বাজার করার অভিজ্ঞতা || @shy-fox 10% beneficiary

in hive-129948 •  2 years ago 

20220918_182012.jpg

সত্যি বলতে গেলে কি, বাজার করার অভিজ্ঞতা আমার নেই বললেই চলে । এখন আপনি বলতে পারেন যে, আপনি পুরুষ মানুষ হয়ে কখনো বাজার করেন নি এটা কেমন কথা । আসলে এইভাবে কখনো সময় হয়ে ওঠেনি, এটাই সত্য কথা । আর তাছাড়া বাজার যে একদম করিনি তা বলাও ভুল হবে, তবে সে তালিকায় আমার অভিজ্ঞতা একদম কম বললেই চলে ।

20220918_182037.jpg

আগামীকাল হীরার জন্মদিন আর মূলত সেই উপলক্ষেই আমাদের বাসার বৌদির পরিবার ও রিতু ভাবির পরিবারকে দাওয়াত দিয়েছি । সব থেকে বড় ব্যাপার তাদের বাসায় আমার অবশ্য বহুবার খাওয়ার সৌভাগ্য হয়েছে । আমি জানিনা তারা আমাকে কেন এতো খাতির করে । হয়তোবা ছোট ভাই ভাবে এইজন্য ।

20220918_182138.jpg

তবে আমি চেষ্টা করেছি তারা যতবার আমাকে দাওয়াত করেছে ততবার তাদের বাসায় দাওয়াত গ্রহণ করার জন্য । মাঝেমাঝে তো দাওয়াত ছাড়াই তাদের বাসায় গিয়ে হাজির হয়ে যাই । বিশেষ করে বৌদির বাড়িতে । চা খেতে মন চাইলেই আমি গিয়ে হাজির । যেহেতু হীরার জন্মদিন তাই ভাবলাম সবাই মিলে একটু ভালো সময় কাটাবো । এই জন্যই দাওয়াত দেওয়া ।

20220918_182019.jpg

আমার আসলে বাজার করতে যেতে হয় না । কারণ আমাদের বাসার পুরো মাসের বাজার হীরা ও আমার শাশুড়ি নিজেই করে । তবে এবার যেহেতু আমার শাশুড়ি আসেনি এবং অনেকটা তার পারিবারিক কাজে ব্যস্ত হয়ে গিয়েছে । তাই আমাকে বাধ্য হয়েই বাজারে যেত হল । আর আমিও মূলত চাচ্ছিলাম দীর্ঘদিন পরে বাজারের অভিজ্ঞতা নেওয়ার জন্য । প্রতিনিয়তই শুনছি সবকিছুর দাম অনেক বেড়ে গিয়েছে । তবে আসলে সেই জায়গা থেকে চিন্তা করে ভাবলাম যে, আমি গিয়ে একটু পরখ করে দেখি ব্যাপারটা আসলে কি রকম ।

20220918_182105.jpg

মোটামুটি সন্ধ্যের আগেই নিজের সব রকম কাজগুলো সেরে ফেললাম । তারপরে বেশ অলসতা লাগছিল । তবে হীরা বারবার জোর করছিল , কি হল কখন বাজারে যাবে । অতঃপর কোন রকমে নিজেকে মানসিকভাবে প্রস্তুত করে বাজারের উদ্দেশ্যে রওনা হয়ে গেলাম । তাছাড়াও আমারও মাঝে মাঝে শায়ানকে নিয়ে বাহিরে বের হতে ভালই লাগে । ও আসলে অনেকটাই বন্দি অবস্থায় থাকে আমাদের সঙ্গে । যার কারণে ও বাহিরে যাওয়ার ব্যাপার বুঝতে পারলেই, ও মনের দিক থেকে অনেকটাই প্রফুল্লতা বোধ করে ।

20220918_182425.jpg

তবে যেহেতু বাজার করতে যাব , তাই আগে থেকেই কিছু প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি । যেমন কি কি কিনব এবং কোন কোন দোকানে যাব ঠিক সেই সব ব্যাপার গুলো আগে থেকেই ঠিকঠাক করে রেখেছি । কারণ আমি অহেতুক সময় নষ্ট করতে খুব একটা পছন্দ করি না । তবে এক্ষেত্রে আমার গিন্নি সম্পূর্ণটাই আলাদা । ও বাজারে গিয়ে আসলে সবকিছু বেছে বেছে টিপে টিপে দেখে নেওয়ার চেষ্টা করে । বলা যায় , ওর বেশ ভালই অভিজ্ঞতা হয়েছে প্রতিনিয়ত বাজার করে ।

20220918_182202.jpg

মোটামুটি যখন বাজারে গিয়ে পৌঁছেছি , তখন সন্ধ্যা হয়ে গিয়েছে । গিয়েই মূলত প্রথম যে ধাক্কা খেয়েছি , সেটা হচ্ছে ইলিশ মাছের দাম শুনে । বাপ রে বাপ এত দাম দিয়ে কেউ ইলিশ মাছ কেনে নাকি । যেগুলো একটু বড় সাইজের সেগুলো দুই হাজার টাকা কেজি আর মাঝারি সাইজের গুলো পনেরোশো থেকে আঠারোশো টাকা কেজি । আমি বুঝলাম যে, এখানে আমাকে কিছুটা লম্বা সময় দম নিতে হবে । কারণ আসলেই সবকিছুর দাম ঊর্ধ্বগতিতে চলছে ।

20220918_183342.jpg

ঝটপট কয়েকটা ইলিশ মাছের ছবি তুলে নিলাম । ভালই লাগছে বড় মাছগুলো দেখতে , সম্ভবত একেকটার পেটে ডিম আছে । যাইহোক কোনমতে মাছের দোকানটা পাশ কাটিয়ে গেলাম মুরগির দোকানে । সেখান থেকে কিছু দেশি মুরগি কিনে ভালোভাবে প্রসেস করে নিয়ে গেলাম শুটকি মাছ ও সবজির দোকানে । গিয়ে হালকা কিছু শুটকি মাছ ও সবজি কিনে, রিক্সায় চড়ে বাসার উদ্দেশ্যে ফেরত চলে আসলাম ।

20220918_182445.jpg

হীরা আমাকে বারবার বলছিল, প্রত্যেক মাসে বাজার করার সময় যে গুনে গুনে হাতে টাকা দাও এখন দেখো,বাজারে সব জিনিসের কেমন দাম । এবার নিশ্চয়ই তোমার মনের ভুলটা দূর হয়েছে । আমি অবশ্য ওর কথাগুলো বেশ ভালোভাবেই এবার কানে নিলাম এবং অবস্থাটাও স্বচক্ষে দেখে গেলাম । এই দ্রব্যমূল্যের বাজারে তাও যে পরিবার-পরিজন নিয়ে দুটো ডাল ভাত খেয়ে বেঁচে আছি, তবে এটাই তো অনেক বেশি । তবে একটু যখন ভিন্নভাবে চিন্তা করার চেষ্টা করলাম , তখন বুঝলাম যে আসলেই সবকিছু ক্রয় ক্ষমতার উর্ধে চলে যাচ্ছে ।

এই দিক থেকে যখন, নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্ত পরিবার গুলোর কথা চিন্তা করছি , তখন অনেকটাই গলা শুকিয়ে আসছে । আমি বুঝতে পারলাম যে, পারিপার্শ্বিক অবস্থা খুব একটা ভালো যাচ্ছে না । যাইহোক এইসব অভ্যন্তরীণ ব্যাপারগুলো নিয়ে আমি খুব একটা কথা বলতে চাই না । তবে আমার অভিজ্ঞতা যে খুব একটা সুখকর হয়নি, তা মনে হয় আমি নিজের থেকেই উপলব্ধি করতে পেরেছি ।

Banner-3.png

ডিসকর্ড লিংক:
https://discord.gg/VtARrTn6ht


20211003_112202.gif


JOIN WITH US ON DISCORD SERVER

banner-abb4.png

Follow @amarbanglablog for last updates


Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

ভাইয়া আসলে কিছুই বলার নেই সময় এখন আমাদের এমনি চলছে ,বাজারে গেলেই পকেট খালি হাত ও খালি,তবে কাল কিন্তু দারুন মজার কিছু আইটেম রান্না হবে,ধারে কাছে থাকে না বললেও চলে আসতাম ,শুভকামনা রইলো ভাবীর জন্যে।

চলে আসুন আপনাদের জন্য আমার দরজা সর্বদাই উন্মুক্ত ম্যাডাম ।

এই দ্রব্যমূল্যের বাজারে তাও যে পরিবার-পরিজন নিয়ে দুটো ডাল ভাত খেয়ে বেঁচে আছি, তবে এটাই তো অনেক বেশি ।

প্রথমে হীরা আপুকে অগ্রিম জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। শুভ জন্মদিন আপু আমার 😍😍। জন্মদিনের শুভেচ্ছা বার্তা অবশ্যই আপুকে জানিয়ে দিবেন ভাইয়া। যাইহোক বর্তমানে সত্যি সবকিছুর দাম অনেক বেড়ে গেছে। বিশেষ করে ইলিশ মাছ কিনতে গেলে মাথায় হাত উঠে যায়। কারণ একটি মাছ নিতে গেলেও কমপক্ষে ১২০০ থেকে ১৫০০ টাকা পড়ে। এই দ্রব্যমূল্যের বাজারে আমরা সবাই খেয়ে পড়ে বেঁচে আছি এটাই অনেক বড়। ভাইয়া আপনার অভিজ্ঞতা জেনে ভালো লাগলো। আসলে বাস্তবের চিত্রগুলো এমনই। প্রত্যেকটি জিনিসের দাম অনেক বেড়ে গেছে।

ভাইয়া আপনি এত দিন পরে জানলেন যে দ্রব্য মূল্যের উর্ধগতি। আমিও কয়েকদিন আগে ইলিশ মাছ কিনতে গেছিলাম। দাম শুনে চলে এসেছি। বড় সাইজের ইলিশ গুলো দেখে ভালই লাগছে কিন্তুুু সে অনুযায়ী পকেটের উজন অনেক কম। যায়হোক সামনে মাস থেকে ভাবিকে বাজার করার টাকা একটু বেশি দিয়েন। নিজেই তো সব কিছু দেখলেন হা হা হা। ধন্যবাদ।

হিরা আপুর জন্য শুভেচ্ছা রইল। এবার আসা যাক বাজার করার বিষয়ে । এটা কোন বিষয় না দাদা বর্তমানে অনেক পুরুষই বাজার করতে পারে না। বৌদিদের কি সব সামলাতে হয়। আর এই হলো ইলিশ মাছের বিষয়

হিরা বউদিকে অগ্রিম জন্মদিনের শুভেচ্ছা। নিজে সচক্ষে সবকিছুর দাম বেশি দেখে হয়ত নিজেই বাজারের খরচ বউদিকে বাড়িয়ে দিবেন। আর বউদি যে বাজার এর সব কিছু নিজে সামলায় শুনে ভাল লাগলো । আসলে সংসারে একটা মেয়ে যে একসাথে কতকিছু সামলায় বউদি তার উদাহরণ। আর আসলেই এখন হয়তো নিম্নবিত্ত মানুষেরা ইলিশ খাওয়ার কথা ভাবতেই পারবে না।

সব থেকে খারাপ অবস্থায় আছে মধ্যবিত্ত সাধারণ মানুষজন। উর্ধ্বগতি দ্রব্যমূল্যের এ বাজারে টিকে থাকাটাই এখন কঠিন হয়ে পড়েছে। আপনার প্রথমবার বাজার করার অভিজ্ঞতা ভালোই হয়েছে। হীরা আপুর কাল বার্থডে আগেই আপুকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। আর আপুকে যে মাস শেষে টাকা গোনে গোনে দিতেন আজ স্বচক্ষে বুঝতে পারলেন যে পণ্যের দাম এতো বাড়তি 😐।

প্রথমে জানাই হীরা আপুর জন্মদিনের অগ্রিম শুভেচ্ছা।
এই দ্রব্যমূল্য ক্রয় ক্ষমতার উর্ধে চলে যাওয়াতে আপনাদের মতো মানুষ হয়তো দু'বেলা দু'মুঠো ভাত খেতে পারছে নিম্ন বৃত্ত মানুষের পক্ষে তাও কঠিন হয়ে পড়েছে। সত্যি ভাইয়া বাচ্চারা ঘরে বন্দী থাকায় বাইরের যাওয়ার কথা শুনলে ওদের মন আনন্দে ভরে ওঠে।হীরা ভাবি ঠিক বলেছে গুনা টাকা নিয়ে বর্তমান বাজার করা কঠিন ব্যাপার। আপনার পোস্ট পড়ে অনেক ভালো লাগল। ধন্যবাদ

হীরা বৌদিকে জানাই জন্মদিনের অনেক অনেক শুভ কামনা। আপনারা সবাই ভালো থাকুন এটাই আমার কাম্য।

কোনমতে মাছের দোকানটা পাশ কাটিয়ে গেলাম মুরগির দোকানে।

ইলিশের পাশ কাটিয়ে মুরগি কেনাই বেশি ভালো হয়েছে। গতকাল ইলিশের দাম শুনে আমিও হতবাক। ২ হাজার টাকা। বাপ রে বাপ।

ভাইরে ভাই পরে অবশ্য একটা ছোট্ট সাইজের কিনেছি রে ভাই ।

আমি তো ভেবেছিলাম, মনে হয় ইন্ডিয়াতেই ইলিশ মাছের দাম বেশি। এখন তো দেখছি বাংলাদেশেও আকাশ ছোঁয়া দাম ইলিশ মাছের।

বাজারে গিয়ে আসলে সবকিছু বেছে বেছে টিপে টিপে দেখে নেওয়ার চেষ্টা করে

এটাই তো বাজার করার নিয়ম শুভ দা। টাকা দিয়েই যখন কিনতে হচ্ছে তাহলে খারাপটা কিনব কেন। তবে আমাদের আপুর জন্মদিন এ ইলিশ মাছ না কিনে বাড়ি চলে আসলেন। পরে সমস্যা না হয় আপনার উপর। হা হা হা... আপুর জন্ম দিনের অগ্রিম শুভেচ্ছা রইল। ঈশ্বর তাকে দীর্ঘজীবী করুক।

হুম ভাই এই দিক থেকে তোমার বৌদি বেশ ভালই অভিজ্ঞতা সম্পন্ন।

ভাইয়া বর্তমান যা অবস্থা তাতে সাধারন মানুষের অবস্থা খুব খারাপ যাচ্ছে ৷যে হারে দ্রব্যমূল্যের দাম ৷
যেমনটা আপনি খুব বেশি বাজার করেন না ৷হঠাৎ করে বাজার করতে গিয়ে কি বুঝলেন ৷তাহলে একবার চারদিকে কি চলছে ৷ভাবুন!!
যাই হোক ভাই হীরা ভাবীর জন্মদিন উপলক্ষে শায়ন বাবা সহ বাজার করতে গেছেন৷ভালো লাগলো ভাই ৷

হীরা আপুকে জন্মদিনের অগ্রীম শুভেচ্ছা। আশেপাশের মানুষজনের সাথে আনন্দ ভাগ করে নেয়াটা জীবনের একটি অংশ। পুরুষরা যেদিন থেকে বাজারে যায় সেদিন থেকেই বাজার করা শিখে যায়, এটা তাদের স্পেশালিটি। আপনার শেয়ার করা ছবি দেখে বুঝা যাচ্ছে এই বাজারে অনেক কিছু পাওয়া যায়। তবে ইলিশ মাছের দামটা তুলনামূলক অনেক বেশি। এই দ্রব্যমূল্যের উর্ধগতিতে মধ্যবিত্তের অবস্থা বেশি খারাপ, আমাদের এডজাস্ট করতে সমস্যা হয়ে যাচ্ছে। আশা করি মানুষের মাঝে আবার শান্তি ফিরে আসবে। ধন্যবাদ ভাইয়া।

শুধু বাংলাদেশ না দাদা ভারতেও জিনিস পত্রের দাম এমনই উর্ধ্বগগনে ধাবিতমান। আমাদের মত মধ্যবিত্ত ঘরে যদিওবা রোজের খাবার মুখে ওঠে, অনেক মানুষ আছে তাদের একবেলা খাওয়ার পর আরেকবেলা কি খাবে বুঝতে পারে না।

সব কিছু ক্রয় ক্ষমতার ভিতরে থাকুক , মানুষ গুলো খেয়ে পড়ে শান্তিতে বাঁচুক এমনটাই তো প্রত্যাশা ব্যক্ত করি আপু ।

আসলেই দিন দিন যে হারে দ্রব্যমূলের ঊর্ধ্বগতি ঘটছে তাতে নিম্নবিত্ত মধ্যবিত্তের মানুষগুলোর না বিশ্বাস দেখা দিয়েছে। কিন্তু ভাই করার কিছুই নাই। বর্তমানে দেশটা চলছে আপনে বাঁচলে বাপেরে নাম। যাই হোক দারুন একটি অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন আপনি। হীরা ভাবির শুভ জন্মদিন উপলক্ষে আগাম শুভেচ্ছা রইল।

তাই তো দেখছি ভাই , যেদিকেই তাকাই শুধু বিভীষিকা দেখি । বেশ জটিলতাপূর্ণ অবস্থা যাচ্ছে সবার ।

আসলে ভাই আপনার মত আমারও বাজার করার কোনো অভিজ্ঞতা নেই। তবে মাঝেমধ্যে শখের বশে বাজার করতে যায়। গত কাল আমি বাজারে গিয়েছিলাম। বাজারে ইলিশ মাছের দাম শুনে আমি হতবাক হয়ে গেছি। বর্তমানে ইলিশ মাছের এত দাম যা বলার বাইরে। আপনি ইলিশ মাছের পাশ দিয়ে মুরগির দোকানে গেলেন।ইলিশের চায়তে মুরগি কেনায় অনেকটাই ভালো। যাইহোক ভাই আপনার বাজার করার মুহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। খুবই ভালো লাগলো আসলে বাজার করার মধ্যে একটা অভিজ্ঞতা রয়েছে। মাজার তাই আমাদের করা উচিত। দ্রব্যমূল্যের বাজারে দিন দিন যেন আমাদের অবস্থা আরো খারাপ হয়ে যাচ্ছে। প্রত্যেকটা জিনিসের মূল্য বৃদ্ধি পাচ্ছে। সেই অনুযায়ী আমাদের আর্থিক আয় হচ্ছে না।

হীরা আপুকে অগ্রিম জন্মদিনের অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইলো।💐আসলে বাজারে জিনিসের দাম বেড়েই চলেছে।তাছাড়া সামনে পূজা দাম আরো বাড়বে,যাইহোক সবাই মিলে সুন্দর সময় কাটাতে বেশ ভালো লাগে আমার ও।তবে ভাইয়া আপনি ভাবীর সঙ্গে বাজার করতে গিয়ে কিন্তু ফেঁসে গেছেন এবার থেকে কিন্তু আর গুনে গুনে টাকা দিলে হবে না।😊ইলিশ মাছগুলি খুবই সুন্দর ছিল।

বাজার পরিস্থিতি বর্তমানে এতটাই ভয়াবহ। এখন ব্যাগ নিয়ে বাজারে গেলে দ্রব্যমূলের উর্ধ্বগতির কারনে কেনার চেয়ে দামাদামি বেশি হয়ে যায়। আসলে যারা কয়েক বছর বাজার করে না তাদের কাছে বর্তমান দ্রব্যমূল্যের দাম বলতে গেলে মাথায় হাত উঠে যায়। মাঝে মাঝে আমার বাবাকে যখন বাজার থেকে এসে জিনিসপত্রের দামের কথা বলি ঠিক আপনার মত অবস্থা হয়ে যায়। ভাবি একদম ঠিক বলেছেন, এখন থেকে ভাবিকে মাসিক খরচের টাকা বাড়িয়ে দিবেন। আসলে এটা আমাদের জীবনে অনাকাঙ্ক্ষিত সত্য ঘটনা। যেটা আমরা প্রতিনিয়ত ফেস করছি। বিশেষ করে আমাদের মতো মধ্যম আয়ের জনগোষ্ঠী

বাজারে জিনিসপত্রের দাম গত ছয় মাস পূর্বে যেটা ছিল বর্তমানে তার দ্বিগুণ থেকে তিনগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমানে বাজারের নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের কাছে মনে হচ্ছে টাকার কোন মূল্যই নেই। দারুন একটা অভিজ্ঞতা শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।