ফিরে আয় || @shy-fox 10% beneficiary

in hive-129948 •  3 years ago 

আচ্ছা কল্পনার গল্প যদি বাস্তবে মিলে যায় । তাহলে কেমন হয়, হয়তো মাঝে মাঝে একটা উৎসাহ কাজ করে আবার মাঝে মাঝে হৃদয়টা চূর্ণ-বিচূর্ণ হয়ে যায়, রক্তাক্ত আভা ধারণ করে ।রাব্বানী আমার বাল্যবন্ধু । সেই ক্রিকেট খেলা থেকেই ওর সঙ্গে পরিচয় হয়েছিল।

Screenshot_20220306-220947_Messenger.jpg

হাইস্কুলের মাঠে যেবার ওকে প্রথম দেখেছিলাম, আমার এখনো মনে আছে । লিকলিকে গড়নের একটা ছেলে, ট্রাউজার পরে যখন বল করছিল বেশ ভালো গতি ছিল । ওর তিন বল মোকাবেলা করতে না করতেই, আমার অফ স্টাম্প ভেঙ্গে ফেলেছিল । ওর সঙ্গে যতবার দেখা হয়েছে ততবারই ক্রিকেট মাঠে । যাইহোক আস্তে আস্তে জানতে পারলাম, সে এই এলাকার স্বনামধন্য পরিবারের ছেলে । পড়াশোনা তাকে খুব একটা টানে না , ছোটবেলা থেকেই দেখেছি সে মোটামুটি একটু উগ্র স্বভাবের।

20211126_145508-01.jpeg

এভাবেই চলছিল জীবন । তারপর হুট করে বাবার কর্মস্থল পরিবর্তনের কারণে আর সেভাবে যোগাযোগ হয়নি । বছর দশেক পরে যেবার প্রথম সাক্ষাত হলো, সেই ঘটনাটা একটু ভিন্ন ছিল । সেবারই প্রথম তার সোশ্যাল মিডিয়ার আইডি লিংক নিয়ে ছিলাম। তাও সেটা অনেক কাহিনী, মোটামুটি ঢাকা থেকে ফিরছিলাম । মাঝে ফুড ভিলেজে যাত্রাবিরতিতে হুট করে দেখা, চেহারাটা পরিচিত পরিচিত লাগছিল । তাই বলে ফেললাম, আমি যদি ভুল না করি তাহলে আপনার নাম রাব্বানী । সে তো মোটামুটি খোলামেলা ভাবেই বললো , আরে তুই শুভ নাহ ।

যাইহোক এখন কই থাকিস আর কি করিস । তোর তো চেহারার বিন্দুমাত্র পরিবর্তন হয়নি । যাইহোক মোটামুটি ভালই কথা চলল । অতঃপর আমি বলে ফেললাম প্রাইভেট এক মেডিকেলে দন্ত বিদ্যায় পড়াশোনা করছি। তারপর তুই কি করিস এখন রব্বানী , সেই আগের মতোই সোজাসুজি উত্তর । ঐ আরকি আগের মতোই জীবনের তেমন গতিপথ এখনো খুঁজে পাইনি , খাই দাই ঘুরি ফিরি ।

যাত্রাবিরতি শেষ । তারপর যে যার গন্তব্যে চলে গেলাম । ঐযে সোশ্যাল মিডিয়ার আইডি লিংক লেনদেন হলো, তারপর থেকে টুকটাক কথাবার্তা সোশ্যাল মিডিয়াতেই হতো আর দেখা হয়নি । সম্ভবত ছয় থেকে সাত বছরের মতো হবে । কিছু মানুষ থাকে ভীষণ চাপা স্বভাবের । তাদের আসলে তেমন এক্টিভিটিস সোশ্যাল মিডিয়ায় চোখে পড়ে না বললেই চলে। জায়গাভেদে একেক জনের পছন্দ একেক রকম হয়ে থাকে । তাই হয়তো রব্বানীর তেমন কোনো কার্যকলাপ আমার চোখে পড়েনি ।

20211126_145501-01.jpeg

বছর দুয়েক আগে সেই যে ওর একটা স্ট্যাটাস দেখেছিলাম সোশ্যাল মিডিয়াতে, সেটা ছিল ইউক্রেন যাওয়া কে উদ্দেশ্য করে । তারপরেও খুব একটা বেশি কথা হয়নি । জানতাম না , সে সেখানে কি করে বা তার কাজ কি । তবে একটু ভাবছিলাম, যে ছেলেটা ব্যক্তিগত জীবনে এত স্বাধীন স্বভাবের , সে কিভাবে গন্ডিবদ্ধ নিয়মের মাঝে প্রবাস জীবন মানিয়ে নিয়েছে, এটা ভাবতেই অবাক লাগত ।

আজ বছর দুয়েক পরে, আমি ভুলেই গিয়েছিলাম ইউক্রেনে রব্বানী আছে । ভুলে যাওয়ার ই তো কথা, কত কাজ ব্যক্তি জীবনে , কতকিছু সামলানো লাগে , সেই সংসার থেকে শুরু করে নিজের কর্ম , আসলে অনেক কিছু মনে রাখতে চাইলেও মনে করা যায় না । আজ যখন সোশ্যাল মিডিয়ার নিউজফিড ঘাঁটাঘাঁটি করছিলাম । ঠিক তখন একটা নিউজ দেখে হৃদয়টা বেশ চূর্ণ-বিচূর্ণ হয়ে গিয়েছে ।

সেই যে স্বাধীনচেতা রব্বানীকে আমি চিনতাম, সে আজ অজানা দেশের ভূখণ্ডে একটা বাসের মধ্যে বসে , কোন রকম শুকনা খাবার খাচ্ছে আর নিউজ চ্যানেলের কর্মীর সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করছে । তার জীবন এখন সংকটাপন্ন, সে কোন মতো দেশে ফিরতে চায় । সে কয়েকদিন থেকে নিদ্রাহীন ও খেয়ে না খেয়ে কোন মতে পোল্যান্ডের বর্ডারের কাছে এসেছে এবং তার উপর দিয়ে যে ভীষণ মানসিক ও শারীরিক চাপ গিয়েছে , সেটা তার চোখ মুখ দেখেই বোঝা যাচ্ছে ।

20211001_130133-01.jpeg

আমি আমার বন্ধু বলে বলছিনা, আমি মনে করছি সেই যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশে অবস্থানরত সাধারণ মানুষ গুলোর কথা । আমি নিউজে রব্বানীর অবস্থা দেখেই অনেকটাই আবেগপ্রবণ হয়ে গিয়েছি । না জানি সেখানে বসবাসরত মানুষজন গুলোর এই মুহূর্তে কি অবস্থা , তা একমাত্র সৃষ্টিকর্তাই জানে ।

সমসাময়িক যুদ্ধের ব্যাপার নিয়ে, আমি তেমন কোন কথা বলতে চাই না বা ইচ্ছুক নই । তবে আমি শুধু মানুষ হিসাবে , সাধারণ মানুষ গুলোর কথা চিন্তা করছি । তারা যেন নিরাপদে থাকতে পারে এই কামনাই করছি । ভালো থাকুক, আমার বন্ধু রব্বানী এবং ভালো ভাবে দেশে ফিরে আসুক এই কামনাই করি ।

Banner.png

ডিসকর্ড লিংক:
https://discord.gg/VtARrTn6ht


20211003_112202.gif


JOIN WITH US ON DISCORD SERVER

banner-abb4.png

Follow @amarbanglablog for last updates


Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  
ছোটবেলার ফ্রেন্ড এই রকম একটা পরিস্থিতিতে আটকা পড়ে আছে এমন নিউজ দেখার পর খারাপ লাগাটা স্বাভাবিক। তবে আপনার পরিচিত বন্ধুর মতো অনেকেই এই কষ্টকর অবস্থায় আছেন। আমার খুব খারাপ লাগে এমন নিউজ দেখলে।
সৃষ্টিকর্তা ভালো জানেন কবে এই ভয়াবহতা শেষ হবে! করোনার প্রভাব শেষ হতে না হতেই কৃত্তিম দূর্যোগের আগমন। দোয়া করি আপনার বাল্যবন্ধু রাব্বানীর মতো আরো যারা আটকা পড়ে আছে, তারা যেন ভালোভাবে দেশে ফিরে আসতে পারে।

হুম ভাই এমনটাই হলেই ভালো । সবাই নিরাপদে থাকুক এই কামনাই করি ।

প্রিয় বন্ধুদের নিয়ে এরকম খবর সত্যিই একটি মর্মাহত বিষয় যাইহোক আপনার পরিবেশ পরিস্থিতি দেখে খুবই খারাপ লাগছে আপনার সাথে সহমত পোষণ করছি ফিরে আয় রব্বানী।

♥♥

ভাইয়া আপনার বাল্যবন্ধু রব্বানী ভাইয়ের কথা শুনে খুবই খারাপ লাগছে। রব্বানী ভাইয়ের মতো হাজারো মানুষ না খেতে পেয়ে অনাহারে দিন কাটাচ্ছে। ইউক্রেনের যুদ্ধ পরিস্থিতির কারণে অনেক মানুষ মানবেতর জীবন যাপন করছে। তাদের এই দুঃখ-দুর্দশা দেখলে খুবই খারাপ লাগে। সেই অসহায় মানুষগুলোর কথা মনে হলে হৃদয় কেঁপে ওঠে। আমরা সকলেই চাই সেই পরিস্থিতি যেন খুব তাড়াতাড়ি স্বাভাবিক হয় এবং আপনার বন্ধু খুব দ্রুতই দেশে ফিরে আসতে সক্ষম হন। শুধুমাত্র আমি আপনার বন্ধু রব্বানী ভাইয়ের কথাই বলছি না এরকম হাজারো রব্বানী আছে যারা নিজের দেশের মাটিতে ফেরার প্রতীক্ষায় রয়েছে। তারা জীবন সংশয়ে দিন কাটাচ্ছে। সবাই আমরা দোয়া করি তারা যেন নিজের দেশের মাটিতে ফিরতে পারে। অনেক সুন্দর ভাবে আপনার মনের ব্যক্ত কথা উপস্থাপন করেছেন এ জন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি ভাইয়া। সেই সাথে আপনার জন্য শুভকামনা রইলো ভাইয়া।

যুদ্ধ মানবতার শত্রু । শান্তি ফিরে আসুক এই কামনাই করি ভাই ।

দুয়া করছি আপনার বন্ধু রব্বানী যেনো সহি সালামত থাকতে পারে এবং ফিরে আসতে পারে৷ পোস্ট টি পড়ে খুবই খারাপ লাগছে। আল্লাহ পাক হেফাজতে রাখুক সকলকে।

একদম সঠিক কথা বলেছেন। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।

ভাই আপনার বন্ধু রব্বানীর মত অনেক বাঙালি সন্তানই আটকা পড়ে আছে ইউক্রেনের মাটিতে। অনেকেই আত্মরক্ষা করতে পেরেছেন কোনমতে আবার অনেকের জীবন এখনও সঙ্কটাপন্ন। জানিনা ভবিষ্যতে কি হবে। প্রার্থনা ছাড়া আমরা আর তাদের জন্য কি করতে পারি। শুভকামনা রইল।

সকলের প্রার্থনাই থাকুক বিপদগ্রস্ত মানুষ গুলো । শান্তি ফিরে আসুক সকলের জীবনে । ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।

অনেক মানুষ এইরকম চাপা স্বভাবের হয়ে থাকে,আবার হুট করেই অবাক করা কিছু করে ফেলে।এটি সত্য ইউক্রেনে প্রচুর বাঙালি রয়েছে যাদের অবস্থা এখন করুন।যুদ্ধ কখনো বলে আসে না, তারপর ও আমরা তাদের নিরাপত্তার জন্য প্রে করি।ভালো থাকুক পৃথিবীর সকল ভালো মানুষ।ধন্যবাদ ভাইয়া।

সবাই নিরাপদে থাকুক ,এই কামনাই করি ।

সমসাময়িক যুদ্ধের ব্যাপার নিয়ে, আমি তেমন কোন কথা বলতে চাই না বা ইচ্ছুক নই । তবে আমি শুধু মানুষ হিসাবে , সাধারণ মানুষ গুলোর কথা চিন্তা করছি । তারা যেন নিরাপদে থাকতে পারে এই কামনাই করছি ।
প্রথমে হেডলাইন পড়ে হয়তো ভাবছিলাম আপনার বন্ধু পরপারে চলে গেছে। কিন্তু গভীরভাবে যখন সম্পূর্ণ অংশটি পড়লাম তখন বুঝতে পারলাম বিষয়টা। সৃষ্টিকর্তা যেন আপনার বন্ধুকে সুস্থ শরীরের দেশে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করে দেন।
এবং ইউক্রেন বাসীর জন্য প্রার্থনা রইলো সৃষ্টিকর্তা যেন সাধারণ মানুষকে হেফাজত করেন।

আসলেই ভাইয়া আজকের পোস্টটা পড়ে খুবই খারাপ লাগলো। আসলে এভাবে যে দেশে যুদ্ধ সেই দেশের সাধারণ মানুষের অবস্থা খুবই খারাপ থাকে। আর আপনার বন্ধু রাব্বানীর জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল, যেন সে সুস্থ ভাবে দেশে ফিরতে পারে। আর সবকিছু স্বাভাবিক হয়ে যায়।

এই কামনাই করছি ভাই । সবাই নিরাপদে থাকুক এই কামনাই করি ।

ভাই আজকে আপনার পোস্টটি পড়ে আমার প্রথমে অনেক ভালো লেগেছিল কারণ আপনার বাল্যবন্ধু রব্বানীর সাথে ক্রিকেট মাঠে পরিচয়। তারপরে অনেক দিন পর আপনাদের দেখা। সেখানে কথা সাক্ষাৎ এবং সোশ্যাল মিডিয়ার লেনদেনের মাধ্যমে কথা হতো। কিন্তু যখন আপনার বন্ধু রব্বানী ইউক্রেনে বসবাস করে আর এখন যুদ্ধ চলছে এই কথাটা মুনেই ভয় কষ্ট হচ্ছে। যুদ্ধের মধ্যে বসবাস করা খুবই কঠিন। সে বাড়ি ফেরার চেষ্টা করছে। তার চেহারা দেখে আপনার অনেক কষ্ট হয়েছে। আমারও খুবই খারাপ লাগছে। আসলে যুদ্ধ আমাদের কখনো শান্তি এনে দেয় না। যুদ্ধ সবসময় ধ্বংস বেঁয়ে আনে। মানুষের জীবন যাত্রার মান নষ্ট করে দেয়। তাই আমি আপনার বন্ধুর জন্য দুয়া করি। সে যেন সুস্থ ভাবে আমাদের বাংলাদেশে ফিরে আসতে পারে।

যুদ্ধ মানবতার শত্রু । শান্তি ফিরে আসুক , সবাই নিরাপদে থাকুক এই কামনাই করি ।

হৃদয় টা শুধু আপনার না ভাই আমারও চূর্ণ বিচূর্ণ হয়ে গেল। সত্যি রব্বানী ভাই এখন কতো ঝুকির মধ্যে রয়েছে। আমাদের আশেপাশে এমন অনেকেই আছে যারা স্বাধীনচেতা কিন্তু জীবন ও জীবিকার তাগিদে একটা কিছু করার জন্য নিয়মবদ্ধ হয়ে যায়। যেমনটা রব্বানী ভাইয়ের ক্ষেএে দেখলাম।আমরা যুদ্ধ না শান্তি চাই। যাইহোক আমি দোয়া করব রব্বানী ভাই যেন সহীহ সালামতে দেশে ফিরে আসে। অসাধারণ উপস্থাপন করেছেন ভাই। পুরোটা পড়ার মধ্যে আলাদা একটা টান ছিল।

এইটা সমসাময়িক অবস্থা ভাই , সবার জীবনে শান্তি ফিরে আসুক এই কামনাই করি ।

ভাইয়া,কোন কিছু বলার ভাষা নেই। আজকে ও দেখলাম ইউক্রেনের বোমা হামলায় বাংলাদেশি যবক নিহত।তার মা ভীষন চিৎকার করে কাঁদছে।কবে যে বিশ্বটা ঠিক হবে। এই অপেক্ষায় আছি।

আসলেই ব্যাপার গুলো খুবই দুঃখজনক। পারিপার্শ্বিক অবস্থার উন্নতি হোক এই কামনাই করি ।

আসলে আমরা কত কিছুই না কল্পনা করি বাস্তবতা যদি মিলে যায় মনের ভেতর প্রশান্তি কাজ করে। আসলেই হুট করে বন্ধুকে চিনে ফেললেন সত্যিই তখন মনের ভিতর অনেক ভালোলাগা কাজ করছিল। অনেকদিন পর কাছে পেলেন বাল্যবন্ধু কে।আসলে মানুষের জীবনটা আসলেই অনেক কষ্টের। জীবনের গতিপথ খুঁজে পাওয়া যায় না।আসলে বাস্তবতা খুবই কঠিন। জীবনের সব বাধা অতিক্রম করে একটা সময় যত অনিচ্ছায় থাকুক সব কিছু মুখ বুজে সহ্য করতে হয়। দোয়া রইল আপনার বন্ধু যেন সহিসালামতে দেশে ফিরতে পারে। সে যেন সুস্থ থাকে। আসলেই মানুষ হিসাবে একটা মানুষের খোঁজ নেওয়া কর্তব্য আমাদের।আর ভাইয়া আপনি খুবই সুস্থ স্বভাবের একজন মানুষ। মনমানসিকতা অনেক সুন্দর,♥️🤲

আমি মনে করছি সেই যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশে অবস্থানরত সাধারণ মানুষ গুলোর কথা ।

আসলেই খুব খারাপ লাগছে উনাদের কথা ভেবে।যুদ্ধ কখনোই সুখ আনতে পারেনা।

রাব্বানি ভাই এর জন্য অনেক অনেক দোয়া রইলো যেনো উনি সহি সালামতে বাংলাদেশে ফেরত আসতে পারে। পাশা পাশি ইউক্রেন এ থাকা সকল বাংলাদেশি সহ সবার জন্যই দোয়া। আল্লাহর কাছে চাই যেনো যুদ্ধ দ্রুত শেষ হয়ে যায়। সকলে শান্তিতে থাকে।

ধন্যবাদ ভাই অনেক সুন্দর মতামত শেয়ার করার জন্য।

আসলে ভাই জীবনে এইরকম অনেক মানুষের সাথে পরিচয় হয় বেশি সময় তাদের সাথে পার না করলেও তাদের প্রতি একটা মায়া কাজ করে।আসলে এই দুনিয়া বড় মনে করলেও আসলে তা অনেক ছোট।ঘুরে ফিরে সবার সাথেই দেখা হয়।আসলে ঠিকই বলেছেন যে,যুদ্ধা অবস্থা দেশে কতো না বিপদ চলতেছে।তবে সব চেয়ে খারাপ লাগলো আপনার বন্ধু রব্বানি ভাইয়ের কথা শুনে।দোয়া করি যেন সৃষ্টি কর্তা ওনাকে অতিদ্রুত দেশে ফিরে নিয়ে আসে।শুভ কামনা রইল রব্বানি ভাই এবং আপনার জন্য।

আমি কৃতজ্ঞতাবোধ প্রকাশ করছি ভাই ।

সেই যে স্বাধীনচেতা রব্বানীকে আমি চিনতাম, সে আজ অজানা দেশের ভূখণ্ডে একটা বাসের মধ্যে বসে , কোন রকম শুকনা খাবার খাচ্ছে আর নিউজ চ্যানেলের কর্মীর সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করছে । তার জীবন এখন সংকটাপন্ন, সে কোন মতো দেশে ফিরতে চায়

ওনার অবস্থা থেকে সত্যি খুব খারাপ লাগলো ভাইয়া। এমন যুদ্ধ পরিস্থিতিতে ওখানে থাকা নিরাপদ না।অনেক বাঙালি আটকা পড়েছেন আবার একটা নিউজ দেখলাম বাংলাদেশিদের নাকি জিম্মি করে রেখেছে কয়েকজন বিষয়টি আরো বেশি খারাপ লেগেছে। রাব্বানী ভাইয়ের জন্য দোয়া করি উনি যেন দ্রুত নিরাপদ স্থানে যেতে পারেন এবং বাংলাদেশের ফিরে আসতে পারেন। আমাকে কখনো যুদ্ধ কামনা করি না। শান্তি একমাত্র মঙ্গলের পথ। আর হ্যাঁ যারা সবসময় কাজের মধ্যে ব্যস্ত থাকে তাদের সোশ্যাল মিডিয়াতে খুব চোখে পড়ে না। আমারও মাঝে মাঝে যখন এক্সাম থাকে 15/20 দিন এক মাস ফেসবুকে যাওয়া হয়না। রাব্বানী ভাইয়ের জন্য দোয়া রইল তিনি যেন দ্রুত দেশে ফিরে আসতে পারেন আল্লাহ যেন ওনাকে হেফাজত করেন।

পৃথিবীতে শান্তি ফিরে আসুক, মানুষ নিরাপদে থাকুক এই কামনাই করি ।

ভাইয়া আপনি আপনার লেখার মাঝে সব সময় বাস্তব চিন্তা ধারা গুলো তুলে ধরেন যা আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। তবে আপনি আজকে যে বিষয়টির উপর আপনার লেখনী উপস্থাপন করেছেন সেই বিষয়টি সত্যিই অনেক হৃদয়বিদারক। আমরাও চাই সেই বিপদগ্রস্ত মানুষগুলো যেন নিজের বিপদ থেকে মুক্তি পায়। আপনার বাল্যবন্ধু রব্বানী ভাইয়ের মত হাজারো রব্বানী যেন নিজের মায়ের কোলে ফিরে আসতে পারে। আসলে যারা প্রবাসে জীবনযাপন করে তারা নিজের মাটির বুকে মৃত্যুবরণ করলেও শান্তি পায়। কিন্তু তারা যদি প্রবাসের মাটিতে নিজের জীবন হারায় তাহলে আরো বেশি খারাপ লাগে। প্রবাসী বাংলাদেশিরা যুদ্ধ পরিস্থিতির মাঝে অনেক আতঙ্কে সময় কাটাচ্ছে। রব্বানী ভাইয়ের মতো হাজারো বাঙালি প্রবাসী এই পরিস্থিতির মধ্য সময় কাটাচ্ছে। সৃষ্টিকর্তা যেন এই মানুষগুলোকে রক্ষা করেন এবং নিজের দেশের মাটিতে ফিরে আসার তৌফিক দান করেন এই কামনা করছি ভাইয়া। ধন্যবাদ আপনাকে ভাইয়া সুন্দর একটি পোষ্ট উপহার দেওয়ার জন্য।

চেষ্টাকরি আপু সমসাময়িক বিষয় গুলো নিয়ে একটু আলোকপাত করার জন্য ।

"ফিরে আয় রব্বানী"এমন গল্পের শিরোনামে আপনি বিভীষিকাময় পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাওয়া কিছু জীবনকে তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন। বন্ধুর প্রতি বন্ধুর ভালবাসা সেটাও জাগ্রত করেছেন।শুধু রব্বানী নয় এমন বহু জীবন বিপর্যস্ত অবস্থার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। আমরা যুদ্ধ নয় শান্তি চাই, আমরা চাই শান্তি পূর্ন পৃথিবীতে সকলে ভাল থাকুক। মহান আল্লাহ সকলের প্রতি সহায় হোক। রব্বানী ভাইয়ের মতো হাজারো রব্বানী সুস্থ থাকুক, ভালোভাবে থাকুক, নিরাপদে থাকুন।

পাঠকের সন্তুষ্টি ,লেখকের আত্মতৃপ্তি । কৃতজ্ঞতাবোধ প্রকাশ করছি ভাই ।