আমার বাংলা ব্লগ প্রতিযোগিতা-২৪ || ফেলে আসা জীবনের বন্ধুত্বের স্মৃতি। ||১০%লাজুক খ্যাকের জন্য ।

in hive-129948 •  2 years ago 

“আমার বাংলা ব্লগের“বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভাল আছেন ।আমি ও ভগবানের অশেষ ক্পায় ভাল আছি ।আমার বাংলা ব্লগ মানে নিত্য নতুন উদ্যম সামনে দিকে এগিয়ে চলা ।প্রতিনিয়ত থাকছে আমার বাংলা ব্লগ প্রতিযোগিতা মেলা । আমার বাংলা ব্লগ প্রতিযোগিতা-২৪শে পোঁছে ।এই প্রতিযোগিতা অংশগ্রহণ মাধ্যমে আমি শেয়ার করব আমার সেই ফেলে আসা জীবনের বন্ধুত্বের স্মৃতি।

বন্ধু মানে সুখ দুঃখ শেয়ার করবার প্রানের সই ।যার সাথে মান অভিমান সবকিছু করা যায় ।নির্ভয়ে মন খুলে সকল কথা বলা যায় ।যে বন্ধুত্ব হয়,যেখানে থাকেনা রক্ত বাঁধন ,থাকে না কোন স্বার্থ ,থাকে শুধু সত্যিকারে বন্ধুত্ব মান ।স্কুল জীবনে আমরা ছিলাম চার বান্দবী । এস এস সি পরীক্ষা পর স্কুলজীবন শেষ হওয়ার পরে একেক জন একে জায়গায় হয়ে গেলাম ।বাকি তিন জন এক কলেজে পড়ছে ।আমি এলাম চট্টগ্রামে পড়াশুনা করা জন্য।চট্টগ্রামে এসে সম্পূর্ণ নতুন জায়গায় নতুন বান্দবী ।আমার স্কুল জীবনে ও তিন জন বান্দবী আর চট্টগ্রামে এসেছে তিনজন বান্দবীকে পেলাম। চট্টগ্রাম মহিলা পলিটেকনিক এর আমি আর্কিটেকচার এন্ড ইন্টেরিয়র ডিজাইনে ডিপার্টমেন্ট ভর্তি ।

image.png

সোর্স
আমরা চারজন একই ডিপার্টমেন্ট ।আমার বান্দবীদের নাম বাসনা ,কাজলী ,কেমি । যেখানে যায় আমরা এই চারজনে একসাথে যেতাম ।ইনঞ্জিয়ারিং মানে প্রতি টা ক্লাসের ড্রয়িং ভরা তা আবার আর্কিটেকচার নিয়ে ।আমি আর কেমি একটু ড্রয়িং কাঁচা ছিলাম ।ড্রয়িং করতে পারতাম কিন্তু তেমন সুন্দর হত না আর কি ।আমার ড্রয়িং প্রায় বাসনা করে দিত যদি ম্যাম ক্লাস না থাকত ।ওর টা আগে করে আমার টা করে দিত ।আমাদের চারজনে মিল এত ভালো ছিল।আমাদের রোল গুলো ৩জনের কাছাকাছি ছিল ।অনেক সময় তিন জনের একি রুমে পড়তাম অনেক সময় বিভিন্ন রুমে পড়তাম ।

যদি এক রুমে পড়ি আর যদি সুযোগ থাকে একজনে খাতা আরেক জনে লিখে দিতাম।বদলিয়ে নিতাম,সব সময় চারজনে মিলে মিশে থাকতাম ,আমাদেরকে নিয়ে ক্লাসের অনেকে হিংসা করত।আর বলত এরা জীবনে ফেল করে না ।আমি হোস্টেলের ছিলাম খাবার ভাল লাগেনা এরা আমার জন্য বাসা থেকে প্রায় তরকারি রান্না করে এনে দিত ।৪বছর এই চার বান্দবী একসাথে ছিলাম ।পরে একদম শেষ দিকে যখন ইন্টারনি করব ,তখন বাসা ও নিলাম একসাথে আর একি প্রজেক্টের ।

সেই দিন গুলো খুব মধুর ময় দিন তা কখন ভুলা যায় না ।এমন মজার কাহিনী আসছে ,লিখতে গেলে অনেক বড় হয়ে যাবে ।তার চাকুরিতে ঢুকলাম ।তখন থেকে আস্তে আস্তে যোগাযোগ কম হয়ে গেছে ,যে যার কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়ে ছিলাম।তবে বাসনা আর আমি এক জায়গা চাকুরি করছিলাম।প্রথমে আমি চাকুরি নিই তারপরে আমি ওকে আমার ডিপার্টমেন্ট একটা পোস্ট খালি হয় ,সেই জায়গায় আমি ওকে রেপার করি ।অফিসের ডেস্ক গুলো ছিল সামানি করে সারা দিন গল্প করতাম আর কাজ ও করতাম ।আমাদের সাথে এক সিনিয়র বড় ভাই ছিল ওনি যখন বড় বড় চোখ করে থাকিয়ে থাকত দুই জনে চুপ হয়ে যেতাম ।কত বকা খেয়েছি ।

image.png
সোর্স

এখন ও মাঝে মাঝে মনে পড়লে অনেক হাসি পায় ।থাকতাম ও একসাথে একি বাসায় কিন্তু সারাদিন কেন কথা শেষ হয় না । কি এমন মধুর কথা যে শেষ হয় না ।এক সাথে অফিসে আসা যাওয়া করতাম ।পরে ওর একদিন অনেক জ্বর হয় কিছুতে কমে না ।অনেক কিছু করে দেখি ওকে আমি সেবাযত্ন করছি ।কিন্তু জ্বর ভালো হয় নাই ।পরে আন্টি রা রাংগামাটি থেকে নিতে আসে গাড়ি নিয়ে ।পরে আর ভালো হওয়ার পরে চাকুরি করতে আসে নাই ।বাড়ি থেকে আর চাকুরি করতে দেয় নাই ।

এখন মাঝে মাঝে কথা হয় শুধু দুই জনে সাথে কাজলী আর বাসনা সাথে কেমি সাথে কথা বলে ও প্রচুর ব্যস্ত থাকে ।আমি সংসার নিয়ে ব্যস্ত থাকি,বাচ্চা নিয়ে সারাদিন কোন দিকে যে যায় টের পায় না ।ওদের অনেক মিস করি ।মিস করি সেই সোনালি দিনগুলো কথা। তবে রাংগামাটি গেলে বাসনা বাড়ীতে যায় । আন্টি অনেক আদর করে আমাকে নিজের মেয়ে মত দেখে ।ফোনে কথা হয় ওর সাথে ।

এই ছিল আমার ফেলে আসা জীবনের বন্ধুত্বের স্মৃতি। আজ এই পর্যন্ত দেখা হবে অন্য কোন টপিক নিয়ে সবাই ভাল থাকবেন ।

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

image.png

জীবন একটাই এই জীবনে কত বন্ধু আসে আবার ব্যস্ততার ভিড়ে হারিয়ে যায়। এটা জেনে খুব ভালো লাগলো আপনার স্টুডেন্ট লাইফের বন্ধু কর্ম জীবন পর্যন্ত একসঙ্গে ছিল। সে অসুস্থ না হলে হয়তো বেশ কিছুদিন আপনার সঙ্গে জব করতে পারত। আপনার বন্ধুত্বের স্মৃতি গুলো পড়ে খুব ভালো লাগলো। আপনার সুস্বাস্থ্য কামনা করছি।
শুভকামনা রইল।

আসলে মেয়েদের সমস্যাই হল বিয়ের পর ছড়িয়ে ছিটিয়ে যাওয়া, সংসারের চাপে থাকা। ছেলেদের এমনটা খুব কম হয়। তাও বলব দিদি মাঝে মাঝে গেট টুগেদার করো। টুরোনো স্মৃতি রোমন্থন অরতে দেখবে কি ভালোই না লাগে।

বাড়িতে গেলে চেস্টা করি দেখা করা ।কারন একেক জন একেক জায়গা তাই।ধন্যবাদ দিদি মন্তব্য করার জন্য।

আপনাদের পলিটেকনিকেলে ডিজাইন ডিপার্টমেন্টে বন্ধুত্ব হওয়ার গল্পটি উপরে অনেক ভালো লাগলো আপু । বন্ধুত্বের মধ্যে একেক জন একেক ধরনের বিষয়ে পারদর্শী হয়ে থাকে। ঠিক তেমনি আপু আপনি ড্রইং এর ক্ষেত্রে দুর্বল থাকলেও আপনার ফ্রেন্ড এর কাছ থেকে অনেক কিছু শিখতে পেরেছেন।
আপনার ও আপনার ফ্রেন্ডগুলোর জন্য শুভকামনা রইল

অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্য করে৷ পাশে থাকার জন্য।