলাম। সব গুলোর রিপোর্ট পাবো রাত সারে নয়টায়।আমার তো ভয় ভয় লাগছিলো যে এতো রাতে কি করে বাড়িতে যাবো মেয়েকে নিয়ে গেছি শুধু। ডাক্তার বসেন চেম্বারে চারটায় আমার সিরিয়াল ছিলো ৪৫নাম্বার। মনে হচ্ছিল দেশের সব রুগি একদিনে গিয়ে জমায়েত হয়েছে।
টেস্ট করালাম ওখানেও যেন রাজ্যের সব মানুষ করতে গেছে টেস্ট। প্রথমেই ব্লাড টেষ্ট করালাম তারপর একে একে টেস্ট করালাম এবং অপেক্ষায় রইলাম রিপোর্টের।
হাতে অনেকটা অলস সময় তাই হাসপাতালের ক্যান্টিনে কিছু খেলাম মা, মেয়ে মিলে মেয়েকে বল্লাম কি খাবে সে চকলেট খাবে,কফি,আমি একটা রোল অর্ডার করলাম আমার জন্য।
মা,মেয়ে খেয়ে হাটাহাটি করছিলাম হাসপাতালের ভিতরেই।আশেপাশের একটু ফটোগ্রাফি করে নিলাম।পরিবেশ টা বেশ ছিলো।
এই এস কে এস হাসপাতাল।রংপুর মেডিকেল কলেজের ডাক্তার বসেন এবং সবাই হুমড়ি খেয়ে এখানেই ডাক্তার দেখাতে আসেন সুস্থতার জন্য। বসে থাকতে থাকে আর একটি ফটোগ্রাফি করে নিলাম দৃশ্যটি খুব ভালো লাগলো একটি ঘোরার গাড়িকে কয়েকজন মিলে উপরে ঠেলে দেয়ার চেষ্টা করছেন।খুব সুন্দর দৃশ্য টি।ঘোরাটি প্রাণপন চেষ্টা করে উপরে উঠার চেষ্টা করছে এবং মানুষ গুলো তাকে উপরে ওঠার জন্য ঠেলে দিচ্ছে।
অবশেষে আমার রিপোর্ট গুলো চলে আসলো এবং ডাক্তারকে দেখাতে নিয়ে গেলাম। দুরু, দুরু,বুকে ঢুকলাম চেম্বারে এবং সব গুলো রিপোর্ট দিলাম। ডাক্তার সব গুলো রিপোর্ট দেখলেন এবং বল্লেন যে রিপোর্ট সব ভালো এসেছে কোন সমস্যা নাই তবে ছয় মাস অন্তর অন্তর আপনি আল্ট্রা করবেন।আমি হাসি মুখে বল্লাম স্যার আপনার কি একটা ছবি নিতে পারি,ওনি হাসি মুখে বল্লেন কেন কেন।আমি তখন বল্লাম বাংলা ব্লগে কথা ওনি সন্মানিত দিলেন এবংল্যাপটপে সার্চ দিয়ে আমাকে দেখালেন এইটা আমি বল্লাম হ্যাঁ।হাসি মুখে বল্লেন দেখি কেমন ছবি তুলেছেন। দেখালাম ছবি ওনি আবারও হাসলেন।
বেশ মিশুক প্রকৃতির ডাক্তার ওনি।আমি আগে থেকেই ভেবে রেখেছিলাম যে যদি সব রিপোর্ট ভালো আসে তবে ফটোগ্রাফি করবো ডাক্তারের তাই করলাম ও ওখান থেকে বের হয়ে এসকেএস হাসপাতালের ডিসপেনসারিতে গিয়ে ডাক্তার যে ঔষধ গুলো লিখেছেন সেগুলো নিলাম।
একা এসেছি রাত হয়ে গেছে তাই বাড়ি থেকে এলাকার অটো পাঠিয়েছে সেই অটোরিকশায় করে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম এবং বাড়িতে খুব ভালো ভাবেই পৌছাইলাম।সক্কলের কাছে,দোয়াও আশির্বাদ
কামনা করছি আর যেন কোন বড়ো ধরনের অসুস্থতার সমূখীন হতে না হয়। আপনারাও সব সময় ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন সেই কামনায় এখানেই শেষ করছি।
টাটা
পোস্ট | বিবরণ |
---|---|
পোস্ট তৈরি | @shapladatta |
ডিভাইস | OppoA95 |
শ্রেণী | জেনারেল রাইটিং |
লোকেশন | গাইবান্ধা |
আমি হৈমন্তী দত্ত। আমার স্টিমিট আইডিরঃshapladatta. জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। শখঃবাগান করাও নিরবে গান শোনা,শপিং করা। ভালো লাগে নীল দিগন্তে কিংবা জোস্না স্নাত খোলা আকাশের নিচে বসে থাকতে।কেউ কটূক্তি করলে হাসি মুখে উড়িয়ে দেই গায়ে মাখি না।পিছু লোকে কিছু বলে এই কথাটি বিশ্বাস করি ও সামনে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করি।বিপদকে ও অসুস্থতার সাথে মোকাবেলা করার সাহস রাখি সহজে ভেঙ্গে পরি না। সবাইকে নিয়ে ভালো থাকার চেষ্টা করি আর মনে প্রাণে বিশ্বাস করি পর হিংসা আপন ক্ষয়। ধন্যবাদ ।
জেনে ভাল লাগলো যে আপনার রিপোর্ট ভালো। ডাক্তারের কাছে গেলেই সবাই খুব ভয়ে ভয়ে থাকে। আমি ডাক্তারের কাছে গেলেই আল্লাহ আল্লাহ ডাকতে থাকি। আর ডাক্তার মিশুক হলে সেই ডাক্তারের কাছে সব কিছু বলা যায় । ফলে ট্রিট্মেন্ট ও ভালো পাওয়া যায়। অনেক অনেক শুভ কামনা আপনার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ঠিক বলেছেন আপু ভয়ে ভয়ে থাকতে হয় যতোক্ষণ না ডাক্তার রিপোর্ট দেখে ভালো কিছু বলে।সুন্দর মন্তব্য করবার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit