হেলো আসসালামুআলাইকুম, "আমার বাংলা ব্লগ" এর ব্ন্ধুরা সবায় কেমন আছেন , আশা করি সবায় ভালো আছেন আজকে আপনাদের মাঝে আমার প্রিয় নেতা, যিনি হাজার বছরের শেষ্ট বাঙালি,যিনি না থাকলে আমরা লাল সবুজের দেশ বাংলাদেশ পেতাম না তিনি হলেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।আজ আমি তার সম্পর্কে বলব।আশা করি ভালো লাগবে।
ছাত্রজীবন বয়সে শেখ মুজিবুর রহমান
স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশের ইতিহাসের পটভূমিকায় যে নামটি চিরস্মরণীয় ও উজ্জ্বল নক্ষত্রের মতো চিরভাস্বর হয়ে আছে তা হলো জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর ছিলেন বাংলার অবিসংবাদিত নেতা। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হাজার১৯২০ সালের ১৭ ই মার্চ গোপালগঞ্জ জেলায় টুঙ্গিপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম শেখ লুৎফর রহমান মায়ের নাম সায়রা খাতুন।
বাবা মায়ের সাথে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান|
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাক নাম ছিল খোকা। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছোটকাল থেকেই অনেক মেধা ছিল। তিনি স্কুল জীবন গ্রামের স্কুলে কাটিয়েছেন।১৯৪২ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কলকাতা ইসলামিয়া কলেজে ভর্তি হন। পরে তিনি বাংলাদেশের চলে আসেন এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগে ভর্তি হন।বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছোটবেলা থেকেই রাজনীতির হাতেখড়ি। তখনকার বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেরে বাংলা একে ফজলুল হক গোপালগঞ্জ বেড়াতে আসেন, সবার হয়ে স্কুলের দাবি চান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান
তিনি যখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীদের দাবি আদায়ের আন্দোলনে তার ছাত্রত্ব খারিজ করা হয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যখন রাজনীতিতে এসেছেন, তার রাজনৈতিক জীবনের শুরুতে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু, শেরে বাংলা একে ফজলুল হক, মাওলানা আব্দুল খান ভাসানী প্রমুখ নেতারা অনুপ্রেরণা লাভ করেন। বঙ্গবন্ধু অনেকবার জেলে গিয়েছেন।১৯৬৬ সালে তিনি ছয় দফা আন্দোলন ঘোষণা করেন।ছয় দফা আন্দোলন কে বলা হয় বাঙালির মুক্তির সনদ। ১৯৬৯ সালে বঙ্গবন্ধুকে জেল থেকে মুক্তি দেয়া হয়, জেল থেকে মুক্তি দেয়ার পর বঙ্গবন্ধুকে তেইশে ফেব্রুয়ারি ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে বঙ্গবন্ধু আখ্যা দেয়া হয়। ১৯৭০ সালে নির্বাচনে বঙ্গবন্ধু নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ অনেক জয়লাভ করেন। ৭ ই মার্চ ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে লাখো জনতার সমাবেশে তিনি বজ্রকন্ঠে ঘোষণা করেন, এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম এবারের সংগ্রাম আমাদের স্বাধীনতার সংগ্রাম। ২৫ শে মার্চ রাতে পাকিস্তানি বাহিনী বাঙালিদের উপর হানা দেয়, সেই রাতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে গ্রেফতার করা হয়। তারপর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর সাথে বাঙ্গালীদের প্রচন্ড যুদ্ধ হয়,
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান
যুদ্ধে বাংলাদেশ জয়ী হয়,প্রায় ৯ মাস যুদ্ধ হয়ে ৩০ লাখ মানুষ শহীদ হয়,২ লাখ মা বোনের ইজ্জত এর বিনিময়ে আমরা পায় স্বাধিনতা। পাকিস্তান কারাগার থেকে বঙ্গবন্ধুকে মুক্তি দেয়৷ আসলে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন একজন অবিসংবাদিত নেতা, চির অম্লান হয়ে আছে ইতিহাসের পাতায় বাঙালি জাতির হৃদয়ে৷ ১৯৭৫ সালে বাংলাদেশের কিছু নরপশু জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কে সপরিবারে হত্যা করা হয়৷ ঘাতকের বুলেটের আঘাতে নিভে যায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর জীবন প্রদীপ ,তিনি আজীবন কোটি কোটি মানুষের হৃদয়ে থাকবে, আল্লাহ তাকে জান্নাত নসিক করাক আমিন৷
কেমন লাগলো আমার প্রিয় নেতা বঙ্গোবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর জীবন কাহিনি কমেন্ট করে জানান "আমার বাংলা ব্লগ "এর বন্ধুরা |
শুভেচ্ছান্তে
@shuvo2030
সিসি ঃ
@rme
@blacks
@hafizulla