অকৃতজ্ঞ

in hive-129948 •  2 years ago 

20221129_152937_0000.png
ডিজাইন canva দ্বারা তৈরি

কয়েকদিন থেকে মনের অবস্থা খুব একটা ভালো নেই আর কেন ভালো নেই, এটার হয়তো নতুন করে তেমন কোন ব্যাখ্যা আপনাদেরকে দিতে হবে না। কারণ আপাদমস্তক পুরো ব্যাপারটাই আপনারা কমবেশি জানেন । সত্যি বলতে কি, দিনশেষে আমরা বাঙালি জাতিরা এমনই। বিশেষ করে আমার অঞ্চলের লোকজন বা আমার দেশের লোকজন ।

আমি কথাটা এজন্যই বললাম যে, এটা আমার বাস্তব জীবনের অভিজ্ঞতা থেকে আলোকপাত করে বলছি এই কথাগুলো। কারো যদি গায়ে লেগে যায়, আমি শুরুতেই তাদের কাছে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি । লেখালেখির জগতে দীর্ঘ সময় থেকে আছি। বহু উত্থান পতনের অবস্থাও দেখেছি এই প্ল্যাটফর্ম গুলোর। তাছাড়াও বহু মানুষের সঙ্গে পরিচিত হওয়ার সুযোগ হয়েছে এবং যা ক্রমাগত চলছে ।

২০১৭ সাল থেকে এই প্লাটফর্মে যখন প্রথম লেখালেখি শুরু করেছিলাম, তখন সেই সময়ের আঞ্চলিক কমিউনিটি দিয়েই আমার যাত্রা শুরু হয়েছিল। সেখানেও কিছু ভালো মানুষের সঙ্গে পরিচয় হয়েছিল। তারপরেও সেই কমিউনিটিটা একটা সময়ে গিয়ে নষ্ট হয়ে গিয়েছিল মূলত কিছু নিজেদের বাঙালি লোকজনের জন্যই। কারণ স্বার্থের ব্যাপার জড়িত ছিল ।

সেই সময় যে ব্যাপারটি বেশ ভালোভাবে লক্ষ্য করে ছিলাম তা ছিল, মূলত সদস্যদের কোন কিছু শেখার থেকে তাদেরকে অর্থের ব্যাপারটা বেশি টানতো। বিশেষ করে কিভাবে দ্রুত সময়ে বেশি অর্থ কামানো যাবে, কিভাবে মানুষের কাছ থেকে অর্থ বাগিয়ে নিতে পারা যাবে বিশেষ করে বিদেশী লোকজনের কাছ থেকে। এই প্রবণতা গুলোই বেশি ছিল।

আমি এমনও ঘটনা দেখেছি যে, পয়সার জন্য নিজের বাবা মাকে মৃত বানিয়েছে, পয়সার জন্য অসুস্থতার ভান করেছে, পয়সার জন্য গরিব সেজেছে এবং খেতে পারছে না ও নানা রকম অজুহাত দিয়েছে, যেটা অনেকটাই অনুময়-বিনিময় করে মানুষের কাছ থেকে সিমপ্যাথি নেওয়ার চেষ্টা করেছে।

এরপর মোটামুটি সেই সময় আঞ্চলিক কমিউনিটি গুলোতে যখন এরকম ঘটনাগুলো দেখলাম, তারপরে ইচ্ছাকৃতভাবেই এদের এই অবস্থা দেখে নিজেকে সরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে অন্যত্র বিদেশি কমিউনিটি গুলোতে লেখার চেষ্টা করলাম। তবে সেই সব কমিউনিটিতে যখন যেতাম এবং লেখালেখি করতাম, শুরুতেই সম্মান পাওয়াটা সেখানে সহজ ছিল না। এমনও কথা শুনতে হয়েছিল, আপনি যে দেশের মানুষ তারা একদম অনেকটাই চোর-ছেচরা ও ভিখারি স্বভাবের মানুষ ।

এতো কিছুর পরেও কিন্তু একটা সময় গিয়ে সেই সব কমিউনিটি গুলোতে নিজেদের কাজ দিয়ে আমি বা আমরা বেশ ভালোই সফল হয়েছিলাম। যাইহোক মূলত ব্লকচেইন ভিত্তিক ব্লগিং প্লাটফর্ম বা যতগুলো কমিউনিটিতে লেখালেখি করেছি, সত্যি বলতে কি বাঙালি বা বাংলাদেশের মানুষজনকে বহির্বিশ্বের মানুষজন খুব একটা পছন্দ করে না। এটা একদম চিরন্তন সত্য কথা। এটা হয়তো আমার দীর্ঘ পাঁচ বছরের অভিজ্ঞতা থেকে কথাটা বলেই ফেললাম। তাছাড়াও তো এখনো ক্রমাগত এই অভিজ্ঞতা হয়েই যাচ্ছে ।

আমরা মানুষ এমন এক অদ্ভুত চিড়িয়া, সারা জীবন যদি কারো কাছ থেকে সুবিধা পাই আর তা যদি হুট করে এসে কখনও একটু এদিক-সেদিক হয়ে যায়, তাহলেই যার কাছ থেকে সুবিধা প্রতিনিয়ত পেয়েছি বা যেখান থেকে সুবিধা পাচ্ছি, সেই মানুষ গুলোকে নিয়ে এলোমেলো কথা বলতে আমরা একটু দ্বিধাগ্রস্ত হই না ।

আমি মনেকরি আমাদের জাতির আজকের এই অবস্থানের জন্য আমরা নিজেরাই দায়ী। তারপরেও কিছু মানুষ দিনশেষে তাদের জন্য ভালো কিছু করার সুযোগ করে দেয় বা ভালো কিছু নিয়ে তাদের জন্য অপেক্ষা করে। কিন্তু আমাদের নিজেদের বিকৃত মানসিকতার জন্যই আমরা সেই সুযোগগুলো গ্রহণ তো করতেই পারি না বরং সুযোগগুলো যদি সামনে আসে সেটার সদ্ব্যবহার না করে সেই সুযোগগুলোকে নষ্ট করে ফেলি ।

আমরা জাতি হিসেবে যেমন স্বার্থপর,নোংরা ও বিকৃত মস্তিষ্কের অধিকারী ঠিক আমরা মানুষ হিসেবেও ভীষণ অকৃতজ্ঞ, এটাই বাস্তব । কেউ এখানে ধোয়া তুলসী পাতা না, আমিও না । হয়তো আজকে এমন কথাগুলো আপনাদের সঙ্গে বলছি, তার একটাই কারণ, আমিও জীবনে বহু ধাক্কা খেয়েছি, বহু মানুষের দায়িত্ব নিয়েছিলাম এই লেখালেখির জগতে , তবে যে তিক্ততার স্বাদ আমি পেয়েছি তা আসলে ভোলার মতো না।

আসলে অকৃতজ্ঞ মানুষদের নিয়ে পথ চলাটাও ভীষণ মুশকিল। কারণ একটু অসুবিধা হলেই, পিছনে ফিরে তাকালে কাউকেই পাওয়া যায় না ।

একটা চিরন্তন সত্য কথা বলি, এখন ২০২২ সাল চলে, দেখতে দেখতে শেষই হয়ে যাচ্ছে বছরটা। তবে এখন থেকে ৫ -৭ বছর পরের কথা যদি চিন্তা করেন, আমি এক কলমে লিখে দিতে পারি। পুঁথিগত শিক্ষা ব্যবস্থা তখন খুব একটা থাকবে না বললেই চলে। সবকিছু ইন্টারনেট কেন্দ্রিক হয়ে যাবে এবং ব্লকচেইনের মতো আরো আধুনিক অনেক টেকনোলজি চলে আসবে, মানুষ তখন সেদিকে ধাবিত হবে, মানুষের জীবনের সঙ্গে সেই সময় ইন্টারনেটের ভূমিকা থাকবে ওতপ্রোতভাবে। এবং ইন্টারনেটেই জীবন-জীবিকার ও আয়, রুজি-রোজগারের পথ খুঁজে নেবে।

আর সেই সময়েও যদি আমাদের এরকম অকৃতজ্ঞ মনোভাব থেকেই যায়, তাহলে আমরা বাঙালি জাতি হিসেবে সেই সময়েও অনেকটাই পিছিয়ে পড়ে থাকবো। আজকে কথাটা বলে রাখলাম, সময় সুযোগ হলে মিলিয়ে নেবেন ।

ধন্যবাদ

Banner-6.png

ডিসকর্ড লিংক
https://discord.gg/VtARrTn6ht


20211003_112202.gif


JOIN WITH US ON DISCORD SERVER

banner-abb4.png

Follow @amarbanglablog for last updates


Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png


VOTE @bangla.witness as witness


witness_vote.png

OR

SET @rme as your proxy

witness_proxy_vote.png

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

আমার বাংলা ব্লগের সন্মানিত ফাউন্ডার আমাদের সকলের অতিপ্রিয় এবং শ্রদ্ধাভাজন @rme দাদা একজন বাঙালি। আমি নিজেও তাই। আমি কোন বাঙালি জাতিকে এভাবে অবমাননা করতে পারি না। সব জাতির মধ্যে খারাপ এবং ভালো মানুষ আছে। আমি আমাকে ফুটিয়ে তুলতে চাই আমার কাজের মাধ্যমে। ঠিক যে বিষয়টি নিয়ে উদ্যোগ নিয়েছেন আমাদের সকলের প্রিয় দাদা। বাংলা ভাষাকে অন্যরা এত বেশি অবহেলা করে জন্য, সর্বোচ্চ আসনে নিয়ে যেতে চান এই বাংলা ভাষাভাষী কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগকে।একেই বলে বীর বাঙালি।খুব অল্প সময়ের মধ্যে বাঙালি ইউজাররা সবাই মিলে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিকে একটি কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে পেরেছেন ইনশাল্লাহ। তবে এতটুকু বলব সফলতার পথ সব সময় পিচ্ছিল হয়। আর এই পিচ্ছিলতাকে কাটিয়েই সফলতার স্বাদ নিতে হয়।সফলতা মোটেই সহজ নয়।এরকম হাজারো বাধা আসবেই। আর সেগুলো কে অতিক্রম করে ইসামনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার নাম হচ্ছে সফলতার পথ। দু-একজন কুচক্রী মানুষের জন্য নিজের জাতিকে নিজেদের দেশকে কলঙ্কিত না করি। আমি সব সময় বাঙালি গর্বে গর্বিত হতে চাই। ধন্যবাদ♥♥

আসলে ভাইয়া, আমাদের নিজেদের মানসিকতায় সমস্যা রয়েছে। যাদের থেকে আমরা প্রতিনিয়ত সুবিধা ভোগ করছি, তাদেরকে যদি আমরা আপন না ভাবতে পারি। তাহলে তো অবশ্যই অকৃতজ্ঞই বলতে হবে। মানুষ যে কিভাবে এতটা নিকৃষ্ট হতে পারে সত্যি বুঝতে পারিনা। এরকম মানসিকতা হলে এই ধরনের প্লাটফর্মে টিকে থাকা কখনো সম্ভব নয়। আমাদের উচিত সারাক্ষণ আমরা কিভাবে সৃজনশীলতা বজায় রেখে কাজ করতে পারব এই সব কিছু ভাবার। কিন্তু তা না করে যদি মানসিকতার এরকম অবস্থা হয় তাহলে তো কখনোই একসাথে কাজ করা সম্ভব নয়। আসলে কিছু কিছু মানুষ আছে যারা যে থালায় খায়, সে থালা ফুটো করে।

শুভ ভাই আসলে এখানে কিছু বলার নেই ৷ আপনি যে কথা গুলো বলেছেন এটাই সত্য ৷ আমাদের দেশের বাঙালিরা হলো বিসধর সাপ ৷ এরা যার সাথে খেলা করবে তাকেই ছোবল মারে ৷ একটা জিনিস ভাবতেই নিজেকে লজ্জা করছে ৷ যে মানুষটি এতো সুন্দর একটি কমিউনিটি তৈরি করেছেন ৷ যেখানে ইন্ডিয়া ইউজার গন নেই সব বাংলাদেশী ৷ সেখানে আমাদের বাঙালী এমন একটা জঘন্য কাজ ৷ আসলে বলতে নিজেকে লজ্জা করছে ৷

তবে আপনি শেষের কথা গুলো অনেক গুরুত্বপূর্ণ বলেছেন ৷ বর্তমান সময়ে যে হারে সব কিছু আধুনিক প্রযুক্তি সাথে ইন্টারনেট ভিত্তিক জড়িয়ে যাচ্ছে ৷ আর জীবিকা আর এই মন মানসিকতা নিয়ে আসলে বাঙালি জাতি এগিয়ে যেতে পারবে না ৷

তাই ভালো মন মানসিকতা নিয়ে কাজ করা অতি আবশ্যক ৷
যা হোক অনেক কথা বললাম ৷ তবে এটা শুধু একজন নয় সব বাংলাদেশীর লজ্জা ৷ আমরা সবাই সঠিক সৎ সততার পরিচয় দিবো আগামীর দিন গুলোতে ৷ এমনটাই প্রতার্শা ৷

জি ভাইয়া আপনি একদম ঠিক বলেছেন ৫-৭ বছর পর সব কিছুই অনলাইন নির্ভর হয়ে যাবে।কিন্তু আমাদের এরকম মানসিকতা থাকলে আমরা পিছিয়েই থাকবো অন্যান্য দেশের থেকে।আপনি ২০১৭ থেকে কাজ করছেন।অনেক অভিজ্ঞতা অর্জন করেছে এই প্ল্যাটফর্ম থেকে।প্রথমে বাঙালি দের সাথে কাজ করলেন সেখানে এরকম সমস্যার জন্য বিদেশি কমিউনিটি তে গেলেন ।সেখানে অনেক কথা শুনেছেন অকৃতজ্ঞ চোর ভিখারীর দেশের মানুষ আমরা।তবে দেখেন কিছু কিছু মানুষের জন্য আজ আমাদের এত দুর্নাম এসকল প্লাটফর্মে।হয়তো কালচারাল প্রবলেম এটা,আমাদের নিজেদের স্বার্থে একটু ১৯-২০হলেই আমরা পুরনো কথা ভুলে যাই সব।তবে কিছু মানুষ তো ভালো আছে এজন্যই আজও আমরা এসব প্লাটফর্মে কাজ করতে পারছি।ধন্যবাদ ভাইয়া পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।

সত্যি ভাইয়া আমরা বড়ই অকৃতজ্ঞ। আসলে যারা এই কমিউনিটির আগে অন্য কমিউনিটিতে কাজ করেছে তারাই শুধু বুঝতে পারে সাপোর্ট পাওয়াটা কতটা কষ্টের ছিল। নিজের দক্ষতা প্রদর্শন করেও বিন্দুমাত্র আশার আলো দেখতে পেতাম না। এরপর যখন দাদা আমাদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন তখন আমরা নিজের যোগ্য সম্মান পেয়েছি। কিন্তু এমন কিছু মানুষ আছে যারা যে থালায় খায় সে থালায় ফুটো করে। কি আর বলবো এদের কথা। আসলে এরা কখনো শুধরাবেনা। সারা জীবন অকৃতজ্ঞই থেকে যাবে।

আসলে ভাই আজকে আপনার পোষ্টটি পড়ে কি কমেন্ট করব বুঝতে পারছি না। আমরা মানুষ হিসেবে এতোটা অকৃতজ্ঞ যে আমাদের উপকার করে আমরা তাকেই অসম্মান করে থাকি। তার উপকারের সম্মানটুকু আমরা দিতে জানিনা। আমরা নিজেকে এতটা বড় মনে করি যখন আমরা বিপদে পড়ে সেই দিনগুলো ভুলে যাই। কষ্টের দিনগুলো ভুলে যাই এবং সুখের দেখা পেলে সেই কষ্টগুলোকে ভুলে যাই।কে আমাদের পাশে দাঁড়ালো সেটা ভুলে যাই। আমরা খুবই কৃতজ্ঞ মানুষ। কি বলবো দাদা আমাদের জন্য প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছে। আর সেই দাদার প্রতি আমরা যেন কৃতজ্ঞতাবোধ নেই।আরো খারাপ ধারণা করি।আসলে ভাই এইসব অকৃতজ্ঞ মানুষকে যতই ভালোবাসা যাক না কেন, যতই ভাবে সাহায্য করা হোক, এরা কোনদিনও মন থেকে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করবেনা।

সত্যি ভাইয়া এমন কিছু লোক থাকে যাতের কারণে পুরো দেশ ও জাতির বদনাম হয়ে থাকে। আপনি সত্যি বলেছেন ভাইয়া আসলে অকৃতজ্ঞ মানুষদের নিয়ে পথ চলাটাও ভীষণ মুশকিল। তবে এখানে অনেক ভালো ভালো লোক ও রয়েছে যারা তাদের পরিশ্রম দিয়ে প্লাটফর্মটাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চায়। কিছু খারাপ লোকের জন্য তাদের পরিশ্রম কেনো বৃধা যাবে। সব চেয়ে বড় কথা যারা অকৃতজ্ঞই তারা সারা জীবন অকৃতজ্ঞই থেকে যাবে।

আপনি একদম যথার্থ বলেছেন! আমাদের এই দূরাবস্থার জন্য একমাত্র আমরাই দায়ী! আমাদের মানসিকতার পরিবর্তন হবে কখন সেটা আমার জানা নেই! তবে সেটা যদি না হয় তাহলে এর ফলস্বরূপ যে ভালো কিছুও আশা করা যায় না এটা একদমই পরিষ্কার! আমাদের দোষের কারণেই বহির্বিশ্বের মানুষজন আমাদেরকে চোরের খেতাব দেয়! এর থেকে লজ্জার আর কি হতে পারে! চোর কিন্তু গুটিঁ কয়েকজন! তবে পুরোর চোরের খেতাবটা পায় আমি, আপনারা, পুরো বাঙালি তথা বাংলাদেশের সবাই।

আমার দৃষ্টিকোণ থেকে যদি বলি আমাদের সমাজে ভাল মানুষ যে নেই তা কিন্তু না। তবে কিছু বদমায়েশের কারণে আমাদের সবার বদনাম হয়ে যায়, এই ভাল মানুষ গুলো আড়ালে চলে যায়। এদের আসলে কঠোর শাস্তি হওয়া উচিৎ। এই অকৃতজ্ঞ গুলো নিজের অবস্থান সম্পর্কে জানে না। এরা যদি পুঁথিগত শিক্ষিত হয়েও থাকে আমি বলব এরা নির্বোধ, অশিক্ষিত। যাই হোক এখনো অনেক ভাল মানুষ আছে যারা সমাজ টাকে সুন্দর দেখতে চায়। আমি আশা করছি এই অকৃতজ্ঞ লোকেদের সংখ্যা খুব দ্রুত জিরো লেভেলে নেমে আসুক। ধন্যবাদ ভাইয়া।

এটা আপনি একদম ঠিক বলেছেন ভাইয়া আমরা জাতি হিসেবে অনেক স্বার্থপর। আমরা যখনই একটু অসুবিধায় পড়ি বলে যায় কে আমাকে এতদিন সাহায্য করেছে। কিন্তু আমাদের সকলেরই বোঝা উচিত তার জন্যই আজকে আমরা এতদূর আসতে পেরেছি। আপনার মত আমিও বিশ্বাস করি ৫-৭ বছর পরে অনলাইন হবে মানুষের আয়ের শ্রেষ্ঠ জায়গা।

একদম ঠিক বলেছেন ভাই, কিছু লোকের কারণেই আজ আমরা বাঙালি জাতি কলঙ্কিত। বাহিরের দেশগুলোকে বাঙ্গালীদের খুব একটা ভালোভাবে দেখা হয় না এটা আমিও জানি। আমাদের এরকম মনোভাব থাকলে ভবিষ্যতেও আমরা বাইরের দেশগুলোর কাছ থেকে কোন সম্মান মূল্য কিছুই পাবোনা। আমাদের এমন চিন্তা ধারা পরিবর্তন করতে হবে না হলে সত্যিই আমাদের দ্বারা কখনোই ভালো কিছু করা সম্ভব নয়।

আসলে ভাইয়া কি বলবো শুভ দত্তের ঘটনাটার কারনে আমরা বাংলাদেশীরা সবাই সত্যিই খুব লজ্জিত। আপনি বাঙ্গালীদের নিয়ে যে কথা গুলো বললেন সে গুলো অপমান জনক হলেও সত্য। বাঙ্গালীরা বিদেশে গিয়েও তাদের এই স্বভাবের স্বাক্ষী রেখে আসে। তারা সবসময় অল্প কিছুর বিনিময়ে বেশি চাই। অধৈর্য, অকৃতজ্ঞ। আশা করি আপনার পোষ্টি পড়ে আমাদের মন মানুষিকতা কিছুটা হলেও পরিবর্তন হবে। ধন্যবাদ ভাইয়া।

ভাইয়া আপনার পোস্টটি পড়ে সত্যি খুব খারাপ লাগছে আসলে কিছু কিছু খারাপ মানুষের জন্য দেশ ও জাতির বদনাম হয়ে যায়। কি বলবো বুঝতে পারছিনা। তবে পৃথিবীতে এখনো ভালো মানুষ আছে বলেই পৃথিবীটা টিকে আছে। আসলে আমরা মানুষরা এতটাই অকৃতজ্ঞ যে আমাদের উপকার করে আমরা তাকে অসম্মান করতে এতোটুকু দ্বিধাবোধ করি না। আসলে অকৃতজ্ঞ মানুষ সবসময় অকৃতজ্ঞই থাকবে এরা কখনোই শোধরাবে না।

মাঝে মাঝে আমি নিজেও জাতিকে তুলে গালিগালাজ করি,করতে বাধ্য হই।কারণ,জাতি হিসেবে আমরা জাতের না।ধর্মের দিক থেকে আমরা সংকর ঠিক তেমনই কলুষতার দিক থেকেও আমরা সংকর।
বলার মতো ভাষা নেই আর,যা হয়েছে হয়ে গেছে।আমার মনে হয় আমাদের আরো সচেতন হয়ে সামনে আগানো উচিৎ।

আসলে ভাই আমরা বাঙ্গালি সব থেকে বেশি খারাপ। আমাদের মধ্যে থেকে যতোদিন লোভ লালাদা দূর হবে না ততোদিন আমরা মানুষ হতে পারবো না।কবি সঠিক বলেছিলেন যে পশুপাখির পেট থেকে জন্ম নিলেই সেটা পশুপাখি হয়ে যায় কিন্তু মানুষ এর পেট থেকে জন্ম নিলেই সেটা মানুষ হতে পারে না তাকে মানুষ করতে হয়।

আমরা সঠিক মানুষ হয়ে উঠতে পারিনি ফলে আমাদের জাতিগত সমস্যা লেগেই রয়েছে যেদিন মানুষ হত্ব পারবো সেদিন ভাল কিছু হবে।আমাদের এই তিলে তিলে গরে তোলা কমিউনিটিতে এই কলঙ্কীত ঘটনা অনেক বেশি খারাপ লাগিয়েছে আমাদের।।।সত্যি মানুষ + জাতী হিসাবে লজ্জিত 😥

ভাইয়া কিছুই আর বলার নেই। সেদিনের ঘটনায় আমি খুব ধাক্কা পেয়েছিলাম।খুব আপসেট হয়ে গিয়েছিলাম।সেদিন মনটা অনেক ভাল ছিল। অথচ সব শুনে আমি সেদিন হতভম্ব। কিছু মানুষের জন্য আজ সব মানুষ ই এক কাতারের হয়ে গেলাম।ভাইয়া বলার কিছু আর ভাষা নেই।😔

আসলে অকৃতজ্ঞ মানুষদের নিয়ে পথ চলাটাও ভীষণ মুশকিল। কারণ একটু অসুবিধা হলেই, পিছনে ফিরে তাকালে কাউকেই পাওয়া যায় না ।

আসলে ভাইয়া একটা কথা অতি বাস্তব, আমরা মানি আর না মানি। তা হল চলার পথে গাড়িতে লেখা থাকে, ব্যবহারে বংশের পরিচয়। আমার বাবা মারা গেছে প্রায় ১৫ বছর হল, বা আরো বেশি। কিন্তু আমার বাবা বলে গিয়েছিল বংশ মর্যাদাহীন ছেলেদের মেয়েদের সাথে বন্ধুত্ব করবে না। তাদের আত্মসম্মান বোধ নেই, সব সময় অকৃতজ্ঞ হয়। হয়তো কথাটা এখানকার অনেকেরই খারাপ লাগতে পারে। কিন্তু আমি কথাটা বলেছি আমার বাস্তব জীবনের শিক্ষা থেকে। আপনার কথাগুলো হাড়ে হাড়ে উপলব্ধি করতে পেরেছি। যদিও আমার ব্লগিং ক্যারিয়ার এক বছর হয়েছে, কিন্তু ভালো ব্লগিং করতে পারি না, এখনো শিখছি। হাজার সমস্যা পড়িও আপনাদের ভালোবাসা এখানে পড়ে আছি। তবে এখানকার উপার্জন দিয়ে জীবনে কিছু একটা করব বা প্রতিষ্ঠিত হব এই আশায়। আমি আমার একটা বড় সমস্যার কথা আপনাদের সাথে শেয়ার করেছিলাম। আপনাদের ভালোবাসা দিয়ে স্নেহ মায়া দিয়ে বুঝিয়েছেন, এবং কি বলেছিলেন চাইলে আমি পাওয়ার ডাউন দিতে পারব, কিন্তু আমি আমার মনের কথাটা আপনাদের সাথে শেয়ার করেছিলাম। আজকে আপনার মন মানসিকতা যতোটুকু অনুমান করতে পেরেছি, গত তিন দিন ধরে এর চাইতেও বেশি মন খারাপ হয়ে আছে আমার। আসলে কিছু নর্দমার কীটের কারণে আজ পুরো জাতির কলঙ্ক। আপনার বাস্তব জীবনের কথা গুলো শেয়ার করার জন্য আপনার প্রতি রইল ভালোবাসা অবিরাম ভাইয়া।

বাঙালি জাতি হিসেবে কিন্তু আমাদের গর্ব হওয়ার কথা। কারন এই বাংলা ভাষার জন্য আমাদের রক্ত দিতে হয়েছে এবং নয় মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ করেছে এই বাংলার মানুষ। তবে কিছু মানুষের লোভী এবং অকৃতজ্ঞ মনোভাব সবসময়ই আমাদের‌ উপরের দিকে না নিয়ে মাঝে মাঝেই নিমজ্জিত করে দিচ্ছে। তবুও আমাদের প্রান পণ যুদ্ধ করেই যেতে হবে এই দুষ্ট লোকদের বিরুদ্ধে। কখনো একজন মানুষের অপচেষ্টা শত মানুষের পথ চলায় ক্ষতি করতে পারে না।

আপনার সাথে সহমত পোষণ করছি।দু একজন খারাপ মানুষের জন্য আমাদের জাতিকে আমরা কলঙ্কিত করতে পারিনা।♥♥

সত্যি কথা বলতে আমরা বাঙালি অকৃতজ্ঞ যে প্লেটে খাই সে প্লেট ফুটো করি। কেউ যদি আমাদের উপকার করে আমরা কিছুদিন পর তাকে ভুলে যাই। আপনি যে কথা গুলো বলেছেন এটাই সত্য ৷ আমাদের দেশের বাঙালিরা বিসধর সাপ। আপনার প্রতি শ্রদ্ধা জানায়। আপনার দীর্ঘ পাঁচ বছরের অভিজ্ঞতা থেকে আপনি আমাদের সাথে অনেক কিছু শেয়ার করেছেন ধন্যবাদ আপনাকে এই কমিউনিটিতে আমাকে সুযোগ দেয়ার জন্য।

আসলে ভাই কিছু কিছু লোকের কারণে দেশের নাম এবং জাতির নামে বদনাম হয়ে যায়. আসলে এই বিষয়ে আমার তেমন কোন কিছুই বলার নেই তবে একটা বিষয় আমি বলতে চাই. এইরকম চিন্তাধারা থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে। মানুষের পিছনে লেগে না থেকে নিজের কাজ গুলো কে সঠিকভাবে পরিচালনা করতে হবে। আমরা সকলেই অনেক ধরনের পরিশ্রম করে আসছি অনেক ভাবেই সার্ভাইব করে আসছি। এই কষ্টটা যাতে বৃর্থা না হয় সেই বিষয়ে সবাইকে আহবান জানাবো এবং অবশ্যই নিজেদের ব্যক্তিগত এবং প্রফেশনালিজম বিষয় আলাদা আলাদা ভাবে রাখার চেস্টা করতে হবে।

ভাইয়া আপনি চমৎকার কিছু কথা পোস্ট এর মাধ্যমে তুলে ধরেছেন। আপনার চমৎকার কথা গুলো পরে অনেক কিছুই বুঝতে পারলাম। আপনি ঠিকই বলেছেন। ইন্টারনেটেই জীবন-জীবিকার ও আয়, রুজি-রোজগারের পথ খুঁজে নেবে। আসলে সেদিন এর পর থেকেই সবার মন ভালো নেই। আমরা অকৃতজ্ঞ যার কাছ থেকে এত এত সাপোর্ট নিচ্ছি। দিন শেষে থাকেই খারাপ বলতেছি। আমাদের আরো ভালো মন মানসিকতা নিয়ে কাজ করতে হবে। আশাকরি আল্লাহর রহমতে সব ঠিক হয়ে যাবে ইনশাল্লাহ 🤲

ওই রঙিন আয়তক্ষেত্রাকার কাগজটার জন্যই তো সবকিছু এই পৃথিবীতে হয়। যত যুদ্ধ,ঝগড়া, মারামারি, মিথ্যে সবটাই তো তার জন্য। কটা মানুষ বোঝে মনুষ্যত্বের মূল্য,ভালোবাসার মূল্য?সমস্ত বিশ্বাসঘাতকতা ওই দিয়েই শুরু।মন আমাদের কারোই হয়তো ভালো নেই কমিউনিটিতে।তবুও আমরা ভাঙবো না। আমি সেটাই মনে করি।এই মানুষগুলো বোঝেনা তাদের মুখোশটা খুব তাড়াতাড়ি খুলে যাবে। মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে বেশিদিন কেউ বাঁচতে পারে না। যাই হোক কাটিয়ে উঠুন দাদা। আবার আমরা সুস্থ হয়ে আগের মত মেতে উঠি আমাদের পরিবার নিয়ে।

কিছু কিছু মানুষ তাদের নিজের স্বার্থের জন্য সবকিছু করতে পারে। একজন মানুষের যদি সামান্য পরিমাণ মনুষত্ববোধ থাকে তাহলে এই ধরনের কোন কাজ করতে গেলে বেশ কয়েকবার চিন্তা করে দেখবে। আমি শুধু চিন্তা করি একজন মানুষ কতটা নিচে নামতে পারলে এরকম একটি জঘন্যতম কাজ করতে পারে। আসলে পৃথিবীতে অর্থই কি সব?? অর্থের জন্য মানুষ কেন যে এত নিচে নামে সেটাই আমি বুঝে উঠতে পারিনা।

আমার মনে হয় দু এক জনের জন্য আমরা যেভাবে জাতিকে ধিক্কার দিচ্ছি তা একেবারে ঠিক নয়।কারন আমরা জন্মের পর থেকে সবকিছু এখান থেকে নিচ্ছি।জাতির আলো বাতাস খেয়ে বড় হচ্ছি।সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে এখানে থেকে এ জাতিকেই মন্দ বলছি।জাতির কি কোন ভালো দিক নেই।এই জাতির জন্য কত মানুষ শহীদ হয়েছে।আমরা কি কখনো এই বিষয় চিন্তা করেছি।এ জাতি কি আমাদের কিছুই দেয়নি।যুগে যুগে প্রত্যেক জাতির মধ্যে কিছু খারাপ লোক এসেছে। তাই বলে কি জাতি খারাপ হয়ে গেল।আসলে ভালো ও খারাপের পার্থক্যের মাপকাঠিতে বিবেচনা করলে ভালো হতো।এক জনের জন্য তো আর পুরো জাতি খারাপ হতে পারে না।হয়তোবা আমরা সাথে অনেকেই দ্বিমত থাকতে পারেন।কিন্তু কখনও কি আমরা ভেবে দেখেছি,আমি কোন জাতির।এর মানে এমন নয় যে খারাপকে খারাপ বলা যাবে না।তবে দু'এক জনের জন্য পুরো জাতিকে খারাপ বলা ঠিক হবে না।যে দোষ করে তার শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।এমন যেন না হয়ে যায়।জাতিকে দোষতে দোষতে প্রকৃত রাঘববোয়ালরা আবার পার পেয়ে যায়।পরিশেষে,ভাষার জন্য যুদ্ধ করে বিজয় ছিনিয়ে আনার একমাত্র জাতিই আমরা।কতিপয় কিছু লোকের জন্য আমাদের এই মহান বিজয়ের যাতে কোন অসম্মান না হয় সেদিকে প্রত্যেককেই সজাক থাকা উচিত।

লেখাগুলোর সাথে আমি একমত ভাই। আজ সমাজে অকৃতজ্ঞ মানুষের অভাব নেই। আপনার মত আমিও ব্লগে প্লাটফর্মে কয়েকজনকে নিয়ে এসেছিলাম। কিন্তু তাদের অকৃতজ্ঞতার কারণে আমি তাদের থেকে অনেক দূরে আছে। আমি যখনই তাদের থেকে দূরে গিয়েছি তখন সব কাজ বন্ধ করে এখন রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে। আমি ঘুরেও তাকাই না তাদের দিকে। কারণ তারা অনেক কষ্ট দিয়ে ফেলেছিল। সব দেশেই অকৃতজ্ঞ মানুষ রয়েছে কিন্তু আমাদের দেশে একটু বেশি। এজন্য কাউকে সাহায্য করার আগে অনেকবার চিন্তা করি এখন। আর এখন এই প্লাটফর্মের কথা অনেকের কাছেও বলি না। কয়েকজনকে বলে অনেক বাঁশ খেয়েছিলাম।

আসলে ভাই গুটিকয়েক মানুষ এর জন্য আমাদের পুরো বাংগালী জাতির বদনাম হচ্ছে৷ এতোটা নিচু হয়ে যাচ্ছি আমরা তাও আমাদের হুস হয়না। এক্ষেত্রে করারই কি আছে। যার মন আজ ভালো কাল দেখা যায় তার ভিতরটাই কালো। আমরা ভেতর চেনা তো আর আমাদের পক্ষ্যে সম্ভব না৷ ওরা সব সময় নিজেদের সার্থ চিন্তা করে৷ সার্থ শেষ তো যে পাতে খেয়েছে সে পাতেই ফুটো করে।

চরম সত্য কথা।🙏
তবে সবার মানুষিকতাও কিন্তু এক না এটা নির্ভর করে মানুষের পরপর্শিকের উপর,আসলে সে কেমন পরিবেশ থেকে উঠে এসেছে।যাইহোক প্রার্থনা করি সবার মানুষিকতার পরিবর্তন হোক সবাই এই পরিবারের সাথে সম্পৃক্ত থাকুক।

অকৃতজ্ঞতা আসলেই খুব খারাপ জিনিস।

সবাই বলে নাকি , এই বিশ্বে সবচেয়ে বুদ্ধিমান হলো বাঙালিরা। আর এই বাঙালিরা যদি একটু ভালো হতো তাহলে এই পৃথিবীকে বাঙালিরাই শাসন করতো। যাইহোক আমাদের নিজেদের শুধরে নিয়ে সবার হাতে হাত মিলিয়ে দেশ ও দশের জন্য কাজ করতে হবে।

বাঙালি জাতি হিসাবে আমরা বুদ্ধিমান ঠিকই কিন্তু অকৃতজ্ঞ। আসলে অনেক প্রাচীন থেকেই বাঙালিরা নিজেদের জাতিকে নিজেরাই লজ্জিত করে আসছে। আর এমন যদি চলতে থাকে আমরা বাঙালি জাতি হিসেবে বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে থাকতে পারবো না কখনোই। বাঙালি জাতি হিসেবে আমাদের নিজেদেরকে অনেক শোধরাতে হবে এবং আমাদেরকে ঘুরে দাঁড়াতে হবে।