সরকার ঘোষিত লকডাউন 5 তারিখ পর্যন্ত এবং 6 তারিখ থেকে মোটামুটি সব কিছু আবার কিছুটা স্বাভাবিক হওয়ার কথা । তাও আবার স্বাস্থ্যবিধি মেনে। তবে হঠাৎ করেই আমাদের দেশের গার্মেন্টসগুলো খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে 1 তারিখে, যার কারণে যারা গার্মেন্টসের লোকজন আছে বা যারা কর্মজীবী লোকজন আছে গার্মেন্টস সেক্টরের তারা ভীষণ বিপাকে পড়ে গিয়েছে, একদিকে লকডাউন অন্যদিকে তাদের জীবিকা। তারা একদম দিশেহারা হয়ে গিয়েছে। আর কয়েকদিন থেকেই আমি টিভিতে দেখছিলাম ভিন্ন রকমের নিউজ।আমি সবকিছু দেখি আর মুখ বুজে থাকি। কিন্তু গতকাল যখন স্বচক্ষে আরো অনেক কষ্টকর দৃশ্যগুলো দেখলাম,তখন আর মুখ বুজে থাকতে পারিনি।
শ্রমজীবী মানুষ গুলো ঈদ করতে এসেছিল যার যার এলাকায় কিন্তু তারা জেনে ছিল যে 5 তারিখ পর্যন্ত লকডাউন থাকবে এবং তাদের কর্মস্থল পুনরায় খুলবে 6 থেকে 7 তারিখ থেকে। কিন্তু হঠাৎ করে গতকালকে ঘোষণা দেওয়া হয়েছে যে 1 তারিখ থেকে তাদের কর্মস্থল খুলবে, আবার অন্যদিকে তাদের লকডাউন কারণে কর্মস্থলে যাওয়ার জন্য বিপাকে পড়তে হয়েছে।সত্যি বলতে কি, দেশে একদম শ্রমজীবী মানুষের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলা হচ্ছে ।যেটা আমাকে ভীষণভাবে কষ্ট দিয়েছে। আমি গতকাল যখন একটা কাজের জন্য বাহিরে গিয়েছিলাম, তখন দেখলাম যে যেভাবে পারছে, অনেকে হেঁটে রওনা দিয়েছে কর্মস্থলের উদ্দেশ্যে, কারণ তাদের জীবিকা বাঁচাতে হবে, কারণ তাদের কর্ম ছাড়া জীবিকা চলবে না ।সব মিলিয়ে একটা অস্বস্তিকর অবস্থা। অনেকে আবার ট্রাকের মধ্যে করে কর্মস্থলে যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছে একদম গাদাগাদি করে যা খুবই কষ্টদায়ক একটা ব্যাপার এবং আবার লঞ্চ ও ফেরিতে যারা যাতায়াত করে সেখানে একদম অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ এবং গাদাগাদি এবং সব মিলিয়ে জনজীবন হয়ে গিয়েছে একদম বিচ্ছিরি।
কি দরকার ছিল এমন শ্রমজীবী মানুষ গুলোর সঙ্গে ও সাধারণ মানুষের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলার ।এ প্রশ্নের উত্তর আমি কোথায় গেলে পাবো আমি জানিনা। এ প্রশ্নের উত্তর আমি আকাশের দিকে ছুঁড়ে দিলাম, হয়তো সৃষ্টিকর্তায় জানে এ প্রশ্নের সঠিক উত্তর। যাই হোক আমি কিছু ছবি তোলার চেষ্টা করেছি।যা দেখলে কেউ মনে করবে না যে এখানে কঠোর লকডাউন চলছে, সব মিলিয়ে একটা কষ্টদায়ক অবস্থা ।যেহেতু গণপরিবহন চলছে না ,তাই ট্রাককেই সবাই অবলম্বন করে নিয়েছে, গন্তব্যে যাওয়ার জন্য অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে।
ভাই দুঃখ হয়, কিছুই বলতে পারি না, কারন বলার পরিবেশ নেই। আসলে লকডাউন নিয়ে আমাদের দেশে মজা হচ্ছে, নির্মম মজা, তাও নিম্ন আয়ের দরিদ্র মানুষগুলোর সাথে। না হলে এই রকম গাঁজাখুরি সিদ্ধান্ত কিভাবে নেয় তারা? আমার মাথায় ঢুকে না। কিছুই করার নেই সহ্য করা ব্যতিত।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আমি আকাশের দিকে তাকিয়ে উওর খুঁজি, কিন্তু উওর পাই না ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
খুবই কষ্টকর বিষয় এটি গরিবদের জন্য।আসলে লোকডাউন মানুষের জীবনযাপন ওলটপালট করে দিচ্ছে।কিন্তু সিদ্ধান্ত সরকারের।তাই সাধারণ মানুষের শুধু আক্ষেপ এবং সহ্য করেই যেতে হবে।ধন্যবাদ আপনাকে ভাইয়া।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
বর্তমানে গরিব শ্রমজীবী মানুষের ননীর পুতুলে পরিনত হয়েছে। একেক সময় একেক সিদ্ধান্ত, বিধি-নিষেধ দিয়ে তাদেরকে যেমনি ইচ্ছা তেমনি হয়রানি করা হচ্ছে, ঘোরানো হচ্ছে।এইসব দেখা বা এসব নিয়ে কথা বলার কেউ নেই।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
পৃথিবী অন্য ভাবে ঘুরছে ভাই ।ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit