আমার বাংলা ব্লগ এ সবাইকে স্বাগতম
হ্যালো বন্ধুরা,
মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি আমার প্রিয় "আমার বাংলা ব্লগ"এর ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ,কেমন আছেন সবাই?আশা করি সবাই ভাল আছেন।আমিও আলহামদুলিল্লাহ্ আল্লাহ্র অশেষ রহমতে বেশ ভাল আছি।আর প্রতিনিয়ত ভালো থাকার চেষ্টা করে যাচ্ছি। আশাকরি আপনারা ও এমনটাই চেষ্টা করে যাচ্ছেন ভালো থাকার।
আমি @shimulakter,"আমার বাংলা ব্লগ"এর আমি একজন নিয়মিত ইউজার।আমি বাংলাদেশ ঢাকা থেকে আপনাদের সাথে যুক্ত আছি।আমি প্রতিনিয়ত চেষ্টা করি নতুন নতুন পোস্ট শেয়ার করতে।প্রতিদিনের মত আমি আজও নতুন একটি ব্লগ নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি।ছেলেবেলার কিছু স্মৃতি আজ আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে চলে এলাম।আমি বিশ্বাস করি আমার আজকের এই স্মৃতি রোমন্থনের পোস্টটি পড়লে আপনাদের অনেকেরই ছেলেবেলার কিছু স্মৃতি চোখের সামনে ভেসে উঠবে।
ছেলেবেলায় স্কুলে ভয়ে ভয়ে যাওয়াঃ
কানভা দিয়ে বানানো
বন্ধুরা,অনেক বেশী ব্যস্ত সময় কাটছে আমার।পরিবার,ছেলের এক্সাম সবকিছু মিলিয়ে ভীষণ ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছি।সত্যি কথা বলতে বাইরে বের হলেই ঘরের কাজগুলো একটু বেশী বেশী ই মনে হয়।আর নিজেকে সময় দেয়ার সময়টুকুও তখন হয়ে উঠে না।এরপরে ও আমি আপনাদের মাঝে না আসতে পারলে, নিজের মনের অনুভূতি গুলো প্রকাশ করতে না পারলে আসলে ভালো লাগেনা।আর ভালো ও থাকা যায় না।তাইতো দিনশেষে এখন চলে এলাম আপনাদের মাঝে।
ভেবে পাচ্ছিলাম না আজ কি পোস্ট করবো।কারন একই রকম পোস্ট করলে আসলে ভালো লাগে না।তাইতো সব সময় আলাদা আলাদা পোস্ট করার চিন্তা করি আমি।আর এরই ধারাবাহিকতায় আজ একটি ছেলেবেলার পোস্ট শেয়ার করার চিন্তা করলাম।আসুন,আজ আমার ছেলেবেলার একটি ভয়ের অনুভূতি আপনাদের মাঝে শেয়ার করছি।আশাকরি সঙ্গেই থাকবেন।
আমি আমার ছেলেবেলার প্রথম স্কুলে যাওয়ার অনুভুতি নিয়ে আজ পোস্ট শেয়ার করছি।আমার ছেলেবেলা কেটেছে যৌথ পরিবারে।আমার পরিবার অর্থাৎ আমার আব্বু-আম্মু আমাকে স্কুলে যে সময়টাতে ভর্তি করাতে চাননি।কিন্তু আমি আমার বড় ভাই-বোনদের স্কুলে যাওয়া দেখে,তাদের স্কুল ব্যাগ,টিফিন এসব আমাকে খুব বেশী আকৃষ্ট করে।আর এ কারনে আমাকে স্কুলে ভর্তি করাতে বাধ্য করেছিলাম আমি।আর আব্বু তাই আমাকে বাধ্য হয়েই স্কুলে ভর্তি করিয়ে দেন।আর স্কুলে আমি আমার বড় ভাই-বোনদের (কাজিন) সাথেই যেতাম।
আমার ছেলেবেলা কেটেছে পুরোনো ঢাকাতে।পুরোনো ঢাকার গেন্ডারিয়াতে আমরা তখন থাকতাম।সেখানে সাধনা নামের একটি গলির ভেতরে আমরা তখন ছিলাম।সেখানেই আমাদের বাসা ছিল।বাসা থেকে স্কুল খুব কাছেই ছিল।পায়ে হেঁটেই আমরা চলে যেতাম।তবে শুধুমাত্র বৃষ্টি হলে রিকশায় করে আসা যাওয়া করতাম।স্কুলে যেতে আমার ভয়ের কারনটা হলো সাধনা গলির মুখেই সাধনা ঔষধালয়ের একটি ফ্যাক্টরি ছিল।যা কিনা এখনো আছে।সেই ফ্যাক্টরিটা রাস্তার দুপাশেই ছিল।ফ্যাক্টরি ভেতরে হলেও বাইরের দিকে বড় গেট আর ফাঁকা জায়গা ছিল।যেখানে ছোট-বড় অনেক বানর ছিল।সেই বানর গুলো তারাই সেখানে রক্ষনাবেক্ষন করতো।আমি প্রতিদিন স্কুলে যাওয়ার আর আসার পথে সেই বানরের কথা ভেবে কুকরে যেতাম।সারা পথ আনন্দে হেঁটে এলেও ওই সাধনার গলির মুখে এলে আগে দুপাশ ভালো মতো লক্ষ্য করতাম।এরপর বানর না দেখতে পেলে দৌঁড়ে চলে যেতাম।আমার বোনরা ও তেমনটাই করতো।সবাই তো ছোট ছিলাম ভয় তো পাবেই।
আমরা প্রায় সময় দেখেছি কোন পথচারী কোন খাবারের প্যাকেট নিয়ে হেঁটে গেলে বড় কোন একটি বানর এসে সেই প্যাকেট নিয়ে চলে যায়।এরপর সবাই মিলে ভাগ করে খায়।তাই আমি কখনও ভুল করেও কোন খাবারের প্যাকেট নিয়ে এই পথে যেতাম না।আমি আর একদিন আরও বেশী ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম একটি দৃশ্য দেখে।একটি ছেলে একদিন কাঁচা মরিচ নিয়ে যাচ্ছিল।বানর তখন সেই কাঁচামরিচের ব্যাগ নিয়েও দৌড়ে চলে গেলো।এটা দেখে আমি আরো বেশী ভয় পেয়ে যাই।তখন চিন্তা করি ঝাল কাঁচা মরিচ ও এরা নিয়ে খায়।
এই বানর গুলো যে খাবার খায় তেমন নয়।এরা খাবার না পেলেও কখনো কখনো কারো শরীরের উপর লাফিয়ে পরে।এটা হচ্ছে আরো বেশী ভয়ের কারন।তাইতো আমি সব সময় ভয়ে ভয়ে ঔই পথ দিয়ে যেতাম।আর এই পথে এলেই আল্লাহ আল্লাহ বলতে বলতে রাস্তা পার হতাম।এই বানর গুলো ওই গলির অনেক বাসায় ই খাবারের জন্য হানা দিতো।আমি এই ব্যাপারটি সহজ ভাবে নিতে পারিনি।কারন আমি ছোট।আমার উপর কখনো বানর লাফিয়ে পরলে আমার মনে হয় তখনই আমি শেষ হয়ে যেতাম।যাই হোক তেমনটা হয়নি কখনো তাই শুকরিয়া আল্লাহর কাছে।আমি এখনো ওই দিনগুলোর ভয়ের অনুভুতি গুলো ফিল করি।এখনো ওখানে বানর আছে।আপনারা যারা পুরোনো ঢাকার সাধনার গলিতে গিয়েছেন তারা বেশ ভালো ভাবেই জানেন।আমি ক্লাস ফোরে উঠার আগেই আমাদের বাসা চেঞ্জ করা হয় অন্য এলাকায়।আমি তখন হাফ ছেড়ে বাঁচি।সেই ভয়ের দিনগুলোর কথা আমি আজ ও মাঝে মাঝে মনে করি।আমি আগেই বলেছি,আমি নিজের ইচ্ছেতে স্কুলে ভর্তি হয়েছিলাম জোর করে।তাই ভয় পেলেও বাসায় এসে আম্মুকে কখনও বলতাম না।আম্মু যদি স্কুলে যাওয়া বন্ধ করে দেয় এই ভয়ে।সেই দিন গুলো আজও মনে পরে।তাইতো আজ আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম।আমি আমার অনুভূতি গুলো আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম।আশাকরি আপনাদের কাছে ভালো লেগেছে আমার এই অনুভূতি গুলো।
পোস্ট বিবরন
শ্রেণী | আমার ছেলেবেলা |
---|---|
ক্যামেরা | SamsungA20 |
পোস্ট তৈরি | @shimulakter |
লোকেশন | বাংলাদেশ |
আজকের মতো এখানেই শেষ করছি। আবার দেখা হবে নতুন কোন লেখা নিয়ে ।সে পর্যন্ত সবাই ভাল থাকুন, সুস্থ থাকুন।আমার ছেলেবেলার অনুভূতি গুলো পড়ার জন্য সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ সবাইকে
আমার পরিচয়
আমি শিমুল আক্তার।আমি একজন বাংলাদেশী।বাংলাদেশ ঢাকা থেকে আমি আপনাদের সাথে যুক্ত আছি।আমি এম এস সি ( জিওগ্রাফি) কমপ্লিট করি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। আমি বিবাহিতা।আমি একজন গৃহিণী।আমি একজন স্বাধীনচেতা মানুষ। ভালোবাসি বই পড়তে, নানা রকমের রান্না করতে,আর সবাইকে নতুন নতুন রান্না করে খাওয়াতে ভীষণ ভালোবাসি।ফটোগ্রাফি করতে আমি ভীষণ পছন্দ করি।বাংলায় লিখতে আর বলতে পারার মধ্যে অনেক বেশী আনন্দ খুঁজে পাই।নিজের মধ্যে থাকা সৃজনশীলতাকে সব সময় প্রকাশ করতে পছন্দ করি।এই বাংলার মাটিতে জন্মগ্রহণ করেছি বলে নিজেকে অনেক ধন্য মনে করি।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপনি ছোটবেলায় স্কুল থেকে ফেরার পথে বানর দেখে ভয় পেতেন আর আমি ছোটবেলায় স্কুল থেকে ফেরার পথে কুকুর দেখে খুব ভয় পেতাম। যাইহোক আপনার ছোটবেলার গল্প শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ও তাই নাকি। তবে তো আমার সাথে কিছুটা মিলে গেলো।ধন্যবাদ মতামত প্রকাশ করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
X-promotion
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
এমন সকলের সাথে হয় আপু।আমি নিজের বেশ ভয় পেতাম যদি স্কুলে যাওয়ার পথে কুকুর,রাজহাঁস, চীন হাঁস,গরু বাঁধা থাকতো তাহলে ভয়ে আর যেতাম না আম্মু কে সাথে নিয়ে যেতাম।একবার কুকুরের দৌড়ানি ও খেয়েছিলাম।আপনার ভয়ের কারণ বানর ছিল শুনে আমার নিজেরও ভয় লাগলো আপু।আমি হলে অজ্ঞান হয়ে থাকতাম আপনার জায়গায়।বানর গুলো আপনাকে কখনো কিছু করেনি এটা জেনে ভালো লাগলো আপু।ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপু, আপনি তো তাও শহরের স্কুলে পড়তেন, এজন্য শুধু বানরের ভয় পেয়েছেন। তবে বানরগুলো যে কখনো আপনার ক্ষতি করেনি, এটা জেনে ভালো লাগলো। আমি যেহেতু গ্রামের স্কুলে পড়তাম, এক্ষেত্রে কুকুর, শিয়াল, ভূত তাছাড়া আরো অনেক কিছু ছিল, যেগুলোর ভয় আমি পেতাম। আমার স্কুলে যাওয়ার পথে একটা জঙ্গলের মত জায়গা ছিল, সে জন্য আরো বেশি ভয় লাগতো।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit