হ্যালো বন্ধুরা,
মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি আমার প্রিয়"আমার বাংলা ব্লগ"এর ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগন,কেমন আছেন সবাই?আশা করি সবাই ভাল আছেন।আমিও আলহামদুলিল্লাহ্ আল্লাহ্র অশেষ রহমতে বেশ ভাল আছি।
আমি @shimulakter,"আমার বাংলা ব্লগ"এর আমি একজন নিয়মিত ইউজার।আমি ঢাকা থেকে আপনাদের মাঝে যুক্ত আছি।আমি প্রতিনিয়ত নতুন নতুন বিষয় নিয়ে ব্লগ শেয়ার করে থাকি।আমি বিশ্বাস করি আমার ব্লগ আপনাদের কাছে ভালো লাগে।আমি আমার প্রতিদিনের নানা রকম কর্মকান্ড থেকে কিছু কিছু বিষয় আপনাদের মাঝে শেয়ার করে থাকি।আজ ও এসেছি এমন একটি বিষয় আপনাদের মাঝে তুলে ধরতে।আশাকরি সঙ্গেই থাকবেন।
ছেলের পছন্দের খাবার ঘরে বসেই অর্ডার করলামঃ
কানভা দিয়ে তৈরি
বন্ধুরা,আজ আবার চলে এলাম নতুন একটি ব্লগ নিয়ে।প্রতিনিয়ত চেষ্টা করি নতুন নতুন ব্লগ শেয়ার করার।আপনারা যারা আমার ব্লগ নিয়মিত পড়েন তারা জানেন আমার ছেলের এক্সাম চলছে।পড়াশোনা যে কত কষ্টের তা আমার ছেলেকে দেখলেই বুঝতে পারি।আর এক্সাম দেওয়াটা আরো বেশী কঠিন তার কাছে।অথচ এক্সাম আমার সব সময় পছন্দের ছিল।নিয়মিত পড়াশোনা করলে এক্সাম দিতে কিন্তু ভালো ই লাগে।আর এক্সাম শেষে বাসায় ও চলে আসা যায়।তা যাই হোক, এক মাস ছেলের পড়াশোনার অনেকটা ই ব্যাঘাত ঘটেছিল তা আপনারা অনেকেই জানেন।আসলে আমি নিজেই সময় দিতে পারিনি।আর তার উপর তার পড়াশোনার একদম ই ইচ্ছে নেই।তাইতো এক্সাম চলে আসাতে চাপটা একটু বেশী ই নিতে হচ্ছে।
আর এ অবস্থা থেকে উত্তরনের জন্য আমাকে মাঝে মাঝেই কোন না কোন কৌশল অবলম্বন করতে হয়। সেই কৌশলের মধ্যে এক নাম্বার কৌশল হচ্ছে বাচ্চাকে কোথাও ঘুরতে নিয়ে যাওয়া।এরপর হচ্ছে তার পছন্দের খেলনা কিনে দেওয়া।তার পছন্দের মিমি,চকলেট এনে দেওয়া, তার পছন্দের খাবার রান্না করে দেওয়া।এরপরে তার পছন্দের বাইরের খাবার এনে দেয়া।এতো এতো কৌশলের মধ্যে কেন জানি বাচ্চারা শেষের দিকে যে কৌশল সেটাকেই বেশী পছন্দ করে।আমি নিজেই বাইরের খাবার একদম খাই না।অথচ নিজের কৌশল দেখাতে গিয়ে নিজেকেই অপছন্দের বাইরের খাবার গুলো এনে দিতে হয়।যা একদমই ইচ্ছে করে না।কিন্তু কি আর করার এমন সমস্যায় পড়ি যে কিছু দিয়ে পার পাই আগে।একটা ব্যাপার আমি খেয়াল করেছি এখনকার বাচ্চারা বাইরের খাবার গুলো খেতে ভীষণ পছন্দ করে।তারা ভালো মন্দ একদম ই বুঝতে চায় না।কিন্তু এটা আসলে ঠিক নয়।আমার কষ্ট হলেও আমি নিজের হাতে সব ধরনের খাবার রান্না করে দিয়ে থাকি।
আমি যখন বাসায় আসি বাসায় এসেই আমি ওর সব সাবজেক্টের নোট গুলো নিজের হাতে তুলে দিয়েছিলাম।কিন্তু তার তো পড়ার কোন আগ্রহই দেখতে পাচ্ছিলাম না।আর অন্যদিকে এক্সাম ও।তাই দিশেহারা হয়ে ছেলেকে বললাম নোট তুলেছি পড়াগুলো শেষ করে দিলে তার পছন্দের বিরিয়ানি আমি রান্না করে দিব।কিসের কি সে কিছুতেই তা খাবে না।সে বলল,এখন এক্সাম আমার জন্য কষ্ট করে রান্না করতে হবে না।তুমি আমাকে পড়াও শুধু একটি নাচোস অর্ডার করে দিলেই চলবে।বুঝুন অবস্থা,এটা কোন কথা।খাবারে এতো এতো মেয়নিজ দেখলে শরীরটা কেমন গুলিয়ে উঠে আমার।অথচ এখনকার বাচ্চারা এসব খাবারের সাথে সাথে মেয়নিজ গুলো ও চেটে পুটে খেয়ে নেয়।
শেষ মেষ আর কি করার পড়াগুলো আয়ত্ত করাতে আমাকে বাইরে নাচোস অর্ডার দিতে ই হলো।আমি অর্ডার করেছিলাম নাচোস প্রায় অর্ধেক পড়া শেষ হওয়ার পরেই।খাবার ১৫/২০ মিনিটের মধ্যে ই দিয়ে গেল।আমি পড়া অর্ধেক শেষ হলে ওকে খেয়ে নিতে বললাম।খাওয়া শেষ করে বাকি পড়াগুলো ও মুখস্থ করে দিয়েছিল।বাইরের খাবারের কত গুণ দেখলেন তো ??বাইরের খাবারগুলো শরীরের উপকারে না এলেও পড়া মুখস্থ করার উপকারে কিন্তু ঠিকই জয়ী হলো।
যাক,আর একটা মাত্র এক্সাম আছে।এক্সাম শেষ হলে এ বছরের জন্য কিছুদিন স্বস্তিতে থাকা যাবে।এক্সাম শেষ হলেই আম্মুকে দেখতে চলে যাব।সবটাই আপনাদের মাঝে শেয়ার করে নেব।অনুভূতি গুলো কেমন লেগেছে আমার,জানাতে কিন্তু ভুলবেন না।
আজ আর নয়।সবাই সুস্থ থাকবেন ভালো থাকবেন। আবার কোন নতুন ব্লগ নিয়ে হাজির হয়ে যাব।
ধন্যবাদ সবাইকে
পোস্ট বিবরন
শ্রেনি | লাইফ স্টাইল |
---|---|
প্রয়োজনীয় ডিভাইস | Samsung A 20 |
ফটোগ্রাফার | @shimulakter |
স্থান | ঢাকা |
আমার পরিচয়
আমি শিমুল আক্তার।আমি একজন বাংলাদেশী।আমি এম এস সি(জিওগ্রাফি) কমপ্লিট করি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে।আমি বিবাহিতা।আমি একজন গৃহিণী।আমি স্বাধীনচেতা একজন মানুষ।ভালোবাসি বই পড়তে,নানা রকমের রান্না করতে,ফটোগ্রাফি করতেও আমি ভীষণ পছন্দ করি।বাংলায় লিখতে আর বলতে পারার মধ্যে অনেক বেশী আনন্দ খুঁজে পাই।নিজের মধ্যে থাকা সৃজনশীলতাকে সব সময় প্রকাশ করতে পছন্দ করি।এই বাংলার মাটিতে জন্মগ্রহণ করেছি বলে নিজেকে অনেক ধন্য মনে করি।
এভাবে ঘরে বসে যদি খাবার অর্ডার করে পছন্দের খাবার নেওয়া যায় তাহলে বাইরে যাওয়ার কোন প্রয়োজন হয় না। তবে সব সময় চেষ্টা করতে হবে ভালো মানের খাবার আর সঠিক খাবার যেন পাওয়া যায়। কারণ অনলাইনে সব সময় সঠিক বা ভালো মানের জিনিস আসে না। যাই হোক আপনার অভিজ্ঞতাটা কিন্তু আমার কাছে বেশ ভালো লাগলো আর দারুন রেসিপি দেখে আরও বেশি ভালো লেগেছে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
যাই হোক স্বাস্থ্যকর না হলেও পড়াশোনায় মনোযোগ দেওয়ার জন্য বাইরের খাবারগুলো প্রয়োজন। তার পছন্দের খাবারগুলো খাওয়ানোর মাধ্যমে তাকে পড়াশোনায় মনোযোগী করেছেন। মেয়নিজ আমার কাছে তো খুবই ভালো লাগে। যাইহোক নাচোসটা নিশ্চয়ই অনেক সুস্বাদু ছিল খেতে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপু আসে কোলাকুলিটা সেরেই ফেলি। আমারও একই অবস্থা। মেয়ের পরীক্ষা চলছে। আমি সাধারণত পরীক্ষার আগে খুব একটা চাপ দিই না, সারাবছরই পড়িয়ে রাখি। কিন্তু এবছর নতুন স্কুল, নানান অ্যাডজাস্টমেন্টে আর সম্ভব হয়নি। তাও ২০ দিন আগে থেকে শুরু করেছি ভালো করে প্রিপেয়ার করানোর জন্য৷ কিন্তু সে কি পড়ছে? পরীক্ষা তো আমার। আমিই পড়ছি। 🤦♀️ আজ আবার আমায় বলছে, আমি ভালো রেজাল্ট করলে তো আমার কোন লাভ নেই। তোমার লাভ তুমি খুশি হবে৷ এবার বুঝুন কি হাল। একে তো খাবারের লোভ দেখিয়েও কোন লাভ হয় না। মাঝে মাঝে আমার কেমন যেন পাগল পাগল লাগে৷
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আমার কাছেও পড়ালেখা রেগুলার করে পরীক্ষা দিতে বেশ ভালো লাগতো। পরীক্ষার সময়টা আমার পছন্দের সময় ছিল। বাচ্চাকে কৌশলে কাবু করতে গিয়ে তো তার পছন্দের বাইরের খাবার অর্ডার করতে হলো আপু। আসলে মাঝে মাঝেই কিছু সমস্যা থেকে উত্তরণের জন্য অপছন্দের কিছু কাজ করতেই হয়।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
X-promotion
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
বাইরের খাবার স্বাস্থ্যের জন্য উপোকারী হোক বা না হোক, পড়াশুনার কৌশলের ক্ষেত্রে ভালো কাজ করে থাকে! 🤣 মাঝে মাঝে এমন কৌশল খাটিয়ে বাচ্চাদের কাজ করিয়ে নেয়া যায় এখন। তবে আপনার চিন্তাভাবনা ঠিক ই আছে- এসব বাহিরের খাবার কম দেয়াটাই ভালো। ব্যালেন্স রেখে দিতে হবে আর কি। শুভকামনা রইলো আপু।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
এখনকার বাচ্চারা বাহিরের খাবার আসলেই খুব পছন্দ করে। ছেলের জন্য শেষ পর্যন্ত নাচোস অর্ডার করতেই হলো। নাচোস খেয়ে যে ভালোভাবে পড়াশোনা করেছে,সেটাই বা কম কিসের হা হা হা। তবে বাহিরের খাবার গুলো কম খাওয়া উচিত। কিন্তু বাচ্চাদেরকে এটা বললে কিছুতেই বুঝতে চাইবে না। যাইহোক পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আমার মেয়েটাও পড়াশোনা করতেই চায় না।
তার মা জোর করে পড়তে নিয়ে বসে। তবে তার বাইরের খাবারের প্রতি এতো বেশি ঝোঁক নেই। বাসায় যদি চিকেন জাতীয় স্পাইসি কিছু হয় তাহলেই খুশি।
যাইহোক আপনার ছেলে নাচোস পেয়ে অন্তত পড়াটা মুখস্থ করেছে জেনে ভালো লাগলো।
ধন্যবাদ আপু পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
পছন্দের খাবার গুলো বাড়িতে নিয়ে আসলে আরো মজা করে খাওয়া যায়। আপনার ছেলের পছন্দের খাবার বাসায় অর্ডার করে নিয়ে ভালো করলেন। ভালোই একটা কাজ করছেন। এটার মাধ্যমে পড়াশোনায় মনোযোগী করছেন। বাচ্চাদের এক্সাম শেষ হলে একটু ভালো থাকা যায়।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আজ কালকার বাচ্চারা এমনই বাহিরের খাবারের প্রতি তাদের আগ্রহ। যা যতই অস্বাস্থ্যকর হোক না কেন। ঘরের খাবারের প্রতি তাদের আগ্রহ নেই বললেই চলে। তবুও বাহিরের খাবারের লোভ দেখিয়ে পড়াগুলোতো শেষ করিয়ে নিলেন। আসলেই বাহিরের খাবারের অনেক গুন।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit