বাংলা মাসের -12ই পৌষ | ১৪২৮ বঙ্গাব্দ | সোমবার|
হ্যালো আসসালাম আলাইকুম কেমন আছেন সবাই আশা করি সবাই ভাল আছেন, আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি আপনাদের দোয়ায় । আজকে আপনাদের মাঝে আমার বাড়ি ফেরার গল্প পর্ব -২ শেয়ার করবো,আগের দিন পর্ব-১ শেয়ার করছিলাম, আজকে ২ শেয়ার করবো আশা করি সবার ভালো লাগবে। চলুন শুরু করা যাক।
আমার বন্ধু সানজিদকে পৌছায় দেয়ার পর, আমি তো গৌরনদী থেকে গোপালগঞ্জের উদ্দেশ্য রওনা হলাম আমার অনেক ইউনিভার্সিটির ফ্রেন্ড এর বাসা বরিশাল গৌরনদী তারা প্রায় বলে বরিশালে গৌরনদীর মিস্টি নাকি অনেক ভালো, তাই আজকে ভাবলাম বাসার জন্য মিস্টি নিয়ে যাবো। তাই আমার এক ফেন্ডকে ফোন দিলাম বললাম দস্ত তোদের এলাকার বিখ্যাত মিস্টির দোকান কই, সে বললো তুই কই এখন আমি বললাম আমিতো বরিশালে তোদের এলাকায়। তারপর বললাম দস্ত মিস্টির দোকান কই , ভালো মিস্টি পাওয়া যাবে আমার বাসার জন্য নিয়ে যাবো। সে বললো গৌরনদী থেকে ৫ কিলোমিটার দূরে গৈলা এলাকার নাম পরিমল ঘোষ তার দোকানের মিস্টি অনেক ভালো এবং ভালো দই ও পাওয়া যায়।
এবার আমি বাইক নিয়ে সেখানে চলে গেলাম, পরিমল ঘোষের দোকানে, আমিতো জাইগা চিনিও না আগে কোনোদিন আসি নাই তাই রাস্তা শুনতে শুনতে গেলাম, মোটামুটি মেইন রাস্তা থেকে অনেক ভিতরে সেই মিস্টির দোকান। অবশেষে পেয়ে গেলাম সেই পরিমল ঘোষের মিস্টির দোকান। দোকানে যেয়ে প্রথমে মিস্টির কেজির দাম শুনলাম ১৪০ টাকা কেজি, আমিতো অবাক এতো কম দাম অন্য জাইগায় ১৮০/২০০ টাকা দাম তাই ১ কেজি নিলাম আর আরেকপদের মিস্টি নিলাম ৫০০ গ্রাম ১০০ টাকা দিয়ে। আর এই খানে ভালো দই ও পাওয়া যায় ১৬০ টাকা কেজি৷ দই নিলাম ১ কেজি ৬০০ গ্রাম ,সব মিলিয়ে দাম হলো ৪০০ টাকার মতো। আবার আমিও কিছু মিস্টি টেস্ট করলাম, সত্যি অনেক ভালো লাগছে বাসার জন্য কিছু নিয়ে যাচ্ছি আম্মু আব্বু অনেক খুশী হবে।খুবই এক্সাইটেড।
তারপর মিস্টি আর দই নিয়ে খুব সুন্দর করে আমার মোটরসাইকেলে বেধে রাখলাম, কারণ আরো পথ বাকি তাই বাইক আসতে আসতে চালিয়ে আসতে হবে, তারপর পরিমল কাকুর সাথে হ্যান্ডশেক করে চলে আসলাম দোয়া চেয়ে আসলাম। তিনিও অনেক খুশী যে তার মিস্টি অন্য জেলার মানুষ খাবে। তারপর আল্লাহর নামে আবার বাইক চালানো শুরু করলাম। এরপর আমার গন্তব্য গোপালগঞ্জ, গৌরনদী থেকে গোপালগঞ্জের দূরত্ব প্রায় ৫০/৫৫ কিলোমিটার, আমি আসতে ধীরে বাইক চালিয়ে চালিয়ে আসলাম, অবশেষে প্রায় গোপালগঞ্জের কাছাকাছি চলে আসলাম, তারপর একটু বিশ্রাম নিলাম, গোপালগঞ্জে তো ট্রেন লাইন করছে সরাসরি কুস্টিয়া যাওয়া যায় মনে হয়,সেখান থেকে কিছু ছবি তুললাম আমি, এবং আমার বাইকের।গোপালগঞ্জের রাস্তা খুবই সুন্দর, কোনো ভাংগা নাই। তাই বাইক চালাতে কোনো কস্ট হলো না, অবশেষে রেস্ট নেয়ার পর এবার আমার গন্তব্য আমার নিজ জেলায় নড়াইলে।
আসতে ধীরে বাইক চালাচ্ছি আর প্রাকৃতিক পরিবেশ দেখছি যে আমাদের দেশ কতোই না সুন্দর, তাইতো কবি বলেছেন সকল দেশের রানী সেজে আমার জন্মভূমি। আমাদের দেশ আসলেই অপরূপ সুন্দর।প্রায় ১ ঘন্টা বাইক চালোনোর পর আমি কালনা ঘাট এ। ৫.১০ এর ভিতর আমি নড়াইল জেলার ভিতর ঢুকে পড়লাম।কালনা ঘাট এ এসে পৌছালাম। কালনা ঘাটে একটা সুন্দর ব্রিজ হচ্ছে, ৬ লেনের ব্রিজ হচ্ছে এটি, অসম্ভব সুন্দর একটি ব্রিজ। এই ব্রিজের স্পান ভিয়েতনাম থেকে আনা হচ্ছে। আমি কালনা ঘাট থেকে কিছু ছবি তুললাম,এখানে ট্রলার এবং ফেরী উভয়ই চলে, বাসা থেকে আম্মুর আদেশ ট্রলারে আসা যাবে না, আমিও রিস্ক নেয় না কখোনো দরকার হলে ২০ মিনিট বেসি লাগুক, তবুও ট্রলার এ জাই না, ফেরীতেই যায় আমি৷ তারপর ফেরী আসলো আমি ফেরীতে আসলাম৷ আম্মুকে ফোন দিলাম আম্মা আমি নড়াইলে প্রায় চলে এসে ছি আম্মাতো মহাখুশি ছেলেকে দেখে না প্রায় ৪ মাস, আমিই খুব এক্সাইটেড আম্মু আব্বুকে দেখি না কতোদিন৷
ফেরী ছেড়ে দিলো কখোন যে বাসায় যাবো মাথার ভিতর সেই চিন্তা, অবশেষে ৩০ মিনিট পর বাসায় গেলাম। আম্মুকে আমাকে দেখে তো মহাখুশি, আমি আম্মুকে জড়িয়ে ধরি খুশীতে,আমার বোনরা অনেক খুসি তাদেরকে ভাইকে পেয়ে। আমি তাদের জন্য চকলেট আনছি। তারপর রাতে আম্মু আমার জন্য অনেক খাবার রান্না করেছেন, আমি খুব মজা করে খাই আর আম্মি আব্বুকে সেই বিখ্যাত দই আর মিস্টি দিলাম। আম্মু সবাইকে দিলো আমাকে আব্বুকে আমার বোনকে, রাতের খাবারের পর খেলাম।রাতে সবাই ডাইনিং টেবিলে বসে গল্প করলাম, কতোদিনের কথা জমিয়ে ছিলো সব,বলি। তারপর আমার রুমে এসে একটি মোবাইল চেপে দিলাম ঘুমমমমমমমমমমমমম।এইতো ছিলো আমার বাড়ি ফেরার পর্ব-২ কেমন লাগলো কমেন্ট করে জানান।
আমার পরিচয়
আপনার বাড়ি ফেরার গল্প চমৎকার লিখেছেন। মনে হচ্ছিল সব যেন চোখের সামনে দেখতে পাচ্ছি। বাইক নিয়ে ঘুরাঘুরির মজাটাই আলাদা। আমি একবার ফরিদপুর থেকে খুলনা গিয়েছিলাম সেই স্মৃতি আমার এখনো মনে আছে। ইচ্ছে আছে সামনে আরো বড় ধরনের কোনো ট্যুরে অংশ নেব। শুভকামনা আপনার জন্য
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
অনেক অনেক ধন্যবাদ ফেরদৌস ভাইয়া💗💗🌼🌼
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ভাই আপনার ক্যাম্পাস থেকে বাড়ি ফেরার গল্পটি দুই পর্বে খুব সুন্দরভাবে আমাদের সামনে উপস্থাপন করেছেন।আপনার বন্ধুকে নিয়ে রওনা দেয়ায় জার্নি বেশ উপভোগেরও ছিল।বাড়ি ফেরার সময় দই এবং মিষ্টি নিয়ে এসেছেন দেখে খুবই ভালো লাগলো।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit