আমার বাংলা ব্লগ এর কমিউনিটির সকল সদস্য গণ আসসালামু আলাইকুম সবাই কেমন আছেন আশা করি সবাই আল্লাহ রহমতে ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আপনাদের দোয়ায় ভালো আছি। আজকে আমি আলোচনা করবো খড়ের পালা- গ্রামের একটি প্রাকৃতিক দৃশ্য যেটি বাংলাদেশের সব জায়গায় দেখতে পারবেন। খড়ের পালা প্রাকৃতিক সুন্দয বাড়ায়।
ছবিটি দেখে বুঝতে পারছেন এটি একটা খড়ের পালা। এইগুলো গরুর খাদ্য হিসেবে ব্যবহার কারা হয় এ গুলো কৃষক সংগ্রহ করে রাখেন যাতে সারা বছর গরুকে খাওয়াতে পারে । খড়ের পালা প্রাকৃতিক একটা অংশ যা আপনি প্রতিটি গ্রামের দেখতে পাবেন। খড়ের পালা আপনি শহরে দেখতে পাবেন না এই সব গ্রামে এলাকায় দেখা যায়। কিন্তু আপনারা জানেন শহরে মানুষ এখন খামারে গরু পালন করে তাড়া গ্রাম থেকে খড় ক্রয় করে নিয়ে যায় গরুকে খাওয়ানো জন্য।
গরু আমাদের গৃহ পালিত পশু তাই আমাদের গ্রামে সবাই কম বেশি গরু পালন করে। আমাদের জেলায় প্রতি বছর বন্যা হয় এ-ই জন্য গরুর খাদ্য হিসেবে খড় মজুত করে রাখতে হয়। ধান বছরে দুই বার চাষ করা হয় এ-ই জন্য গরুর খাদ্য জন্য খড়েরের পালা দিয়ে মজুত করে রাখতে হয় আরও কারণ আছে আমাদের এলাকায় প্রতি বছর বন্যা হয় এ-ই জন্য খড় পালা দিয়ে রাখতে হয়। বন্যার সময় গরুর জন্য কোন খাবার থাকে নাএই জন্য খড় তখন সেই সময় গরুর খাদ্য হিসেবে ব্যবহার কারা হয় তাছাড়া বন্যা আর আমাদের ফসল নিয়ে একটা ভিডিও আছে সেটা আমাদের জামালপুর দেওয়ানগঞ্জ বাহাদুরাবাদ ঘাট নিয়ে একটা ভিডিও আছে সেটা আমি লিংক দিয়ে দিতেছি সেখানে দেখতে পাবেন কি কি ফসল হয়। আর কি ভাবে বন্যার কবলে পড়তে হয় কৃষকের।
https://fb.watch/kZRntWzcA7/?mibextid=ZbWKwL
আমাদের এখানে ধান, ভুট্টা, পাট,আখ,এই চারটি ফসল হয় তার মধ্যে ধরনের চাষ বেশি হয়। ধরনের চাষ বেশি হবার কারণ আছে আমাদের এখানের কৃষক সবাই গরু পালন করে বলতে গেলে এটাও আমাদের সম্পদ যার থেকে আমরা অর্থ আয় করতে পারি। আরও একটি কথা আমাদের এখানে যারা গরু পালন করে না তা ধান চাষ করে যে খড় হয় তা বিক্রি করে টাকা আয় করতে পারে। যেহেতু আমাদের জেলা নিচু এলাকা সেই জন্য খড়ের চাহিদা অনেক। যেহেতু আমাদের জেলা নিচু এলাকায় এ-ই জন্য খড়ের জন্য বিভিন্ন জায়গায় থেকে নৌকা নিয়ে খড় ক্রয় করতে আসে।
খড় আমাদের এখানের কৃষক আরও অনেক জায়গায় ব্যবহার করে। আমাদের এখানে আমার জানা মতে কিছু কিছু জায়গায় মিষ্টি কুমড়া চাষ হয় সেখানে কৃষক মাটিতে খড় বিছিয়ে দেয় এরপর খড়ের বিছানা উপরে গাছ বাড়তে থাকে যার কারণে মিষ্টি কুমড়া কোন নষ্ট হয় না।
শেষ কথা
খড়ের শুকনো খুব কষ্টকর। আমার বাবা আর আমার তিন ভাই সবাই কৃষি কাজ করে তাই আমি জানি খড় শুকনো কত কষ্ট আমি যখন ভালো ছিলাম তখন আমি বাবা সঙ্গে খড় পালা দিতাম। যখন খড় পালা দিতাম তখন শরীর ঘেমে টপটপ করে নাকের ও চোখের পানি পড়তো। এত কষ্ট হবার পরউ কেন খড় শুকাই কারণ গরু আমাদের গৃহ পালিত পশু তাই খড় পালা দিয়ে সংগ্রহ করে রাখে।