"হ্যালো"
আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা কেমন আছেন? আশা করি ভাল আছেন,আমি ও ভাল আছি ,ভাগবানের আশীর্বাদের আর আপনাদের দোয়া ,ও ভালবাসা ।আমার বাংলা ব্লগের প্রায় প্রতিযোগিতার আয়োজন থাকে বলে। তাই এবারের প্রতিযোগিতাটিও একেবারে ভিন্ন রকমের হয়েছে। জীবনে প্রথম কিছু পাওয়ার অনুভূতি সত্যি কাউকে বলে বোঝানো যায় না। বিশেষ করে যখন কোন জিনিস প্রতি কেনা আগ্রহ থাকলে সেই জিনিসটি হাতে পাওয়া যায় । তখন মনে হয় আসলে আমার এই জিনিসটি জীবনে সবচেয়ে দামি ।আর সেই অনুভূতি সব সময় আমাদের জীবনের স্মরণীয় হয়ে রয়ে যায় । তাই আজকে আমি আমার জীবনের প্রথম মোবাইল হাতে পাওয়ার অনুভূতি আপনাদের মাঝে শেয়ার করব।
আমাদের বাঘাইছড়ি উপজেলা নেটওয়ার্ক যায় ২০০৯ সালে ।তখন মানুষ হাতে গনা কয়েকজন মোবাইল ফোন ব্যবহার করে ।আমি তখন ক্লাস নাইনে পড়ি ।তখন আমি মনে মনে ভাবতাম কি একটা যন্ত্র যা মানুষ দূর দুরান্তে কথা বলে । ওই যন্ত্র ভিতরে কি একটা জানি দিয়ে কথা বলা যায়।আমি আসলে জানতাম না ওই টা ছিল সিম কার্ড ।তখন মনে আগ্রহ হল ,আমার যদি এই রকম একটা থাকত ,তাহলে আমি ও কথা বলতে পারতাম ।
২০০৯ সালে শুধু ২জি গেছিল আমাদের বাঘাইছড়িতে মানুষ শুধু ফোন কথা বলত ।তখন ছিল না কোন ভিডিও কল খালি ভয়েস কল ।পরে আমার বান্দবী মা বাবা উনারা নাকি একটা মোবাইল কিনছে । আমার বান্দবী বলে আমাদের তো একটা মোবাইল কিনছি ।আমার মা আমাদের আত্মীয়দের সাথে কথা বলে ।আমার বান্দবী যখন ওর মামাদের সাথে কথা বলতে যেত আমরা যেতাম সবাই মিলে একটু বেলা ঘুরা হল দেখা হল ।তখন আবার সব জায়গায় নেটওয়ার্ক পাওয়া যায় ,বেশ কয়েকটা জায়গা গেলে পাওয়া যেত ।
আমাদের গ্রামে তো নেটওয়ার্ক ছিল না ,শুধু বাঘাইছড়ি উপজেলায় ২জি চলত,তা ও সব জায়গায় না । আমি থাকতাম বাসা ভাড়া করে দাদুদের বাসা ,মানে বাঘাইছড়ি মেইন সদরে ।এভাবে দেখতে আমার মোবাইল কেনা আগ্রহ দিন বাড়তে থাকে আর বান্দবী মোবাইল একটু আটুট ধরতে ধরতে কিভাবে ব্যবহার করতে সব জানা হয়ে গেছে । এভাবে চলতে ক্লাস নাইনের বার্ষিক পরিক্ষা কাছাকাছি চলে আসছে ।তখন বাবা কে বাইনা ধরলাম ,আমাকে মোবাইল একটা কিনে দিতে হবে ।কিন্তু বাবা কিনে দিতে চাই না ।
মোবাইল কিনে দিতে চাই না ,মোবাইল কিনে দিলে নাকি পড়ালেখা হবে না তাই দিবে না ।আমি ও না ফেলে হয় না ,আমি কিন্তু আমার বাবা কাছের যখন যা আবদার করছি তাই পেয়েছি ,কিন্তু এটা দিতে চাইছে না ,পরে বাবা কে বলি আমি ঠিক মত পড়াশুনা করি ,তা কেন দিতে চাইছো না , তো আমার বাবা সাথে চেলেস্ন নিলাম ,আমি যদি ক্লাস টেনে রোল নাম্বার ৪ এর ভিতর আসি ,তাহলে কিনে দিতে হবে। আমার কিন্তু ৫ ছিল ।
যদি আসতে না পারি আমি মোবাইল কিনব না । পরে আমি পুরাদমে পড়ালেখা স্পীড বাড়ালাম ,কিছুদিন পর বার্ষিক পরিক্ষা হল ,মাস খানিক পর রেজাল্ট দিল ।আমি বরাবর ২ রাখলাম ।তো বাবা তার চুক্তি অনুয়ায়ী আমাকে মোবাইল ফোন কিনে দিতে রাজি হল ।
আমার প্রথম মোবাইল মডেল নোকিয়া ১২০২ । পরে আমাকে টাকা দিল ৩হাজার টাকা ।আমি আর আমার বান্দবী গেল বাজারে আমার পছন্দ হল নোকিয়া ১২০২ মোবাইলটা । তখন মোবাইল টা দাম ছিল ২৫৫০ টাকা । মোবাইলটা কালার ছিল কালো ।সেই দিন ছিল সোমবার ,আমরা দুপরে লাঞ্চ সময় বাজারে গিয়ে কিনে আনলাম ।আমাদের স্কুল থেকে বাজার একদম কাছে ৫মিনিট পথ ।আমি সেই দিন মোবাইল পেয়ে যে খুশি ছিলাম তা বলে বুঝানো যাবে না ।অনেক শখ জিনিস মোবাইলটা পেয়ে গেলাম ।তখন আবার ক্লাস মোবাইল ব্যবহার করা যেত না ।আমি কিনে আনা সাথে সব কিছু দেখে ব্যাগ রাখছিলাম ।
তখন আমার মনটা খালি মোবাইলটা প্রতি চিন্তা কখন ছুটি হবে আর মোবাইলটা একটু নিজের মত করে টিপাটিপি করব এই চিন্তা মনের ঘুর পাক খাচ্ছে ।তাড়াতাড়ি কেন ঘণ্টাগুলো শেষ হয় না কেন?আমি বাসায় গিয়ে মোবাইল টা আর ভালভাবে দেখতাম আর ফোন কথা বলতাম তখন সিম নিছিলাম টেলিটক মোবাইল সাথে ,আর আমি বেশ কয়েক জনের মোবাইল নাম্বার ও সংগ্রহ করে রাখছিলাম মোবাইল ফোন আগে ।
পরে আবার এস এস সি টেস্ট পরীক্ষা দেয়া আগে জমা দিয়ে হয়ছে বাবাকে ।আবার ফিরে পেয়েছিলাম এস এস সি পাশ করবার পর,আমার সেই মোবাইল প্রায় তিন বছর ব্যবহার করছি। হয়ত এখনও থাকত পানিতে প্রায় ২/৩ তিন পড়ছে ।তাই নষ্ট হয়ে গেছিল।
প্রথম মোবাইল হাতের পাওয়া অনুভুতিটা ,আসলে সেই অন্য রকম এক অনুভুতি ছিল সেই দিনটি । মনের মধ্যে এখন ও গেঁথে আছে ।সেই ভুলার মত না ,আগ্রহের জিনিস টা পেয়ে যায় মনে হয় এই যেন আমি আকাশের চাঁদ টা পেয়েছি । এত দিন আমার প্রথম মোবাইল হাতের পাওয়া অনুভূতিটা আমার বান্দবীরা জানে ওরা দেখে ছিল আমি কি পরিমাণ খুশি ছিলাম ।
আমার বাংলা ব্লগ সুযোগ করে দিছে সেই অনুভুতি টা প্রকাশ করাব ।আজ আবার আমার বাংলা ব্লগ প্রতিযোগিতা- ২২ মাধ্যমে আমার সেই অনুভুতি টা আপনাদের সাথে শেয়ার করতে পেরে আমি আনন্দিত ।এই ছিল আমার প্রথম মোবাইল পাওয়া অনুভুতি ।জানি কতটুকু প্রকাশ করতে পারছি ,আসলে মনে অনুভুতি তো আর লেখে শেষ হয় না , বলে ও বোঝানো যায় না ,যে অনুভব করে সেই জানে একমাত্র।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপনি খুব সুন্দর করে সাজিয়ে আপনার জীবনের প্রথম মোবাইল কিনার অনুভূতি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আপনি আপনার বান্ধবীকে নিয়ে ১২০২ মডেলের মোবাইল ২৫৫০ টাকা দিয়ে কিনেছেন। এবং আপনি অনেক সুন্দর করে তা আমাদের মাঝে উপস্থাপনা করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর করে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ধন্যবাদ আপু আপনাকে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপনার প্রথম মোবাইল পাওয়ার অনুভূতি পড়ে খুব ভালো লাগলো। খুব চমৎকার ভাবে অনুভূতি গুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। এত দুর্দান্ত পোস্ট শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit