হ্যালো বন্ধুরা,
সালাম, শুভেচ্ছা ও আদাব সকলকে। আশাকরি আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের সকলে ভালো আছেন, কুশলে ও আনন্দে আছেন। বছরের শেষ প্রান্তে এসে সকলকে জানাই বিদায়ী বছরের সকল প্রাপ্তির জন্য অভিনন্দন এবং নতুন বছরের জন্য শুভকামনা। সুখ পাখি আপনাদের হাতে একান্ত প্রিয়জনের মত করে যেন আগামী বছরে ধরা দেয় এই কামনা করি।
আমরা প্রযুক্তির ঊষালগ্নে পৌছে গেছি আরো প্রায় এক দশক পূর্বে। আমরা এখন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সাহায্যে পরিচালনা করছি আমাদের সকল কর্মকাণ্ড। আমরা এখন ভারতে বসে সুইডেনে প্রাইভেট কার ড্রাইভ করছি। আমরা এখন একটি আলোক বর্ষ থেকে আরেক আলোক বর্ষ দূরের পথ পাড়ি দেয়ার চেষ্টা করছি পৃথিবীর মত একটা ছোট্ট গ্রহে বসে। অর্থাৎ আমরা আজ বিজ্ঞানের এক চরম উৎকর্ষতার সীমায় পৌছে গেছি।
তবুও আমরা আমাদের সমাজে এমন কিছু কালচারের প্রাকটিস দেখতে পাই যা সত্যিই বেদনাদায়ক। এগুলো আমি খুব কাছ থেকে দেখেছি। তাই বিষয়টা আমাকে খুব বেশি পীড়া দেয়। এই কারণে আমার আজকের কবিতাটি লেখা। আশা করি কবিতাটি আপনাদের ভালো লাগবে। কবিতাটি ভালো লাগলে আমার পাশে থেকে আমাকে উৎসাহ দেবেন যেনো আমি আপনাদেরকে এধরনের আরো অনেক লেখা উপহার দিতে পারি এবং আমৃত্যু আপনাদের পাশে থাকতে পারি। ভালো থাকা হয় যেনো-
ঘুষ
লেখক মোঃ শরিফুল ইসলাম
বড় সাহেবের টেবিলেতে ধরা
আমার ছোট্ট নথি,
মোসাহেবী নয় খরচা ছাড়া
করলো না তার গতি।
সপ্তাহে আমি তিন দিন যায়
মাসে যায় দিন দশ,
বড় স্যার নাকি পয়সা বিনে
হয় না কারো বশ।
বয়সের ভার তবু দুই বার
পাঁচ তলাতে উঠি,
কত সাহেবের টেবিলেতে আমি
সারা দিনভর ছুটি।
দুই লাখ টাকা পেনশনে যাবে
হাজার বিশেক ঘুষে,
সমাজের সব বড় স্যার যেন
রক্ত খাচ্ছে চুষে।
মাথায় সাহেব টুপি পরে আর
তজবী জপে মনে,
মসজিদে যায় দিনে রাতে
ওয়াক্ত গুণে গুণে।
এটাই এখন কালচার নাকি
এটাই এখন রীতি,
ঘুষ খাওয়াটা খোশ আমদেদ
বাড়ায় নাকি প্রীতি।
তুমি আমি সবাই সমান
ঘুষ দিচ্ছে সবে,
কে সরাবে এই আগাছা
সমাজ থেকে কবে?
গরীব দুখীর রক্ত যারা
করছে সদা পান,
সাহেব নামের শকুন তারা
জাতির অপমান।
এই আগাছা সমাজ থেকে
উপড়ে ফেলো মূলে,
সমাজ বড় নোংরা এখন
যাচ্ছে না তাই ধুলে।
প্রকৃতির মার দুনিয়ার বার
নদীর যেমন ঢেউ,
বিধাতার ডাক বড়ই কঠিন
আটকাবে না কেউ।
আমার পরিচয়
আমার নাম মোঃ শরিফুল ইসলাম। অনেকটা গোবরে পদ্মফুলের মত আমি নিতান্ত একটি নগণ্য গ্রাম থেকে উঠে এসেছি। যেখানে গ্রামের অধিকাংশ ছাত্র-ছাত্রীরা ঝরে গেলেও আল্লাহ পাকের অশেষ রহমতে আমি অনেকটা বেরিয়ে গেছি। মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের গণ্ডি পেরিয়ে আজ আমি বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় প্রতিষ্ঠান সোনালী ব্যাংকের একটি শাখায় সিনিয়র অফিসার হিসেবে কর্মরত আছি। আমি লিখতে ও পড়তে ভালোবাসি। আমি অনেকটা স্বপ্ন বিলাসী। আমি স্বপ্ন দেখতে, স্বপ্ন দেখাতে এবং স্বপ্ন বানাতে ভালোবাসি।
ঘুষ নিয়ে আপনার কবিতাটি অসাধারণ সুন্দর হয়েছে।সমাজের চলচিত্রের সাথে ফুটে উঠেছে আপনার কবিতাটি ভাইয়া।আসলে আপনার কবিতাটির সাথে বাস্তবতা মিলে গেছে। যেহেতু আপনি খুব কাছ থেকে এমন কাঙ্খিত কিছু দেখেছেন তাই খুব সুন্দর ভাবে ফুঁটে তুলতে পেরেছেন কবিতাটি।ধন্যবাদ সুন্দর পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আমার কবিতাটি আপনার ভালো লেগেছে শুনে আমারও ভালো লাগছে। ধন্যবাদ আপনাকে। আমার জন্য দোয়া করবেন যেন আমি আমার মেধাকে আপনাদের মাঝে এসে বিকশিত করতে পারি। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit