শৈশব স্মৃতি-ছোটবেলায় পুজো দেখতে যাওয়ার স্মৃতি||

in hive-129948 •  3 months ago 

আসসালামু-আলাইকুম/আদাব।


বন্ধুরা, কেমন আছেন? আমি @shopon700 🇧🇩 বাংলাদেশ থেকে। আজ আমি একটি শৈশব স্মৃতি আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করবো। শৈশবের অনেক স্মৃতি আছে যেগুলো এখনো আমাদের মনে রয়ে গেছে। আর সেই স্মৃতিগুলো থেকেই একটি আনন্দের স্মৃতি আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করব। তো বন্ধুরা চলুন আমার আজকের পোস্ট দেখে নেয়া যাক।

ছোটবেলায় পুজো দেখতে যাওয়ার স্মৃতি:

children-7186580_1280 (2).jpg
source


শৈশবের দিনগুলো অনেক আনন্দে ছিল। যখন পুজো শুরু হতো তখন আমি আমার বন্ধুদের সাথে পুজো দেখতে চলে যেতাম। পুজোর আনন্দ উপভোগ করার চেষ্টা করতাম। স্কুল তখন বন্ধ হয়ে যেত। তাই আমরা দুপুরে বেরিয়ে পড়তাম পুজো দেখার উদ্দেশ্যে। আমার গ্রামের বাড়ির কিছুটা দূরে পুজো মন্ডপ ছিল। আর সেই পুজো মন্ডপে বিভিন্ন রকমের দোকান ছিল আর সেখানে খেলনা থেকে শুরু করে সবকিছুই পাওয়া যেত।

পুজো এলেই চারপাশে উৎসবের মতো আমেজ শুরু হয়ে যেত। একদিকে স্কুল বন্ধ আর পড়াশুনা তেমন চাপ থাকতো না অন্যদিকে আমার সাথে যারা পড়তো তাদের মধ্যে অনেকেই হিন্দু ধর্মালম্বী ছিল তারা আমাদেরকে পূজার দাওয়াত দিতো আর নাড়ু খাওয়াতো। আমার এক বন্ধু ছিল সে প্রত্যেকবার পুজোয় আমাদের সবাইকে দাওয়াত দিত। যেহেতু আমাদের বাড়ি থেকে তাদের বাড়ি কাছে ছিল তাই আমরা সবাই সেখানে নাড়ু খেতে চলে যেতাম।

একদিকে সে যেমন আমার বন্ধু ছিল অন্যদিকে তার বাবা ছিল আমাদের স্কুলের টিচার। তাই একবারে দুটোই হয়ে যেত। স্যার আমাদেরকে যেতে অনুরোধ করতেন আর উনার ছেলে যেহেতু আমাদের বন্ধু তাই আমরা সেখানে যেতে স্বাচ্ছন্দ বোধ করতাম। প্রত্যেকবার পুজোয় আমরা সবাই ঘুরতে যেতাম তাদের বাড়িতে। আর সে আমাদের সাথে ঘুরে বেড়াতো আর অনেক আনন্দ করত। ছোটবেলার সেই সময় গুলো এখনো মনে পড়ে। এখনো মনে পড়ে সেই সুন্দর দিনগুলোর কথা।

যখন পুজোর মন্ডপে চলে যেতাম তখন দূর থেকে সবকিছু দেখতাম। আর ঘুরে ঘুরে মজার মজার খাবার কিনে খেতাম। জিলাপি থেকে শুরু করে সবকিছুই পাওয়া যেত সেই পুজোর মেলায়। মেলা ছোট হলেও আমাদের কাছে তখন অনেক বড় কিছু মনে হতো। বিভিন্ন রকমের খেলনা পাওয়া যেত। পিস্তল থেকে শুরু করে সবকিছুই পাওয়া যেত। এগুলো পেয়ে তো আমরা অনেক খুশি হয়ে যেতাম। এখনো ছোটবেলার সেই সময় গুলোর কথা আমার মনে পড়ে। এখনো মনে হয় এই তো সেদিন সময়গুলো পার করে এলাম। শৈশবের প্রত্যেকটা স্মৃতি আসলে অনেক বেশি আনন্দের। তো বন্ধুরা আমার শৈশব স্মৃতি আপনাদের কেমন লাগলো মন্তব্য করে জানাতে ভুলবেন না।

🥀ধন্যবাদ সকলকে।🌹


আমার পরিচয়

photo_2021-06-30_13-14-56.jpg

আমি মো: স্বপন। আমি একজন বাংলাদেশী। বাংলা আমার মাতৃভাষা। তাই আমি বাংলায় লেখালেখি করতে ভালোবাসি। ফটোগ্রাফি, পেইন্টিং এবং ক্রাফটিং করা হচ্ছে আমার অন্যতম শখ। অবসর সময়ে গান শুনতেও অনেক ভালোবাসি। এছাড়া বাগান করতে আমার অনেক ভালো লাগে। মাঝে মাঝে রান্না করতেও অনেক ভালো লাগে। আমার স্টিমিট আইডি নাম @shopon700। আমি ২০২১ সালের এপ্রিল মাসে স্টিমিট ব্লগিং শুরু করি। আমি গর্বিত, কারণ আমি আমার বাংলা ব্লগের একজন ভেরিফাইড ব্লগার।


Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

অনেক সুন্দর স্মৃতি স্মরণ করে আমাদের মাঝে পোস্ট শেয়ার করেছেন ভাইয়া। আপনার চমৎকার এই পোস্ট করে অনেক ভালো লাগলো এবং আমিও আমার অতীতের বেশ কিছু স্মৃতি স্মরণ করতে পারলাম পোস্ট করার মধ্য দিয়ে। ছোটবেলায় আমিও লক্ষ্য করে দেখেছি অনেকেই পাশের গ্রামে যেত পূজা দেখার জন্য। আর ঠিক তেমনি বেশ কিছু স্মৃতি মনের মধ্যে চলে আসলো আপনার এই পোস্ট পড়তে গিয়ে।

শৈশবের সুন্দর স্মৃতিগুলো এখন মনে পড়ে। তাই সেই স্মৃতিগুলো শেয়ার করতে ভালো লাগে ভাই। ধন্যবাদ আপনাকে।

আমাদের হয়তো এমন বন্ধু ছিলনা বা স্যার ছিল না যার জন্য এত বেশি সহযোগিতা আমারা পাইনি তারপরেও নিকটে যখন এই উৎসবগুলো হতো তখন আমরা সেখানে যাওয়ার চেষ্টা করতাম এবং দেখার চেষ্টা করতাম। যাহোক ভালো লাগলো আপনার সুন্দর এই পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করতে দেখে।

বন্ধুর সাথে আমরা সবাই অনেক সুন্দর সময় কাটিয়েছিলাম আপু। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।

ছোটবেলায় আমিও বেশ কয়েকবার পূজা দেখতে গিয়েছিলাম,কিন্তু এখন একেবারেই যাওয়া হয় না। যেহেতু আপনাদের হিন্দু ধর্মালম্বী বেশ কিছু ক্লাসমেট ছিলো,তাহলে তো ছোটবেলায় পূজা দেখতে গিয়ে আপনারা বেশ মজা করেছিলেন। বেশ ভালো লাগলো আপনার স্মৃতিচারণ পোস্টটি পড়ে। শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।

ভাইয়া আপনার ছোটবেলায় পুজো দেখতে যাওয়ার স্মৃতি পড়ে ভালোই লাগলো। তবে আমি ছোট সময় পুজো দেখতে যেতে পারি নাই, তবে কলেজে পড়ার সময় একদিন গিয়েছিলাম। তাও আবার দশ পনের মিনিটের মধ্যেই ফেরত চলে এসেছিলাম। ধন্যবাদ।