সবিতা দিদির দোকানে কিছুসময়

in hive-129948 •  last year 

20230619_191102.jpg

বলা যায় গত সপ্তাহ থেকে বেশ ভালোই ব্যস্ততা গিয়েছে। এমনিতেই বাসা পরিবর্তনের মত কাজে অনেকটাই বেগ পেতে হয় তারপর আবার গুছিয়ে উঠতে এবং সেই পরিবেশে মানিয়ে নিতেও কিছুটা সময় লেগে যায়। তাই গত কয়েকদিন থেকে কোথাও বের হওয়ার সুযোগ একদম হয়ে ওঠেনি।

তাই অবশেষে গতকাল বিকেলবেলার দিকে বেরিয়ে পড়েছিলাম পুরো পরিবার নিয়ে। অনেকটা মানসিক প্রশান্তির জন্য। আমি শুরুতেই বলে নিচ্ছি আমরা বিকেলবেলার দিকের সময়টা ঘুরে ছিলাম প্রাকৃতিক পরিবেশের ভিতরে, সেটা নিয়ে অন্য আরেকদিন পোস্ট করব। তবে গতকালকের সন্ধ্যাবেলাটা কেটেছে এক উদ্যোক্তার দোকানে, সেটা নিয়েই আজ কিছু কথা বলার চেষ্টা করছি।

20230619_190647.jpg

20230619_190918.jpg

20230619_190858.jpg

ভদ্র মহিলার নাম সবিতা। সে তিন সন্তানের জননী। তারপরে সে এই উর্ধ্বগতির দ্রব্যমূল্যের বাজারে বেঁচে থাকার জন্য, সে নিজেই বুদ্ধি করে এই শহরেই খাবারের দোকান দিয়েছে। আসলে তার স্বামীর যে পরিমাণ ইনকাম, তা দিয়ে কোনভাবেই একক খরচে সংসার চলে না। তাই সে নিজ দায়িত্বে সংসারের হাল ধরেছে।

অনেকটা বলা যায় নিজের আগ্রহ থেকেই সে এই পেশায় এসেছে। সিঙ্গারা আর রোল বেশ ভালোই বানাতে পারে। তার সঙ্গে সাম্প্রতিক সময়ে সে ফুচকা, চটপটি, নুডুলস আর অন্যান্য খাবার সে নিজের ইচ্ছা থেকেই একটু একটু করে বানাতে শিখেছিল এবং একটা সময়ের পরে তার হাত এই খাবারগুলো বানাতে মোটামুটি বেশ ভালই পরিপক্ক হয়ে গিয়েছিল। যেহেতু এই খাবার গুলো এমনিতেই মুখরোচক তাই এই খাবার গুলো দিয়েই দোকানটা প্রথমে শুরু করেছিল।

নারীরাও এখন আর কোন অংশে পিছিয়ে নেই। তারাও চেষ্টা করছে ক্রমাগত পুরুষদের পাশাপাশি সমান তালে সবরকম কাজে যুক্ত হওয়ার জন্য, এটা সত্যিই ভালো দিক। যদিও বাস্তবতা কিছুটা উল্টো কারণ নারীদের ক্ষেত্রে অনেকটাই প্রতিবন্ধকতা তৈরি হয়। যা এখনো আমাদের সমাজ ব্যবস্থায় আছে। যার কারণে অনেক নারীকেই মাঝে মাঝে বিভিন্ন রকম কটু কথার শিকার হতে হয়।

20230619_194853.jpg

20230619_194847.jpg

20230619_194840.jpg

20230619_194826.jpg

20230619_194805.jpg

20230619_191224.jpg

20230619_200041.jpg

20230619_195129.jpg

20230619_195120.jpg

সবকিছু সামলিয়েও সে চেষ্টা করছে নিজের মতো করে এগিয়ে যাওয়ার জন্য, এ ব্যাপারটাই আমাকে বেশ ছুঁয়ে গিয়েছে। গত সন্ধ্যায় তার দোকানে যখন বসে সময় কাটাচ্ছিলাম এবং তার বানানো খাবারগুলো খাচ্ছিলাম, তখন ইচ্ছে করে তার গল্পগুলো শোনার চেষ্টা করছিলাম। ভদ্রমহিলা নিজের থেকেই তার কথাগুলো আমাদের সঙ্গে শেয়ার করেছিল। ব্যাপারটা কিন্তু আসলেই অনুপ্রেরণা যোগানোর মতো।

খাবারগুলোর দাম অনেকটাই হাতের নাগালে এবং সাশ্রয়ী মূল্যে বিক্রি করছে সে। স্বাদের কথা যদি বলতেই হয়, তাহলে অন্যান্য রেস্টুরেন্টের মতোই তার খাবারের স্বাদ। দিন যত গড়িয়ে যাচ্ছে মোটামুটি তার খাবারের সুনাম আশেপাশে ছড়িয়ে যাচ্ছে এবং প্রতিনিয়ত ক্রেতারা তার দোকানে ভিড় করছে এবং বেচা-বিক্রি বেশ ভালো হচ্ছে। আমার কাছে এ ধরনের কাজগুলো অবশ্যই প্রশংসনীয় ও সম্মানের। ঘরে বসে না থেকে, জীবিকার জন্য সে নিজেও চেষ্টা করছে কিছু করতে , এটাই তো অনেক।

সত্যি বলতে গেলে কি ,তার প্রতি এক ধরনের সম্মানবোধ আমার জাগ্রত হয়েছে । এভাবেই নারীরা এগিয়ে আসুক সমান তলে প্রতিটি জায়গাতে এবং যে সামাজিক প্রতিবন্ধকতা গুলো আছে, তারা সেগুলো বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে দূর করে দিক। গতকালকের সন্ধ্যার সময়টা বেশ ভালোই কেটেছে সবিতা দিদির দোকানে। তার এমন উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাচ্ছি।

Banner-15.png

ডিসকর্ড লিংক
https://discord.gg/VtARrTn6ht


20211003_112202.gif


JOIN WITH US ON DISCORD SERVER

banner-abb4.png

Follow @amarbanglablog for last updates


Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png


VOTE @bangla.witness as witness


witness_vote.png

OR

SET @rme as your proxy

witness_proxy_vote.png

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

সত্যি ভাইয়া বর্তমান সময়ে নারীরা আর কোন ক্ষেত্রে পিছিয়ে নেই। আর কেনইবা তারা পিছিয়ে থাকবে? যখন আমাদের বাংলাদেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী একজন নারী, এমন কি আমাদের দেশের বিরোধী দলের নেতাও একজন নারী। শুধু তাই নয় আমাদের দেশের জাতীয় সংসদের স্পিকার এবং আমাদের দেশের শিক্ষামন্ত্রীও একজন নারী। সে ক্ষেত্রে আমাদের দেশের নারীদের আর পিছিয়ে থাকার সময় নেই। যাহোক ভাইয়া, সবিতা দিদির দোকানে পরিবারসহ খুবই সুস্বাদু এবং রুচি সম্মত খাবার খেয়েছেন আপনারা। আর সবিতা দিদির দোকানে কাটানো মুহূর্তটুকু আমাদের মাঝে খুবই চমৎকার ভাবে উপস্থাপন করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্যের সঙ্গে আমি আসলেই সহমত পোষণ করছি, আসলেই নারীরা আর কোন জায়গায় পিছিয়ে নেই, সর্বত্রই নারীদের জয়জয়কার ।

নারীরাও এখন নিজের পরিবারের জন্য কিছু করতে চায়। তাইতো তারাও নিজ উদ্যোগে কোন কিছু করতে চায়। সবিতা দিদি নিজের উদ্যোগে এই দারুন খাবারের রেস্টুরেন্ট দিয়েছেন দেখে ভালো লাগলো। মুখরোচক এই খাবারগুলো সবার ভালো লাগে। আর দাম একেবারে সাধ্যের মধ্যে।

হ্যাঁ আপু, সবিতা দিদির দোকানে আসলেই বেশ ভালোই সময় কেটেছে এবং ওনার উদ্যোগকে আমি অবশ্যই সাধুবাদ জানাই।

এখন অনেক নারীই পুরুষের পাশাপাশি ব্যবসা করছে। সত্যিই যা প্রশংসার দাবীদার। অনেক নারী ঘরে বসেই অনলাইনে বিভিন্ন ধরনের ব্যবসা করছে। এ সকল উদ্যোক্তারা যদি সমাজের সহযোগিতা পায় তাহলে তারা আমাদের জাতীয় রাজস্বে বড় ভুমিকা রাখতা পারবে। অনেক ধন্যবাদ সবিতা দিদি উদ্যোগ্যতা জীবনের কাহিনী শেয়ার করার জন্য।

এ সকল উদ্যোক্তারা যদি সমাজের সহযোগিতা পায় তাহলে তারা আমাদের জাতীয় রাজস্বে বড় ভুমিকা রাখতা পারবে।

বেশ ভালো বলেছেন কথাটি আপু।

নারীরা কিন্তু এখন আর পিছিয়ে নেই। নারীরা আজ গাড়ি চালায়। নারীরা আজ আইটি সেকশন চালায়, ব্যবসা করে, চাকরি করে এবং নিজের পায়ে নিজে একা একাই দাঁড়াতে জানে। দেখেন না আপনার সুবিধা দিদি কি সুন্দরের ছোট ব্যবসাটা করছে। তার কত দায়িত্ববোধ। সুবিতা দিদি নিজেও আজ সংসারে অর্থের যোগান দিচ্ছে। ভালো থাকুক সকল সবিতা দিদিরা।

Posted using SteemPro Mobile

বেশ ভালো লাগলো আপনার মন্তব্যটি, আসলেই এই মানুষগুলো ভালো থাকুক। তাদের উদ্যোগগুলো সফল হোক এমনটা প্রত্যাশা আমিও ব্যক্ত করছি।