মানুষের দর্শন মাঝে মাঝে পাওয়া যায় || @shy-fox 10% beneficiary

in hive-129948 •  2 years ago 

কিছুদিন আগে যখন বগুড়ায় গিয়েছিলাম তখন মূলত স্যামসাং মোবাইলের সার্ভিসিং সেন্টারে গিয়েছিলাম আর যার মূল কারণ ছিল হীরার জন্য যে নতুন মোবাইলটা কিনেছিলাম সেটার চার্জারটা হঠাৎ করে ডিস্টার্ব করছিল । মানে মোবাইলের কোন সমস্যা হয়নি কিন্তু হঠাৎ করে চার্জারটা অকেজো হয়ে গিয়েছিল । হয়তো শর্ট-সার্কিটের কারণে ।

IMG-20220904-WA0020.jpg

মূলত যে দোকান থেকে মোবাইলটা কিনেছিলাম সেখানে আমি প্রথমত গিয়ে তাদের সঙ্গে কথা বললাম এবং তারা আমাকে বলল , যেহেতু ভাই আপনার মোবাইলটার ওয়ারেন্টি আছে আর আপনার মোবাইলের যেহেতু কোন সমস্যা হয়নি, আপনি চাইলে মোবাইলটা আমাদেরকে দিয়ে যেতে পারেন আমরা ওয়ারেন্টিতে পাঠিয়ে দেব এবং একটা সময়ে আপনি এটা ঠিকই পেয়ে যাবেন । তবে আমি একটু বেঁকে বসে ছিলাম ঠিক সেই সময়টাতে । কারণ আমার কথা হচ্ছে, মোবাইল ছাড়া কেমনে চলবো । তাছাড়া মোবাইলের তো কোন সমস্যা নেই । সমস্যা ছিল চার্জার ক্যাবলের ।

তারপরও ভদ্রলোকেরা আমাকে বুঝিয়ে বললো । আসলে ভাই যেহেতু ওয়ারেন্টিতে গেলে পুরো প্রোডাক্ট সহকারে পাঠাতে হয় , তাই মূলত আপনার মোবাইলটা এক্ষেত্রে লাগবে এবং আপনি চাইলে যদি এই ক্ষেত্রে আমাদেরকে মোবাইলটা দিতে সমস্যা মনে করেন । তাহলে আমাদের যে মূলত প্রধান সার্ভিসিং সেন্টার আছে বগুড়ায়, সেখানে গিয়ে নিজে গিয়ে মোবাইলটা দেখাতে পারেন এবং তাদের সঙ্গে কথা বললে, তারা সরাসরি একটা সমাধান দিতে পারবে ।

IMG-20220904-WA0003.jpg

সেদিন মূলত বগুড়ায় গিয়েছিলাম এই এটার একটা বন্দোবস্ত করার জন্য । কারণ যেহেতু এটা নতুন মোবাইল আর যেহেতু ওয়ারেন্টি আছে, তাই অবশেষে বাধ্য হয়ে গিয়েছিলাম বগুড়াতে স্যামসাং শোরুমের কাস্টমার সার্ভিস কেয়ারে । যাইহোক এমনিতে দুপুর বেলার দিকে গিয়েছি তার ভিতরে বিদ্যুত ছিল না । যার কারণে ভিতরের এসি গুলো কাজ করছিল না । এমনিতেই প্রচন্ড গরম এবং গিয়ে দেখি আমার মত অনেকেই ভুক্তভোগী লোক সেখানে এসেছে এবং তাদের একেক জনের সমস্যা একেক রকম ।

আমি মূলত প্রথমে কাস্টমার সার্ভিস সেন্টারে গিয়ে সেখানকার কাস্টমার কেয়ারের ম্যানেজারের সঙ্গে কথা বলে একটা টোকেন সংগ্রহ করলাম কিন্তু আমার টোকেন নাম্বার ৪২ আর তাছাড়াও যেহেতু আমার একটু তারা আছে এবং আমি একটু দ্রুত সমাধান করে নিতে চাই । এই জন্য তারা আমাকে বলল যে , দেখুন আপনার মত অনেকেই সমস্যা নিয়ে এসেছে , আপনি একটু কষ্ট করে ধৈর্য সহকারে বসার চেষ্টা করুন । তাদের শেষ হলেই , আমি আপনাকে সুযোগ করে দেব, কথা বলার জন্য ।

IMG-20220904-WA0013.jpg

অপেক্ষার প্রহর যেন কোন মতোই শেষ হতে চায় না বরং দীর্ঘ থেকে আরও দীর্ঘতর হয়ে যায় । আমি তখন দেখলাম কেবলমাত্র তখন 24 নম্বর সিরিয়াল চলে আর আমার টিকিট নাম্বার 42 । মানে আরো অনেকটা সময় লাগবে । আমি তখন সকলের উদ্দেশ্যে একটু দাঁড়িয়ে কথা বলার চেষ্টা করলাম । কেউ যদি আমাকে একটি সহযোগিতা করতেন , তাহলে আমার উপকার হতো । কিন্তু কে শোনে কার কথা । কেউ আমার কথায় কর্ণপাত করলো না ।

এ শহরের মানুষগুলো আসলে বড্ড আত্মকেন্দ্রিক । তারা মুখের উপর অনেকেই বলে ফেলল আপনার মত সমস্যা নিয়ে আমরাও এসেছি এবং আপনার মত ব্যস্ততা আমাদেরও আছে । আপনি দয়া করে বসে যান এবং আপনার যখন সিরিয়াল আসবে, তখন সময়মতো তাদের সঙ্গে কথা বলে আপনার সমস্যার সমাধান করে নিয়েন ।

IMG-20220904-WA0015.jpg

সকলের মন্তব্যটা শুনে আমি অনেকটাই রীতিমতো হতবাক হয়ে গিয়েছে আর এমনটাই হওয়াই স্বাভাবিক। কারণ দিনশেষে কেউ কারো সমস্যা বুঝতে চায় না আর তাছাড়া এখানে যারা এসেছে তারা সকলেই সবার সমস্যা নিয়ে এসেছে । আমি ব্যাপারটাকে পরবর্তীতে স্বাভাবিকভাবেই গ্রহণ করার চেষ্টা করলাম এবং ওয়েটিং রুমে বসে ছটফট করছিলাম ।

অনেকক্ষণ থেকে পাশে যে ভদ্রলোক বসে আছে সে আমাকে বারবার দেখার চেষ্টা করছিল এবং একটা সময় গিয়ে সে নিজের থেকেই আমার মনের অবস্থা হয়তো একটু হলেও বুঝতে পেরেছে এবং সে আমাকে বলল, ভাইজান যদি কোন সমস্যা না থাকে তাহলে আপনার টিকিট আমাকে দেন এবং আমার টিকিটটি আপনি নিয়ে নেন । তার টিকিট নাম্বার ছিল 39 এবং আমার টিকিট নাম্বার ছিল 42 ।

IMG-20220904-WA0015.jpg

সে আমাকে এটাও বলল যে , ভাই আমার হাতে আসলে অনেক সময় আছে । আপনি কিছু না মনে করলে আপনি আমার টিকিটটা নিতে পারেন । আমি সত্যিই অবাক হয়ে গিয়েছে ভদ্রলোকের আচরণ দেখে । যেখানে এতগুলো লোক আছে, তারা আমার কেউ সমস্যা বোঝার চেষ্টা করল না অথচ সেই ভদ্রলোক নিজের থেকেই সম্বোধন করলো এবং নিজের থেকে তার টিকিটটা আমাকে দিয়ে দিল ।

IMG-20220904-WA0005.jpg

অতঃপর আরো দীর্ঘ আধা ঘন্টা পরে আমার সিরিয়াল আসলো এবং সেই ভাইয়ের দেওয়া 39 নম্বর টিকিট অনুযায়ী আমি গেলাম কাস্টমার ম্যানেজারের কাছে । আমি তার সঙ্গে কথা বললাম এবং তারা আমার মোবাইলটা দেখে বলল যেহেতু আপনার মোবাইলটার ওয়ারেন্টি আছে আর যেহেতু আপনি বলছেন যে চার্জিং ক্যাবলের কেবলটার সমস্যা । মূলত আমরা আসলে আপনার মোবাইলটা রেখে দিতে চাই এবং যত দ্রুত পারি আমরা আপনার মোবাইলটা তাড়াতাড়ি ভালো চার্জিং কেবল সহকারে ফেরত দিয়ে দেব ।

IMG-20220904-WA0002.jpg

কিন্তু আমি তাদেরকে বুঝানোর চেষ্টা করলাম , আমার তো আসলে মোবাইলে কোন সমস্যা নেই । সমস্যা মোবাইলের চার্জিং কেবল আর চার্জারে । হয়তো সেটা যদি চেঞ্জ করে দেন তাহলে ভালো হতো । তারপর তারা আমাকে বলল যে , আসলে এটা তো চাওয়া মাত্র হয় না । এটার জন্য আসলে কিছু নিয়ম কানুন আছে । যেমন আমাদের কাছে প্রোডাক্টটা এভেলেবল আছে কিনা আর সেই ব্যাপারটা দেখতে হবে । তারপরে যদি থাকে তাহলে দিতে পারব । এজন্য তাও কিছুটা সময় দিতে হবে ।

IMG-20220904-WA0001.jpg

আসলে তাদের কথাবার্তা শুনে আমার আর মোবাইলের চার্জার নতুন করে পাওয়ার ইচ্ছা মন থেকে আমি ঝেড়ে ফেললাম এবং ভাবলাম যে কোন ইলেকট্রনিক্স দোকান নতুন চার্জার কিনে নেব । তবে এক্ষেত্রে যে অভিজ্ঞতাটা আমার হয়েছে সেটা বেশ ভালোই। কিছু মানুষ আশেপাশে থাকে তারা নিজের থেকেই মানুষের উপকারে আসতে চায় । যেমনটি করেছিল সেই 39 নাম্বারের টিকিটের ভাইটি । যখন তাকে নিয়ে লিখছিলাম বেশ খারাপ লাগছিল। কারণ ভদ্রলোকের নাম ঠিকানাটা জানা হয়নি । তবে তার সেদিনের সেই আচরণে আমি বেশ মুগ্ধ হয়েছি । এই মানুষগুলো ভালো থাকুক, তাদের নিজ নিজ জায়গায় । এমনটাই তো প্রত্যাশা করি ।

Banner-3.png

ডিসকর্ড লিংক:
https://discord.gg/VtARrTn6ht


20211003_112202.gif


JOIN WITH US ON DISCORD SERVER

banner-abb4.png

Follow @amarbanglablog for last updates


Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

দুনিয়াতে কিছু অবশিষ্ট মানুষ রয়েছে, যারা সত্যিই মানুষকে বুঝতে পারে। এক্ষেত্রে ঐ ভদ্রলোক বেশ উপকারে এসেছে আপনার। তবে মোবাইল কম্পানির লোকগুলো চাইলে আপনার সমস্যাটা দূর করতে পারতেন। এরা মানুষকে ঘোরাতে পছন্দ করে।।।

যথার্থ বলেছেন ভাই । এই অভিজ্ঞতাই তো হলো , তারা বেশ ভালোই ঘুরিয়ে ছিল আমাকে ।

আসলেই ভাই এই শহরের অনেক মানুষ আছে যারা অন্যের কষ্ট বুঝতে চায় না এবং অন্যের সময়ে বুঝতে চায় না। অনেক সময় গুরুত্বপূর্ণ কাজে আমাদের থেকে যার কারণে আমাদের একটু সময় বের করে দিলে অনেক উপকার হয়। তারপরেও কে কার কথা শোনে, আমিও কিছুদিন আগে ডাক্তারের কাছে গিয়েছিলাম আমার আম্মাকে নিয়ে। আম্মা খুব সিরিয়াস অবস্থা ছিল কয়েকটি পেশেন্টকে বললাম আপনারা একটু পড়ে দেখেন, আমার আম্মাকে একটু দেখায়। তারা মুখের ওপরে বললো আপনার সিরিয়াসলি আপনি যাবেন। আসলে এই মন মানসিকতা আমাদের মধ্যে নেই কারো বিপদের কতটু আগে দেয়। শুধু নিজেরটাই ভাবি। যাইহোক ৩৯ নম্বর ভাই ঠিকই আপনার মনের কথা বুঝতে পেরেছিল। যার কারণে সে নিজের সিরিয়াল নাম্বার আপনাকে দিল এবং আপনারটা সে নিল। সত্যি এরকম ভালো মানুষও আমাদের সমাজে আশেপাশে অনেক হয়েছে। যার কারণে আমরা সঠিকভাবে সমাজে বসবাস করতে পারছি। উপকার করার জন্য সমাজ অনেক ভালো মানুষ রয়েছে।

বর্তমান সভ্যতার আড়ালে মানুষগুলোর অসভ্যতা, অভদ্রতা ও স্বার্থপরতাই বেশি। শতকরা দু একজন পাওয়া যাবে নিঃস্বার্থ মানুষ। যেমনটি আপনি একজনকে পেয়েছেন। মানুষের মাঝে হৃদরতা ও মানবিকতার বিষয়গুলো ধীরে ধীরে লোক পাওয়ার পাচ্ছে কারণে পৃথিবীতে আজ বিভীষিকাময় হয়ে উঠছে। যাইহোক ভাই অনেক ভোগান্তি পোয়াত হয়েছে আপনাকে চার্জার কেবলস সমস্যার কারণে। মোবাইল ফোন কোম্পানিগুলোর এটা আরেকটা অত্যাচার। এটা হওয়ার কথা ছিল কাস্টমার কেয়ার সেন্টারেই সঙ্গে সঙ্গে সমস্যার সমাধান কারা। বলার কিছু নেই ভাই এরই নাম বাংলাদেশ। আমরা খাতা কলমের সিস্টেমে আছি। প্রাক্টিক্যালে নেই। আপনার জন্য অফুরন্ত ভালোবাসা রইলো।

ঠিক কথা বলেছেন ভাই । মানুষ গুলো দিন দিন যেন কেমন হয়ে যাচ্ছে তারপরেও যখন হুটহাট মানুষ খুঁজে পাওয়া যায় তখন বেশ প্রশান্তির হাওয়া বয়ে যায় হৃদয়ে ।

ভাইয়া শেষ পর্যন্ত আপনার সহযোগিতা করার জন্য একটি ভাইয়াকে যে পেয়েছিলেন তা সেটা জানতে পেরে বেশ ভালই লাগলো আমার। আপনার সিরিয়াল নাম্বার ছিল ৪২ এবং আপনাকে যে ভাই সহযোগিতা করেছিল তার সিরিয়াল নাম্বার ছিল 39। একেবারেই কাছাকাছি, তারপরও অনেকের মধ্যে সে আপনাকে সহযোগিতা করার জন্য হাত বাড়িয়েছিল এটাই তো অনেক বড় একটি পাওয়া। ভাইয়া মোবাইলের চার্জার ক্যাবল পরিবর্তন করতে গিয়ে আপনার অর্জিত অভিজ্ঞতাটি পরবর্তীতে আপনার বিশেষভাবে উপকারে আসবে।

কারণ ভদ্রলোকের নাম ঠিকানাটা জানা হয়নি । তবে তার সেদিনের সেই আচরণে আমি বেশ মুগ্ধ হয়েছি ।

যেই মানুষটির সাথে আপনার কখনো দেখাই হয়নি সেই মানুষটি আপনার সমস্যা বুঝতে পেরে নিজের জায়গা ছেড়ে দিয়েছে এটা সত্যি অনেক ভালো লাগলো। আর আমাদের চারপাশের এমন কিছু মানুষ আছে যারা অন্যের সমস্যা বোঝেনা। আবার হাজার লোকের ভিড়েও এমন মানুষ আছে যারা অন্যের সমস্যা বোঝে। যাই হোক ভাইয়া আপনি অনেক সুন্দর ভাবে আপনার অনুভূতি তুলে ধরেছেন এজন্য ধন্যবাদ। সেই সাথে আপনার জন্য শুভকামনা ও ভালোবাসা রইলো ভাইয়া। ♥️♥️

এমন মানুষগুলোর হুটহাট সন্ধ্যান মিললে ভালই লাগে । তবে নিজের কাছে বেশ খারাপ লাগছিল তার নাম ঠিকানা জানা হয়নি এইটা ভেবে ।

ইলেকট্রনিক্স কিছু খারাপ হলে বেশ সময়ের ব্যাপার সারাতে।তাছাড়া পৃথিবীতে এমন কিছু মানুষ আছে বলে এখনো টিকে আছে।কাস্টমার কেয়ারের মানুষরা সত্যিই অনেক ঘুরাই।যাইহোক ওই লোকটার ব্যবহার সম্পর্কে জেনে ভালো লাগলো।ধন্যবাদ আপনাকে।

দাদা আমি আপনার সাথে একমত কেউ কারো সমস্যা বুঝতে চেষ্টা করে না ৷
আমিও একবার ডাক্তার চেম্বারে গিয়েছিলাম আপনার মতই আমারও সিরিয়াল নিতে হয়েছিল ৷আর সিরিয়াল নাম্বার ছিল ৫৫ বুঝতেই তো পারছেন ৷সেদিন আমিও একজন কে খুজেছিলাম যে যার একটু কম সমস্যা ৷যদি আমাকে আগে দিতেন ৷কিন্তু পাই নি দিনশেষে সে দিন অনেক রাত করে বাড়ি ফিরতে হয়েছিল ৷আসল কথা সব মানুষ এক না ৷বর্তমান পরিস্থিতি হয়েছে নিজে বাচলে বাবার নাম ৷

অপেক্ষার প্রহর যেন কোন মতোই শেষ হতে চায় না বরং দীর্ঘ থেকে আরও দীর্ঘতর হয়ে যায় ।

অপেক্ষার প্রহর সত্যি কাটতে চায় না। যেই ভদ্রলোক নিজের সিরিয়াল আপনাকে দিয়েছেন তিনি সত্যি অনেক ভালো কাজ করেছেন। আসলে আমাদের সমাজের মানুষগুলো এতটাই আত্মকেন্দ্রিক যে অন্যের সমস্যা বোঝার চেষ্টা করে না। আর শোরুমগুলো তো ফোন বিক্রি করতে পারলেই বাঁচে। পরে যে সমস্যা হয় সেই সমস্যাগুলো সমাধান করার সময় মনে হয় যেন তারা বিরক্ত বোধ করছে। আর যে কাজটি তারা খুব সহজে করতে পারে সেই কাজে অনেক বেশি সময় নেয়।

কাস্টমার কেয়ারের এটাই সমস্যা ভাই।। ফোন ওদের কাছে দিলে ওরা ঠিক করে দেয় কিন্তু বেশ অনেকটা সময় নেয়। সত্যি বলতে ঐখানে ঐ লোকের কথা শুনে আমি নিজেও বেশ অবাক হয়েছি। কারো কাছে অফুরন্ত সময় থাকলেও হয়তো টিকিট পরিবর্তন করবে না। লোকটা আপনার সমস্যা বুঝেছে। মাঝে মাঝে এইরকম মানুষের দেখা পাওয়া যায়।

ভালো লাগে যখন হুটহাট ভালো মানুষের দর্শন পাওয়া যায় ।তার আচরণ আমাকে মুগ্ধ করেছিল ভাই ।

💕💕

আজকাল উপকার চেয়ে পাওয়া যায় না। সেখান থেকে নিজ থেকে যেচে উপকার কারির সংখ্যা সমাজে খুবই অল্প সংখ্যক। আপনার সেই ৩৯ নম্বর টিকেটধারী লোকটা আসলেই একজন ভালো মনের মানুষ। এই ধরনের লোকজনের জন্যই এখনো হয়তো সমাজটা টিকে আছে। আর মোবাইলের যে সমস্যাটা নিয়ে লিখেছেন এই ধরনের ক্ষেত্রে নিজে থেকে একটা চার্জার কিনে নেয়াই ভালো। না হলে দীর্ঘদিন তাদের কাছে মোবাইল দিয়ে বসে থাকতে হবে। ভালো লিখেছেন ভাই।

ব্যাপারটি বেশ জটিলতাপূর্ণ ছিল ভাই , তবে সে দীর্ঘসময় থেকে আমাকে ফলো করছিল বিধায় আমাকে সেক্রিফাইস করেছে । তাছাড়াও সেই মুহূর্তে তার আচার-আচরণ বেশ ভালোই লেগেছিল ভাই ।

আপনি অবশেষে বগুড়া গিয়েও চার্জটা ঠিক করাতে পারলেন না বা তারা নতুন চার্জার দিলো না। তাছাড়া ওয়ারেন্টি থাকা সত্বেও কিছুই হলো না। আপনার থেকে নতুন একটি অভিজ্ঞতা হলো। স্যামসাং মোবালই কিনবো না হা হা হা। ধন্যবাদ ভাইয়া।

আসলে ব্যাপারটা অপ্রত্যাশিত হলেও এটা কিন্তু মানতেই হবে যে কাস্টমার সার্ভিসে সবাই অনেক কাজ নিয়ে যায় কেউ কাউকে ছাড় দিতে চায় না। তবে 39 নম্বর টোকেনধারী ভাইয়ের মত কিছু ভালো লোকও আমাদের সমাজে এখনো আছে। সেজন্যই আমাদের সমাজটা এখনও পচে যায় নি। আসলে ভাইয়া ওয়ারেন্টির বিষয়টা এরকমই। সবকিছু এমনভাবে সেটআপ করা থাকে কিছু কাস্টমার বিরক্ত হয়ে এমনিতেই চলে যায়। সামান্য একটা কাজ নিয়ে গেলেও তিন চার দিনের জন্য মোবাইলটা রেখে দেয়। তাই আর রাখতে ইচ্ছা করে না, আমার মনে হয় আপনি খুব ভালো সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন।
ধন্যবাদ আপনাকে।

আপাতত দৃষ্টিকোণ থেকে হুট করে একটা অপরিচিত মানুষ যখন বেশ সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয় তখন বেশ ভালই লাগে সেটা ।

আসলেই এরকম অপ্রত্যাশিত কিছু পেলে অন্য রকমের ভালো লাগা কাজ করে।

প্রথমত চার্জারের কেবল দিয়ে টেষ্ট করতে হবে যেটি ডাটা ক্যাবল হিসেবেও সাপোর্ট করবে। নতুবা হবে না। দাম পড়বে ১২০ টাকার মতন। কেনার আগে চার্জারের সাথে লাগিয়ে দেখে নিতে হবে। না হলে পুরো চার্জার টাই কিনতে হবে। ওদের কাছে যাওয়া মানে হচ্ছে একটা ভোগান্তি। যদিও আমি পার্সোনালি স্যামসাং পছন্দ করি না।

দ্বিতীয়ত, যে লোকটি আপনাকে ৩৯ এর টিকিট টি দিয়েছে সেটা না নেয়াই ভাল ছিল যেহেতু সে তার মানবিকতা দেখিয়েছে তো তার ওটাই প্রাপ্য ছিল। লোকটির মানবিকতা আছে আর মাত্র ৩০ মিনিটের ব্যপার তো। শুধু দেখতে হবে কেউ সিরিয়াল ভঙ্গ করে কিনা। কারন সব জায়গার একটা রুলস্ তো রয়েছে। সেটাই মেনে নিতে হবে। নতুবা ভি আই পি হতে হবে।

তৃতীয়ত, ডাক্তারের চেম্বার আর সার্ভিসিং সেন্টার কিংবা কাষ্টমার কেয়ার এখানে কেউ কাউকে ছাড় দিতে চায় না । তাছাড়া এখন ব্যাংকেও টিকিট সিস্টেম করেছে। তো টিকিটের সিলিয়াল অনুযায়ী এগুতো হবে।

আমি মনে করি পৃথিবীতে সবাই তার নিজ জায়গায় স্বার্থপর। তারপরের যদি কেউ ছাড় দেয় সেটা তার মহানুভবতা। ধন্যবাদ।

আপনার যুক্তিকে সাধুবাদ জানাই ভাই । আসলে পরিবার ছিল তো বিশেষ করে বাবু বেশ ঝামেলা করছিল আর তাছাড়া আমি একা থাকলে কাউকে অযথা অনুরোধ করতাম না ভাই ।