জমিদার বাড়ির স্বর্ন,অলংকারের লোভে ডাকাতি।

in hive-129948 •  last year 

হ্যালো,

কেমন আছেন সবাই।আশা করছি ভালো আছেন।আমি শাপলা দত্ত,বাংলাদেশ থেকে আজ আপনাদের মাঝে শেয়ার করবো ডাকাতির একটি ঘটে যাওয়া সত্যি ঘটনা।

PhotoCollage_1700972841648.jpg

ঘটনাটি যদিও বা আমার শোনা তবে দূরের কারো কাছে শোনা নয় এবং দূরের কারো সাথে এই ডাকাতির ঘটনা ঘটেনি বরং আমাদের বাড়িতে মানে আমার বাবার বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা এটি।আর এই ডাকাতির ঘটনা শুনতে শুনতে এক প্রকার মুখস্থ হয়ে গেছে আমার।মনে হয় এমন যে আমার সামনে এমন ঘটনা ঘটে গেছে। তো চলুন মূল কথায় যাওয়া যাক।
ডাকাতির ঘটনাটা পরবর্তী পর্ববে জানতে পারবেন।কারণ এই কথা গুলো না লিখলে কেন জানি ডাকাতির ঘটনাটা পূর্ণতা পাবে না।আমাদের বংশ পরম পরায় একটি করে ছেলে সন্তান ছিলো।এমন যে একটি করে ছেলে সন্তান জন্মের পরেই বাবা মারা যেতেন। তাই আর কোন সন্তান হতো না ঐ একটি সন্তানই শুধু থাকতো এভাবে যুগের পর যুগ চলে গেছে একটি করে ছেলে সন্তান নিয়ে।আমার দাদু সেও জন্ম নেয়ার এক বছর পরেই বাবা হারা হয়।দাদুর অনেক চাষাবাদের জমি ছিলেন কারন দাদুর বংশের কোন ভাগিদার ছিলো না।একটি করেই সন্তান ছিলো তাই সব ধন সম্পদের মালিক ছিলো ঐ একজন করেই। দাদুকে তার মা শিক্ষিত করে তোলেন এবং ছেলের বিয়ের জন্য মেয়ে খুঁজতে থাকে কিন্তুু ঘটনাক্রমে পাশ্ববর্তী ইউনিয়নের জমিদার বাড়ির মেয়েকে দিয়ে বিয়ের সমন্ধ হয়। গাইবান্ধা জেলার কামারপাড়ার প্যারিধাম জমিদার বাড়ির মেয়ে।জমিদার বাড়ির মেয়ে বলতে জমিদার বাড়ির ভাগ্নি ছিলো আমার দিদু।আমার দিদুর জন্মের সাথে সাথেই আমার দিদুর মা মৃত্যুবরণ করেন এবং তখন না কি দিদুর বাবা সেই শোকে আমার দিদুকে প্যারিধান জমিদার বাড়িতে মানে দিদুর মামার বাড়িতে রেখে চলে যান ইন্ডিয়ায় গয়ার উদ্দেশ্যে।আর কোনদিন ফেরেননি ওনি।এদিকে জমিদার বাড়িতে বেশ আদর যত্নে বড়ো হতে থাকেন দিদু।দিদুর মায়ের এক ভাই এর কোন সন্তান ছিলো না তাই সেখানে সে পরম আদরে বড়ো হয়ে ওঠেন। দিদুকে নাম দিয়েছিলেন গীতা।গীতা নাম রেখেছিলে কারণ গীতা আমাদের পবিত্র ধর্মগ্রন্থ। গীতা নাম নিলে পূন্য লাভ হয়ে থাকে।দিদুর মামি নাকি বলতেন আমি যতোবার গীতা নাম ধরবো তত পূণ্য লাভ করতে পারবো।তো আমার দাদু নাকি সেই জমিদারের বোঝাই করা ধান সহ গরুর গাড়ি আটকিয়ে ছিলেন কোন এক কারণে। তার পর না কি দাদুকে পেয়াদা দিয়ে তলব করেছিলেন জমিদার বাড়িতে। আর আমার দাদু যথাযথ কারণ বলতে পেরেছিলেন গাড়ি আটকে দেয়ার।আর তার এই সাহসিকতার কারণে না কি জমিদার এর ছোট তরফ মানে দিদু যার কাছে মানুষ হয়েছে ঐ মামা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যে এই ছেলেকে দিয়েই গীতার বিয়ে দেব।যে কথা সেই কাজ শুভ দিন দেখে আমার দাদুর সাথে জমিদার বাড়ির মেয়ের বিয়ে দিয়ে দেন।উপহার হিসেবে ভরি ভরি স্বর্ণ অলংকার ও অসংখ্য ভরি রুপা, অসংখ্য কাসারও পিতলের রান্নার হাড়ি,পাতিল,কলস,থালা বাটি ইত্যাদি। জোরদারী আরো অনেক সুযোগ সুবিধা এবং নানান রকম পদে বসিয়ে দিলেন দাদুকে। জমিদার বাড়ির জামাই বলে কথা।দাদুও বিশ্বাসের সহিত সব দায়িত্ব পালন করতে লাগলেন।একারনে কিছু মানুষ শত্রুতে পরিনত হলো।এভাবেই কেটে গেলো অনেক বছর। অবশ্য পরবর্তীতে জমিদারী প্রথা ছিলো না এবং জমিদার বাড়ির সবাই ভারতে চলে গিয়েছিল দিদুর মামা,মামি মারা যান তখন শুধু মাত্র একজন মাত্র জমিদার ছিলেন দিদুর সব ছোট মামা। তিনি সরকারি জব করতেন এবং দেশের মায়া না ছারতে পেয়ে যাননি ওপার বাংলায়। কিন্তুু ওনার বউ,বাচ্চারা ভারতে চলে যান।জমিদারি প্রাথা ছিলো না কিন্তুু সব কিছুই ছিলো। আর সব কিছুর দায়িত্বে ছিলো দাদু দাদুর বয়স হয়ে গেলে আমার বাবার উপরে সব দায়িত্ব পড়ে। বর্গাচাষীরা ফসল দিতেন টাকা দিতন আমার ,দাদুও আমার বাবাকে।পরবর্তীতে বাংলাদেশে প্যারিধামের শেষ জমিদার দিদুর সব ছোট মামা ভারতে চলে যান এক প্রকার জোর করেই ওনাকে নিয়ে যান। ভারতে এবং যাওয়ার এক বছর পর পরলোক গমন করেন। এখনো কালের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে আছে। প্যারিধ্যাম জমিদার বাড়ির কিছু অংশ।যে ফটোগ্রাফি দিয়েছি এই সেই জমিদার বাড়ির কিছু অংশ।
দাদুর ঘরে জন্মনিলো বাবা,কাকা,দুই পিসি।যখন আমার পিসির জন্ম হলো তখনি দিদুর শ্বাশুড়ি না কি বলেছেন এবার আমাদের অভিশাপ কেটে গেলো। আর ভয় নেই আমার ছেলেকে নিয়ে।ভয় করতেন এক ছেলের পর মৃত্যু হয় বাবার তাই এবার মেয়ে জন্ম নিয়েছে তাই মৃত্যু ভয় কেটে গেছে। জন্মনিলো বাবা,কাকা,পিসি সত্যি এবার মারা গেলেন না এক সন্তানের জন্মের পর।সত্যি প্রথম মেয়ে
সন্তান জন্ম নেয়ার কারণে মৃত্যু দোষ কেটে গেলো। বাবা,কাকা,পিসিরা বড়ো হয়ে গেলো। বড়ো পিসির বিয়ে এর পর আমার বাবার বিয়ে হলো।আমার কাকাও ছোট পিসি কলেজে পড়ে।আমার দিদির জন্ম হয়েছে মাত্র এক বছর বয়স।আর ঠিক তখনি একদিন ডাকাত পড়ে বাড়িতে।

(চলবে)

টাটা

পোস্টবিবরণ
পোস্ট তৈরি@shapladatta
শ্রেণীজেনারেল রাইটিং
ডিভাইসOppoA95
লোকেশনবাংলাদেশ

photo_2021-06-30_13-14-56.jpg

IMG_20230826_182241.jpg

আমি হৈমন্তী দত্ত। আমার স্টিমিট আইডিরঃshapladatta. জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। শখঃবাগান করাও নিরবে গান শোনা,শপিং করা। ভালো লাগে নীল দিগন্তে কিংবা জোস্না স্নাত খোলা আকাশের নিচে বসে থাকতে।কেউ কটূক্তি করলে হাসি মুখে উড়িয়ে দেই গায়ে মাখি না।পিছু লোকে কিছু বলে এই কথাটি বিশ্বাস করি ও সামনে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করি।বিপদকে ও অসুস্থতার সাথে মোকাবেলা করার সাহস রাখি সহজে ভেঙ্গে পরি না। সবাইকে নিয়ে ভালো থাকার চেষ্টা করি আর মনে প্রাণে বিশ্বাস করি পর হিংসা আপন ক্ষয়। ধন্যবাদ ।

A5tMjLhTTnj4UJ3Q17DFR9PmiB5HnomwsPZ1BrfGqKbjddgXFQSs49C4STfzSVsuC3FFbePnB7C4GwVRpxUB36KEVxnuiA7vu67jQLLSEq12SJV1etMVkHVQBGVm1AfT2S916muAvY3e7MD1QYJxHDFjsxQDqXN3pTeN2wYBz7e62LRaU5P1fzAajXC55fSNAVZp1Z3Jsjpc4.gif



Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!