হ্যালো,
আমার বাংলা ব্লগ বন্ধুরা কেমন আছেন সবাই।আশা করছি ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি।আজ আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করবো আমার একমাত্র ভাই এর আশির্বাদ নিয়ে একটি পোস্ট। আশা করছি আপনাদের ভালো লাগবে।
আশির্বাদ গুরুজন কৃতক শুভকামনা বা মঙ্গল কামনা।আর সনাতনীদের বিয়ের সমন্ধ হওয়ার পর বিয়ের দিনক্ষণ পাকা করার জন্য আয়োজন করা হয় এবং সে সময় গুরুজনেরা ছেলেকে আশির্বাদ করে থাকেনও মঙ্গলকামনা করে থাকেন। সেরকম গ্রামের রীতিনীতি অনুযায়ী আমার এক মাত্র ভাই বাবলা দত্তের আশির্বাদ সম্পূর্ণ হয়ে গেলো গত শুক্রবার বার। ১লা ডিসেম্বরে।
মেয়ে পক্ষের গুরুজনেরা এসেছিলেন আশির্বাদ করতে।
আমাদের এলাকায়র নিয়ম অনুযায়ী মঙ্গলঘট, এক জোড়া মাছ,মিষ্টি, আলপনা, দুটো পানের বাটাও সুপারি, আশির্বাদের জন্য ধানও দূর্বা দেয়া হয়েছিল। তুলসী তলায় করতে হয় আশির্বাদ তাই তুলসী তলায় পাটি বিছিয়ে সব গুলো উপকরণ সামনে দিয়ে তারপর ছেলেকে পাটিতে বসানো হয়েছিলো।
পানের বাটা ছেলে পক্ষের সাথে মেয়ে পক্ষের বদল হবে এটাই আমাদের গ্রামের রেওয়াজ।
ছেলেকে তুলসী তলায় বসানোর পর সর্বপ্রথম মেয়ের বাবা ছেলেকে চেইন পড়িয়ে ধানদূর্বা দিয়ে আশির্বাদ করলেন।এর পর মেয়ে পক্ষের সবাই যে যার পছন্দমত গিপ্ট করলেন এবং ধান দূর্বা দিয়ে আশির্বাদ করলেন। ছেলেকে মিষ্টি মুখ করালেন সবাই। ভাই মিষ্টি খেতে পছন্দ করে না আর এই আশির্বাদে তো সবাই মিষ্টি খাওয়াবে তাই আমি বেবি সুইটস নিয়ে এসেছিলাম,বেবি সুইটস যেহেতু অনেক ছোট তাই ওগুলো একটি করে খাইয়ে দিয়েছে সবাই তাই কোন সমস্যা হয়নি।আর যদি বড়ো মিষ্টি একটা করে খাইয়ে দিতো তাহলে তো অবস্থা খারাপ হয়ে যেতো।
মেয়ে পক্ষের আশির্বাদ শেষ আমাদের মানে ছেলে পক্ষের গুরুজনেরা আশির্বাদ করলেন।আশীর্বাদ শেষ সমাজের সবাইকে মিষ্টি মুখ করা হলো গ্রামের এমন কেউ বাদ ছিলো না আশির্বাদে আসার।সবাই খুব ইনজয় করেছে আশির্বাদ অনুষ্ঠান। এর পর মেয়ে পক্ষের সবাই খাওয়া দাওয়া শেষে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিলেন। আমাদের সব আত্নীয়রা এসেছিলেন। বাড়ির এক মাত্র ছেলের বিয়ে সবাই খুব আগ্রহের সাথেই চলে এসেছে দেখে আমাদের খুব ভালো লেগেছে।
বাবাও মা একসাথে আশির্বাদ করলো ভাইকে। যদিও বা বাবা,মায়ের ঘটা করে আনুষ্ঠানিক ভাবে আশির্বাদের কোন দরকার নাই।কারণ বাবা,মায়ের আশির্বাদ সব সময় সন্তানদের প্রতি থাকেই।তবুও ফরমালিটি করার জন্যই করতে হলো আশির্বাদ।
গ্রামের সবাই বসে আশির্বাদ দেখছে।ফটোগ্রাফি গুলো কালো হয়েছে রাত্রি বেলায় উঠানো সম্ভবত কারেন্ট চলে গেছিলো। সোলারের আলোতে কালো হয়ে গেছে ছবি গুলো।
এই তো খাওয়াদাওয়া চলছে।খাওয়ার পরে সবাই খোস গল্পে মশগুল। এদিকে আমার কোমড় ব্যাথায় আমি অসুস্থ হয়ে গেছি।সারাদিন একটুও শুইনি জন্য এমন অবস্থা হয়েছে আমার।বাবারে বাবা এতো ঝামেলা আশির্বাদেই।বিয়েতে তাহলে আরো কি অবস্থা হবে।গ্রামের বিয়ে তো বাড়িতেই সব আয়োজন হয়।টেনশনে আছি এখন থেকে।আগে তো জানতাম বিয়ে মানেই আনন্দ, বিয়ে মানেই সাজুগুজু। এখন দেখছি বিয়ে মানেই ব্যাস্ততা।আজ এপর্যন্তই আবারও দেখা হবে অন্য কোন পোস্টে সে পর্যন্ত ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।
টাটা
পোস্ট | বিবরণ |
---|---|
পোস্ট তৈরি | রেসিপি |
শ্রেণী | রেসিপি |
ডিভাইস | OppoA95 |
লোকেশন | গাইবান্ধা বাংলাদেশ |
আমি হৈমন্তী দত্ত। আমার স্টিমিট আইডিরঃshapladatta. জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। শখঃবাগান করাও নিরবে গান শোনা,শপিং করা। ভালো লাগে নীল দিগন্তে কিংবা জোস্না স্নাত খোলা আকাশের নিচে বসে থাকতে।কেউ কটূক্তি করলে হাসি মুখে উড়িয়ে দেই গায়ে মাখি না।পিছু লোকে কিছু বলে এই কথাটি বিশ্বাস করি ও সামনে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করি।বিপদকে ও অসুস্থতার সাথে মোকাবেলা করার সাহস রাখি সহজে ভেঙ্গে পরি না। সবাইকে নিয়ে ভালো থাকার চেষ্টা করি আর মনে প্রাণে বিশ্বাস করি পর হিংসা আপন ক্ষয়। ধন্যবাদ ।
You've got a free upvote from witness fuli.
Peace & Love!
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
দিদি আপনি আপনার ভাই এর আশির্বাদ এ চমৎকার মহূর্ত উপভোগ করতে করেছেন। আমি কয়েকবার বিয়ে দেখেছিলাম। ভীষণ মজা এবং আনন্দ উপভোগ করা হয়। অনেক দিন পরে দেখে ভালো লাগলো লাগলো। সবার জন্য শুভ কামনা রইল ❣️
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর করে কমেন্ট করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit