আমার বাংলা ব্লগে সবাইকে স্বাগতম
বাংলাদেশ,ঢাকা থেকে
🌼 হ্যালো, আসসালামু আলাইকুম । সবাই কেমন আছেন ? আশাকরি সবাই ভালো আছেন।আমিও আল্লাহ্র অশেষ রহমতে অনেক বেশি ভাল আছি।
সমাপ্তি কি হবে ? |
---|
Canva দিয়ে বানানো
চলুন তবে আজকে ২য় পর্বের ভালোবাসার গল্পটি শুরু করি--
আবির ওয়াসরুম থেকে এসেই নিজের মোবাইল খুঁজতে লাগলো কিন্তু কোথাও পেলো না।ফারহানকে চিৎকার করে আবির ডাকতে লাগলো।ফারহান পাশের রুম থেকে হন্তদন্ত হয়ে ছুটে এসে বলল," কিরে ,কি হয়েছে ?" আবির বলল," আমার ফোন কোথায় ?" এখানেই তো ছিল। ফারহান বলল ," কি জানি কোথায় রেখেছিস দেখ। এই শুনে আবিরের মাথা গরম হয়ে গেলো,আবির বলল," তুইতো এখানে ছিলি।" দেখ আবির,"অফিস থেকে আমার কল এলো ,আমি কথা বলতে বলতে পাশের রুমে চলে গেলাম। আর তাছাড়া নীচ তলায় আমরা আছি জানালার পাশে রেখেছিস,কেউ হয়ত নিয়ে গেছে।"এই শুনে আবির জানালা দিয়ে বাইরে তাকিয়ে দেখে গেইট খোলা।আবির বুঝে গেলো মোবাইল জানালা দিয়ে চুরি হয়ে গেছে।আবির ফারহান কে বলল, " আমি আগে আমার সিমটা তুলে নিয়ে আসি",এই বলে আবির বেড়িয়ে গেলো।
ফারহান বসে বসে ভাবছিল,সে কি ভুল করল ? নিজেই আবার নিজেকে বোঝাল আবির তো মেয়েটিকে ভালোবাসেনা,তবে কোন ভুল হবে কেন ?এসব ভাবতে ভাবতেই আবিরের খাটের নিচ থেকে মোবাইলটা অন করে ঐন্দ্রিলার ফোন নাম্বারটা নিজের মোবাইলে সেভ করে আবার মোবাইলটা বন্ধ করে লুকিয়ে রাখল।ঘন্টা খানিক পর আবির এলো ছোট একটি মোবাইল ফোন নিয়ে,ফারহান কে বলল," চোর বেটা মোবাইল নিয়েই বন্ধ করে দিয়েছে ফোনটা।সিম তুললাম,মোবাইল কিনলাম এত ফোন দিচ্ছি,ফোনে ঢুকছেই না। এরপর আবির নোটবুক বের করে সব মেয়েদের নাম্বার ফোনে তুলে নিল।কিন্তু কোথাও ঐন্দ্রিলার নাম্বার খুঁজে পেলো না।দুই একদিনের আলাপ ছিল ঐন্দ্রিলার সাথে।তাই ফোন নাম্বার ফোনে ছিল,নোটবুকে আর তুলতে আবিরের মনেই ছিল না।আর এভাবে ফোন হাতছাড়া হয়ে যাবে কখনো ভাবেনিও। খুব কষ্টে আবির টেবিলে আঘাত করল খুব জোরে। ফারহানের খারাপ লাগল তাই সে নিজের রুমে চলে গেলো।
আবির আবার সেই আগের মত সব মেয়েদের সাথে কথা বলতে শুরু করল।কয়েক জনের সাথে দেখাও করেছে।কিন্তু এত সবের পরেও মন খারাপ করে ঐন্দ্রিলার জন্য। এদিকে ফারহান ঐন্দ্রিলার নাম্বার এ ফোন দিয়ে কথা বলে।ঐন্দ্রিলা ফারহানের কণ্ঠ শুনে বলে ",তোমার কণ্ঠ এমন লাগছে কেন ? আর এই নাম্বার কার ?" ফারহান প্রশ্ন শুনে বলে,কাল দেখা করো সব জানতে পারবে।আর আগের নাম্বার নয়,এই নাম্বার সেভ করে রাখো।"
পরের দিন শুক্রবার ছিল।ফারহান বাইরে বের হবে এমন সময় আবির বলে উঠল," কি রে কোথায় যাচ্ছিস? বন্ধের দিনেও তোর কাজ ?" উত্তরে ফারহান বলে ," অফিসের কাজে একটু বাইরে যেতে হচ্ছে,ঘন্টা খানেক পরেই আসছি,তুই বাসায় আছিস ? নাকি বের হবি ?" আবির বলে , " না ,কোথাও বের হব না,আমার কিছুই ভাল লাগছে না।" এ কথা শুনে ফারহান বাইরে চলে গেলো।
ফারহান আগে থেকেই তার পছন্দের একটি জায়গায় বসে ছিল।কিছু সময় পর একটি মেয়ে সেখানে এলো।ঐন্দ্রিলাকে তো আগে কখনো দেখেনি সে।আর ঐন্দ্রিলা ও আবিরকে কখনো দেখেনি,তাই কেউ কাউকে চিনতে পারছে না।এই মেয়েটিকে দেখে অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইলো ফারহান। এত সুন্দর তার মুখটা,ফারহান কিছুতেই চোখ ফিরাতে পারছিল না।মেয়েটিও আবিরকে কখনো না দেখাতে ওখানেই দাঁড়িয়ে বার বার ঘড়ি দেখছিল।তখন ফারহান ফোন দেয় ঐন্দ্রিলার নাম্বার এ।ঐন্দ্রিলা তাকিয়ে দেখে ওই ছেলেটি ই আবির।সামনে এগিয়ে যায় সে।ফারহান ও উঠে দাঁড়ায়।ফারহান নিজেকে আবির করে নিয়ে ঐন্দ্রিলার সাথে কথা বলতে থাকে।ঐন্দ্রিলা আবিরের কণ্ঠটা অন্যরকম লাগছে বলাতে,ফারহান বলে উঠে," মোবাইল আর বাস্তবের কণ্ঠ কিছুটা অন্যরকম হয়।আর আমার আগের সিম আমার গ্রামের এক ছোট ভাইকে দিয়েছি।নিজে তাই নতুন সিম নিয়েছি।এটাতে ই কল দিও।
এভাবেই তাদের কথা চলছিলো। আবির তো আগে কখনো ফোনে এত কথা বলতে ফারহান কে দেখেনি।তাই জানতে চায়,কি রে,প্রেমে পরেছিস নাকি ?" ফারহান বলে, " না রে ,অফিসে ঝামেলা হয়েছে,তাই ফোন।" এভাবেই ফারহান আর ঐন্দ্রিলার দিন সুন্দর কেটে যাচ্ছিলো।কিন্তু আবির কিছুতেই শান্তি পাচ্ছিল না।নিজের মনের কথা আগের মত ফারহান কেও বলতে পারছিল না।কারন ফারহান এখন নিজেই প্রেমে পরে,ঐন্দ্রিলাকে সময় দেয়া,নিজের অফিস এই নিয়েই ব্যস্ত হয়ে পরেছিল।এ সময়টাতে আবির খুব একা হয়ে যায়।কিছুদিন পর একদিন অফিস থেকে এসে ফারহান বলে ," আবির আমি বাসা অফিসের কাছাকাছি নিতে চাই।কারন আমার অফিস থেকে আসতে এখন বেশ রাত হয়ে যাবে।" এই শুনে আবির আর কিছু বলে না।ফারহান নিজের ঘরে চলে যায়।
এভাবেই দেখা,কথা,গল্প করতে করতে দুজন দুজনের মনের খুব কাছাকাছি এসে গেছে। ফারহান মাসের শেষে বাসা অফিসের কাছে নিয়ে চলে গেলো। অন্যদিকে আবির একেবারেই একা হয়ে গেলো।তার কথা বলার মত কেউ আর রইলো না।আবির কিছুতেই বুঝতে পারছে না,ঐন্দ্রিলার জন্য তার এমন লাগবে কেন ? সে তো অনেক মেয়ের সাথেই কথা বলে।কাউকে তো মনে জায়গা সে দেয়নি।তবে এখন কেন তার মনে কিছুদিনের আলাপের মেয়েটি এতটা মনে জায়গা করে নিয়েছে ? কেন আবির মনে একদমই শান্তি পাচ্ছে না ?
ভেবেছিলাম শেষ করতে পারব,কিন্তু বড় হয়ে যাবে তাই পরবর্তী পর্বের দিকে চোখ রাখুন। আশাকরি আমার ভালোবাসার দুষ্টু -মিষ্টি গল্পটি আপনাদের কাছে ভালো লেগেছে।ভাল লেগে থাকলে আমি পরবর্তী পর্বটি লেখার উৎসাহ পাব।আজ এ পর্যন্তই আবার কোন নতুন ব্লগ নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হব। সবাই সুস্থ থাকবেন ,ভালো থাকবেন।
ধন্যবাদ সবাইকে
🎀 আমার দ্বিতীয় বারের মত লেখা এই ভালোবাসার দুষ্টু মিষ্টি গল্পটি ২য় পর্ব পড়ার জন্য সবাইকে অনেক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।🎀
আমি শিমুল আক্তার।আমার ইউজার আইডি @shimulakter,আমি একজন বাঙালী।বাংলাদেশে জন্মগ্রহন করেছি বলে,অনেক বেশি গর্ববোধ করি।আমি একজন গৃহিনী।আমি পড়তে, লিখতে ও শুনতে ভালবাসি।নিজেকে সব জায়গাতে অ্যাক্টিভ রাখার চেষ্টা করি।সব সময় চেষ্টা করি আলাদা কিছু উপস্থাপন করতে। গতানুগতিক কোন কিছুতে আমাকে টানে না।অন্যের মতামতের মূল্যায়ন করার চেষ্টা করি।মানুষকে ভালোবাসি।তাই সব সময় চেষ্টা করি অন্যের উপকার হয় ,এমন কিছু করতে।বাংলাকে ভালোবেসে " আমার বাংলা ব্লগ " এর সাথে আজীবন থাকতে চাই।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
খুব দুর্দান্ত গল্প আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। ভালোবাসার দুষ্টু - মিষ্টি গল্পের আজকের পর্ব পড়ে খুব ভালো লাগলো। আবির খুব চঞ্চল ছেলে। আবিরের পরবর্তী ঘটনার জন্য অপেক্ষা রইলাম। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর গল্প শেয়ার করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
খুব ভালো গল্পটি লিখেছেন। পরবর্তী সম্পর্কের ঘনঘটা কোন দিকে গড়ায় সেটা অবশ্যই দেখার। এ ধরনের প্রেমের গল্প গুলো সবসময়ই আশা রাখি মিলনের দিকে এগোবে। বিরহ মোটেই ভালো লাগেনা। বিরহে বুক কেঁপে ওঠে।কান্না পায়। পরবর্তী অপেক্ষায় রইলাম।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
অনেক অনেক ধন্যবাদ দিদি। অবশ্যই পরবর্তী পর্ব খুব শীঘ্রই লিখব।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
গল্পটি অনেক সুন্দর ছিল।তবে আমার ফারহানের উপর রাগ লাগছে।সে বন্ধুর সাথে বেইমানি করেছে।এমন বন্ধুর থেকে শত্রুও ভাল।যদিও আমি আগের পর্ব পড়ি নি। কিন্তু তারপরেও সে কাজ টি ঠিক করে নি। সুন্দর গল্পটি শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপু।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
প্রথম পর্ব পড়লে বুঝতে পারতেন। আসলে আবির কে যেমন ভাবছেন, সে তেমন নয়।যাই হোক মন্তব্য পেয়ে ভাল লাগলো। অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপনার "ভালোবাসার দুষ্টু মিষ্টি গল্প"আমার কাছে ভীষণ ভালো লেগেছে।গল্প পড়তে আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগে কারণ গল্পের মাধ্যমে অনেক কিছুই তুলে ধরা যায়। আমার মনে হয় আবির এবং ফারহানের বন্ধুত্ব ভেঙে যাবে। কারণ যেভাবে তাদের মধ্যে দূরত্ব তৈরি হচ্ছে। ফারহান এবং ঐন্দ্রিলার মধ্যে ভালোবাসা তৈরি হয়ে যাবে। অন্যদিকে আবির মনে মনে ঐন্দ্রিলা কে অনেক ভালবেসে ফেলেছে তা সে নিজেও জানে না। পরবর্তী পর্ব দেখার অপেক্ষায় থাকবো। আশা করছি খুবই তাড়াতাড়ি পরবর্তী পর্ব নিয়ে সবার মাঝে উপস্থিত হবেন। ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
সুন্দর মন্তব্য করার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপু। খুব শীঘ্রই পরের বা শেষ পর্বটি শেয়ার করব।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ফারহান তো দেখছি আবির বলে ঐন্দ্রিলার সাথে কথা বলছে। একসাথে দুই বন্ধু একই জনকে ভালোবেসে ফেলেছে। শেষে যখন তারা দুইজন সবকিছু ক্লিয়ার ভাবে শুনবে তখন কি হবে আমি শুধু তা ভাবছি। আমার মনে হচ্ছে পরবর্তী পর্বগুলো আরো বেশি জমজমাট হবে। এখনতো ফারহান বাসা চেঞ্জ করার জন্য বলছে। হয়তো ফারহান আবিরের থেকে আস্তে আস্তে দূরে সরে যাবে। যার ফলে তাদের বন্ধুত্ব আর থাকবে না এবং ভেঙে যাবে। আশা করছি পরবর্তী পর্ব খুবই সুন্দর ভাবে লিখবেন সবার মাঝে শেয়ার করবেন ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া। খুব শীঘ্রই শেষ পর্ব নিয়ে হাজির হব।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit