আসসালামু আলাইকুম
কেমন আছেন সবাই ? আশাকরি আল্লাহর অশেষ রহমতে আপনারা সবাই ভালো আছেন।আমিও আল্লাহ্র রহমতের ছায়ায় বেশ ভালো আছি।আমি @shimulakter, আমি একজন বাংলাদেশী।" আমার বাংলা ব্লগ " এর আমি একজন অ্যাক্টিভ ও নিয়মিত ইউজার। প্রতিদিনের মত আমি আজও নতুন একটি ব্লগ নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি।বাংলায় ব্লগিং করতে পেরে,নিজের মধ্যে অনেক ভাল লাগা আমি অনুভব করি।আশাকরি আমার ব্লগ আপনাদের কাছে ভালো লাগে। ভালো লেগে থাকলেই আমার সার্থকতা।
Canva দিয়ে বানানো
অতিষ্ঠঃ
বন্ধুরা, অতিষ্ঠ নিয়ে আপনারা খুবই বিচলিত বোধ করছেন তাই না ? আমি কি নিয়ে এত অতিষ্ঠ ? এটা জানতে খুব আগ্রহ হচ্ছে তাইতো ? বিচলিত বা আগ্রহের অবসান আমি কিছু সময়ের মধ্যে আপনাদের কমাব। তবে এজন্য কিন্তু ব্লগটি পড়তে হবে। আসলে জীবন একই ভাবে যায় না। কখনও আনন্দে,কখন ও বা কষ্টে জীবন কাটে মানুষের।আনন্দ আছে বলেই কষ্টকে আমরা কষ্ট হিসেবে অনুভব করি। আবার আনন্দ আছে বলেই কিন্তু আমরা কষ্টকে ভুলে গিয়ে আনন্দে থাকি।জীবন বড়ই বৈচিত্র্যময়। এই জীবনকে আরও বৈচিত্র্যময় করে তুলতে আমাদের জীবনে মাঝে মাঝেই অনেক ঘটনার জন্ম নেয়।তা হয় কখনো সুখের,আবার কখনো বা কষ্টের। এই কষ্টের অনুভূতি খুব বেশি হয়ে গেলেই আমরা অতিষ্ঠ হয়ে পরি। আজ সেই অতিষ্ঠ হওয়ার গল্পটি ই আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে চলে এলাম।
বেশ কিছুদিন ধরে ঘরে একটা বাচ্চা ইঁদুরের খুব বেশি লাফালাফি অনুভব করছিলাম। এই ইঁদুরটা কোথা থেকে এলো তা খুব চিন্তার বিষয়। আমার বাসায় তো কোন ইঁদুর নেই। আমি খুব চিন্তিত হয়ে গেলাম। চিন্তিত হলে তো হবে না,ইঁদুরটাকে তাড়াতে হবে বাসা থেকে। ইঁদুরটা এত বেশি অতিষ্ঠ করে ফেলেছিল যা বলার মত নয়। এমনিতে তো সারাদিন লাফালাফি করেই,তার উপরে জানালার পর্দাগুলো বড় বড় সেই পর্দা বেয়ে বেয়ে একদিন খাটে উঠে গেলো। সেদিন থেকে আমার অতিষ্ঠের মাত্রা চরমে উঠে গেলো। তার পর্দা বেয়ে উঠা দেখে আমার ছোটবেলা দেখা সেই টারজানের কথা মনে পরে গেলো। এখন বুঝতে পারছেন তো আমার অতিষ্ঠ হওয়ার কারন ?
পরেরদিন দোকান থেকে ইঁদুর মারার ঔষধ আনা হয়।আমাকে কাজে সাহায্য করে যে খালা তাকে ঔষধ কিছু জায়গায় ছিটিয়ে রাখতে বললাম। সে কিছু জায়গায় দিয়ে রাখলো। কিন্তু কই ইঁদুর মরার নামও নেই। অতিষ্ঠের পরিমান যেন আরও বেড়ে গেলো। ভাবলাম বুঝি ঔষধে ভেজাল। আজকাল তো কোন জিনিস আসল নয়,তাই ভাবছিলাম অন্য ঔষধ আনতে হবে হয়ত। নয়ত এত ছোট একটা ইঁদুর মরবে না কেন ?
ফটোগ্রাফির জন্য ব্যবহৃত ডিভাইস - SamsungA20
ফটোগ্রাফার - @shimulakter
স্থান -ঢাকা
আমার ব্লগ যারা পড়েন তারা আমার ছেলেকে দেখেছেন। পরের দিন ছেলেকে নিয়ে স্কুলে যাই। ফেরার পথে বলছে আমায়, " মামনি আমি পপকর্ন খাবো" আমি বললাম ঠিক আছে।দোকানে গিয়ে পপকর্ন চাইতে ছেলে বলে উঠল কালারিং পপকর্ন খাবে। আমি রঙের খাবার দেইনা কখনো। কিন্তু সেদিন সে ওটাই নেবে। দিলাম কিনে। বাসায় এসে খেয়ে কিছু পপকর্ন রেখে দিলো। কিন্তু তখনো আমি বুঝিনি ও কি করতে যাচ্ছে ?আমি দুপুরের রান্না করছিলাম। ছেলে আমার প্লাস্টিকের একটা বক্সকে একপাশে ছুরি দিয়ে কেটে ছোট ঘরের মত করেছে। আর সেই পপকর্ন কিছু নিয়ে তার মধ্যে ঔষধ মিশিয়ে বক্সটাকে রুমের এক কোনায় রেখে দিয়েছে। আমি দেখে কিছু সময় রাগ করলাম। বললাম,এই ছুরি দিয়ে তোমার হাত কেটে যেতে পারতো। আমাকে না বলে তুমি এতসব করলে। তখন ছেলে বলল, নানার বাসায় ইঁদুর মারার এমন কিছু একটা সে দেখেছে।আমি বললাম,খালা মুরুব্বি মানুষ সে কি সুন্দর করে ইঁদুরের ঔষধ দিলো ইঁদুর মরেনি,আর তুমি প্ল্যাস্টিকের বক্স কেটে ইঁদুর মারবে ? এই ছোট ইঁদুর খুব চালাক,তুমি ভেবে বসে থেকো না ইঁদুর তোমার ফাঁদ করে বক্স রেখেছো তাতে গিয়ে মরবে।
ফটোগ্রাফির জন্য ব্যবহৃত ডিভাইস - SamsungA20
ফটোগ্রাফার - @shimulakter
স্থান -ঢাকা
পরেরদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখি,এমা,ইঁদুরটা বক্স থেকে পপকর্ন খেয়ে পাশেই মরে পরে আছে। মনে স্বস্তি এলেও,ইঁদুরটাকে এভাবে পরে থাকতে দেখে কিছুটা খারাপও লাগলো। এই হচ্ছে আমার অতিষ্ঠ থেকে স্বস্তি পাওয়ার গল্প।কেমন লাগলো আমার স্বস্তি ফিরে পাওয়া গল্পটি ? জানাতে কিন্তু ভুলবেন না। আশাকরি সাথেই থাকবেন। এমন অনেক ভিন্ন ভিন্ন ব্লগ নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হব।সেই পর্যন্ত সবাই সুস্থ থাকবেন,ভালো থাকবেন।
ধন্যবাদ সবাইকে
আমি শিমুল আক্তার। আমার ইউজার আইডি @shimulakter আমি একজন বাঙালি।বাংলায় লিখতে ও পড়তে পেরে অনেক বেশি ভাল লাগা কাজ করে আমার মধ্যে।গতানুগতিক কোন কাজ ই আমায় টানে না।সব সময় চেষ্টা করি নতুন কিছু করতে।বাংলাকে ভালবেসে "আমার বাংলা ব্লগ" এর সাথে আছি,থাকব আজীবন। অন্যের মতামতের মূল্যায়ন করি।মানুষকে ভালোবাসি,তাই চেষ্টা করি মানুষের উপকার হয় এমন কাজ করতে।
আপু আপনার গল্পটা পগে হাসবো , নাকি কাদঁবো তাই ভাবছি কিছুক্ষণ বসে বসে। অবশেষে আপনার ছেলের চিকন বুদ্ধি দেখে একটু খিল খিল করে হাসলাম। তবে শেষ পর্যন্ত যে ইঁদুর বেচারা ধরা দিয়েছে এ ও কম কিসে?
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
হে সেটাই। 😃
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
অবশেষে আপনার ছেলের মাধ্যমে আপনার অতিষ্ঠের অবসান হলো। আপনার ছেলের বুদ্ধির প্রশংসা করতে হয়। ইঁদুরের যন্ত্রনায় আগের বাসাটা চেইন্জ করেছি। যাক তাহলে আপনার ছেলের বুদ্ধিটা কাজে লাগছে তাকে আরেক প্যাকেট পপকর্ন কিনে দিয়েন। বেচারা ছোট মানুষ ,হি হি হি। ধন্যবাদ আপু।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
হে সেটাই করতে হবে। হিহিহি।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit