হ্যালো,
আমার বাংলা ব্লগবাসী বন্ধুরা, কেমন আছেন সবাই আশা করছি ভালো আছেন। আমিও ভাল আছি সুস্থ আছি।
দুর্গোৎসব, পুজো, কালীপুজো, শেষে আজ সনাতন ধর্মাবলম্বী সব ভাই বোনদের আনন্দের একটি দিন। আজ ভ্রাতৃদ্বিতীয়ার শুভ তিথি। ভাই ফোঁটা।যমদ্বিতীয়া। ভ্রাতৃদ্বিতীয়ার প্রচলিত বাংলা
প্রবাদঃভাইয়ের কপালে দিলাম ফোঁটা। যমের দুয়ারে পরলো কাঁটা।যমুনা দেয় জনকে ফোঁটা।আমি দি-ই আমার ভাইকে ফোঁটা। যম যেন হন চিরজীবী। আমার ভাই যেন হয় তেমনি চিরজীবি।এই ব্যাকের মাধ্যমে সনাতনী প্রতি টি বোনেরা ভাইদের দীর্ঘায়ু কামনা করে থাকেন।আজ আমি এই ভাই ফোঁটা নিয়েই কিছু কথা শেয়ার করব।
আমার একমাত্র ভাই বাবলা দত্ত , ছোট বেলা থেকেই ভাই ফোঁটা দিয়ে আসছি রীতি অনুযায়ী তবে জীবিকার তাগিদে বাইরে থাকার কারণে হাতে গোনা কয়েকবার দেয়া হয়নি ফোঁটা। এবারও মনটা খারাপ কারণ গতবারও ভাই ফোঁটা দিয়েছি কিন্তুু এবার ওর ছুটি না থাকায় আর আসতে পারেনি ভাই ফোঁটা দিতে তাই গত বছরের ভাই ফোঁটার ছবি শেয়ার করছি একটি।
ভাই আসতে পারেনি তাতে কি আমার কাকাতো ভাই তো আছে। প্রতিবার দুই ভাইকেই দেই ফোঁটা এবার শুধু কাকাতো ভাইকেই ফোঁটাতে দিতে হলো।আয়োজন করা হয়েছে সকালে উঠেই ভাই ফোঁটার। তারপর আমার কাকাত ভাই বৃত্ত সকালে চলে এসেছে আমাদের বাড়িতে তাই ওকে ভাই ফোঁটা দিলাম।
এদিকে আমার মেয়েও ওর দাদাকে ভাই ফোঁটা দেয় প্রতি বছর বছর এবারও ভাই ফোঁটা দিলো আমার দিদির ছেলেকে।ভাই ফোঁটা দেয়ার জন্য পূজার পর থেকেই অপেক্ষায় ছিলো।খুব আনন্দের সাথে ভাই ফোঁটা দিলো মেয়ে তার দাদাকে।
আমার মনে আছে ছোট বেলায় আমরা যখম ভাই ফোঁটা দিতাম আশেপাশের সবাই এসে দাড়িয়ে দাড়িয়ে তা উপভোগ করতো।কারণ গ্রামের অনেকেই দিতো না ভাই ফোঁটা। আমার ভাই ফোঁটা দিয়ে সবার মাঝে লুচি পায়েস,মিষ্টি বিতরণ করতাম।এখন সময় পাল্টে গেছে প্রতি ঘরে ঘরে সব বোনেরা তার ভাইদেরকে ফোঁটা দিয়ে থাকেন।আমার পিসি ও আমার বাবা,কাকাকে ভাই ফোঁটা দিতেন আমরা হাসতাম কারণ আমার তখন মনে হতো শুধু ছোটরাই ভাই ফোঁটা দেবে বড়োরা কেন।ছোটবেলা ভাই ফোঁটা দিয়ে যখন স্কুলে যেতাম তখন দেখতাম অনেক ভাইদের কপালে ফোঁটা নিয়েই স্কুলে এসেছে যা দেখে খুব ভালো লাগতো।কোন কোন দিন ভাই ফোঁটার শুভ লগ্ন খুব সকালে থাকতো তখন একুট একটু মন খারাপ হয়ে যেতো কারণ এত্তো সকালে উঠতে হবে স্নান করতে হবে। তবে স্নান করা ও সাজুগুজু করা ছারা কোন চাপ ছিলো না।দিদু, মা,পিসি এনারাই তো সব আয়োজন করতেন। আমরা শুধু ফোঁটা টুকুই দিতাম।দিদু নিয়ম বলে বলে দিতেন, ভাই এর কপালে দিলাম ফোঁটা সমস্ত বাক্য গুলো উচ্চরণ করে দিতেন আমরা সাথে সাথে বলতাম।খুব মিস করি ছোট বেলার ভাই ফোঁটাকে। ছোট বেলার দিন গুলো তো আর ফিরে পাবো না কিন্তুু সর্বদা একটাই কামনা করি অনন্ত কাল যেন ভাইয়ের কপালে ফোঁটা দিতে পারি।হয়তো কোন কোন বার পরিস্থিতির কারণে হবে না তবে আশা যেন রাখতে পারি এবার হয়নি তাতে কি আসছে বছর হবে।আজকের মতো এখানেই শেষ করছি।সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
টাটা
পোস্ট | বিবরণ |
---|---|
শ্রেণী | জেনারেল রাইটিং |
পোস্ট তৈরি | @shapladatta |
ডিভাইস | OppoA95 |
লোকেশন | গাইবান্ধা, বাংলাদেশের |
আমি হৈমন্তী দত্ত। আমার স্টিমিট আইডিরঃshapladatta. জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। শখঃবাগান করাও নিরবে গান শোনা,শপিং করা। ভালো লাগে নীল দিগন্তে কিংবা জোস্না স্নাত খোলা আকাশের নিচে বসে থাকতে।কেউ কটূক্তি করলে হাসি মুখে উড়িয়ে দেই গায়ে মাখি না।পিছু লোকে কিছু বলে এই কথাটি বিশ্বাস করি ও সামনে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করি।বিপদকে ও অসুস্থতার সাথে মোকাবেলা করার সাহস রাখি সহজে ভেঙ্গে পরি না। সবাইকে নিয়ে ভালো থাকার চেষ্টা করি আর মনে প্রাণে বিশ্বাস করি পর হিংসা আপন ক্ষয়। ধন্যবাদ ।
দিদি আপনার কাকাতো ভাইকে ভাইফোঁটা দিয়েছেন এটা জেনে অনেক ভালো লাগলো। এই দিনটি সনাতন ধর্মাবলম্বীদের জন্য বিশেষ একটি দিন। ভাই বোনের ভিতর ভালবাসার সম্পর্ক সারা জীবন অটুট থাকুক। সুন্দর একটি পোস্ট বিস্তারিতভাবে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ দিদি।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
হ্যাঁ দাদা কাকাতো ভাইকেও প্রতি বছর দেই এবার আমার ভাই এর ছুটি হয়নি আসতে পারেনি তাই কাকাতো ভাইকো দিয়েছি ফোঁটা।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপনাদের এই রীতি আমার বেশ ভালো লাগে। ভাই এর মঙ্গল কামনায় সুন্দর একটি আয়োজন। জীবনের তাগিদে ভাই বাহিরে থাকায় নিজের ভাইকে ফোঁটা দিতে পারেননি ।কিন্তু কাকাতো ভাইকে ফোঁটা দিয়ে ভাইয়ের মঙ্গল কামনাতো করলেন।ভালো থাকুক আপনার ভাইয়ারা এ কামনা করি।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ধন্যবাদ আপু সুন্দর কমেন্ট করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit