টেকনিক্যাল আর ননটেকনিক্যাল || @shy-fox 10% beneficiary

in hive-129948 •  2 years ago 

office-g00783eeac_1920.jpg
pixabay source

টেকনিক্যাল আর ননটেকনিক্যাল ব্যাপারটা নিয়ে আমি অনেকদিন যাবত থেকে ভাবছি । ভাবছি নিজের মতো করে কিছু কথা লিখব । কারণ কথাগুলো আমার নিতান্তই ব্যক্তিগত জীবন থেকে নেওয়া । আর এই চিন্তাধারা থেকেই আজকের কথাগুলো লেখার চেষ্টা করছি ।

সবথেকে বড় ব্যাপার হচ্ছে , আমরা কেউ জন্মগতভাবে কোন বিষয়ে অধিক পারদর্শী হয়ে জন্মাই না । দেখা যায় যে, আমরা চেষ্টা করি অনেক বিষয়েই কাজ করার জন্য , তবে যে কাজটা করতে গিয়ে আমরা বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি, সেই কাজটাই আমাদের একটা সময় ভীষণ আয়ত্তে চলে আসে এবং সেই কাজটাতে একটা সময়ে গিয়ে আমরা ভীষণ পারদর্শী হয়ে যাই ।

তারপরেও যেহেতু এখন টেকনোলজির যুগ সেহেতু এখন যদি আমি নিজেকে সেই ফেলে আসা জীবনের সঙ্গে গতানুগতিক ভাবে প্রতিনিয়ত তুলনা করি , আমি মনে করি সেটা নিতান্তই বোকামি হবে । তার থেকে বরং বুদ্ধিমানের কাজ হচ্ছে, নিজেকে টেকনোলজির সঙ্গে এগিয়ে নিয়ে গিয়ে ,কোন কিছু একটা করা ।

সত্যি বলতে কি, আমার আসলে কম্পিউটার নিয়ে খুব একটা বেশি আহামরি অভিজ্ঞতা ফেলে আসা জীবনে নেই বললেই চলে । আমি শুধুমাত্র কম্পিউটার দিয়ে মূলত গেম খেলা, গান শোনা আর ভিডিও দেখা এইসব কাজ গুলোই করতাম ।তারপরেও একটা সময় গিয়ে পড়াশুনা যেহেতু মেডিকেল সাইন্সে করেছিলাম । পরবর্তীতে মেডিকেল প্রফেশনের সঙ্গে যুক্ত হয়েও গিয়েছিলাম কিন্তু আমার আসলে চিন্তাধারা ছিল আধুনিক টেকনোলজি কেন্দ্রিক কিছু করা ।

কারণ আমার আসলে দিনশেষে গণ্ডি বাধা জীবনের নিয়মকানুন খুব একটা বেশি ভালো লাগতো না । আমি চেষ্টা করতাম নিজেকে নিজের মতো করে সময় দেওয়ার জন্য এবং সেই ভাবেই কাজগুলো করতে, আমার ভালো লাগে প্রতিনিয়ত ।

এটা সত্য যে মেডিকেল প্রফেশনে একদম সরাসরি মানুষের কাছে গিয়ে সেবা দেওয়ার একটা সুযোগ আছে । তবে তারথেকেও বড় একটা ব্যাপার হচ্ছে মানুষের জীবন গুলো সম্পর্কে জানার আগ্রহ আমার ভীষণ এবং যেহেতু আমি লিখতে পছন্দ করি এবং ভাবতে পছন্দ করি এবং আমি ভীষণ আরাম প্রিয় মানুষ , তাই হয়তো আমার মেডিকেলের জীবনের সেই গণ্ডি বাধা প্রফেশনটা খুব একটা বেশি আমার জন্য স্বাচ্ছন্দ্যবোধের জায়গা তৈরি করে নি ।

আর তাছাড়াও সেখানে পারিপার্শ্বিক বেশ জটিলতা ছিল । কারণ একটা সময়ের পরে গিয়ে উচ্চতর ডিগ্রীর জন্য পড়াশোনা আবার পাশাপাশি প্রাকটিস আবার পাশাপাশি সংসার, সব মিলিয়ে ব্যাপারটা আমি আসলে সামলে উঠতে পারছিলাম না । মানে ব্যাপারটাতে স্বস্তি খুঁজে পাচ্ছিলাম না । এক কথায় আমার দ্বারা হচ্ছিল না ।

বাস্তবিক এত চাকরি-বাকরি, জীবন নিয়ে বড্ড ভাবনা , আকাশচুম্বী ক্যারিয়ার , আমি মনে করি এসবের বাহিরেও একটা জীবন আছে । এই যে এখন যেমন লিখছি , প্রতিনিয়ত জানার চেষ্টা করছি , অনেকটা বলা যায় বেশ ভালোই আছি । নতুন নতুন মানুষের সঙ্গে পরিচয় , তাদের খোঁজখবর নেওয়ার চেষ্টা করছি, অনেক মানুষের জীবন গুলো লেখার মাধ্যমে তুলে ধরার চেষ্টা করছি , এতেও তো একপ্রকার প্রশান্তি পাচ্ছি ।

সেই জায়গাটা থেকে যখন মূলত আমি কম্পিউটারের মাধ্যমে ইন্টারনেটে এই ব্লগিং ক্যারিয়ার শুরু করলাম , তারপর থেকে মোটামুটি বেশ ভালোলাগা কাজ করছে । আশেপাশের মানুষগুলোকে দেখছি, ব্যক্তিগত চিন্তাধারা তুলে ধরছি এবং নিজের মতো করে বাঁচার চেষ্টা করছি, এক হিসেবে আমি মনেকরি , যদিও এটা আমার একটা সময় প্রফেশন ছিল না , অনেকটা শখের বসে লেখালেখি করতাম , তবে এখন যখন প্রফেশন হিসেবে নিয়েছি, তখন আলাদা একটা দায়িত্ব ও ভালোলাগা কাজ করে এই জায়গাতে । তাই মোটামুটি দক্ষতার জায়গাটা একটু বৃদ্ধি করার চেষ্টা করছি ।

তারপরও যেহেতু একটা প্লাটফর্মের সঙ্গে দীর্ঘদিন যাবত থেকে জড়িত আছি । তাই এখানে কিছু অভ্যন্তরীণ টেকনিক্যাল ব্যাপার থেকেই যায়,যেহেতু আমি ননটেকনিক্যাল পার্সন ছিলাম, তাই প্রথম থেকেই আমার কিছু অসুবিধা প্রতিনিয়ত হতো , যেটা একদম অস্বীকার করার মতো না । তবে আমি প্রতিনিয়ত চেষ্টা করছি, সেই সমস্যাগুলো সমাধান করার জন্য ।

আমি বিশ্বাস করি যেহেতু আমি টেকনিক্যাল লাইনের মানুষ না এবং যেহেতু আমি শেখার চেষ্টা করছি প্রতিনিয়ত, তাই আমি বিশ্বাস করি আমার অভ্যন্তরীণ সমস্যাগুলো একটা সময়ে আমি কাটিয়ে তুলতে পারবো এবং আমি নিজেও তখন টেকনিক্যাল মানুষজনের মত বেশ ভালোভাবে নিজের কাজগুলো আরো প্রতিনিয়ত উপস্থাপন করতে পারব ।

আজকে হয়তো যারা টেকনিক্যাল পার্সন আছে তারা কিছুটা এগিয়ে আছে এবং ক্রমাগত তাদের মেধা ও দক্ষতা কাজে লাগিয়ে প্রতিনিয়ত সামনের দিকে এগিয়ে থাকছে । হ্যাঁ , তাদেরকে আমি অবশ্যই সাধুবাদ জানাই । তারা তাদের যোগ্যতায় আসলে ঐ সকল স্থানটা পেয়েছে । তবে তার মানে এই না যে , যারা আমার মত ননটেকনিক্যাল পার্সন আছে বা যারা শেখার চেষ্টা করছে , তারা যে একটা সময় গিয়ে সফল হবে না , তেমনটা কিন্তু না ।

আসলে ধৈর্য্য চেষ্টা স্বাচ্ছন্দ্যবোধ ও আগ্রহ থাকতে হবে কাজের প্রতি, তাহলে তো প্রতিটা জায়গাতেই সফল হওয়া যায় । হয়তো ঐ দিনটা আর বেশি দূরে নেই , যেদিন এই ননটেকনিক্যাল পার্সনটাও আরো ক্রমাগত টেকনিক্যাল পার্সন গুলোর সঙ্গে প্রতিনিয়ত তাল মিলিয়ে কাজ করবে ।

Banner-3.png

ডিসকর্ড লিংক:
https://discord.gg/VtARrTn6ht


20211003_112202.gif


JOIN WITH US ON DISCORD SERVER

banner-abb4.png

Follow @amarbanglablog for last updates


Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png


VOTE @bangla.witness as witness


witness_vote.png

OR

SET @rme as your proxy

witness_proxy_vote.png

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

ভাই আজকে আপনার পোস্টটি পড়ে ভাল লাগলো। আসলে আপনি কম্পিউটার ব্যবহার করতেন গান শোনা এবং গান দেখার জন্য বিষয়টি আমার মতই। আমিও এরকম করতাম। যাই হোক সেখান থেকে আপনি ধীরে ধীরে অনেক কিছু আয়ত্ত করেছেন। নন-টেকনিক্যাল থেকে টেকনিক্যালে চলে এসেছেন এবং সামনের দিনগুলো আরো ভালো হবে। আপনি আসলে আরাম প্রিয় মানুষ এবং লেখালেখি খুবই পছন্দ করেন যার কারণে আপনি মেডিকেল প্রফেশনাল থেকেই লেখালেখি প্রফেশনালকে বেশি প্রাধান্য দিয়েছেন। দোয়া রইলো ভাইয়া।

জীবন আসলে গতিশীল চেষ্টা করছি আধুনিক টেকনোলজির সঙ্গে প্রতিনিয়ত জড়িত করার জন্য।

আসলে ধৈর্য্য চেষ্টা স্বাচ্ছন্দ্যবোধ ও আগ্রহ থাকতে হবে কাজের প্রতি, তাহলে তো প্রতিটা জায়গাতেই সফল হওয়া যায় ।

আমরা জন্মগতভাবেই কোন কিছু শিখে আসিনি। হয়তো পরিবেশ পরিস্থিতি আমাদেরকে নতুন কিছু শিখতে সাহায্য করেছে। যখন নিজের প্রয়োজনের তাগিদে আমরা নতুন কিছুর প্রতি আগ্রহ প্রকাশ করি তখন সেই কাজগুলো খুব সহজেই শিখে নিতে পারি। ভাইয়া আপনার ধৈর্য এবং প্রচেষ্টা আছে বলেই আজ এত দূর পর্যন্ত আসতে পেরেছেন। আমার মনে হয় আপনি একসময় ঠিকই সফলতার একদম শীর্ষে পৌঁছে যাবেন। সত্যি ভাইয়া আপনার লেখাগুলো পড়ে মনের মাঝে সাহস সঞ্চার হল। আশা করছি আমরাও নিজের ইচ্ছা শক্তি কাজে লাগিয়ে এগিয়ে যেতে পারবো।

আমিও চাই আমার সাথে যারা সবাই একটু করে কাজ শেখার চেষ্টা করছে তারাও যেন এগিয়ে যায় এমনটাই প্রত্যাশা করি ।

একটা কথা আছে"কোনো কিছুই কেও মায়ের পেট থেকে শিখে আসে না।"আমি তাতে অসম্ভব বিশ্বাস করি।কেও চাইলে সবকিছুই শিখতে পারে,তবে জাস্ট ইচ্ছা আর এফোর্টটা দিতে হবে এতুটুকুই।

আমিও ঠিক ঐ বিশ্বাসেই এগিয়ে যাচ্ছি আপু ।

আপনার কথা গুলো খুবই সত্য।কেউ মায়ের পেট থেকেই সব শিখে আসে না। আমাদের নিজের চেষ্টায় সব শিখতে হয়,আর এজন্য প্রয়োজন আগ্রহ আর ধৈয্য।এই দুইটা থাকলে সব জয় করা সম্ভব।

এমনটাই তো আমিও ভাবি , কাজ করতে অনেক কিছুই ফেস করতে হবে আবার কাজ করতে গিয়েই আরও অভিজ্ঞতা বাড়বে ।

কেউই আসলে পারদর্শী হয়ে জন্মগ্রহণ করে না। চর্চার মাধ্যমে পারদর্শিতা অর্জিত হয় ঠিক যেভাবে আপনি নন টেকনিক্যাল থেকে আস্তে আস্তে টেকনিকাল হচ্ছেন। তবে সত্যি বলতে কি ভাই আপনার ওই মেডিকেল প্রফেশনটাই আমার কাছে কেন যেন অনেক ভালো লাগতো। সরাসরি মানুষের সেবা করা চাট্টিখানি কথা নয়। তারপরেও যেহেতু আপনার ভালো লাগে না বা হচ্ছিল না তাহলে তো আর কোন কথা নেই। শুভকামনা রইল আপনার জন্য আপনার ভবিষ্যৎ জীবন সুন্দর ও সাফল্যমন্ডিত হোক এই প্রত্যাশা সবসময়।

আপনার পোস্ট টা পড়ে অনেক ভালো লাগল। অনেকে আমরা ধর্য্য হারা হয়ে পড়ি।মাঝ পথে ঝরে যায়। মনে জোর আর ধর্য্য সাফল্য দিকে এগিয়ে নিয়ে যায়। ভুল হওয়ার থেকে আমরা নতুন কিছু শিখতে পারি।আপনার পোস্ট টা পড়ে মনে মধ্যে কাজ করা উৎসাহ বেড়ে গেল। এভাবে সামনে দিকে এগিয়ে যান। আপনার জন্য অবিরাম শুভকামনা রইল ।

অসাধারণ কিছু কথা উপস্থাপন করেছেন ভাইয়া, আসলে সত্যি বলতে শিক্ষার কোন শেষ নেই, আমরা প্রতিনিয়ত প্রতিটা ক্ষেত্রেই শিখছি, আর প্রতিটা কাজেই দিন দিন আমাদের দক্ষতা বাড়বে, আর কাজের ভুল বা ভয় নিয়ে বসে থাকলেই তো উন্নতি করা সম্ভব না। তাই একটু একটু ভুল থেকেই আগাতে হবে।

আপনার লেখাটি থেকে এটা স্পস্ট যে ,যে কাজের প্রতি ভালবাসা ও আগ্রহ থাকে সে কাজ করলে সে কাজে শফলতা আসবেই। যেমন রান্না করতে জানে এমন ব্যাক্তিও রান্নার প্রতি আগ্রহের কারনে একদিন একজন ভাল শেফ হয়ে উঠতে পারে। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভ কামনা।

ভাই আজকে আপনার পোস্টটি পড়ে খুবই ভালো লাগলো। আসলে নন টেকনিক্যাল টেকনিক্যাল সকলেই একসময় টেকনিক্যাল হয়ে যায়, কাজের এবং ইচ্ছার কারণে। আপনি প্রথম কম্পিউটার দিয়ে শুধু গান বাজাতে এবং দেখতেন সেই এখন আপনি অনেক কিছু করেছেন। যাইহোক আপনি লেখালেখি খুব পছন্দ করেন যার কারণে আপনি এই পেশা বেছে নিয়েছেন। আজকে আপনার পোস্ট পড়ে খুবই ভালো লাগলো। আমরা সবাই সবকিছু পারেনা কিন্তু চেষ্টার মাধ্যমে সব কিছু অর্জন করা সম্ভব। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।

শুভ দাদা এজন্য আমি আপনার প্রতিটি পোস্ট করার চেষ্টা করি ৷ কারণ আপনার প্রতিটি লেখা অনেক অনেক সুন্দর এবং কি কিছু বোঝার মত জিনিস রয়েছে৷
যাহোক আপনার লেখাগুলো আমি পড়লাম বেশি কিছু বলতে চাই না ৷ শুধু বলতে চাই আপনার এই প্রফেশন টেকনোলজি আরও অনেকদূর এগিয়ে যাক ৷ এবং কি আপনার জীবনের প্রতিটি কথা আমরা শুনতে চাই ৷ এবং আপনিও আমাদের সাথে শেয়ার করবেন ৷এমনটাই প্রত্যাশা রাখছি৷
সর্বোপরি আমার আপনার সুস্বাস্থ্য কামনা করি৷
আর হ্যাঁ দাদা এটা ঠিক আসলে ই শেখার কোন শেষ নেই৷