হ্যালো
আমার বাংলা ব্লগ বন্ধুরা কেমন আছেন সবাই।আশা করছি ভালো আছেন। আমিও সৃষ্টি কর্তার কৃপায় ভালো আছি সুস্থ আছি।আজ আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করবো একটি সত্য ঘটনা অবলম্বনে গল্প।আশা করছি আপনাদের ভালো লাগবে।ঘটনাটি আমার পাশের বাড়ির।তবে এটা কথা ক্লিয়ার করছি যে ঘটনাটা কোন বাড়ির।মেয়েদের তো দুটো বাড়ি এক শ্বশুর বাড়ি আর এক বাপের বাড়ি।তবে আজ যে ঘটনা শেয়ার করবো সেটি বাবার বাড়ির পাশের বাড়ির ঘটনা।
অঞ্জলি আমাদের পাশের বাড়ির মেয়ে।পড়াশুনায় বেশ মেধাবী। ফাষ্ট গার্ল ছিলো ক্লাসে।সব সময় বই নিয়ে বসে থাকে।গ্রাম সম্পর্কে জেঠাতো বোন আমার।আমার বড় দিদির সম বয়সী। তবে দিদি বলতাম না নাম ধরেই ডাকতাম মানে অঞ্জলি দি বলে ডাকতাম।অঞ্জলিরা দুই ভাই এক বোন।ওর বাবা কৃষি কাজ করে নিজেদের অনেক জমি আছে সেগুলোই দেখাশোনা করতেন। অঞ্জলি কাকা সরকারি চাকুরী করতেন।খুব ভালো বাসতেন অঞ্জলি কে।বাড়ির এক মাত্র ছোট মেয়ে ছিলো জন্য সবাই খুব ভালোবাসতো।অঞ্জলি সর্বদা স্কুলও পড়াশুনা নিয়েই ব্যাস্ত থাকতো।খুব বেশি মিসতো না কারো সাথে।যখনি ওদের বাড়িতে যেতাম তখনি দেখতাম হাতে বই নিয়ে বসে আছে।ভাবতাম এতো পড়াশোনা কি করে করে।এতো ধৈর্য পায় কই।আমরা লোক মুখে শুনতাম অঞ্জলিকে পাশের গ্রামের এক ছেলে খুব ভালোবাসে আর ওই ছেলের নাম সফিউল। যেহেতু অসম ও এক তরফা প্রেম।দুজন দুই ধর্মের তাই অঞ্জলির দাদারা অনেক শাসন করে এবং অঞ্জলি ওর দাদা দেরকে পরিস্কার বলে দেয় আমি ভালোবাসি না ও আমাকে বিরক্ত করে।তারপর ছেলের বাবা,মা কে বলে দেয় অঞ্জলির দাদারা আর তখন থেকে ওই ছেলে চুপচাপ ছিলো।আর ঐ ছেলে প্রসংগে যদি কেউ কিছু বলে মূলত সেজন্যেই অঞ্জলি কারো সাথে মিসতো না।অন্জলি এসএসসি পরিক্ষার্থী ছিলো।সব ভুলে সে পরিক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছিলো।ঘটনাক্রমে অঞ্জলির স্কুলের পাশের এক ছেলের সাথে গভীর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে অঞ্জলির সাথে।অনেক আগে থেকেই সম্পর্ক ছিলো কিন্তুু প্রকাশ পেয়েছে এতোদিনে।ছেলেটি যথেষ্ট ভদ্র, শিক্ষিত ভালো পরিবারের। এই সম্পর্ক যখন জানাজানি হলো তখন মেয়ের মা কিছুতেই সম্পর্ক মেনে নেবে না। ঐ ছেলের সাথে সম্পর্ক রাখতে দেবে না।কিন্তুু মেয়ে কিছুতেই ওই ছেলেকে ছারতে পারবে না পরিস্কার করে বলে দিলেন ওর মা,বাবা,দাদাদেরকে।তবে ওর বাবা খুব সহজ সরল প্রকৃতির মানুষ ছিলেন।কিন্তুু অঞ্জলির মা ছিলেন একটু হিংসুটে স্বাভাবের মহিলা।কারো ভালো সে সহ্য করতে পারতো না।শুধু সব সময় চিন্তায় থাকতো কি করে তার ছেলে মেয়েরা সবার উপরে যেতে পারে।মেয়েকে ভালোবাসতেন এবং ভাবতেন তার মেয়ে এলাকার সুন্দরী ও মেধাবী মেয়ে।প্রেম করেছে মেয়ে এটা জানাজানি হলে কি করে মুখ দেখাবে। এই জিদ থেকে সে মেয়েকে খুব শাসন করতে লাগলেন।কারো সাথেই মিসতে দিতেন না কথা বলতে দিতেন না যদি কখনো কারো কাছে একটু যেত সাথে সাথেই ওর মা ডেকে নিয়ে যেত। এমনকি এক পর্যায়ে স্কুলে যাওয়া বন্ধ করে দিলো। এমত অবস্থায় মেয়েটি মানুষিক ভাবে ভিষণ বিপদগ্রস্ত হয়ে পড়লো।
(চলবে)
পোস্ট | বিবরণ |
---|---|
শ্রেণী | জেনারেল রাইটিং |
পোস্ট তৈরি | @shapladatta |
ডিভাইস | OppoA95 |
লোকেশন | গাইবান্ধা, বাংলাদেশ |
আমি হৈমন্তী দত্ত। আমার স্টিমিট আইডিরঃshapladatta. জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। শখঃবাগান করাও নিরবে গান শোনা,শপিং করা। ভালো লাগে নীল দিগন্তে কিংবা জোস্না স্নাত খোলা আকাশের নিচে বসে থাকতে।কেউ কটূক্তি করলে হাসি মুখে উড়িয়ে দেই গায়ে মাখি না।পিছু লোকে কিছু বলে এই কথাটি বিশ্বাস করি ও সামনে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করি।বিপদকে ও অসুস্থতার সাথে মোকাবেলা করার সাহস রাখি সহজে ভেঙ্গে পরি না। সবাইকে নিয়ে ভালো থাকার চেষ্টা করি আর মনে প্রাণে বিশ্বাস করি পর হিংসা আপন ক্ষয়। ধন্যবাদ ।
আপু আপনার পোস্ট পড়ে অঞ্জলির জন্য অনেক খারাপ লাগলো। আসলে আপু বর্তমান বাচ্চাদের পছন্দ অনুযায়ী বিয়ে দেওয়ায় ভালো। আর জোর করে কিছু করতে গেলেই বাচ্চারা মৃত্যুর পদ বেছে নেয। আসলে এই সব বাচ্চাদের কিছু বলা যায় না। আর মায়ের বেশি জিদের কারণে এমন ঘটনা অনেক ঘটে থাকে। পরবর্তী পর্বে কি হয় তার জন্য অপেক্ষায় থাকলাম আপু ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ঠিক বলেছেন আপু। ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
গল্পটা পড়ে বেশ ভালো লাগলো ৷ তবে কি দিদি ধর্মের বাইরে যাওয়াটা আসলে মেনে নেওয়া যায় ৷ আর এমনিতেও আগে দিনের মানুষ কিছুটা এক জেদি হতো ৷ যাই হোক অঞ্জলি দির পরে যে প্রেমটা হলো সেই ছেলেটা নিজ ধর্মের নাকি অন্য ধর্মের বুঝতে পারলাম না ৷ পরের পর্বের অপেক্ষায় রইল আশা করি সবটা জনতে পারবে ধীরে ধীরে ৷ তবে একটা কথা বলি মা বাবা কখনো সন্তানের খারাপ চায় না ৷ আবার কিছু মা আছে
কিছুটা অন্যরকম..
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ঠিক বলেছেন খারাপ চায় না কিন্তুু ভালো চাইতে গিয়েও অনেক ক্ষেত্রে খারাপ হতে পারে পুরা গল্প শেষ পর্ব অবদি পড়লে বুঝতে পারবেন ।বর্তমান ছেলেটি হিন্দু ধর্মের ছিলো।অবশ্যই পরবর্তী গল্পে পাবেন অনেক কিছু।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপু এরকম ঘটনা বহুল ঘটনা অনেক রয়েছে ।যেটা পরিবারের কারণে সারা জীবনের কান্না ঢেকে আনে । যেটা আপনার গল্পের শুরুতেই দারুন প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠেছে সেই বিষয়টি শেয়ার করলেন । অঞ্জলি ছেলেটিকে খুবই ভালোবাসে আর মন থেকে কাউকে ভালোবাসে তাকে ছাড়াও অসম্ভব পরবর্তী পর্বে বিষয়টি ক্লিয়ার ভাবে জানতে পারব।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
হ্যাঁ ভাইয়া পরবর্তী পোস্টে জানতে পারবেন।ধন্যবাদ
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit