‘‘প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি সিলেটে ভ্রমণ কাহিনী’’

in hive-129948 •  last year 

আমার বাংলা ব্লগের নিয়মিত বন্ধুরা। শুভ সন্ধ্যা! গত ১২ই মে অফিসিয়াল প্রোগামে গিয়েছিলাম সিলেটে। সেখানে মোট ৩ দিন অবস্থান করেছিলাম কাজের ফাঁকে ফাঁকে ঘুরেছি কয়েকটি জায়গায়। তা আপনাদের সাথে শেয়ার না করে পারলাম না। অপরুপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর সিলেট জেলা। কথায় বলে দুটি পাতা একটি কুঁড়ির জেলা হল সিলেট। এর আগেও সিলেট জেলার বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণ করেছি। এবার ছিল সম্পুর্ণ ব্যতিক্রম।
346998048_163836326652481_671343698269416906_n.jpg
প্রথম দিন বিকেল ৩ টায় ঢাকা থেকে রওনা দিয়ে রাত প্রায় সাড়ে দশটায় গন্তব্যে পেীঁছালাম । পরদিন ছিল শুক্রবার। অফিসিয়াল সিডিউল কাজ দুপুর ১ টার মধ্যে শেষ হয়ে গেল । তাই ফ্রি হয়ে গেলাম। আমি আর আমার এক সহকর্মী পরামর্শ করে সিদ্ধান্ত নিলাম বিকেল বেলা পর্যটন কেন্দ্র সাদা পাথর দেখতে যাব। যেই ভাবনা সেই কাজ। দুপুরের খাবারের পর ২ জনে একটি সিএনজি রিজার্ভ করে চলে গেলাম সাদা পাথর এরিয়ার। সেখানের প্রাকৃতিক দৃশ্য দেখে সত্যিই চোখ জুড়িয়ে যায়। পাহাড়ের পাদদেশে ঝর্নার পানি আর অগণিত পাথরের সমাহার। সিএনজি থেকে নামার পর কিছুটা জায়গা নৌকায় যেতে হয়। যেতে যেতে চারদিকে তাকালে চোখে পড়ে নয়নাভিরাম দূর পাহাড়ের দৃশ্য। ঝর্ণার ঠান্ডা ও স্বচ্ছ পানি স্পর্শ করলে আলাদা পরিতৃপ্তি পাওয়া যায় যা বলে বোঝানো যাবেনা। যা হোক, সেখানে প্রায় ৩ ঘন্টা থেকে সন্ধ্যার পর ফিরলাম গন্তব্যে।

IMG20230512165632.jpg

IMG20230512170519.jpg

পরদিন সকাল থেকে আবার অফিসের কাজে ব্যস্ত হয়ে পরলাম। কিন্তু বিকেলে ছিল সকল ফিল্ড কলিগদের নিয়ে জাফলং ভ্রমণ। আমরা প্রায় ১২০ জনের একটি গ্রুপ তিনটি বাস রিজার্ভ করে চলেছি জাফলং ভ্রমনের উদ্দেশ্যে। পথিমধ্যে রাস্তার পাশেই শ্রীপুর চা বাগান। আমরা সবাই গাড়ি থামিয়ে নেমে গেলাম চা বাগানে। পাহাড়ি টিলার উপর চা বাগান দেখে সেখান থেকে আর ফিরতে মন চাইছিলনা। প্রায় ৪০ মিনিট চাগানের এদিক সেদিক ঘুরে পুনরায় জাফলং এর উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করলাম।
346666351_196986346083515_1619003211557900985_n (1).jpg
জাফলং এসে পৌঁছানোর পর যে যার মত পছন্দের সঙ্গী নিয়ে শুরু হল ঘুরাঘুরি। অপারে ভারত এবং এপারে বাংলাদেশ। মাঝখানে জলরাশি বয়ে চলছে। অপূর্ব সুন্দর দৃশ্য এবং প্রকৃতির মিলনমেলা আমার মুগ্ধ মনে যেন আরো দোলা দিয়ে দিল। জাফলং এর পানিও খুবেই স্বচ্ছ। তাই সেখানে নামার উচ্ছ্বাস লুকিয়ে রাখতে পারলাম না। ১০০ টাকায় পাওয়া যায় ভাড়ায় টায়ার । তা নিয়ে নেমে গেলাম পানিতে । এক টায়ার নিয়ে কয়েকজনে কাড়াকাড়ি। এ যেন ছেলে বেলায় ফিরে যাওয়া। এরপর আবার সন্ধ্যায় গন্তব্যে ফিরে আসা।

346630783_1320277105251303_368143003559589449_n.jpg
৩য় দিন যথারীতি বিকেল পর্যন্ত চলল অফিসের কাজ । কাজ শেষে বিকেলে চলে গেলাম শাহ পরান ও শাহ জালাল মাজার দেখার উদ্যেশ্যে। দুটি মাজারের অভ্যন্তরে মহিলাদের প্রবেশ নিষেধ। তাই ভিতরে যাওয়া হলনা তবে বাইরের সৌন্দর্য উপভোগ করেছি। পরদিন সকালে ঢাকার উদ্দেশ্যে যাত্রা। এই তিনদিনের ভ্রমণ যেন আমার মনে প্রাণে সারাক্ষণ গেঁথে আছে। চোখের সামনে ক্ষণে ক্ষণে ভেসে উঠছে সিলেটে ভ্রমণকৃত সকল নৈসর্গিক দৃশ্য। সুযোগ পেলে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে
র লীলাভূমি সিলেটে ঘুরার আমন্ত্রণ রইল।
346789949_189287496933270_871901204349535888_n.jpg

346799493_914453389849959_7774918587589515620_n.jpg

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

আপনার ভ্রমন কাহীনি টি সত্যিই অনেক ভালো লেগেছে। অনেক সুন্দর করে গুছিয়ে লিখেছেন। যারা নতুন সিলেট যায়নি তাদের জন্য অনেক কাজে লাগবে আপনার দেওয়া তথ্য গুলো।

ধন্যবাদ আপ্পু