হ্যালো
আমার বাংলা ব্লগ বন্ধুরা কেমন আছেন আপনারা আশা করছি ভালো আছেন। আমিও সৃষ্টিকর্তার কৃপায়ও আপনাদের আশির্বাদে ভালো আছি।আজ আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করবো ফেসবুকে কিছু মর্মান্তিক নিউজ দেখে আমার মানসিক অশান্তিতে ভোগার কথা।
যেহেতু ফেসবুক আমাদের সব সময়ের সঙ্গী তাই যতো ব্যাস্ততার মাঝে থাকি না কেন ফেসবুকে চোখ না বুলালে যেন পেটের ভাত হজম হয় না। আমি বেশি সময় বিভিন্ন পেজ ঘুরে বেড়াই সুন্দর সুন্দর জিনিস দেখি ও ভালো লাগলে কিনি।আবার ফানি ভিডিও গুলো দেখি।তো হঠাৎ কিছু কিছু খবর আসে যে না দেখে থাকা যায় না।
পৃথিবীর মানুষ গুলো কেমন জানি পশুতে পরিনত হয়ে যাচ্ছে। মনে হয় পশুর সাথে তুলনা করে ভুল করলাম কারণ পশুরা এমন কাজ করে না কখনোই।
তবে মানুষ কে দেখলে কেনজানি হিংস্র পশুর মতোই ভয় লাগে আমার এখন।এমন এমন সব খবর দেখার পর মানুষকে পশুর মতো ভয় পাই আমি।হিংস্র পশুকে দেখলে যেমন ভয় হয় যে আক্রমণ করবে ঠিক তেমনি মানুষ দেখলে মনে হয় কখন কোন বিপদে ফেলবে।কখন কি করে বসবে।
কয়েকদিন যাবত ফেসবুকে হৃদয়বিদারক একটি খবর নানার সম্পদের কারণে ছোট একটি নিস্পাপ শিশুকে নির্মম ভাবে হত্যা করেছে। সার্জিক্যাল টেপ দিয়ে পলিথিনের ব্যাগের ভীতরে মাথা ভরিয়ে টেপ মেরে শ্বাসরদ্ধ করে হত্যা করেছে।এই দৃশ্য দেখে নিজেকে ধরে রাখতে পারছিলাম না।কি করে মানুষ এটা করতে পারে এটা ভেবে ভেবেই আমি মানসিক ভাবে অসুস্থ হয়ে গিয়েছিলাম।চোখের সামনে শুধু বাচ্চাটির ঐ নির্মমভাবে হত্যা দৃশ্যটি চোখের সামনে ভেসে আসে।
আবার আর একটি ফটোগ্রাফি ও নিউজে দেখলাম দুই শিশু সন্তানকে হত্যার পর মায়ের আত্মহত্যা। কতোটা অসহায় ও মানসিক কিংবা শারীরিকভাবে নির্যাতনের স্বিকার হলে একটি মা তার নিস্পাপ শিশুদের কে নিয়ে এমন কাজ করতে পারে। এই দৃশ্য দেখার পর আমি ভীষণ মানসিক ভাবে দূর্বল হয়ে পড়ি।
এই ঘটনা খবর দেখার একদিন পরেই খবরে দেখলাম এক মা তার বন্ধুর সাথে ঘুরতে গেছে ১৬ মাসের নিস্পাপ বাচ্চা কে রুমে আটকিয়ে রেখে।এ কেমন মা। মা হচ্ছে ভালোবাসার নাম নিরাপদ আশ্রয়ের নাম এক মা বাচ্চাদের কষ্ট হবে ভেবে নিজের সাথে বাচ্চাদের কে নিয়ে আত্মহত্যা করলেন আর এক মা সন্তানকে মৃত্যুর মুখে রেখে এনজয় করতে বন্ধুর সাথে চলে গেলেন । এসব ভাবলে পৃথিবীর সব কিছু ওলটপালট মনে হয়।আমি এসব খবর দেখলে ভীষণ মানসিক ভাবে দূবল হয়ে পড়ি।
রেললাইনের ধারে বসে সন্তানকে নিয়ে কেক কেটে খেয়ে ট্রেনের নিচে লাফিয়ে পড়লে সন্তানকে নিয়ে।একজন মা কিন্তুু সব সময় ভাবে আমি মরে গেলে আমার সন্তানকে কে দেখবে।আমার মতো ভালোবাসতে পারবে না।
এই ভালোবাসা থেকেই কিন্তুু সন্তানকে নিয়ে মায়েরা আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়।কিন্তুু নিস্পাপ সন্তানতো পৃথিবীতে বেঁচে থাকার অধিকার রাখে। নিজের সাথে তাদের অজান্তে কি এরকম কাজ করা ঠিক।এ কেমন মানসিকতা।এ কেমন মায়ের ভালোবাসা।যে ভালোবাসা সন্তানকে হত্যা করে সে ভালোবাসা চায় না কোন সন্তান।
আজকের মতো এখানেই শেষ করছি আবারও দেখা হবে অন্যকোন পোস্টের মাধ্যমে।সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন ও নিরাপদ থাকুন।
টাটা
পোস্ট | বিবরণ |
---|---|
পোস্ট তৈরি | @shapladatta |
শ্রেণী | জেনারেল রাইটিং |
ডিভাইস | OppoA95 |
লোকেশন | গাইবান্ধা, বাংলাদেশ |
আমি হৈমন্তী দত্ত। আমার স্টিমিট আইডিরঃshapladatta. জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। শখঃবাগান করাও নিরবে গান শোনা,শপিং করা। ভালো লাগে নীল দিগন্তে কিংবা জোস্না স্নাত খোলা আকাশের নিচে বসে থাকতে।কেউ কটূক্তি করলে হাসি মুখে উড়িয়ে দেই গায়ে মাখি না।পিছু লোকে কিছু বলে এই কথাটি বিশ্বাস করি ও সামনে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করি।বিপদকে ও অসুস্থতার সাথে মোকাবেলা করার সাহস রাখি সহজে ভেঙ্গে পরি না। সবাইকে নিয়ে ভালো থাকার চেষ্টা করি আর মনে প্রাণে বিশ্বাস করি পর হিংসা আপন ক্ষয়। ধন্যবাদ ।
ফেসবুকে এই ঘটনাগুলো যখন দেখি তখন মনে হয় আর কখনোই ফেসবুকে ঢুকবো না। কারণ এই ঘটনাগুলো সহ্য করার মতো না। এটা একদম ঠিক বলেছেন সব সময় ভয়ে ভয়ে থাকতে হয়। আর কেমন জানি মানসিক দুশ্চিন্তায় পড়তে হয় সব সময়। জানিনা কবে মানুষ নিজের পশুত্ব থেকে বেরিয়ে আসবে। এই মানুষরূপী শয়তানগুলোর সুবুদ্ধি হোক।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit