কিছু সময় | তামান্না বিরিয়ানি হাউজ

in hive-129948 •  4 months ago 

গতকাল শহরের বাসায় পৌঁছাতে সন্ধ্যা হয়ে গিয়েছিল, যেহেতু পুরো বাসার মালপত্র গোছানো তারপর আবার গাড়ি ঠিক করা সব মিলিয়ে অনেকটা সময় চলে গিয়েছিল। সব কাজ শেষ করে যখন মোটামুটি ফ্রি হয়ে ছিলাম তখন ঘড়িতে রাত্রি দশটার মত বেজে গিয়েছিল।

20241025_201851-01.jpeg

20241025_202413-01.jpeg

20241025_202447-01.jpeg

20241025_202457-01.jpeg

20241025_200251.jpg

20241025_200231.jpg

20241025_200207.jpg

20241025_200220.jpg

20241025_200153.jpg

20241025_200159.jpg

ভিডিও


এমনিতেই দীর্ঘ সময় পরিশ্রম করেছি, যার কারণে প্রচুর ক্ষুধা লেগে গিয়েছিল। অবশেষে রাত্রিবেলা পুরো পরিবার নিয়ে সোজা চলে গিয়েছিলাম নবনির্মিত তামান্না বিরিয়ানি হাউজে।

এই রেস্টুরেন্টটি খুবই সাম্প্রতিক সময়ে আমাদের শহরের বাসার সন্নিকটেই গড়ে উঠেছে। এতদিন যদিও সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে বিজ্ঞাপন দেখেছিলাম, তবে সরাসরি যাওয়ার সুযোগ হয়নি। অবশেষে গতকাল ছিল সেই মাহেন্দ্রক্ষণ।

রেস্টুরেন্টের ভেতরটা সুন্দর পরিপাটি গোছানো, সবদিকে যেন আধুনিকতার ছোঁয়া। পুরো রেস্টুরেন্টটা দুইভাবে বিভক্ত একপাশে উন্মুক্ত এবং অন্যপাশে শীতাতাপ নিয়ন্ত্রিত পরিবেশ।

যেহেতু রেস্টুরেন্টের মালিক আমার শৈশবের বন্ধুর বাবা, তাই বলতে গেলে আমাদের আপ্যায়নের কোনো ঘাটতি হয়নি বরং দারুণভাবে সময়টা অতিবাহিত করেছি। এখানে মূলত কাচ্চি, মোরগ পোলাও, খাসির বিরিয়ানি, তেহারি এবং সাদা বিরিয়ানির ব্যবস্থা ছিল। তাছাড়া অন্যান্য খাবারের আইটেম তো সঙ্গে ছিলই।

যেহেতু অনেকগুলো বিরিয়ানির আইটেম ছিল, তাই আমরা খাসির বিরিয়ানি অর্ডার করেছিলাম। ভেবেছিলাম অনেকটা সময় লাগবে খাবার আসতে, তবে খুব একটা বেশি সময় লাগেনি বরং দ্রুত খাবার চলে এসেছিল।

অবশেষে খাবার দেখে মোটামুটি নিজেকে সামলিয়ে রাখা কিছুটা কষ্টসাধ্য হয়ে গিয়েছিল, তারমাঝেও আমি ছবি তুলেছিলাম এবং ভিডিও করেছিলাম, শুধুমাত্র আপনাদের সঙ্গে মুহূর্তটা ভাগ করে নেওয়ার জন্য।

সব মিলিয়ে যদি বলতে হয়, বিরিয়ানির দামটা হাতের নাগালের ভিতরে ছিল এবং খেতেও বেশ মজা লেগেছিল।

puss_mini_banner.png

Banner-22.png

ডিসকর্ড লিংক
https://discord.gg/VtARrTn6ht


20211003_112202.gif


JOIN WITH US ON DISCORD SERVER

banner-abb4.png

Follow @amarbanglablog for last updates


Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png

VOTE @bangla.witness as witness


witness_vote.png

OR

SET @rme as your proxy

witness_proxy_vote.png

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

বাসা পালটানোর ঝামেলাই অনেক। তাও আবার এক এলাকা থেকে অন্য এলাকায়। আর এমন সময তো আর বাসায় রান্না বান্না করার ইচেছই থাকে না। বেস ভালো করেছেন যে পুরো পরিবার নিয়ে বাহিরে গিয়ে খেয়েছেন্। সব মিলিয়ে নিজেদের ক্লান্ত দেহে কিছু আহার দেওয়ার এতটুকুও হলেও নিতে পেরেছে দেখে ভালোই লাগলো।

সব মিলিয়ে নিজেদের ক্লান্ত দেহে কিছু আহার দেওয়ার এতটুকুও হলেও নিতে পেরেছে দেখে ভালোই লাগলো।

আমি কৃতজ্ঞতাবোধ প্রকাশ করছি, আপনি আমার অনুভূতি বুঝতে পেরেছেন এজন্য ধন্যবাদ।

বাসা বদলানো যে কি ঝক্কির তা বোধহয় আমার থেকে ভালো আর কেউ জানে না৷ সে সব অভিজ্ঞতা ব্লগে লিখব কখনো। তবে আপনি যেভাবে বিরিয়ানির লোভ দেখালেন, মনটা কেমন আকপাক করছে বিরিয়ানির জন্য৷ কত দিন যে খাই না৷ উফফফ

আমি কিছুটা হলেও আপনার অভিজ্ঞতা বুঝতে পেরেছি, কেননা আপনার তো ঘুরে ঘুরে বসবাস। আপনার জন্য বিরিয়ানির দাওয়াত রইলো।

বাসা পাল্টানোর মতো কষ্ট আর কিছু নেই। যারা বাসা পাল্টায়েছে তারাই বুঝতে পারে মাথার উপর কি যে একটা যায়।রেস্টুরেন্ট টা দেখে বোঝা যাচ্ছে অনেক গোছানোও পরিপাটি খাবার গুলো ও বেশ লোভনীয়। পুরো পরিবার নিয়ে তামান্না বিরিয়ানি হাউজে খেয়েছেন দেখে অনেক ভালো লাগলো। অনেক ধন্যবাদ ভাই পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

বাসা পাল্টানোর মতো কষ্ট আর কিছু নেই। যারা বাসা পাল্টায়েছে তারাই বুঝতে পারে মাথার উপর কি যে একটা যায়।

এ এক ভয়ংকর অভিজ্ঞতা আপু।

আমি মনে করি বাসা চেঞ্জ করার মত কোন ঝামেলার কাজ হয় না। সারাটা দিন সেখানে কেটে যায় তবুও যেন কাজ শেষ হয় না। একটা বাসা পুরাপুরি সাজাতে বেশ কয়েকদিন সময় লেগে যায়। সারাদিন কাজ করার পর সকলেই বেশ ক্লান্ত ছিলেন।রাত্রি বেলায় পরিবারের সকলে মিলে রেস্টুরেন্টে খেতে গিয়েছিলেন তাও কিনা ছোটবেলার বন্ধু বাবার রেস্টুরেন্ট ছিল এটা জেনে বেশ ভালো লাগলো। আর বিরিয়ানি দেখে তো লোভ লেগে গেল। অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য।

ধন্যবাদ আপু, আমার অনুভূতি বুঝতে পারার জন্য।

শুভ ভাই আপনার ভালো হবে না কিন্তু। কেননা আপনি আমাদের লোভ দেখিয়ে এত বিরিয়ানি খাচ্ছেন এবং আবার সেই বিরিয়ানি খাওয়ার পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করে আমাদের লোক দেখাচ্ছেন এতে করে কিন্তু আমরা সবাই রেগে যাচ্ছি। আসলে পরিবারের সাথে এই অনুভূতিগুলো কাটানোর আনন্দই আলাদা। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটা পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

ভাই দীর্ঘদিন পরে বাসা পরিবর্তনের জন্য শহরে এসেছিলাম, তাই বাধ্য হয়ে খেতে হয়েছিল বিরিয়ানি। কেননা বাসায় রান্না করার অপশন ছিল না।

ঐরকম পরিশ্রমের পর খাবার সামনে রেখে ছবি তোলা সত্যি ধৈর্যের ব‍্যাপার। আমি হলে হয়তো এতো বড় ধৈর্যের পরীক্ষা দিতে পারতাম না হা হা। বেশ ভালো কেটেছে সময় টা আপনার পরিবারের সাথে।

বাসা পাল্টানো নিয়ে একেবারে দৌড়ের উপর আছেন দেখছি। যাইহোক শহরের বাসায় গিয়ে, বাসা থেকে রেস্টুরেন্টে গিয়ে বেশ মজাদার খাবার খেয়েছেন ভাই। খাসির বিরিয়ানির ফটোগ্রাফি দেখে মনে হচ্ছে খেতে দারুণ লেগেছিল। বেশ ভালো লাগলো পোস্টটি দেখে। যাইহোক এতো চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।