হ্যালো,
আমার বাংলা ব্লগ বন্ধুরা কেমন আছেন সবাই।আশা করছি ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি।আজ আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করবো মায়ের জিদের কারণে মেয়ের করুন পরিনতি মৃত্যু শেষ পর্ব।
এভাবে চলতে চলতে এক সময় অঞ্জলির প্রতি সবাই বিরক্ত হতে লাগলো।স্বামী ও আর সহ্য করতো না। এমনত অবস্থায় অঞ্জলি আবার দ্বিতীয় সন্তানের মা হতে চললো এবং আবার মেয়ে হলো কিন্তুু এই মেয়েকে করো কাছে দিতো না সব সময় কোলে নিয়ে থাকতো ঘুৃমালে ও কোলে নিয়েই ঘুমাতো।এক সপ্তাহের বাচ্চা কে বুকের দুধ খাওয়াত না তার বদলে পাউরুটি, কলা এসব মুখে দিতো।কাঠফাটা রোদে বাচ্চা নিয়ে দাড়িয়ে থাকতো কখনো বা বৃষ্টিতে দাড়িয়ে থাকতো বাচ্চা নিয়ে এভাবে চলতে চলতে বাচ্চার বয়স যখন ১৫দিন তখন মারা গেছে কারণ কোলে নিয়ে বসে ছিলো কখন যে ঘুমিয় গিয়েছিল আর কোলের মাঝেই শ্বাসরোধে মারা গেলো বাচ্চা টা। আসলে একদম উন্মাদ পাগল হয়ে গিয়েছিল। এক সময় অঞ্জলির দাদারা বিয়ে করলো তখন আর অঞ্জলির জায়গা হলো না বাবার বাড়িতে।দাদার বউরা অঞ্জলিকে সহ্য করতে পারতো না।তাই অঞ্জলিকে শ্বশুড় বাড়িতে পাঠানো হলো।এদিকে অঞ্জলির বর আমার বিয়ে করার জন্য ব্যাস্ত হয়ে গেলো।কারণ তার সংসার না কি রসা তলে যাচ্ছে সংসার বাঁচাতে হলে তাকে আবার বিয়ে করতে হবে।অঞ্জলির মা বাঁধা দিলো বিয়েতে এবং মোটা অংকের টাকা জামাইকে দিলেন যাতে বিয়ে না করে।শ্বশুর বাড়িতে বেঁধে রাখতো অঞ্জলি কে।বিয়ে তো আপাতত আটকানো গেলো কিন্তুু অঞ্জলিকে ঠিক মতো ঔষধ দিতো না। বাবার বাড়িতে থাকাকালীন ওর বা মেয়ের খুব যত্ন করতেন এবং গ্রামের ছেলে মেয়েদের কে ডেকে নিয়ে ঔষধ খাওয়াতেন। কিন্তুু শ্বশুর বাড়িতে ওর বর তা করতো না।কিছুদিন পর অঞ্জলির বর কাউকে কিছু না জানিয়ে চুপি চুপি বিয়ে করলেন। অঞ্জলির জিবনে আরো খারাপ দিন আসলো।নতুন বউ একদম সহ্য করতে পারতো না অঞ্জলিকে এবং বরকেও কথা বলতে দিতো না।খেতে দিতো না।অঞ্জলিকে ওর ঘর থেকে বের করে দেয়া হল।কিন্তুু অঞ্জলি নিজের ঘরেই ঘুমানোর বায়না করতো মাঝে মাঝে। নতুন বউ নিয়ে অঞ্জলির ঘরে উঠেছে ওর বর। তাই রাত্রি বেলা দরজায় গিয়ে নক করতো আর বলতো এটা আমার ঘর আমি ঘুমাবো দরজা খোল।তাই রেগে গিয়ে শিকল দিয়ে বেঁধে রাখলো আর খুল্লো না।এরকম দিনের পর দিন চলতে চলতে একদিন অঞ্জলি শিকলে বাঁধা অবস্থায় মৃতু্যবরণ করলো😭😭😭।এভাবেই যবনিকাপাত হলো একটি অভিশপ্ত ভালোবাসার। মায়ের জিদের কারণে মেয়ের হলো করুন পরিনতি মৃত্যু। ভাবতেই খুব কষ্ট লাগে এতো কম বসয়ে এতো কঠিন সময় পার করে সব কষ্টের অবসান ঘটিয়ে পরপারে চলে গেলো।যেদিন শুনেছিলাম অঞ্জলি দির মৃত্যু কাহিনি নিজেকে ধরে রাখতে পারিনি।এই ছিলো আমাদের প্রতিবেশি মেয়েটির জিবন কাহিনির গল্প।আজ এখানেই শেষ করছি।আবারও দেখা হবে অন্য কোন পোস্ট নিয়ে সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন।
টাটা
পোস্ট | বিবরণ |
---|---|
পোস্ট তৈরি | @shapladatta |
শ্রেণী | জেনারেল রাইটিং |
ডিভাইস | OppoA95 |
লোকেশন | গাইবান্ধা, বাংলাদেশ |
আমি হৈমন্তী দত্ত। আমার স্টিমিট আইডিরঃshapladatta. জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। শখঃবাগান করাও নিরবে গান শোনা,শপিং করা। ভালো লাগে নীল দিগন্তে কিংবা জোস্না স্নাত খোলা আকাশের নিচে বসে থাকতে।কেউ কটূক্তি করলে হাসি মুখে উড়িয়ে দেই গায়ে মাখি না।পিছু লোকে কিছু বলে এই কথাটি বিশ্বাস করি ও সামনে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করি।বিপদকে ও অসুস্থতার সাথে মোকাবেলা করার সাহস রাখি সহজে ভেঙ্গে পরি না। সবাইকে নিয়ে ভালো থাকার চেষ্টা করি আর মনে প্রাণে বিশ্বাস করি পর হিংসা আপন ক্ষয়। ধন্যবাদ ।
আমি প্রতিটা পর্ব পড়েছিলাম অনেক খারাপ লেগেছিল। আজকে এত তাড়াতাড়ি আপনার পোস্টটি পেয়ে যাব ভাবতে পারি নাই। যাই হোক পড়ার সুযোগ পেলাম আজকে। খুবই খারাপ লাগছে মায়ের কোলেই শ্বাস রোধে মারা গেল বাচ্চাটা। খুবই খারাপ লাগলো যে অঞ্জলীর স্বামী কাউকে কিছু না বলে আবারও বিয়ে করলেন। আসলে একটা মানুষ কিন্তু সুস্থ হয়ে যায় সেবা যত্ন ভালোবাসা পেলে যতই পাগল থাকুক। নতুন বউ এসে যে অঞ্জলীকে এত অত্যাচার করত। আসলেই মানুষ এত নিষ্ঠুর হতে পারে আজকে না দেখলে জানতাম না। খুবই খারাপ লাগতেছে সেই স্বামীর অত্যাচারে পরিবারের অত্যাচারে অঞ্জলি৷ শিকলে বাধা অবস্থায় মৃত্যুবরণ করল। মায়ের জেদের কারণে মেয়ের হলো করুন মৃত্যু। আসলে মা যদি সবকিছু স্বাভাবিকভাবে নিতো মেয়ের জীবনও এরকম কিছু হতো না। প্রতিটা বাবা-মার সচেতন থাকতে হবে। আমার মেয়ে কোথায় সুখী হবে সেটাকে প্রধান্য দিতে হবে। খুবই খারাপ লাগতেছে অঞ্জলির মৃত্যুর কাহিনীটা শুনে 🥺
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
প্রতি টা পর্ব পড়েছেন জেনে খুব ভালো লাগলো।আমরাও পোষ্ট টি লেখার সময় চোখে জল চলে এসেছিলো। চোখের সামনে এসব ঘটনা দেখেছি তাই কষ্ট টা একটু বেশি। ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপনার প্রতিবেশীর জীবন কাহিনী অনেক করুন ছিল, শুনে খুব খারাপ লাগলো। আসলে অধিকাংশ মেয়ে মায়ের কথামতো চলে এবং মায়ের জেদের কারনেই তাদের সংসারে অশান্তি নেমে আসে। তবে মেয়েটি অনেক কষ্ট করেছে, যাইহোক ওপারে ভালো থাকুক এই কামনা করছি।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
হ্যাঁ ভাইয়া অনেক কষ্ট করেছে। ওপারে ভালো থাকুক সেই কামনায় করি সব সময়। ধন্যবাদ সুন্দর কমেন্ট করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আসলে অঞ্জলীর গল্পটি পড়ে আমার কাছে অঞ্জলীর জন্য খারাপ লেগেছে। মায়ের জিদের কারণে এই পরিণতি হল। অঞ্জলি শিকড়ে বাধা অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেছে এবং তার মেয়েটির জন্য আমার কাছে খুব খারাপ লেগেছে। আসলে গল্পটি বেশ করুন ছিল। ধন্যবাদ আপনাকে এরকম একটি গল্প শেয়ার করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ধন্যবাদ আপু পুরা গল্পটা পড়ে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit