দারাজ থেকে ফুটবল কেনার গল্প | | [ ১০% লাজুক খ্যাঁকের জন্য ]

in hive-129948 •  2 years ago 

আসসালামু আলাইকুম


হ্যালো,কেমন আছেন সবাই? আশা করি ভাল আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় ও আল্লাহ্‌র অশেষ রহমতে বেশ ভাল আছি।



আমি @shimulakter, আমি একজন বাংলাদেশী।" আমার বাংলা ব্লগ " এর আমি একজন নিয়মিত ইউজার। প্রতিদিনের মত আমি আজও নতুন একটি ব্লগ নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি।বাংলায় ব্লগিং করতে পেরে,নিজের মধ্যে অনেক ভাল লাগা আমি অনুভব করি।

WhatsApp Image 2023-02-04 at 10.16.48 PM.jpeg

SamsungA20

4i88GgaV8qiFU89taP2MgKXzwntUGAvkoQiKU7VxyD37q94i8e38qvF9HBknYTWLbKs3wg1cbtfZvU44CUYbBqLEEX6YDgQznQURMvBExn7FCAPjAUKLwJ1kpe.png

দারাজ থেকে ফুটবল কেনার গল্পঃ



অনলাইন শপিং বর্তমানে খুব বেশি জনপ্রিয়তা পেয়েছে। যদিও এই জনপ্রিয়তা একদিনে হয়নি। প্রথম দিকে অনলাইন শপিং আমাদের দেশে তেমন নির্ভরযোগ্য ছিল না।কিন্তু বর্তমান প্রেক্ষাপটে এই চিত্র অনেকটাই পরিবর্তন হয়েছে। করোনা কে কেন্দ্র করে এখন অনেকেই অনলাইনমুখী হয়ে গেছে।কারন সময় এবং দাম দুটোই এখন সাধ্যের মধ্যে।তেমন ই একটি অনলাইন প্রতিষ্ঠান হচ্ছে দারাজ। আগে আমি অনলাইন থেকে কেনাকাটার কথা ভাবতেই পারতাম না। কিন্তু এখন অনলাইন থেকেই কেনাকাটা করতে বেশী ভালো লাগে। ভিড় ঠেলে মার্কেটে যাওয়ার চাইতে মোবাইলে টুক করে অর্ডার প্লেস করতে অনেক বেশি ভালো লাগে আমার। সেই অনুভূতি নিয়েই আমার আজকের এই ব্লগটি লেখা।

WhatsApp Image 2023-02-04 at 10.17.12 PM.jpeg

SamsungA20

দারাজ থেকে বেশকিছু কেনাকাটাই আমার করা হয়েছে। তেমন কোন খারাপ অভিজ্ঞতা আমার এখনো হয়নি। সত্যি কথা বলতে বিশ্বকাপ ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে ছেলে বল কেনার জন্য খুব বেশি বিরক্ত করছিল। ওর একাডেমী বইগুলো আমার নীলক্ষেত থেকে ই আনতে হয়।তাই সেখান থেকে বই আনার সময় ওকে ১০০০ হাজার টাকা দিয়ে একটি ফুটবল কিনে দিয়েছিলাম।বাসায় ওর সাথে ফুটবল খেলবে এমন কেউ নেই। তাই ছেলে বল স্কুলে নিয়ে গিয়ে খেলতো। আপনারা দেখেছেন অনেকেই হয়ত ওর স্কুলে অনেক বড় মাঠ আছে।তাই ওকে বলেছি বাসায় না খেলতে।কারন ও খেলতে গেলে আমাকেও নীচে গিয়ে ওর জন্য দাঁড়িয়ে থাকতে হবে। নীচে গিয়ে না ফুটবল খেললেও রুমে একা একাই খেলা প্র্যাকটিস করতো ছেলে।

WhatsApp Image 2023-02-04 at 10.18.08 PM.jpeg

SamsungA20

আপনারা অনেকেই জানেন আমার ভাই আমার বাসায় এসেছিল কিছুদিন আগে। ভাইয়ের ছেলে আমার ছেলের চাইতে কিছুটা বড়। ওরা দুজন নীচে গিয়ে খেলবে বায়না ধরল। আমি নিষেধ করেছিলাম। যাই হোক দুজন নীচে খেলতে গেলো।আমি টেনশনে বার বার বারান্দা দিয়ে দেখছিলাম ওরা ঠিকঠাক আছে কিনা। কিছুক্ষন পর চলে আসতে বলেছি কিন্তু কেউ আসেনা। আর আমিও বার বার বারান্দায় দাঁড়িয়ে দেখছিলাম। হঠাৎ কিছুক্ষন পর উপরে মুখ কালো করে এসে বলল," মামনি বল ড্রেনে পরে গেছে।" প্রায় সন্ধ্যা হয়ে গিয়েছিল তাই তারা বলটা ড্রেনে দেখতে পাচ্ছিল না। আর তাছাড়া ড্রেনের বল ছেলে ধরবেও না। কি আর করার ছেলের মন খুব খারাপ হয়ে গেলো। আমি ওকে বললাম,আবার মার্কেটে যাব যখন কিছু কিনতে তখন বল কিনে আনব। কিন্তু ছেলের মন কিছুতেই মানছে না।আমি হই -চই কম পছন্দ করি।তাই কেনাকাটা খুব প্রয়োজন না হলে মার্কেটে যাই ই না। আর একটা বলের জন্য তো যাব ই না। ওর পাপা ঢাকার বাইরে যাবে। নয়ত ওর পাপা ই নিয়ে আসতো। যাই হোক ওর পাপা টাকা দিয়ে গেলো,আমি যাতে দারাজে অর্ডার করে দেই।

WhatsApp Image 2023-02-05 at 11.09.40 AM.jpeg

ফটোগ্রাফির জন্য ব্যবহৃত ডিভাইস - SamsungA20
ফটোগ্রাফার - @shimulakter
স্থান -ঢাকা

4i88GgaV8qiFU89taP2MgKXzwntUGAvkoQiKU7VxyD37q94i8e38qvF9HBknYTWLbKs3wg1cbtfZvU44CUYbBqLEEX6YDgQznQURMvBExn7FCAPjAUKLwJ1kpe.png

এটাই হচ্ছে দারাজ থেকে বল কেনার গল্প।ছেলে তো মহা খুশি।কারন এর আগেও সে দেখেছে আমি দারাজে কিছু অর্ডার করলে ২/৩ দিনের মধ্যেই চলে আসে। তাই সে একদিন দুইদিন করে সময় গুনছিল। অপেক্ষার প্রহর কবে শেষ হবে। ছেলের অপেক্ষা আর করতে হয়নি দুইদিন পরেই কল এলো। ছেলে তো বল পেয়ে খুব খুশি।ওর খুশিতে আমিও খুশি। আমি বলটি প্যাকেট থেকে খুলে দেখলাম,খুব সুন্দর হয়েছে বলটি। দাম নিয়েছে ৯০০ টাকা। দারাজের সার্ভিস খুব ভালো। কোন প্রোডাক্ট পছন্দ না হলে সিস্টেম মত তা ব্যাক করা যায়। ছেলে আনন্দ নিয়ে বল দিয়ে খেলছিল। আমি বললাম," তুমি নীচে বল নিয়েআমার সাথে চল, তুমি নীচে খেলবে আর আমি দাঁড়িয়ে থাকব।" ছেলে আর নীচে গিয়ে খেলবে না। এটা শুনে খুব ভাল লাগলো আমার। যাক আর নীচে যেতে চাইবে না। শিক্ষা হয়ে গেছে ছেলের। মায়ের কথা প্রথমে শুনলে হয়ত আগের বলটা হারাতে হত না।বল হারিয়ে হলেও শিক্ষা হল মায়ের কথা শুনলে ভাল হবে।এই ছিল আমার বল নিয়ে গল্প। আশাকরি আমার গল্পটি আপনাদের ভালো লেগেছে।

ধন্যবাদ সবাইকে

@shimulakter

4i88GgaV8qiFU89taP2MgKXzwntUGAvkoQiKU7VxyD37q94i8e38qvF9HBknYTWLbKs3wg1cbtfZvU44CUYbBqLEEX6YDgQznQURMvBExn7FCAPjAUKLwJ1kpe.png

💜সবাইকে ধন্যবাদ অনুচ্ছেদ টি পড়ার জন্য।💜

A5tMjLhTTnj4UJ3Q17DFR9PmiB5HnomwsPZ1BrfGqKbjdewS98rhT2jTJ5AJioUC62cpvt6bqfABatFjaAW1oDt8A5V688UB2rQ3QEUaGYPw7ZyRoyPyHrANPTXZcJCJ95PUovBmXsXceiVuCxz4DVgAK2TjyMHyo6XQbHDRBeFdwDYbkPu5XFmBCLYLXcDr9pBsBE83t7mdpKztrqs33G.gif

4gZTTLyoV1msFb1u1BdB14ZHSP5sNg8hbP9cbJyTmUqfzL1as2zt5nA5iP9iEBmXtJKZZD3SHGtdFKZ13Up5EmSAxpDYtwYvvxyhsR48F5wdZ6ZhgEKtW9w1csKVawJHrqc3fgSkcpz8WsTY1MvhswZsey8zNe3vkwTdKjCivA3Z6dpaPrexwcy6xHQHfFaMXGPra6UPLbZDNDdFc7rVLr.png

35FHZ8gBpndbrF88KC8i6DmfoqNdVfSnhzJshZCJksDJs27YpCCUjp1oaP6ko3mLJbQtLE76ZKc5r3aFXKh8EK2Xg2XbxHP97436DksratXwrGgGGxnF9KiBfTVJMKZ61zShCQMrFpv51ZrY4sY4cK3RRDcGvdyC6bx3TE39Zctd2ho1pJ1hm9nj6RC6gfhhSEVDEf6zHmiqsgBwDTEDG8.png

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

সত্যি আপু বর্তমান অনলাইন শপিং অনেক টা সুবিধা, একদিন ঘরে বসে পছন্দ মতো জিনিস পাওয়া যায় আর অন্য দিকে মার্কেটে ভীরের ভিতরে যেতে হয় না।আসলে আপু বাচ্চাদের এটাই সমস্যা প্রথমে কথা শোনবে না পরে আঘাত খেয়ে শিক্ষা হয়। আর দারাজের জিনিস গুলো অনেক ভালো আমি ও মাঝে মাঝে দারাজ থেকে কিনি।যাইহোক একটা বল পেয়ে বাচ্চা তো খুশি হলো। ধন্যবাদ আপনাকে।

অনুচ্ছেদটি পড়ে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপু।

এখন অনলাইনের সুবিধা হওয়াতে মানুষ খুব কমই শপিং এ যায়। কারন মানুষ মনে করে যতক্ষনে শপিং যেয়ে বেগের বেগের করবে তার চেয়ে ভাল তো নিজের ঘরে বসে মোবাইলে একপ্রেসে ঘরে বসে জিনিস পেয়ে যাওয়া। আর দারাজ বলে কথা। এদের কাজে তেমন কোন গাফেলতি আমিও এখন পর্যন্ত দেখিনি। কিন্তু একটা বল ১০০০/- টাকা। আর ৫০০ দিলে তো সুন্দর একটা থ্রি পিস হয়ে যেত। হা হা হা।

থ্রী পিস কিনলে কি আর বল খেলা যাবে। শখ বলে কথা।অনেক ধন্যবাদ আপু ব্লগটি পড়ে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।

ছোটবেলায় আমাদের সাথে এরকম অনেকবার হত যে বল খেলতে খেলতে ড্রেনের ভিতর পড়ে যেত। তবে আমরা সেটা আবার তুলে ধুয়ে পরিষ্কার করে খেলা শুরু করে দিতাম। হা হা হা...

কিছুদিন পর দেখবেন অনলাইন শপিং সারা বিশ্বে ব্যাপকভাবে চালু হয়ে যাবে। কারণ মানুষের হাতে সময় থাকবে না মার্কেটে গিয়ে দেখে শুনে শপিং করার। আমাদের ইন্ডিয়াতে অলরেডি অনলাইন শপিং ব্যাপক জনপ্রিয়।

অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া ব্লগটি পড়ে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।

আসলে অনলাইন শপিং হওয়ার কারণে অনেক সুবিধা পাওয়া যায়। কারণ কষ্ট করে বাইরে না গিয়ে ঘরে বসে অনেক কিছুই কেনা যায়। যদিও বা সেগুলো হাতে পেতে দু একদিন সময় লাগে। যাইহোক দারাজ থেকে ফুটবল খেলার গল্পটি পড়ে বেশি ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে এই সুন্দর পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া ব্লগটি পড়ে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।

বর্তমান সময়ে অনলাইন আমাদেরকে অনেক বেশি সুযোগ-সুবিধা বাড়িয়ে দিয়েছে যার কারণেই হয়তোবা এখন আর মানুষ ভিড়ের মধ্যে মার্কেটে তেমন একটা যায় না। রুমের মধ্যে বসে থেকে অনলাইনে অর্ডার করলেই সেটা বাসার সামনে চলে আসে। আসলে ফুটবল খেলতে এবং দেখতে অনেকেই অনেক বেশি পছন্দ করেছে ছোটবেলা থেকেই অনেকেই আছে যারা ফুটবলের প্রতি ভালোবাসা বরাবরই অনেক বেশি থাকে। আপনার ছেলেও দেখছি তাদের মধ্যে একজন। অবশ্যই এই বল পেয়ে সে অনেক বেশি খুশি হয়েছিল।

হে ভাইয়া বল পেয়ে খুব খুশী। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।

সত্যি আপু আমার এখন কত স্মার্ট হয়ে গেছে বাড়ি বসেই শপিং করে ফেলছি। যুগ যত যাচ্ছে ততই আধুনিকতা বাড়ছে, বদলাচ্ছে জীবনযাত্রার মান।ঘরে বসে অর্ডার করেই আপনি ৯০০ টাকা দিয়ে একটি বল ক্রয় করে ফেললেন। জীবনযাত্রা কত সহজ হয়ে গেছে। বল দেখে আপনার ছেলে অনেক খুশি। আর ছেলের খুশিতে মাও খুশি। আর আপনাদের মা ছেলে খুশিতে আমিও খুশি ধন্যবাদ আপু আপনাকে।

অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া। কমেন্ট পড়ে খুব আনন্দ হলো 😃।