মুহূর্তেই পরিবর্তন সবকিছু

in hive-129948 •  4 years ago 

কদিন আগেও রাস্তাগুলোর অবস্থা ছিল একদম বেশ ফাঁকা। এবং কোন রাস্তায় জ্যাম ছিল না । এবং খুব স্বাচ্ছন্দে যাতায়াত করা যেত এবং রাস্তায় মানুষজন থাকতো বললেই চলে। কিন্তু হুট করে একদিনের মধ্যে সব এলোমেলো হয়ে গিয়েছে। যার মূল কারণ হচ্ছে লকডাউন শিথিল। আমি একটা জিনিস কোনোভাবেই বুঝতেছি না ,যেখানে প্রতিদিন 2 শতকের উপর মানুষ মারা যাচ্ছে তাও কেন এভাবে লকডাউন শিথিল করা হলো, এটা আমার মাথায় ঢোকে না। হয়তো এটা আমাদের একটা ধর্মীয় উৎসবকে কেন্দ্র করে। কিন্তু রাস্তার যে পরিস্থিতি, এটা দেখে মনে হচ্ছে না যে ,কোন ঝামেলা আছে পৃথিবীতে ।সবাই যেন আগের মতো জীবনযাপন করতে শুরু করেছে।


মানুষের স্রোত বইতে শুরু করেছে রাস্তায়,গাড়ি-ঘোড়া এবং সবকিছু মিলিয়ে রাস্তার একদম হৈচৈ করা অবস্থা ।সবকিছু যেন একদম স্বাভাবিক হয়েছে ।কিন্তু আমার ছোট্ট মনে বারবার আমাকে প্রশ্ন জাগায়, আদৌ কি সবকিছু ঠিক আছে। বাঙালির কাছে উৎসব অনেক বড় একটা বিষয়, উৎসবের সময় একদম নাড়ির টানে বাড়িতে চলে আসবে এটাই একদম স্বাভাবিক। কিন্তু এই লোকগুলোর মাঝে কোন ভয় নেই, এই লোকগুলোর মাঝে কোনো চিন্তা নেই । তারা যে যেভাবে পারছে সে ভাবে ছুটে আসছে বড় বড় শহর থেকে গ্রামের দিকে। কি যে হবে আমি কিছুই বুঝতে পারছিনা।
এদের কাছে উৎসবটাই মূখ্য বিষয় আর তাছাড়া অন্য সব কিছু যেন তুচ্ছ। সবাই যেন একদম বাড়ি ফেরার জন্য মুখিয়ে আছে, চেষ্টা করছে বিভিন্নভাবে বাড়িতে ফিরতে। জানিনা এই উৎসবের পরে মৃত্যুর হার আরো কত বাড়বে, জানিনা আরো কতগুলো প্রাণ অঝোরে ঝরে যাবে, তবে এভাবে যদি চলতে থাকে একটা সময় সবকিছু শেষ হয়ে যাবে। বাঙালি উৎসব বোঝে কিন্তু ভাইরাস ভীতি বোঝে না।
20210718_101805.jpg

20210718_101708.jpg

20210718_101617.jpg

20210718_101627.jpg

20210718_101643.jpg

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

একদম ঠিক বলেছেন ভাইয়া।বাঙালিরা শুধু আনন্দ উপভোগ করতে চায় কিন্তু ঝুঁকিটাকে গুরুত্ব দিতে চান না।ধন্যবাদ আপনাকে।

ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য দিদি।

বাঙালির সমস্যা হচ্ছে নিজের অবস্থান থেকে একচুল ছাড় দিতে চায় না। আগে নিজের সমস্ত চাওয়া-পাওয়া পূরণ করবে তারপর অন্য কিছু নিয়ে চিন্তা করবে। সচেতনতা, সেটা তো এই বাঙালির কখনোই ছিল না। ঈদের পরে পরিস্থিতি কতটা ভয়াবহ হবে সেটা একমাত্র আল্লাহ পাক জানেন।

একদম সঠিক কথা বলছেন ভাইয়া। ধন্যবাদ আপনাকে।

বিষয়টি আমি আগেই বলেছিলাম, তখন অনেকেই আমার সাথে দ্বিমত পোষন করেছিলো ভাই।

ঢাকার সড়কগুলোর অবস্থা যাচ্ছে তাই বুলে বুঝাতে পারবো না, দশ মিনিটের রাস্তা এখন দুই ঘন্টায়ও পাড় হওয়া যাচ্ছে না। আজ দুদিন ধরে অফিসে যেতে খুব কষ্ট হচ্ছে।

বুঝতে পারছি ভাই ।কি যে অপেক্ষায় আছে , কিছুই বলা যাচ্ছে না।

লাস্ট এর কথাটা ঠিক বলেছেন। কণো উত্সব শুরু হলেই ভাইরাস শব্দটা ভুলে যায়। ভাইরাস ওদের কিছু করতে পারবে না এইটা ভেবেই চলাচল করে। কিন্তু ওরা এটা বোঝে না জে আমার কিছু হলে তার থেকে আরো দুইজনের ক্ষতি হতে পারে।