আমার বাংলা ব্লগ- প্রতিযোগিতা-১৮ || রক্তচোষা সুগন্ধি || @shy-fox 10% beneficiary

in hive-129948 •  3 years ago 

বেশ কয়েকদিন থেকেই যেসকল প্রতিযোগী এই প্রতিযোগিতায় জন্য অংশগ্রহণ করেছে, তাদের অনুভূতি পড়ে বেশ ভালই লাগলো । অতঃপর খুব ইচ্ছা জাগল নিজের কিছু অনুভূতি পাঠকদের সঙ্গে ভাগ করার ।

20220604_235601.jpg

সুগন্ধির প্রতি আমার আগে থেকেই তেমন কোন দুর্বলতা নেই । আমি মানুষটা ব্যক্তি জীবনে আসলে কেমন এটা কেউ যদি আমাকে স্বচক্ষে না দেখে, তাহলে কেউ হুট বুঝে উঠতে পারবে না । আমি আসলে অনেকটা রং চাটা ও সাদা-মাটা স্বভাবের । তেমন কোন স্বাদ-আহ্লাদ নেই বললেই চলে । দেখা যাচ্ছে এক গেঞ্জি সাতদিন পড়ে আছি, সারা দিন-রাত বিছানায় শুয়ে শুয়ে মোবাইল চাপছি । যদি কখনো মন চায় , হয়তো কাপড় পরিবর্তন করে অন্য একটা কাপড় পরছি । তবে এতো কিছুর পরেও শরীর থেকে যে দুর্গন্ধ বের হয়, এমনটাও কিন্তু না ।

20220605_000006.jpg

খুব বেশি যদি কোন অনুষ্ঠান বা বিশেষ কোন জায়গায় যাওয়া হয়, হয়তো সেই সময় একটু সুগন্ধি গায়ে লাগিয়ে নেই, তাও সেটা কালেভদ্রে । পয়সা খরচ করে নিজের জন্য আসলে সুগন্ধি কেনার মানুষ আমি নই । শেষ কবে পয়সা খরচ করে সুগন্ধি কিনেছি, তা আপাতত সময়ে আমি মনে করতে পারছি না । তবে হ্যাঁ, হয়তো নিজের প্রয়োজনে কেনা হয় না । তবে বাড়ির গিন্নির প্রয়োজনে মাঝেমাঝে কিনতে হয় । তবে আমার ব্যক্তিগত প্রয়োজনের জন্য যেটা দরকার হয়, সেটা আসলে ওষুধ কোম্পানির লোকজন অনেক সময় মিটিয়ে দিয়ে থাকে ।

20220605_010928.jpg

আমি আজকেও ভাবি নি যে, এই গল্পটা আপনাদের সঙ্গে আমি ভাগ করতে পারব । মনে আছে কি আপনাদের, ঈদের আগে ওষুধ কোম্পানি থেকে টুপি তসবি আতর এসব দিয়ে গিয়েছিল । সেই গুলো ঐরকমই বক্সের ভিতরে করে রাখা আছে । আজ আবার সেই লিটন ভাই সন্ধ্যেবেলায় চেম্বারে এসেছে । আমাকে উপঢৌকন দেওয়ার জন্য । বাংলা কথায় , আমার নিত্যপ্রয়োজনীয় যে জিনিস গুলোর দরকার হয়, এগুলো ওষুধ কোম্পানির লোকজন মিটিয়ে দিয়ে থাকে ।

20220604_235654.jpg

অবশ্য এসবের পেছনে বেশ বড় একটা স্বার্থ কাজ করে । এইসব উপঢৌকনের বিনিময়ে আমার কলমের খোঁচা দিয়ে কিছু ওষুধ লিখে নেওয়ার চেষ্টা করে । এমনিতেই খুব অল্প পয়সায় গ্রামের চেম্বারে রোগী দেখি । হতদরিদ্র মানুষ গুলোর জন্য মাঝেমাঝে চিন্তা হয়, যদি এইসব ভালো কোম্পানির ওষুধ গুলোর দাম যদি সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার ভিতরে নিয়ে আসা যেত মানে দামটা যদি একটু কমিয়ে রাখা যেত, তাহলে মনে হয় তারা সহজেই কিনতে পারতো ।

20220605_011011.jpg

বেশ ফিটফাট হয়ে লিটন ভাই আজকে হাসিমুখ নিয়ে চেম্বারে এসেছে । তখনও আমি একজন প্রান্তিক কৃষকের দাঁত দেখছি । আমাকে দেখেই বললো, ভাইজান ভিতরে আসতে পারি কি । আমি বললাম আরে লিটন ভাই, বসুন একটু আমি রোগীটা দেখে তারপর আপনার সঙ্গে কথা বলছি । লিটন ভাই নারাজ, সে আমার প্রেসক্রিপশন প্যাড দেখতে চায় । দেখতে চায়, আমি তার ঔষধ লিখছি কিনা ।

তার ফিটফাট চেহারার বাহিরেও, আলাদা একটা স্বার্থ কাজ করছে । তা যখন সে প্রকাশ করার চেষ্টা করছে, তখন আমি মুখ টিপে টিপে হাসছি । আসলে দোষ লিটন ভাইয়ের না । লিটন ভাইকে কাজে বাধ্য করেছে কোম্পানি নামক প্রতিষ্ঠানগুলো । খুব সুন্দর করে একটা প্যাকেটে দুটো সুগন্ধি আমার টেবিলের উপরে রেখে দিল ।

20220604_235515.jpg

যেহেতু লিটন ভাই অনেকটা জোর করেই, আমার প্রেসক্রিপশন প্যাড দেখার চেষ্টা করছে । তাই রোগীর সামনেই সুগন্ধির বক্সটা খুলে দেখলাম । বাহ খুব চমৎকার তো সুগন্ধির ঘ্রাণ । রোগী প্রথমে দেখে অনেকটা মোবাইল ব্যাটারি ভাবছিল । তারপর রোগীর শরীরে একটু দেওয়ার চেষ্টা করলাম । বললাম এটা ব্যাটারি না , এটা সুগন্ধি । এটার গন্ধে শরীর থেকে ঘামের দুর্গন্ধ দূর হয় । রোগী এবার বুঝতে পেরেছে, কেন কোম্পানির লোক এত ঘুরঘুর করছে ।

লিটন ভাইয়ের মন মুহূর্তেই খুবই খারাপ হয়ে গেল , সে ভেবেছিল আমি এন্টিবায়োটিক লিখে দেবো প্রেসক্রিপশনে । তবে খুব ছোট্ট করে শেষে একটা তার কোম্পানির এসিডিটির ঔষধ লিখে দিয়েছি । উনি আরো বেশি কিছু আশা করেছিল । এ যাত্রায় লিটন ভাইয়ের মন আমি রক্ষা করতে পারিনি । কারণ তার দামি উপঢৌকনের কাছে, এই সামান্য এসিডিটির ঔষধ খুবই নগণ্য ।

20220604_235837.jpg

হয়তো প্রতিনিয়ত ঔষধ কোম্পানির মানুষজনের সামনে নিজেকে এমন ভাবে উপস্থাপন করি দেখে, অনেকেই আমার কাছে আসতে চায় না আবার অনেকেই বাধ্য হয়ে আসে । তবে মাঝে মাঝে ভাবি, যদি অন্য কোন বিকল্প পদ্ধতি থাকতো তাহলে হয়তো ওষুধ লেখাই বাদ দিয়ে দিতাম । তবে আমিও অনেকটা তাদের উপর নির্ভরশীল, এজন্যই অনেক সময় তাদের আবদার আমাকে রক্ষা করতে হয় । হয়তো আমার কিছু করার থাকে না বলে ।

বাড়িতে এসে গিন্নির হাতে যখন সুগন্ধি দুটো দিলাম , গিন্নি বেশ খুশি হয়েছে । যাইহোক যদিও গিন্নির জন্য ঈদের আগেই সুগন্ধি কেনা হয়েছিল, তবে মেয়ে মানুষের মন তো , যতই নতুন কিছু দেখে ততই চোখ যেন ছল ছল করে । ও আমার হাত থেকে প্যাকেটটা নিয়ে নিল , একটু আলতো করে গায়ে মাখলো সঙ্গে আমার গায়ে দেওয়ার চেষ্টা করল । আমি বললাম থাক, আমাকে আর দিতে হবে না । রেখে দাও, যদি কখনো প্রয়োজন পড়ে আমি নিজেই মেখে নেব ।

Banner.png

ডিসকর্ড লিংক:
https://discord.gg/VtARrTn6ht


20211003_112202.gif


JOIN WITH US ON DISCORD SERVER

banner-abb4.png

Follow @amarbanglablog for last updates


Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

রোগী প্রথমে দেখে অনেকটা মোবাইল ব্যাটারি ভাবছিল । তারপর রোগীর শরীরে একটু দেওয়ার চেষ্টা করলাম ।

এই পকেট পারফিউম গুলো দেখতে কিছুটা নোকিয়া মোবাইলের ব্যাটারির মতোই। লিটন ভাই আসলেই মন খারাপ করছে একটা নয় দুইটা পারফিউম এক সাথে গিফট করছে তার পরও আপনি এন্টিবায়োটিক লিখলেন না। হাহাহাহা, যখন আপনি পারফিউম রূগীর শরীরে লাগিয়েছেন তখন লিটন ভাই চরম লজ্জ্বা পাইছে। ভালো ছিলো আপনার পারফিউম নিয়ে অনুভূতি। শুভকামনা রইলো ভাই।

কিছু মানুষকে যদি হালকা লজ্জা দেওয়ার মাধ্যমে শিক্ষা দেওয়া যায় , তাহলে মনেহয় মন্দ হয় না ভাই ।

মনে আছে কি আপনাদের, ঈদের আগে ওষুধ কোম্পানি থেকে টুপি তসবি আতর এসব দিয়ে গিয়েছিল ।

জ্বি ভাইয়া মনে আছে ঈদের আগে কোম্পানির লোকজন আপনাকে টুপি, আতর এবং তসবি উপহার দিয়েছিলেন। আসলে স্বার্থ ছাড়া কেউ কিছু উপহার দিতে চায়না। কোম্পানির স্বার্থ লুকিয়ে আছে বলেই তারা আপনাকে খুশি করার চেষ্টা করেছে। আপনি টাইটেলের নাম একদম ঠিক দিয়েছেন রক্তচোষা সুগন্ধি। সত্যি কথা বলতে তাদের মন রক্ষা করতে হলে অনেক দামী দামী ঔষধ প্রেসক্রাইব করতে হয়। তবে যেই মানুষগুলো দুবেলা ভালোমতো খেতে পায়না তারা এই দামী ওষুধ কেনার সামর্থ্য রাখে না। ভাইয়া আপনি সত্যিই একজন ভালো মানুষ। তাই আপনি আপনার জায়গা থেকে সততার সাথে কাজ করে যাচ্ছেন এবং আশা করছি ভবিষ্যতেও এরকমই থাকবেন। আপনার জন্য অনেক অনেক দোয়া ও ভালোবাসা রইলো ভাইয়া। ♥️♥️♥️

চেষ্টা করেছি ভাই নিজের জায়গা একটু সচেতনতা বৃদ্ধির করার জন্য। ধন্যবাদ আপনার সাবলীল মন্তব্যের জন্য ভাই ।

শুভ ভাই আপনার লেখাটা পড়ে আমার খুব শান্তি লাগলো। মনে হলো দুই ভাই অনেকটা একই রকম স্বভাবের 😊। আমার নিজেরও কখনো নিজের পয়সায় পারফিউম কিনতে ইচ্ছে করেনা। সত্যি বলতে পারফিউম দেয়ার কথায় আমার মনে থাকে না। বাড়ি থেকে কোনো প্রোগ্রামে যখন যাই, রাস্তার মাঝে গিয়ে ধুম করে মনে পড়ে, ঈশ আজকে পারফিউমটা দিয়ে বেরোনো যেত 🤪। ইউনিভার্সিটি লাইফে তিনটা পারফিউম গিফট পেয়েছিলাম, ভার্সিটি লাইফ শেষ করে যেদিন বাড়ি ফিরছিলাম তার আগের রাতে ব্যাগ গোছানোর সময় সব ফেলে দিয়ে এসেছি। ব্যবহার না করতে করতে সবগুলো এক্সপায়ার হয়ে গেছে 😅। বর্তমানে যেটা আছে সেটাও আরেকজনের গিফট করা 🥰। কিন্তু আমি তো সেই আগের মানুষ টাই রয়ে গেছি। হিহিহিহি। তবে কোনো বন্ধুর পারফিউম সামনে পেলে সেটা স্নান করার মত ব্যবহার করি 🤗। একটা পৈশাচিক আনন্দ পাই সেটাতে 😅😊

তোমার বন্ধুর পারফিউমের উপর যে ভালোই ভাগ বসিয়েছে , এইটা জেনে বেশ ভালোই লাগলো , এমনটা বেশ কয়েকবার আমার সঙ্গেও হয়েছে । ভালো ছিল তোমার কথা গুলো ।

বাড়িতে এসে গিন্নির হাতে যখন সুগন্ধি দুটো দিলাম , গিন্নি বেশ খুশি হয়েছে । যাইহোক যদিও গিন্নির জন্য ঈদের আগেই সুগন্ধি কেনা হয়েছিল, তবে মেয়ে মানুষের মন তো , যতই নতুন কিছু দেখে ততই চোখ যেন ছল ছল করে । ও আমার হাত থেকে প্যাকেটটা নিয়ে নিল , একটু আলতো করে গায়ে মাখলো সঙ্গে আমার গায়ে দেওয়ার চেষ্টা করল । আমি বললাম থাক, আমাকে আর দিতে হবে না । রেখে দাও, যদি কখনো প্রয়োজন পড়ে আমি নিজেই মেখে নেব ।

আমি কোনো প্রকার সুগন্ধি ব্যাবহার করতে পারি না। কারণ আমার প্রচুর এলার্জির সমস্যা।ভাবির দেওয়া দেখে মনে হচ্ছে সুগন্ধি টা অনেক ভালো মানের। সঠিক সময়ে সঠিক জিনিস পেয়েছেন ভাইয়া। তবে আমার কাছে ফুলের সুগন্ধি গুলো বেশি ভালো লাগে।খুব ভালো ছিলো ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে।

এলার্জির সমস্যা শুনে বেশ খারাপ লাগলো । চেষ্টা করুন জীবনযাপন নিয়ন্ত্রণ করার জন্য।

আপনার প্রতি ভালোবাসাটা ক্রমান্বয়ে বেড়েই যাচ্ছে ভাই।আপনি কতকিছুই ভাবেন সাধারণ মানুষের জন্য।ঠিক আপনার মত করে যদি সবাই ভাবত,হয়তো পরিস্থিতি টা আজকে অন্যরকম হতো।মানুষ ডাক্তারকে কসাই মনে না করে ভগবান মনে করতো।ভালোবাসা রইলো ভাই এভাবেই নিজের কাজকে নিয়ে যান অনন্য উচ্চতায়,হয়ে উঠেন মানুষের কাছে ভগবান।🖤🖤🖤🖤🖤

ডাক্তারী ছেড়ে দেব রে ভাই , আমি বড্ড ক্লান্ত হয়ে গেছি রে ভাই , এইসব সিন্ডিকেটের কাছে । ভালোবাসা রইল।

হাল ছাড়া যাবে না ভাই😢
আপনাদের মতো মানুষদের বড্ডো বেশি দরকার এই দেশে🖤🙏

প্রথমে আপনাকে ধন্যবাদ জানাই, আপনি আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে খুবই সুন্দর একটি প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছেন। আসলে ভাইয়া আজকে আপনি এই ব্লগ লিখবেন এটা আপনিও জানেন না মআপনি হঠাৎ করেই কোম্পানির লোকদের কাছ থেকে সুগন্ধি উপহার পেলেন। আসলে সুগন্ধি কেনার এবং পয়সা খরচ করার লোক আপনি নয় এটা শুনে ভালোই লাগলো, কারণ আপনি অপচয় করেন না। প্রয়োজনে জিনিস কেনেন এবং ভাবীর জন্য কেনেন, যাইহোক এর আগে ঈদের ভিতরে কোম্পানির লোক প্রয়োজনীয় জিনিস দিয়েছিল। এবারও কোম্পানির লোক খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি সুগন্ধি আপনাকে উপহার দিল। যার কারণে আপনি আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করলেন। সত্যি কোম্পানির লোকগুলো এর পিছনে বড় একটা সার্থ থাকে, তারপরেও উপহারগুলো পেয়ে অনেক ভালো লাগে। আপনার জন্য রইল শুভকামনা।

ধন্যবাদ আমার অনুভূতিগুলো সহজে বুঝে ফেলার জন্য। ভাবছি এই সব ডাক্তারী ছেড়ে দেব ।

কারণ তার দামি উপঢৌকনের কাছে, এই সামান্য এসিডিটির ঔষধ খুবই নগণ্য ।

আপনার মত করে যদি সবাই চিন্তা করত তাহলে প্রেসক্রিপশনে গাদা গাদা ওষুধের নাম নিয়ে বাড়ি ফিরতে হত না। আর ওষুধ কোম্পানির লোকদের এই কাজগুলো আরো বেশি খারাপ লাগে। ডাক্তারের চেম্বার থেকে বের হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই তারা হুমড়ি খেয়ে প্রেসক্রিপশন দেখতে চায়। বিষয়টি খুবই বিরক্তিকর । তাদের কি করার আছে তারা তো কোনো না কোনো কোম্পানির চাপে পরে এগুলো করে। যাইহোক ভাইয়া আপনার সুগন্ধির গল্প ভালো।

স্রোতের বিপরীতে আসলে চলা খুব মুশকিল । তবে মাঝে মাঝে ইচ্ছা করেই স্রোতের বিপরীতে যাওয়ার চেষ্টা করি । তবে হেরে যাই, কারণ সবাই স্রোতের দিকে এগিয়ে যায় ।

ইউনিক গল্প সে সাথে অসম্ভব বাস্তব।আসলে কি আর করার!এই তো জীবন।

আসলে আমরা যে সবসময় ডাক্তারদের দোষ দেই। এটা সম্পূর্ণ অনুচিত। একটা মানুষকে যদি প্রতিনিয়ত এভাবে প্রলুব্ধ করা হয় তাহলে তার পক্ষে কয়দিন ভালো থাকা সম্ভব। দেখা যাবে যে ওষুধটা নিতান্তই অপ্রয়োজনীয় সেটাও চাপে পড়ে কখনো কখনো লিখে দিতে হয় তাদের মন রক্ষার জন্য। বিনিময় হয়তো এমন কোনো উপঢৌকন নিয়ে আসে যা এড়ানো অনেক সময়ই সম্ভব হয়ে ওঠেনা। যাই হোক এই সমস্ত প্রতিষ্ঠানগুলো শুধু ব্যবসা না বুঝে যদি একটু মানবিক হবার চেষ্টা করতে তাহলে কতই না ভালো হতো। ধন্যবাদ ভাই

ছেড়ে দেব ভাই ডাক্তারী , মানুষ হয়ে আপনাদের মাঝে থাকতে ও বাঁচতে চাই ।

আপনি যে অনেক সাদামাটা মানুষ। অনেক সময় আপনার পোস্ট পড়ে বুঝতে পারি। সুগন্ধি নিয়ে আপনার তেমন মাথা ব্যাথা না থাকলেও মাঝে মাঝে গিন্নীর জন্য হলেও আপনার কিনতে হয়। তবে ওষুধ কোম্পানি থেকে মাঝে মাঝে আপনার চাহিদা পূরণ করে দেয়।হ্যাঁ এটা ঠিক বিনিময়ে তাদের স্বার্থ থাকে যে তাদের কোম্পানির ওষুধ আপনার কলমের খোঁচায় লিখে নেয়।পারফিউম নিয়ে আপনার চমৎকার অনুভূতি অনেক ভাল লেগেছে ধন্যবাদ আপনাকে প্রিয় ভাইয়া♥♥

মাঝে মাঝে আপু গিন্নির শখ পূরণ করতে হয় । তবে বাদ দিয়ে দেব ডাক্তারী , আর ভালো লাগে না ।

ভাইয়া ভালো সময়ই তো পেয়েছেন গিফটটা।হা হা।এটার ঘ্রানটা ভালোই লাগে,আমিও তেমন পারফিউম ব্যাবহার করি না,তবে ঘ্রান সুকি।ভালো ছিলো। ধন্যবাদ আপনাকে

হুম পারফিউম গুলো আসলেই ভালো ছিল । ধন্যবাদ আপনার অনুভূতি শেয়ার করার জন্য।

রক্তচোষা সুগন্ধিনামটা কেমন অদ্ভুত লাগলো।যাইহোক আমার মৃদু মিষ্টি সুগন্ধি খুব পছন্দ।

রোগী প্রথমে দেখে অনেকটা মোবাইল ব্যাটারি ভাবছিল ।

সত্যি বলতে আমিও প্রথমে এটাই ভেবেছিলাম ভাইয়া যে ফোনের ব্যাটারি।যাইহোক আমাদের ভাবি বেশ খুশি হয়েছে নিশ্চয়ই।ভালো ছিল আপনার অনুভূতি, ধন্যবাদ ভাইয়া।