হ্যালো বন্ধুরা,

মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি আমার প্রিয়"আমার বাংলা ব্লগ"এর ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগন,কেমন আছেন সবাই?আশা করি সবাই ভাল আছেন।আমিও আলহামদুলিল্লাহ্‌ আল্লাহ্‌র অশেষ রহমতে বেশ ভাল আছি।

আমি @shimulakter,"আমার বাংলা ব্লগ"এর আমি একজন নিয়মিত ইউজার।আমি ঢাকা থেকে আপনাদের মাঝে যুক্ত আছি।আমি প্রতিনিয়ত নতুন নতুন বিষয় নিয়ে ব্লগ শেয়ার করে থাকি।আমি বিশ্বাস করি আমার ব্লগ আপনাদের কাছে ভালো লাগে।আমি আমার প্রতিদিনের নানা রকম কর্মকান্ড থেকে কিছু কিছু বিষয় আপনাদের মাঝে শেয়ার করে থাকি।আজ ও এসেছি এমন একটি বিষয় আপনাদের মাঝে তুলে ধরতে।আশাকরি সঙ্গেই থাকবেন।

অনেক দিন পর বাবার বাসায় সবাই মিলে গেট টুগেদারঃ

বন্ধুরা,দেশের পরিস্থিতি কেমন তা আমরা সবাই জানি।এ অবস্থায় ঘর বন্দি হয়ে আছি বেশ অনেক দিন।কারো সাথে একসাথে দুটো মনের কথা বলা যেনো হচ্ছিল না। প্রতিদিনই ভাই,বোন,আম্মু-আব্বুর সাথে কথা হচ্ছে ফোনে কিন্তু তৃপ্তি নিয়ে কথা বলা তা যেনো হচ্ছিল না।মানসিক ভাবে ভীষণ বিপর্যস্ত হয়ে গিয়েছিলাম।এবার ঈদে ও সবাই এক হতে পারিনি দেবরের বিয়ের জন্য। তাই আব্বু বার বার বলছিল বাসায় আসার জন্য।এরপর ছোট বোন আর আমাকে আজকে আসতে বলল বাসায়।আমি সকাল থেকেই দেখছি বৃষ্টি।৬ টা না বাজতেই আম্মুর কল আমি উঠেছি কিনা।আম্মু আর আব্বু আমাকে বার বার বলছিল খুব সকালে যেনো আমি চলে আসি।তবে রাস্তা ফাঁকা পাবো।সত্যি ই তাই রাস্তা একদম ফাঁকা। আমি বাসা থেকে ৭.৩০ টায় রওনা দেই। ধানমন্ডি থেকে ওয়ারী আমি ৮ টায় চলে এলাম।এই প্রথম আমি আমার বোনের আগে বাসায় পৌঁছাতে পেরেছি।সব সময় ছোট বোনই আগে চলে আসে।আমি সব সময় লেট করি যদিও তা আমার জন্য না।আমি সব সময়ের জন্য একজন অ্যাক্টিভ মানুষ।

বাসায় এসে বারান্দায় ফুল গাছ দেখে দেখলাম বৃষ্টিতে নয়নতারা ফুলটি পরে রয়েছে।আমি কিছু ফটোগ্রাফি করে নিলাম।আমি এসেই পোস্ট লিখতে শুরু করলাম।কারন সবাই চলে এলে তখন গল্প করতে করতেই সময় কেটে যাবে।অনেক দিনের জমানো গল্প।আমি সবার জন্য নিজের হাতে বানানো কিছু খাবার নিয়ে এসেছি।আপনারা সবাই জেনে থাকবেন আমি বাইরের খাবারের চেয়ে বাসায় তৈরি করা খাবার বেশী পছন্দ করি।তাইতো সবার পছন্দের খাবার আমি নিজের হাতে তৈরি করে এনেছি।আমি আপনাদের মাঝে আমার বানানো কিছু খাবারের ফটোগ্রাফি শেয়ার করছি।

আমি সেদিন আব্বুর জন্য পুডিং ও জর্দ্দা করে দিয়েছিলাম।আব্বু খুব ভালো খেয়েছিল।কাল ফোনে জানতে চেয়েছিলাম আব্বু কি খাবে?আম্মু বলেছিল জর্দ্দা ভালো খেয়েছিল।তাই ভাবলাম আবার করে নিয়ে যাই।আজ সবাই মিলে খাবে তাই ডিমের পুডিং,জর্দ্দা,সুজির হালুয়া নিজের হাতে তৈরি করে নিয়ে এসেছি।দোকান থেকে বেকারি আইটেম, ফল ও আইসক্রিম এনেছি বাচ্চাদের জন্য।

অনেক দিন পর সবাই একসাথে ভীষন আনন্দ করবো আশাকরি।আপনাদের মাঝে শেয়ার করবো আমার কাটানো মূহুর্ত গুলো।পরিবারের সাথে সময় কাটাতে আমার অনেক বেশি ভালো লাগে।আমরা গল্প করতে বসলে কখন যে রাত ভোর হয়ে যায় তার কোন শেষ নেই।আশাকরি আমার মতো আপনারাও পরিবারের সবার সাথে সুন্দর মূহুর্ত কাটাতে পছন্দ করেন।এখানেই ইতি টানছি।

আজ আর নয়।আশাকরি আমার অনুভূতি গুলো আপনাদের কাছে ভালো লেগেছে।সবাই সুস্থ থাকবেন,ভালো থাকবেন।আবার কোন নতুন ব্লগ নিয়ে হাজির হয়ে যাব।

ধন্যবাদ সবাইকে

@shimulakter

পোস্ট বিবরন

শ্রেনি	লাইফ স্টাইল
প্রয়োজনীয় ডিভাইস	Samsung A 20
ফটোগ্রাফার	@shimulakter
স্থান	ওয়ারী,ঢাকা

আমার পরিচয়

আমি শিমুল আক্তার।আমি একজন বাংলাদেশী।আমি এম এস সি(জিওগ্রাফি) কমপ্লিট করি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে।আমি বিবাহিতা।আমি একজন গৃহিণী।আমি স্বাধীনচেতা একজন মানুষ।ভালোবাসি বই পড়তে,নানা রকমের রান্না করতে,ফটোগ্রাফি করতেও আমি ভীষণ পছন্দ করি।বাংলায় লিখতে আর বলতে পারার মধ্যে অনেক বেশী আনন্দ খুঁজে পাই।নিজের মধ্যে থাকা সৃজনশীলতাকে সব সময় প্রকাশ করতে পছন্দ করি।এই বাংলার মাটিতে জন্মগ্রহণ করেছি বলে নিজেকে অনেক ধন্য মনে করি।