রাত বিরাতে বিরিয়ানি খাওয়ার পিনিক(রেস্টুরেন্ট রিভিউ) 🍜🍜🍜||১০% shy-fox

in hive-129948 •  3 years ago  (edited)

হেলো আসসালামু আলাইকুম কেমন আছেন সবাই আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা আশা করি সবাই ভালো আছেন আমিও ভালো আছি আপনাদের দোয়ায়।আজকে আপনাদের মাঝে হঠাৎ বিরুয়ানি খাওয়ার একটা গল্প শেয়ার করবো আশা করি সবার ভালো লাগবে।
GridArt_20211220_203911393.jpg

https://what3words.com/gold.hang.sofas

আমিতো পটুয়াখালী থাকি, সেখানেই পড়াশুনা করি। পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রজুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে, পটুয়াখালীর নামকরা রেস্তোরাঁ আছে মল্লিকা রেস্তোরাঁ খুবই নামকারা । আমাদের ইউনিভার্সিটির সেমিস্টার এক্সাম প্রায় শেষের দিকে এই জন্য একটু চাপ কম তাই ভাবলাম কোথাও ঘুরে আসা যাক৷ প্রথমে আমার এক বন্ধুকে ফোন দিলাম চল ঘুরে আসি সে আমার ইউনিভার্সিটির হলের সামনে আসলো আমি আমার বাইক নিয়ে আসলাম হলের সামনে, ইদানীং খুব শীত পড়ছে প্রায় ১২/১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাইরে ও প্রচন্ড শীত, যাইহোক আমরা বেরোলাম ভাবলাম ২ জন না যেয়ে ৩ জন যায়,পরে আমাদের সিনিয়র ভাইকে ফোন করলাম ভাইয়া এক্সাম তো শেষের দিকে চলেন ঘুরে আসি বাইরে থেকে, দাদা বেরলো।



IMG_20211219_195730.jpg

IMG_20211219_181029.jpg

IMG_20211219_181049.jpg

IMG_20211219_181244.jpg





ইউনিভার্সিটির হল থেকে বেরোনোর সময় 💗💗💗

https://what3words.com/gold.hang.sofas

আমরা তো শীতের জন্য প্রস্তুতি নিয়েই বেরোলাম, মাথায় টুপি শিতের জ্যাকেট। ভাইরে যে ঠান্ডা ওরে বাবা, এবার ঠিক করলাম বাইক চালাবে কে, পরে আমি বললাম না দাদা আমি চালাবো না আপনি চালান, তারপর দাদা বাইকে চালালো। আমরা প্রথমে ইইউনিভার্সিটির গেটে জেয়ে চা খেলাম, তারপর পটুয়াখালীর উদ্দেশ্য রওনা হলাম, আমার ইউনিভার্সিটি থেকে পটুয়াখালী সদর ১৩ কিলোমিটার।



IMG_20211219_201156.jpg

IMG_20211219_201130.jpg

IMG_20211219_201135.jpg

IMG_20211219_201148.jpg





আমাদের মজাদার খাবার দাবার ইয়াম্মি 🍜🍜💗💗💗💗💗

https://what3words.com/gold.hang.sofas


এবার দাদা বাইক চালালো ওরে আল্লাহ কি শীত এবার বোঝা যাচ্ছে। দাদা আসতে আসতে বাইক চালানো কারণ প্রচুর শীত, ছেলেদের এই টা একটা অভ্যাস ৫ টাকা চা খেতে ১০০ টাকার তেল খরচ করে হাহাহাহাহা।আমরাও আজকে তাই করতে যাচ্ছি আমাদের ইউনিভার্সিটির আশেপাশে অনেক বিরিয়ানির দোকা ছিলো আমরা সেখানে থেকে না খেয়ে ১৩ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে বিরিয়ানি খেতে যাচ্ছি বেপারটাই অন্যরকম।

অবশেষে আমরা পটুয়াখালী এসে পৌছালাম, তারপর আমরা একটু রাতের বেলায় ঘুরলাম। ঘোরাঘুরির পর আমরা আমাদের সেই কাংখিত স্থান মল্লিকা রেস্তোরাঁয় হাজির, মল্লিকা রেস্তোরাঁর পাশে প্রচুর ফুলের দোকান আমি সেখান থেকে একটা ছবি তুললাম।



IMG_20211219_201027.jpg

IMG_20211219_200740.jpg

IMG_20211219_200750.jpg

IMG_20211219_201025.jpg





খাওয়ার আগে ছবি না তুললে মনে হয় হজম হবে না হাহাহাহাহা😃😃

IMG_20211219_201047.jpg



তারা খুব খুসি আজ কোপ হবে 😃😃

IMG_20211219_201118.jpg


দাদাও অনেক খুশি।

https://what3words.com/gold.hang.sofas


তারপর আমরা রেস্তোরাঁর ভিতর ঢুকলাম,খুবই সুন্দর মনোরম পরিবেশ। ছিমছাম পরিবেশ কোনো হৈচৈ না, রেস্তোরাঁর ভিতর অনেক লোকজন ছিলো আমরা ওয়াশরুমে যেয়ে ফ্রেশ হয়ে আমাদের টেবিলে বসি।তারপর আমাদের কাছে একজন ওয়েটার আসলো আমরা আমাদের খাবারের অর্ডার দেয়, আসলে মূলত আমরা কাচ্চি বিরিয়ানি খেতে গেছিলাম, তখন ওয়েটার বললো কাচ্চি বিরিয়ানি দুপুরে রান্না করা হয় এই জন্য আলাদা অপশন খুজতে হবে পরে আমরা মেনু কার্ড দেখে চিকেন বিরিয়ানি অর্ডার দিলাম।৫ মিনিট পর আমাদের কাংখিত চিকেন বিরিয়ানি এসে হাজির। আমরা খাওয়া শুরু করলাম খাবারের মান খুবই ভালো। সবচেয়ে ভালো লাগে এই রেস্তোরাঁর ওয়েটারদের ব্যাবহার সবথেকে ভালো।



আমরা যা অর্ডার করি
  • ৩ প্লেট চিকেন বিরিয়ানি
  • ৩ টা কোক


আমাদের বিল হয় ৪৮০ টাকা মাত্র,ওয়েটারকে খুশি হয়ে ২০ টা টিপস দেই।

অবশেষে আমদের খাওয়া দাওয়া শেষ হলো, এবার ইউনিভার্সিটিতে আসার পালা। পরে আসার সময় আমি বাইক চালালাম, খুব আসতে আসতে বাইক চালিয়ে আসলাম কারণ যে শীত, আমাদের প্রায় রাত ১০ টা বেজে গেছিলো আসতে আসতে, আমাদের ইউনিভার্সিটি প্রথন গেটে আড্ডা দেয়। রাত ১০ টা বেজে গেলো সেখানে এসে তপন দাদার চা খেলাম💗, খেয়ে রুমে চলে আসলাম। 💗💗💗💗

images_1.png

আমার পরিচয়

1.png

-cover_copy.png

images_1.png

standard_Discord_Zip.gif

অনেক অনেক শুভকামনা ভালোবাসা রইলো। ❤️❤️❤️
ইতি
শফিকুল ইসলাম শুভ।

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

ভাইয়া সুন্দর একটা পোস্ট শেয়ার করেছেন আমাদের সাথে। খাওয়ার বিষয়ে আমার কোনো কমতি নেই। যখনই মন চায় খেয়ে চলে আসি। তবে বন্ধুদের সাথে খাওয়ার মজাটাই আলাদা। অনেক খেয়েছেন দেখেই বোঝা যাচ্ছে। ধন্যবাদ ভাইয়া আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।

অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া💗💗💗

রাত বিরাতে বিরিয়ানি খাওয়া দেখে আমার খুব হিংসা হচ্ছে। তারা কত সুন্দর যেকোন সময় যেকোন জায়গায় যেতে পারেন কিন্তু দেখেন আমরা সীমাবদ্ধ। গভীর রাতে সুন্দর একটি মুহূর্ত কাটিয়েছেন আপনারা। অসংখ্য ধন্যবাদ।

  • হিংসা হওয়ার কিছু নাই, ইনশাল্লাহ জীবনে যদি রুজিতে থাকে আপনাকে ট্রিট দেবো যান। 💗💗💗💗

ভাইয়া আপনি অনেক সুন্দর ভাবে একটি সময় পার করেছেন। আসলেই ঠিক বলেছেন ছেলেরা পাঁচ টাকার চা খাওয়ার জন্য 100 টাকার তেল পুরিয়ে দূর-দূরান্তে ভ্রমণ করে। আপনার মত আমিও প্রায় সময় করি। তবে প্রবল শীতের কারণে তেমন একটা ঘুরতে যাওয়া হয়না। আপনি যে রেস্তোরাঁয় গিয়েছিলেন দেখে মনে হচ্ছে পরিবেশ টা আসলেই অনেক সুন্দর। এত সুন্দর একটি পরিবেশে সময় অতিক্রম করা সত্যিই ভাগ্যের বিষয়। আপনার এত সুন্দর একটি মুহূর্ত আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া। ভালোবাসা রইলো আপনার প্রতি।

অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া আপনার সুন্দর মন্তব্য করার জন্য 💗💗

জীবনে খুবই মজাদার এই দিন গুলো কারণ বন্ধুদের সাথে সবাই মিলে এক জায়গায় ঘুরতে যাওয়ার সেখানেই সবায় আনন্দ উপভোগ করা এবং খাওয়া-দাওয়ার বিষয়টা অন্যরকম যেন মনে হয় যে আমরা উদাসীন আর মধ্যে হারিয়ে গেছি বন্ধুরা সবাই যেন একসাথে হলে আমার সেই দিনগুলোর কথা মনে পড়ে যায় একসাথে ঘোরাঘুরির সারাটা দিন যেন হই হই রই রই করে বেড়ায়

অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া আপনার সুন্দর মন্তব্য করার জন্য 💗💗

বন্ধুদের সাথে খাওয়ার মজাই আলাদা। আপনার পোষ্টটি পড়ে আমার অনেক ভালো লেগেছে। বন্ধুদের সাথে রেস্টুরেন্টে বিরিয়ানি খেয়েছেন এবং অনেক সুন্দর ভাবেবে সময় কে উপভোগ করেছেন। অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই আপনাকে সুন্দর একটি পোষ্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।

অনেক অনেক ধন্যবাদ প্রিয় ভাই💗💗