হ্যালো বন্ধুরা,
মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি আমার প্রিয়"আমার বাংলা ব্লগ"এর ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগন,কেমন আছেন সবাই?আশা করি সবাই ভাল আছেন।আমিও আলহামদুলিল্লাহ্ আল্লাহ্র অশেষ রহমতে বেশ ভাল আছি।
আমি @shimulakter,"আমার বাংলা ব্লগ"এর আমি একজন নিয়মিত ইউজার।আমি ঢাকা থেকে আপনাদের মাঝে যুক্ত আছি।আমি প্রতিনিয়ত নতুন নতুন বিষয় নিয়ে ব্লগ শেয়ার করে থাকি।আমি বিশ্বাস করি আমার ব্লগ আপনাদের কাছে ভালো লাগে।আমি আমার প্রতিদিনের নানা রকম কর্মকান্ড থেকে কিছু কিছু বিষয় আপনাদের মাঝে শেয়ার করে থাকি।আজ ও এসেছি এমন একটি বিষয় আপনাদের মাঝে তুলে ধরতে।আশাকরি সঙ্গেই থাকবেন।
ছেলের কান্ডঃ
বন্ধুরা,আবার আজ হাজির হয়ে গেলাম নতুন একটি ব্লগ নিয়ে। আজকের ব্লগটি মূলত লাইফ স্টাইল ব্লগ।সবাইকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করলাম।আশাকরি আজকের ব্লগটি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।আজকের ব্লগের টাইটেল পড়ে সবাই হয়তো কিছুটা আন্দাজ করে নিয়েছেন মূলত কি লিখব আজকের বিষয়টি নিয়ে।আর যদি না বুঝে থাকেন তবে ব্লগটি সম্পুর্ন পড়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।চলুন বন্ধুরা তবে শুরু করি --
শ্বশুরবাড়িতে আসার পর বিয়ের দাওয়াত ছাড়া ও অনেক আত্মীয়ের বাসায় দাওয়াতে যেতে হয়েছে।এইতো গত সপ্তাহে দাওয়াত ছিলো চাচা শ্বশুরের বাসায়।চাচা শ্বশুর আগে দাওয়াত করলেও চাচাকে বলেছিলাম আমার ছেলে আসার পরে যাব।তাই দাওয়াত এক সপ্তাহ পরে নিয়েছিলাম।ছেলেকে বিয়ের দাওয়াতে যুক্ত থাকার জন্য ঢাকা থেকে ওর পাপা গিয়ে নিয়ে আসে।বিয়েটা ছিল চাচাতো ভাসুরের মেয়ের।যাই হোক এরপর আমরা বিয়ের দাওয়াত শেষ করে একদিন পরে চাচা শ্বশুরকে বলি পরেরদিন যাব।এটা আমার শ্বশুরের বড় ভাইয়ের ছেলে।তাই তিনি সম্পর্কে আমার বড় চাচা শ্বশুর।
তাদের বাড়ি ঝালকাঠি শহরের মধ্যে ই।আমার শ্বশুরের বাসা থেকে খুব কাছেই। আমরা রিকশায় করে ৫ মিনিট ও লাগেনি পৌছে গেলাম।তার বাড়ির সামান্য কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করে নিলাম বন্ধুরা।আমার হাসবেন্ডের জন্য ফটোগ্রাফি আমি আর করতে পারিনি।আমার ফটোগ্রাফি করা দেখে সে খুব বিরক্ত প্রকাশ করছিলো।তাইতো ঘরের কিছু ফটোগ্রাফি ছাড়া আমার চাচী শ্বাশুড়ি এতো এতো আইটেম রান্না করেছেন তার কিছুই আমি তুলতে পারিনি।ফটোগ্রাফি না করতে দেয়ার কারন তারা খুব পরহেজগার মানুষ।তাই কোন ফটোগ্রাফি তার জন্য তুলতে পারিনি।আমি কি করে আমার হাসবেন্ডকে বোঝাই মানুষের ফটোগ্রাফি তো আমি করবো না।কিন্তু কে শোনে কার কথা।আমিতো নাছোরবান্দা ফটোগ্রাফিতে।তাই খাবারের ফটোগ্রাফি না করতে পারলেও বাড়ির ফটোগ্রাফি কিন্তু ঠিকই করে নিয়েছিলাম।আমরা বাসায় পৌছে অনেক গল্প করেছিলাম।কিন্তু চাচী শ্বাশুড়ি,মেয়েরা তখন সামনে আসেনি।পরে খাবার টেবিলে সামান্য দেখা দিয়ে কুশল বিনিময় করে চলে গিয়েছিল।আমি খাওয়া-দাওয়ার পরে ওদের সাথে বসে অনেক গল্প করছিলাম।
আসলে আমার চাচা শ্বশুরের পরিবার খুব ধার্মিক।তাই তিনি তার দুই মেয়েকে কোথাও নিয়েও তেমন যায়না।কিন্তু ওরা যেতে চায়।তাই আমাকে বলল ওরা কক্সবাজার যেতে চায়।কিন্তু চাচা ওদের নেয় না।আমরা যাতে ওদের নিয়ে প্রোগ্রাম করি কক্সবাজার যাওয়ার।তবেই হয়তো যাওয়া হবে ওদের।আমি ওদের বললাম আগে বান্দরবান যাই চলো।ওরা তাতেই রাজি।এমন একটা অবস্থা এক জায়গায় ঘুরতে গেলেই হলো। বড় মেয়ে মাস্টার্স দিবে এবার।আর ছোট মেয়ে অনার্স সেকেন্ড ইয়ারে পড়ছে।
এইবার আসল কথায় আসি।বিকেল হওয়ার আগেই ছেলে সাইকেল চালাবে বলে নীচে নেমে গেলো।চাচা শ্বশুর একটা সাইকেল ম্যানেজ করে দিল।তার ছোট ভাই আমার ছোট চাচা শ্বশুরের ছেলের।তারা নীচ তালায়ই থাকেন।এরপর আমরা এদিকে গল্প করছিলাম দোতালায় বসে।আর বাড়ির ভেতরে এতো জায়গা পেয়ে ছেলে একাই নীচে সাইকেল চালাচ্ছিল।
বেশ কিছু সময় সাইকেল চালানোর পর ছেলে সাইকেল নীচে রেখে উপরে চলে এলো।ছেলে যখন উপরে আসে আমি ওর হাতে এতোগুলো মরিচ দেখে অবাক হয়ে বললাম কি করেছ তুমি?কোথায় পেয়েছ মরিচ?তখন ছেলে বলল,নীচে গেটের পাশে ছোট একটা গাছে অনেক মরিচ দেখে ও ছিঁড়ে নিয়ে এসেছে।কি একটা অবস্থা বলেন।আমি যখন রাগ করছিলাম তখন ছেলে বলছিলো,গাছের সব মরিচ তো ছিঁড়ে আনিনি।আরো অনেক আছে।এবার বোঝেন কি একটা অবস্থা।আমার চাচা শ্বশুর দেখে বলছিলো ছেলেকে তুমি সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে আসো।আর টিস্যুর মধ্যে মরিচ গুলো নিয়ে নাও।ছোট মানুষ বকা ঝকা করো না আমাকে বলছিলো।এই গাছে অনেক মরিচ হয়।আবার এলে নিতে পারবে।মরিচ গুলো খুব ভালো।
বাসায় আসার পর মরিচ গুলো খেয়ে দেখি যেমন ঘ্রান মরিচের তেমনি ঝাল।ঘ্রান আর ঝাল এই দুটো একসাথে কোন মরিচের মধ্যে কম ই পাওয়া যায়।মরিচ গাছটি ভালো জাতের।আমার চাচা শ্বশুরের বাড়িতে অনেক জায়গা।তিনি অনেক গাছ ও লাগিয়েছেন।নিজের গাছের ফল,সবজি খাওয়ার মধ্যে আনন্দ ও আছে।এ ধরনের কাজগুলো খুব ভালো লাগে আমার। কিন্তু ছেলের এমন কান্ডতে আমার মোটেও ভালো লাগেনি।ওর এ ধরনের কাজের জন্য আমি ঢাকায় গাছ লাগাতেও পারিনা।গাছ ও ছিঁড়ে ফেলতো যখন ছোট ছিল।আর এখন বড় হয়ে গিয়েও এমন একটি কান্ড করলো। যাক অনুভূতি গুলো আপনাদের মাঝে শেয়ার করে নিলাম।আশাকরি আমার অনুভূতি গুলো আপনাদের মাঝে ভালো লাগবে।
আজ আর নয়।সবাই সুস্থ থাকবেন,ভালো থাকবেন।আবার দেখা হবে অন্য কোন ব্লগে।
ধন্যবাদ সবাইকে
পোস্ট বিবরন
শ্রেনি | লাইফ স্টাইল |
---|---|
প্রয়োজনীয় ডিভাইস | Samsung A 20,50 |
ফটোগ্রাফার | @shimulakter |
স্থান | ঝালকাঠি |
আমার পরিচয়
আমি শিমুল আক্তার।আমি একজন বাংলাদেশী।আমি এম এস সি(জিওগ্রাফি) কমপ্লিট করি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে।আমি বিবাহিতা।আমি একজন গৃহিণী।আমি স্বাধীনচেতা একজন মানুষ।ভালোবাসি বই পড়তে,নানা রকমের রান্না করতে,ফটোগ্রাফি করতেও আমি ভীষণ পছন্দ করি।বাংলায় লিখতে আর বলতে পারার মধ্যে অনেক বেশী আনন্দ খুঁজে পাই।নিজের মধ্যে থাকা সৃজনশীলতাকে সব সময় প্রকাশ করতে পছন্দ করি।এই বাংলার মাটিতে জন্মগ্রহণ করেছি বলে নিজেকে অনেক ধন্য মনে করি।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
X-promotion
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
এই মরিচ গুলোতে যেমন ঘ্রাণ বেশি তেমন ঝাল ও বেশি। কোন কিছুর সাথে এই মরিচ গুলো দিলে ফ্লেভারটা বেশ ভালো আসে। আপনার ছেলের কাণ্ড দেখে বেশ মজা পেলাম। যাইহোক, শশুরবাড়ি তে যাওয়ার পর থেকেই তাহলে দাওয়াতের উপরে আছেন। অন্য ফটোগ্রাফি করতে না পারলেও বাড়ির ফটোগ্রাফি করেছেন। তাদের বাড়িটা খুব সুন্দর। আর আপনাদের বান্দরবানে যাওয়ার প্ল্যান শুনেও ভালো লাগলো।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
সুন্দর মন্তব্য শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপু।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপনার ছেলের মত ওই ধরনের কান্ড আমি এখনো করে থাকি। বাড়িতে গেলে গাছে ভালো কিছু দেখলে বা ফলমূল হলে খাব তো বটেই। সাথে নিয়েও আসি। অনেক ক্ষেত্রে এমন হয়েছে গাছের চারা পর্যন্ত নিয়ে এসেছি। এই ছেলে মানুষ এগুলো টিকে আছে বলে জীবন আজ উজ্জ্বল। খুবই ভালো লাগলো আপনার ছেলের কান্ড পড়ে। সাথে হাসলামও।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ও তাই বুঝি।গাছের কিছু ছিঁড়ে আনলে আমার খুব খারাপ লাগে।ধন্যবাদ দিদি মন্তব্য শেয়ার করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
কোথাও গেলে সবার বাড়িতে নিমন্ত্রণ খেতে খেতে অবস্থা খারাপ হয়ে যায়।আপনার ছেলের জন্য নিমন্ত্রণ পিছিয়ে নিয়েছেন জেনে ভালো লাগলো।আসলে সন্তান দূরে থাকলে যে কোন কিছু করতে গেলেই মনে হয় আসলে করবো সেরকম দাওয়াত পিছিয়ে নিয়েছেন। ছোট বাচ্চাদের কাজেই এইরকম কারণ তাদের তো ভালো মন্দ বোঝার ক্ষমতা নেই তাই তাদের কর্মকাণ্ড খারাপ লাগলেও করার কিচ্ছু নেই।বড়ো হলে আপনাআপনি ঠিক হয়ে যায়।ধন্যবাদ পোস্ট টি ভাগ করে নেয়ার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ছোট মানুষ বুঝতে পারে নাই। সাইকেল চালাতে গিয়ে দেখে পেরে নিয়ে এসেছে। মরিচ গুলো দেখে ভালোই লাগছে। গাছে মরিচ বেশি ছিল বলেই এনেছে, তার কথায় যুক্তি আছে,হা হা হা।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit