গ্রামে মূলত যে কাজের জন্য এসেছি, তা এখনো পুরোপুরি শেষ হয়নি। আর এই কাজগুলো অনেকটাই সময় সাপেক্ষ। আর তার মাঝে হঠাৎই বৃষ্টির ধাক্কা। এই বৃষ্টি যেন কোনভাবেই থামছে না, ঝরেই যাচ্ছে আর ঝরেই যাচ্ছে। যেহেতু আপাতত ধানের কাজগুলো বন্ধ আছে, তাই মোটামুটি কিছুটা বিরক্তিকর সময় কাটছে বাড়ির ভিতরে।
টানা ৪৮ ঘন্টায় বাড়ির বাহিরে যেতে পারিনি, অনেকটা গৃহবন্দী সময় কাটিয়েছি। এমনিতেই ঠান্ডা তার ভিতরে আবার বৃষ্টি,সব মিলিয়ে একদম যা-তা অবস্থা। তবে আশা করা যায়, এ অবস্থার দ্রুত অবসান ঘটবে।
যেহেতু দীর্ঘ সময় গৃহবন্দী হয়ে আছি, অনেকটা একঘেয়েমি সময় কাটছিল তারপর থেকে। তাই গতকাল বিকেলে বৃষ্টির মাঝেই, ছাতা হাতে হাওয়াই চপ্পল পড়ে বেরিয়ে পড়েছিলাম গ্রামের ভিতরে, দেখছিলাম পারিপার্শ্বিক অবস্থা। তবে পারিপার্শ্বিক অবস্থা এতটাই শোচনীয় যে, জনজীবন যেন একদম কাহিল হয়ে গিয়েছে।
যে খড়গুলো রোদে শুকাতে দেওয়া হয়েছিল, সেগুলো ভিজে শেষ, তাছাড়াও অনেকের শুকনো ধানও ভিজে গিয়েছে, যেটা বেশি কষ্ট দিয়েছে আমাকে। কেননা এই ধান মাড়াইয়ের এর কাজ এবার স্বচক্ষে দেখার সুযোগ হয়েছিল, তাই তাদের দুঃখটা কিছুটা হলেও অনুভব করতে পেরেছিলাম।
দেখছিলাম গ্রামের লোকজন ছাতা হাতে খালি পায়ে ক্রমাগত এদিক সেদিক ছোটাছুটি করছিল হয়তো তা জীবিকার তাগিদেই, মূলত খাদ্যশস্য গুলোকে যেন ভালোভাবে সংরক্ষণ করা যায় এজন্য । আবার যারা নতুন আলু বীজ জমিতে লাগিয়েছে, তাদের জন্য এই বৃষ্টি অনেকটা ক্ষতির কারণ হয়ে যেতে পারে। এখানকার জীবনগুলো বড্ড অদ্ভুত, প্রতিনিয়তই নানা রকম প্রতিকূলতাকে পাশ কাটিয়ে এগিয়ে যেতে হয়। তবে এবারের এই শীতকালের সময় বৃষ্টিটা একদম অনাকাঙ্ক্ষিত, যেটা আসলে কারো চিন্তাতেই ছিল না।
গ্রামের মাঝে যে ছোট দোকানটা আছে, সেখানে মাঝে মাঝে ক্রমাগত লোকজন আসছে আর আলাপচারিতা করছে একে অপরের সঙ্গে, হয়তো এখন যেমনটা দোকানটা আড্ডাস্থল হয়েছে, তেমনটা নানারকম চিন্তাভাবনার উদয় হয় আগত লোকজন গুলোর মাঝে, সেই আড্ডার কথোপকথন থেকেই।
তবে পুরো এলাকায় ঘুরে, হয়তো পারিপার্শ্বিক অবস্থার ছবি তুলতে পেরেছি, তবে সরেজমিনে যা দেখেছি, তা অনেকটাই আমাকে ব্যথিত করেছে। এ অবস্থার দ্রুত অবসান হওয়া উচিত, জনজীবনে স্বাভাবিকতা ফিরে আসুক, এই প্রান্তিক মানুষগুলোর মুখে হাসি ফুটুক, এমনটাই প্রত্যাশা ব্যক্ত করছি, এই বর্ষণমুখর বেলায়।
ডিসকর্ড লিংক
https://discord.gg/VtARrTn6ht
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
VOTE @bangla.witness as witness
OR
https://twitter.com/sharifShuvo11/status/1733024715558842777?t=Tba5AHIockLVsJI6H7UisQ&s=19
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আসলেই ভাইয়া এ সময়ে বৃষ্টি এটা একদমই অনাকাঙ্ক্ষিত ছিল। অনেকের ধান নষ্ট হওয়ার মতো উপক্রম হয়েছে। তাছাড়া আমাদের এদিকে অনেকের ধান কাটা জমি পানিতে ভেসে গেছে। সব মিলিয়ে ভয়াবহ অবস্থা। আশা করছি জনজীবন স্বাভাবিক হবে শীঘ্রই
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আমি এমনটা আশা করছি ভাই, জনজীবনে স্বাভাবিকতা ফিরে আসুক।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আসলেই শীতকালে এমন বৃষ্টি আশা করি যায় না। টানা বৃষ্টির কারণে শীতের তীব্রতা অনেকটা বেড়েছে। টানা বৃষ্টিপাত হলে আমার খুবই বিরক্ত লাগে। বাসা থেকে বের হতে ইচ্ছে করে না। যাইহোক এবারের বৃষ্টিপাতের কারণে আপনি বেশ ভালোই ঝামেলায় পরেছেন দেখা যাচ্ছে। কারণ বৃষ্টি না হলে তো তাড়াতাড়ি কাজ শেষ করে শহরে ফিরতে পারতেন। তাছাড়া কৃষকদেরও বেশ ক্ষতি হয়েছে। আশা করি এই সমস্যা দ্রুত ঠিক হয়ে যাবে এবং জনজীবন আবারও স্বাভাবিক হবে। পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আমাদের উত্তরবঙ্গে ভীষণ ঠান্ডা পড়েছে, যা আসলে চিন্তার বাহিরে। তার ভিতরে বৃষ্টি, সবমিলিয়ে বিরক্তিকর অবস্থা।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
দুদিন ধরে যে বৃষ্টি হয়েছে, তাতে করে বাড়ির বাহিরে বাহির না হওয়ারই কথা। আপনি তো দেখছি টানা ৪৮ ঘন্টা বন্দী অবস্থায় কাটিয়েছেন। তবে আমার কিন্তু বেশ ভালো লেগেছে বৃষ্টি ভেজা গ্রামের এমন সুন্দর দৃশ্যগুলো দেখতে। সব মিলিয়ে আপনার আজকের পোস্টটি কিন্তু দারুন ছিল। ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit