হ্যালো,
আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা কেমন আছেন সবাই আশা করছি ভালো আছেন। আমিও সৃষ্টি কর্তার কৃপায় ভালো আছি।আজ আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করবো একটি গৃহপালিত কুকুর কে নিয়ে কিছু কথা।
আশা করছি আপনাদের ভালো লাগবে।তো চলুন দেখা যাক।
আমি ছোট বেলা থেকেই দেখে আসছিলাম আমাদের বাড়িতে বিড়াল,কুকুর পোষেন। বিড়ালও কুকুর গুলো ভীষণ পোষমানা ছিলো।কখনো কোনদিন চুরি করে কিছু খেতো না।ওদের সামনে খাবার রাখলেও মুখ লাগাতো না কখনোই। কুকুর ঘরে ঢুকতো না ওরা বাইরে বারান্দায় কিংবা খড়ির ঘরে গোয়াল ঘরে ঘুমাতো।বিড়ালেরা ঘরে ঢুকতো।আমরা যখন খেতাম পাশে বসে থাকতো কখনো মিউমিউ করে বিরক্ত করতো না।তো আসুন কুকুরের সম্পর্কে জানা যাক।আমাদের এক মা কুকুরের সাতটি বাচ্চা হয়েছিল সব গুলো বাচ্চাই অনেক কিউট হয়েছিল। সাতটি বাচ্চা মধ্যে দুটি বাচ্চা ছেলে হয়েছিল এবং একটি ধবধবে সাদা ও একটি কুচকুচে কালো।এই কুকুর ছানা দুটোকে আমরা খুব ভালোবেসে পোষা শুরু করলাম।একটির নাম রেখেছিলাম ডন,আর একটির নাম টম।ডন নাম সাদা কুকুরটির আর টম নাম কালোটির।
ডনও টম আমাদের সাথে খেলতো। যখন আমরা দৌড়াদৌড়ি করতাম ওরাও আমাদের সাথে দৌড়াদৌড়ি করতো। আমরা বল খেলতাম ওরা বল দূরে গেলে দৌড়ে এনে দিতো মুখে করে।আস্তে আস্তে ডনও টম বড়ো হতে লাগলো।ওর মায়ের দুধ ছারলো।যখন মায়ের দুধ ছারলো তখন ওদের জন্য বাড়তি খাবারের ব্যাবস্থা করা হলো এবং বিপত্তি বাঁধলো তখনি।ডন স্বাভাবিক থাকলেও টম স্বাভাবিক ছিলো না।টম জন্ম থেকেই এমন এক সমস্যা নিয়ে জন্ম নিয়েছিল যে কিনা খাবার খেলে সব খাবার ওর মুখের ভিতরে তালুতে আটকে যেতো।মায়ের দুধ খেতে সমস্যা হয়নি কিন্তুু ভাত খাওয়া শুরু করার পর আমরা এটা লক্ষ্য করলাম। ওর পেটে প্রচুর ক্ষুধা থাকতো এবং খেতে দিলে তারাহুরো করে খেয়ে নিতো কিন্তুু খাবার গুলো খাদ্যনালীতে না গিয়ে সব তালুতে আটকে যেত এবং ওর সামনের পা দিয়ে মুখে আঁচড় কাটতো আর কান্না করতো।আমার ভাই ওর মুখের ভীতরে আঙ্গুল দিয়ে তালু থেকে খাবার গুলো বাইরে বের করে দিতো আর তখন ও কান্না থামাতো। কষ্ট পেতাম ওর কষ্ট দেখে।এভাবে দিনের পর দিন চলতে চলতে টম না খেতে পেরে পেরে দূর্বল হয়ে গেলো এবং একদমই খাওয়া বন্ধ করে দিলো।কতো দিন আর চলবে এভাবে আস্তে আস্তে টম নিস্তেজ হয়ে গেলো এবং আমাদের সবাইকে কাঁদিয়ে পরপারে চলে গেলো।খুব কষ্ট পেয়েছিলাম টমের মৃত্যুতে।টম মারা যাওয়ার পর ওর স্মৃতি গুলো ভীষণ কষ্ট দিতো।তবে বাড়ির সাই ওর মৃত্যু কামনা করছিলো কারণ ওর কষ্ট দেখার ক্ষমতা ছিলো না।ওর মুখে জল তুলে দিতো আমার ভাই বার বার।ওর পাশে বসে থাকতাম আমরা দু ভাইবোন। টমের মৃতুশোক আমাদের তারাতারি কেটেছিলো ডন ছিলো বলে।
আজ এ পর্যন্তই আবারও দ্বিতীয় পর্বে ডন সম্পর্কে শেয়ার করবো আপনাদের সঙ্গে।সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন। সুস্থ থাকুন।
(চলবে)
টাটা
পোস্ট | বিবরণ |
---|---|
পোস্ট তৈরি | @5 |
লোকেশন | গাইবান্ধা, বাংলাদেশ |
হ্যালো,
আমি হৈমন্তী দত্ত। আমার স্টিমিট আইডিরঃshapladatta. জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। শখঃবাগান করাও নিরবে গান শোনা,শপিং করা। ভালো লাগে নীল দিগন্তে কিংবা জোস্না স্নাত খোলা আকাশের নিচে বসে থাকতে।কেউ কটূক্তি করলে হাসি মুখে উড়িয়ে দেই গায়ে মাখি না।পিছু লোকে কিছু বলে এই কথাটি বিশ্বাস করি ও সামনে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করি।বিপদকে ও অসুস্থতার সাথে মোকাবেলা করার সাহস রাখি সহজে ভেঙ্গে পরি না। সবাইকে নিয়ে ভালো থাকার চেষ্টা করি আর মনে প্রাণে বিশ্বাস করি পর হিংসা আপন ক্ষয়। ধন্যবাদ ।
যেকোনো পালিত পশুর প্রতি আলাদা একটা মায়া জন্মে। যেমনটা টমের সঙ্গে আপনাদের হয়েছিল। কিন্তু খাবার না খাওয়ায় আস্তে আস্তে টম দুর্বল হয়ে পড়ছিল।খারাপ লাগছে পরবর্তীতে কি হবে টমের ভেবে।পরবর্তী পর্বের জন্য অপেক্ষায় রইলাম আপু।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit