দেবরের বিয়ে ও বর যাত্রী হওয়ার অনুভূতি🥰

in hive-129948 •  5 months ago 

হ্যালো,

আমার বাংলা ব্লগ বন্ধুরা কেমন আছেন সবাই আশা করছি ভালো আছেন। আমিও সৃষ্টি কর্তার কৃপায় ভালো আছি।আমি শাপলা দত্ত, বাংলাদেশ থেকে আপনাদের সাথে শেয়ার করবো বিয়েতে যাওয়ার কষ্টকর অনুভুতির কথা।

PhotoCollage_1713783894016.jpg

এর আগে আমার কাকাত দেবরের আইবুড়ো ভাতের একটি পোস্ট করেছিলাম।আই বুড়ো ভাতের পর বিয়ে। বিয়ে সুদূর যশোর জেলার নড়াইল থানায়।যেহেতু অনেক দূর বিয়ে তাই সব নিয়ম কানুন গায়ে হলুদের দিনেই করে ফেলেছিলো।আর খুব বেশি ফটোগ্রাফি করা হয়ে ওঠেনি ব্যাস্ততার জন্য। যাই হোক হলুদ সন্ধ্যার অনুষ্ঠান শেষ হয়েছিলো রাত বারোটায়।

IMG_20240422_152108.jpg
হলুদ সন্ধ্যার অনুষ্ঠান শেষ করে বাড়িতে এসে ব্যাগ গোছালাম বর যাত্রী হবো জন্য।ব্যাগ গোছাতে গোছাতে বেজে গেলো রাত আড়াইটা।রাত আড়াইটার পর ঘুমাতে গেলাম।ঘুম থেকে উঠলাম সাতটায় কারণ নয়টার ভীতরে বর যাত্রা হবে।বর যাত্রা।আমরা আত্নীয় স্বজন, পাড়াপ্রতিবেশি মিলে ৭০ জন বর যাত্রী। একটি বাস,একটি হাইস,একটি কারে গেছি আমরা।এই তো বর যাত্রা করে দিচ্ছে। মায়ের হাতে মিষ্টি মুখ করে বিদায় দিচ্ছেন মা।

PhotoCollage_1713781562044.jpg
আমরা রওনা দিলাম সকাল দশটায়।খুব খুশি হয়ে বর যাত্রী হয়েছিলাম অনেক দূর বলে কিন্তুু হায়রে হায় এতো দূর রাস্তা যেন শেষ হয় না।আস্তে আস্তে গরমে নিস্তেজ হয়ে যাচ্ছিলাম।আর ভাবছিলাম আর কখনো বরযাত্রী এতো দূরে অন্তত হবো না।দু তিন জায়গায় আমরা নেমে নেমে ফ্রেশ হলাম।বিরিয়ানির প্যাকেট সাথে করে নিয়ে গিয়েছিল সব বর যাত্রীর জন্য এবং তা আমরা ছোট পিশাশ্বশুড়ের পাম্পের অফিস রুমে বসে খেলাম।

IMG_20240422_163820.jpg
এরপর আবার রওনা।পথ যেন শেষ হতে চায় না।বসে থেকে থেকে কোমড় ব্যাথা হয়ে গিয়েছিল। ভাবছিলাম অনেক পাপের ফলে বরযাত্রী হয়েছি।মাঝে মাঝে ঘুমিয়ে গিয়েছিলাম।মাঝে মাঝে গ্লাস দিয়ে রাস্তার চারপাশের প্রাকৃতিক পরিবেশ উপভোগ করছিলাম।আমার মেয়ে আমার কাছে বসেনি সে ননদের মেয়ে অর্থীও দেবরের ছেলে শ্রেয়ান এক সাথে বসে আনন্দ করতে করতে যাচ্ছিল।ওদের যেন ক্লান্তির কোন ছাপ নেই।আনন্দের সাথে যাচ্ছে আমাদের গাড়ি দূর থেকে দূরদূরান্তে।এভাবে চলে গেলো সারাটি দিন।সকাল গড়িয়ে দুপুর, দুপুর গড়িয়ে সন্ধ্যা,সন্ধ্যা গড়িয়ে রাত্রি।রাত নয়টা তিরিশ মিনিটে আমরা আমাদের কাঙ্খিত বিয়েতে উপস্থিত হতে পারলাম।

IMG_20240422_173859.jpg

আজকের মতো এখানেই শেষ করছি। আবারও দেখা হবে অন্যকোন দিন । সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন ও নিরাপদে থাকুন।

টাটা

(চলবে।

পোস্টবিবরণ
পোস্ট তৈরি@shapladatta
শ্রেণীজেনারেল রাইটিং
ডিভাইসOppoA95
লোকেশনগাইবান্ধা, বাংলাদেশ

photo_2021-06-30_13-14-56.jpg

IMG_20230826_182241.jpg

আমি হৈমন্তী দত্ত। আমার স্টিমিট আইডিরঃshapladatta. জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। শখঃবাগান করাও নিরবে গান শোনা,শপিং করা। ভালো লাগে নীল দিগন্তে কিংবা জোস্না স্নাত খোলা আকাশের নিচে বসে থাকতে।কেউ কটূক্তি করলে হাসি মুখে উড়িয়ে দেই গায়ে মাখি না।পিছু লোকে কিছু বলে এই কথাটি বিশ্বাস করি ও সামনে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করি।বিপদকে ও অসুস্থতার সাথে মোকাবেলা করার সাহস রাখি সহজে ভেঙ্গে পরি না। সবাইকে নিয়ে ভালো থাকার চেষ্টা করি আর মনে প্রাণে বিশ্বাস করি পর হিংসা আপন ক্ষয়। ধন্যবাদ ।

A5tMjLhTTnj4UJ3Q17DFR9PmiB5HnomwsPZ1BrfGqKbjddgXFQSs49C4STfzSVsuC3FFbePnB7C4GwVRpxUB36KEVxnuiA7vu67jQLLSEq12SJV1etMVkHVQBGVm1AfT2S916muAvY3e7MD1QYJxHDFjsxQDqXN3pTeN2wYBz7e62LRaU5P1fzAajXC55fSNAVZp1Z3Jsjpc4.gif



IMG_20240422_173625.jpg

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

এই বরযাত্রা দেখি আমার বিয়ের মতো। আমার বিয়েতে বরযাত্রীরা সকালে রওনা দিয়ে রাতের বেলায় পৌঁছেছিল। এত দূরের রাস্তা এই গরমের মধ্যে সবাই তো ক্লান্ত হবেই। বাচ্চারা ক্লান্ত হয়নি জেনে ভালো লাগলো। ওরা ক্লান্ত হয়ে গেলে আরো বেশি বিরক্ত করতো। যাইহোক ক্লান্তি শেষে অবশেষে পৌঁছেছেন জেনে ভালো লাগলো। পরবর্তীতে বিয়ের অনুষ্ঠান আশা করি শেয়ার করবেন।

বিয়েতে বরযাত্রী যাওয়ার মজাই আলাদা। আপনারা রওনা দিয়েছিলেন দশটায় এর মাঝে আবার অনেক জায়গায় দাঁড়িয়ে ফ্রেশ হয়েছেন। বেশ ভালোই করেছেন মাঝে মাঝে কিছু জায়গায় দাঁড়িয়ে কেননা এখন অনেক গরম পরছে। একভাবে গাড়িতে বসে থাকলে অনেকে অসুস্থ হয়ে যায় আবার ক্লান্ত হয়েও যায়। যাইহোক অবশেষ এ আপনারা ঠিকঠাক ভাবে বিয়ে বাড়িতে পৌঁছে গিয়েছেন শুনে বেশ ভালো লাগলো। বিয়ে বাড়ির গেট কিন্তু দারুন হয়েছে আপু। দেবরের বিয়ে ও বরযাত্রী হওয়ার অনুভূতি পোস্ট পড়ে খুবই ভালো লাগলো ধন্যবাদ।

বিয়ের প্রকৃত মজা হচ্ছে বরযাত্রী যাওয়ার। অনেক দূরের পথ তো তাই আপনার একটু বিরক্ত বোধ হয়েছে ।অনেকক্ষণ বসে থাকতে যেয়ে আপনার কোমর ব্যথা হয়ে গেছে। ঘুমিয়ে গেছেন এটা পড়ে অনেক হাসি লাগলো ।তবে গাড়ি যে মাঝে মাঝে থেমেছে এটা অনেক ভালো না হলে হয়তো আপনার আরো বেশি বিরক্ত হত। যাইহোক শেষমেষ বিয়ে বাড়ি পৌঁছেছেন এবং তুমি বিয়ে বাড়ির গেটের ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন সেটা দেখে অনেক ভালো লাগলো বাড়ির অনুষ্ঠানটা দেখার অপেক্ষায় থাকলাম।

চমৎকার কিছু সময় আপনি কাটালেন আপু দেবরের বিয়েতে। তাছাড়াও দেবরের সাথে আপনিও বর যাত্রী হয়ে গেলেন। সত্যি আপু একটি বিয়ের অনুষ্ঠান মানে মেহেদী অনুষ্ঠান থেকে শুরু করে বউ ঘরে তোলা পর্যন্ত অনেক কিছু নিয়ম কানুন থাকে। সেগুলো পালন করতে গিয়ে অনেক সুন্দর সুন্দর মুহূর্ত কেটে যায়। আপনি অনেক সুন্দর করে বিস্তারিত আমাদের সাথে শেয়ার করলেন। অনেক আনন্দ করলেন বিয়েতে। বিষয় গুলো আমাদের সাথে শেয়ার করলেন অনেক ভালো লাগলো।

এত দূরে বরযাত্রী হয়ে আসলে কষ্ট ছাড়া আর কিছু হয় না দিদি। আমিও বহু বছর আগে এরকম বরযাত্রী যেতাম কিন্তু বেশি দূরত্ব হলে সেখানে গিয়ে খাওয়া এবং তারপর কষ্ট করে বাড়ি আসা অনেকটা অসহ্যের কারণ হয়ে দাঁড়াত। তবে যেহেতু আপনার দেবরের বিয়ে, এ ক্ষেত্রে তো আপনাদের যাওয়াটা বাধ্যতামূলক ছিল। অনেক কষ্ট করে তো বিয়ে বাড়ি পৌঁছে গেলেন, এখন দেখা যাক পরবর্তীতে কি হয়।

দিদি,বিয়ে মানেই আনন্দ।তবে এই গরমে ভিড়ে অস্বস্তিকর তো লাগবেই।তবুও দারুণ একটি সময় কাটাতে সক্ষম হয়েছেন আশা করি।তাছাড়া অনেক মানুষ বরযাত্রী গিয়েছিলেন দেখলাম।সন্ধ্যার প্রকৃতি দেখতে আসলেই ভালো লাগে, ধন্যবাদ দিদি।