ছবি ও শৈশব || @shy-fox 10% beneficiary

in hive-129948 •  3 years ago 

20220430_170057-01.jpeg
আমি মানুষটা ভীষণ খুঁতখুঁতে স্বভাবের । যেখানেই যাই কেন , সেখানকার একদম আদ্যপ্রান্ত সবকিছু খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখার চেষ্টা করি । তবে সেটা যেকোনো জায়গাতেই হোক না কেন, সেখানকার পরিবেশ মুহূর্তেই আমি নিজের মতো করে মিশে যাওয়ার চেষ্টা করি এবং ধারণা নেওয়ার চেষ্টা করি কি চলছে সেই পরিবেশে । যাইহোক কদিন আগেই গিয়েছিলাম গ্রামের বাড়িতে। ছবিগুলো সেখানেই তোলা হয়েছিল ।

20220430_170057-01.jpeg

মাটির উপর দাগ কাটিয়ে এই খেলাটি সম্ভবত অনেকেই খেলেছেন। তবে এই খেলাটি আমিও খেলেছিলাম একদম ছোটবেলায় । হুট করে যখন দুজন বাচ্চা খেলছিল, তখন বিষয়টা আমার মুহূর্তেই দৃষ্টি আকর্ষণ করে নিয়েছিল । কারণ আমি মুহূর্ত বন্দি করে চলেছি প্রতিনিয়ত । তাই ধারণ করার চেষ্টা করেছি আমার মুঠোফোনে এই মুহূর্তটা ।

20220430_165217-01.jpeg

গত কয়েক দিনের ঝড়ে এলাকার অবস্থা ভীষণ নাজুক। বিশেষ করে ফসলের মাঠের চেহারার দিকে তাকালেই সেটা বোঝা যাচ্ছে কেমন বাতাস হয়েছে এই অঞ্চলে । হ্যাঁ বন্ধুরা গত কয়েক দিনের ঝড়ো বাতাসে ফসলের জমির ধান গুলো একদম মাটির সঙ্গে লেগে গিয়েছে । অনেকটাই ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে গিয়েছে ফসলের জমির ধান গুলো ।

20220430_165323-01.jpeg

এই মেঠোপথ আমার বহু পরিচিত । ছেলেবেলায় কত এসেছি , কত দৌড়াদৌড়ি কত ছোটাছুটি এইসব ভাবলেই অনেকটাই আবেগপ্রবণ হয়ে যাই । আজ সেই মেঠো পথে আবারও এসেছি বহু বছর পরে । চেষ্টাকরছি এই মেঠোপথের চারপাশের সৌন্দর্য্য আবারও নতুন করে উপভোগ করার জন্য । আগে যখন গ্রামে থাকতাম,তখন মাঝে মাঝেই এই মেঠোপথের পাশে এসে বসে থাকতাম বিকেল করে । সেই সময়ে অনেক বন্ধুরা মিলে গুনগুন করে গান গেয়ে সময় কাটিয়ে দিয়েছি কত, তার কোন সঠিক হিসেব নেই ।

20220430_164933-01.jpeg

গত কয়েকদিনের ঝড়-বাতাসের পড়ে আকাশে কেবল সূর্য উঁকি দিয়েছে আর তাতেই গ্রামীণ বধু ব্যস্ত হয়ে গিয়েছে ধান শুকাতে । এমন দৃশ্য বহুদিন পরে চোখে পরলো । ঐযে আমি বললাম আমি মুহূর্ত বন্দি করি, তাই এই মূহূর্তটাকে পাশ কাটিয়ে যেতে পারিনি ।

20220430_165109-01.jpeg

এই পুকুরগুলোতে যে ছোটবেলায় কত বার গোসল করেছি, তার কোন হিসেব নেই । আজ যখন পুকুরপাড়ের পাশের হাঁটাহাঁটি করছি ঠিক সেই সময়ে অতীতের দিনগুলোর কথা মনে পড়ছিল । অতীত বড়ই আবেগপ্রবণ বারবার শুধু ছেলেবেলায় ফিরে নিয়ে যেতে চায় । তবে চাইলেই তো আর ছেলেবেলায় ফিরে যাওয়া যায়না । হয়তো অনুভূতির মাঝে ছেলেবেলা গুলো বেঁচে থাকে যুগ থেকে যুগান্তর ।

20220430_165124-01.jpeg

20220430_165033-01.jpeg

হয়তো প্রকৃতির পরিবর্তনে বাচ্চা কারণে ছেলেগুলোর মাঝে অনেকটাই হাসি ফুটেছে । এই নির্মল পরিবেশে তারা টঙের পাড়ে হাওয়া বাতাস খাচ্ছে । সময়টাকে নিজের মতো করে নিয়েছে তারা আর অপরদিকে কৃষকের মন খারাপ, সে হয়তো তার জমির নষ্ট হয়ে যাওয়া ধানগুলো কাঁধে করে বাড়ি ফিরছে আর এইদিকে গোয়ালা চেষ্টা করছে তার গাভীর সঠিক পরিচর্যা করার জন্য ।

20220430_163559-01.jpeg

সত্যি বলতে কি এই জীবন গুলো সত্যিই অদ্ভুত । ঠিক কতটা অদ্ভুত হয়তো কাছ থেকে না দেখলে অনুভব করা খুবই মুশকিল । হয়তো কতটুকু ছবিতে ফুটিয়ে তুলতে পেরেছি তা আমি জানিনা । তবে এগুলোই আমার অতীত, এগুলোই আমার ছেলেবেলা, এগুলোই আমার শৈশব । এসবের মাঝেই আমি বেড়ে উঠেছি । আজ যখন দীর্ঘদিন পরে খুব কাছ থেকে এই দৃশ্যগুলো আবারো দেখছি , তখন হঠাৎ করেই অনেকটাই আবেগপ্রবণ হয়ে গিয়েছি । বেঁচে থাকুক আমার শৈশব এই কামনাই করছি ।

Banner.png

ডিসকর্ড লিংক:
https://discord.gg/VtARrTn6ht


20211003_112202.gif


JOIN WITH US ON DISCORD SERVER

banner-abb4.png

Follow @amarbanglablog for last updates


Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

সত্যি বলতে কি এই জীবন গুলো সত্যিই অদ্ভুত ।

ঠিক বলেছেন ভাইয়া, জীবন বড়োই বৈচিত্র্যময়।আপনার প্রত্যেকটি ছবি ভীষন সুন্দর হয়েছে।প্রথম ছবিটি দেখেই আমার স্কুলজীবনের কথা মনে পড়ে গেল।এই খেলাটিকে আমরা প্যাত প্যাত বলতাম।আমরা এটি খাতায় দাগ কেটে কিংবা স্কুলের বেঞ্চে দাগ কেটে খেলতাম।দারুণ মজার খেলা ছিল।আর যখন গ্রামের বাড়ি থাকতাম তখন তো প্রতিনিয়ত সাঁতার কাটতাম।গরু আমার ভীষণ প্রিয় ।আমাদের বাড়ীতে আগে অনেক গরু ছিল ,তাই গরুর সঙ্গে আমার অনেক গভীর আত্মার স্মৃতি রয়েছে।ধন্যবাদ ভাইয়া।

আপনার ব্যাপারটা জেনে বেশ খুশি হলাম আপু । ধন্যবাদ আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য ।

মাটির উপর দাগ কাটিয়ে এই খেলাটি সম্ভবত অনেকেই খেলেছেন। তবে এই খেলাটি আমিও খেলেছিলাম একদম ছোটবেলায় । হুট করে যখন দুজন বাচ্চা খেলছিল।

আসলে ভাইয়া শৈশবে আমরা এই খেলা অনেকে খেলেছি। আসলে মাটিতে দাগ কেটে এই খেলাটি আমার মনে হয় গ্রাম অঞ্চলের প্রতিটা মানুষই শৈশবে খেলেছে। আমার খুবই ভালো লাগছে আপনার পোস্টের মাধ্যমে গ্রামের সেই ছোটবেলার স্মৃতি মনে পড়ে গেল, বিশেষ করে গ্রামের সৌন্দর্য পথ দিয়ে আপনার হেঁটে যাওয়ার সেই দৃশ্যগুলো আসলে আমার সবার গ্রামের মেঠো পথে হেঁটে যাবার দৃশ্য এবং স্মৃতি রয়েছে। ছোটবেলার কথা মনে পড়ে যায়। যাইহোক আপনার গ্রামের সুন্দর পরিবেশের ফটোগুলো দেখে খুবই ভালো লাগলো এবং সুন্দরভাবে আমাদের শৈশবের স্মৃতি তুলে ধরেছেন, ধন্যবাদ ভাইয়া।

এটা একদম সত্য কথা, স্মৃতিগুলো যখন হুট করে চোখের সামনে ভেসে ওঠে , তখন অনেকটা আবেগপ্রবণ হয়ে যাই আমরা।

অতীত থেকে কখনো ভুলে থাকা সম্ভব না। সম্ভব না অতীত থেকে ভুলে বেঁচে থাকা। নিজের শেকড়ের টানে আপনি ঠিকই ফিরে গিয়েছেন সেই চিরচেনা আদিনিবাসে। যেখানে ছোটবেলায় কাটিয়েছেন শৈশব যে জায়গাটাই আপনার রঙিন শৈশব কেটেছে। পুকুড়ে গোসল করা মেঠোপথ দিয়ে হেঁটে চলা। যতদিন বেঁচে থাকবেন এগুলো আপনার মনে থাকবে। এগুলোই তো আপনাকে আমাকে বেঁচে থাকার অনুপ্রেরণা দেবে। ঝড়ের পরে ধানক্ষেতের হেলে পড়া দৃশ‍্যটা আমি প্রতিনিয়ত দেখি। অসাধারণ একটি পোস্ট ছিল ভাই। সুন্দরভাবে গুছিয়ে লিখেছেন।।

একদম ঠিক কথা বলেছেন ভাই । এগুলো আমার জীবনের বেঁচে থাকার একটা মুহূর্ত । আমি মনে করি, যতবার দেখবো ততবার আমি শৈশবে ফেরত যাবো ।

💖💖

আসলে ভাই আমি মনে করি গ্রামীণ জীবনটা একটু অন্যরকমের। যা আসলে ভোলা সম্ভব না। কারণ আমাদের ছোটবেলা টাই কাটে গ্রামে অনেকেরই। গ্রামে কাটানো মুহূর্তগুলো সারা জীবনের একটা সুন্দর স্মৃতি হয়ে থাকে। সবচেয়ে ভালো লাগলো যে মাটিতে দাগ কাটে খেলাগুলো। আমি নিজেও অনেক খেলেছি এটাতে। সুন্দর সুন্দর কিছু গ্রামীন মুহূর্তে আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন ভাই। যা দেখে অনেক ভালো লাগলো। ধন্যবাদ এইরকম কিছু মুহূর্তে আমাদের সাথে ভাগাভাগি করে নেওয়ার জন্য। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।

আমি আপনার কথার সঙ্গে সহমত পোষণ করছি। এটাই একদম চিরন্তন সত্য কথা । আমরা যারা গ্রামে থেকেছি, তারা এই মুহূর্তগুলোর সঙ্গে অনেকটাই পরিচিত । যা চাইলেও ভোলা কখনো সম্ভব না ।

ভাই আমিও আপনার মত মাঝে মাঝে আবেগপ্রবণ হয়ে যাই। ছোটবেলার কথা মনে পড়লে কিংবা কোন জিনিস দেখলে যা আজও অনেক বছর পরও অপরিবর্তিত রয়েছে। বিশেষ করে গ্রামে গেলে এমন হয়। ইচ্ছে করে আবার যদি সেই ছোটবেলায় ফিরে যেতে পারতাম। যাইহোক আপনার ছবিগুলো খুবই ভালো লেগেছে। এগুলো শুধু ছবি নয় একজন মানুষের ভালোবাসা, একজন মানুষের অতীত। ধন্যবাদ ভাই

চাইলেই যদি সব কিছু ফেরত পাওয়া যেত, তাহলে তো বহু আগেই অতীতে ফিরে যেতাম । একদম ঠিক বলেছেন , আসলেই এগুলো ভালোবাসা ।

আজকে একদম মুগ্ধ করে ছাড়লেন ভাই। গ্রাম বাংলার সেই ঐতিহ্য তুলে ধরেছেন আমাদের মাঝে ফটোগ্রাফির মধ্য দিয়ে। এখন ধান কাটার সময়, কৃষকের পাকা ধান ঘরে উঠেছে। সে সমস্ত বিষয় গুলো ফটোগ্রাফি করেছেন এবং শেয়ার করেছেন। আসলে এখনও আমরা পুকুরে গোসল করে থাকি মাঝেমধ্যে। তবে ছোটবেলায় আমরা পুকুরে শুধু গোসল করি নাই,অনেক প্রকার খেলা খেলেছি বন্ধুদের সাথে। সর্বশেষে বলব সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন ভাই।

আমি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি, আপনার সাবলীল মন্তব্যের কাছে । আসলেই আমাদের অতীত জীবনটা, অনেকটাই রঙিন ছিল ।

আমি এখনো গ্রামে আছি ঈদের আগে আসার পর থেকে এই সব দৃশ্য দেখতেছি। আসলেই ভাই এই দৃশ্যগুলো দেখলেই সেই পুরোনো স্মৃতি মনে পড়ে যায়।

মাটির উপর দাগ কাটিয়ে এই খেলাটি সম্ভবত অনেকেই খেলেছেন। তবে এই খেলাটি আমিও খেলেছিলাম একদম ছোটবেলায় ।

এই খেলাটি অনেক খেলেছি। ১৬ গুটি ৩২ গুটি, এই খেলা লুডু চোর পুলিশ, এই খেলা গুলো ৯০ দশকের খেলা। আপনার পোস্ট যখন পড়ছিলাম, সব স্মৃতি মনে পড়ে যাচ্ছিলো। ধন্যবাদ ভাই শেয়ার করার জন্য।

নব্বইয়ের দশক হচ্ছে জীবনের সবথেকে সেরা সময় , আমি মনে করি । যেটা আর চাইলেও কখনো ফেরত পাব না ।

কিছুক্ষণের জন্য গ্রাম বাংলার সৌন্দর্যে হারিয়ে গিয়েছিলাম। আমিও গ্রামের ছেলে সেই সুবাধে খুব কাছ থেকে গ্রামের এই দৃশ্যগুলো দেখতে পেরেছি। মাটি কেটে গুটি খেলাটা আমিও খেলেছি সেই ছোটবলায়। সুপারি গাছের ছোট ছোট সুপারির বীজ দিয়ে খেলতাম তখন। এখন আর তেমন খেলা হয়নি। তবে শৈশবকে ভীষণভাবে মিস করি প্রতিনিয়ত ।

সুপারি গাছের খোল দিয়ে ঐ খেলাটা আমিও খেলেছি, ভালো লাগলো আপনার ব্যাপারটা জেনে ।

হ্যা ভাইয়া ধন্যবাদ আপনাকে 😍

মাটিতে দাগ কেটে খেলাটা আমাদের এখানেও খেলতে দেখলাম বাচ্চাদের,মানে গ্রামে।আমার দেখতে বেশ ভালোই লাগে।তবে এসব কখনোই খেলা হয়নি।গ্রামীণ দৃশ্য গুলো দারুণ।

হ্যাঁ , আমার মনে হয় শুধুমাত্র নব্বইয়ের দশকের এই খেলাটাই এখনো গ্রাম অঞ্চলে বেঁচে আছে । গ্রামাঞ্চলে গেলেই দেখা যায় এই খেলাটা এখনো ।

ভাইয়া আপনার পোস্ট পরে সে ছোট্ট বেলার হাজার সৃতি মাথার মধ্যে উকি দিয়ে গেল৷ বাচ্চাদের দাগ কাটা খেলাটি অনেক খেলেছি আমি সেটাকে ৩ঘুটি বলে। আপনার লেখা সাথে ফটোগ্রাফি গুলো মন ভরে গেলো। ধন্যবাদ ভাইয়া এত সুন্দর পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

অঞ্চলভেদে হয়তো খেলাটার নাম আলাদা হতে পারে । তবে আপনার অঞ্চলের এই খেলাটির নাম জেনে ভালো লাগলো ।

তবে সেটা যেকোনো জায়গাতেই হোক না কেন, সেখানকার পরিবেশ মুহূর্তেই আমি নিজের মতো করে মিশে যাওয়ার চেষ্টা করি এবং ধারণা নেওয়ার চেষ্টা করি কি চলছে সেই পরিবেশে।

ভাইয়া,এটাই একজন প্রকৃত মানুষের মন খুব খারাপ পরিস্থিতিতে নিজেকে মানিয়ে নিতে পারাটা।ভাইয়া, আপনি খুব সহজেই সব জায়গায় নিজেকে মানিয়ে নিতে পারেন লিখেছেন আমার খুবই ভালো লাগে এসব মানুষ গুলোকে।ভাইয়া, আমিও তেমনি একজন মানুষ।ভাইয়া, আপনার এই পোষ্টের মাধ্যমে অনেকগুলো ফটোগ্রাফি দেখেছি যা এখন থেকে প্রায় ২-৩ বছর আগে দেখেছি যখন বাবার বাড়িতে গিয়েছিলাম।ভাইয়া, গ্রামীণ এই দৃশ্যগুলো খুব ভালো লাগে ছোটবেলায় দেখতাম ধান শুকানোর জন্য ওই কৃষক বধুর মতো আমার মা চাচীরা এইভাবে কাজ করত। সোনালী ধান ক্ষেতর মধ্যে দিয়ে আঁকাবাঁকা মেঠো পথ দেখে সত্যিই মুগ্ধ হয়ে গিয়েছি। ভাইয়া, আপনি এই গ্রামে ছোট থেকে বড় হয়েছেন চেনা পথ গুলোর মধ্যে গেলে সত্যিই খারাপ লাগবে এইটাই সত্যি। ভাইয়া, বারবার ইচ্ছে করছে সেই অতীতে ফিরে যাওয়ার জন্য তাই না? আমারও প্রায় সময় এমন হয় যখন বাড়িতে যায়। ধন্যবাদ ভাইয়া, এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।।

আপনার অনুভূতি জেনে বেশ ভাল লাগল । তবে আমি মনে করি গ্রামীণ জীবনের পরিবেশ-পরিস্থিতি গুলো, ঠিক এই রকমই যেমনটা আমি তুলে ধরার চেষ্টা করেছি ।

মাটির উপর দাগ কাটিয়ে এই খেলাটি সম্ভবত অনেকেই খেলেছেন। তবে এই খেলাটি আমিও খেলেছিলাম একদম ছোটবেলায় ।

মাটির উপর দাগ দিয়ে এই খেলাটি আমিও খেলেছি অনেক। আসলে ছেলেবেলা অনেক বেশি মধুর ছিল। ছেলেবেলার সেই স্মৃতি গুলো বড়ই আবেগপ্রবণ। যখন শৈশব স্মৃতি মনে পড়ে তখন মাঝে মাঝে শৈশবের মাঝে হারিয়ে যেতে ইচ্ছে করে। ভাইয়া আপনার শৈশবে কাটানো মুহূর্তগুলো অনেক রঙিন ছিল এটা বোঝাই যাচ্ছে। আসলে গ্রামীণ পরিবেশে যারা বড় হয়েছে তারাই শুধুমাত্র শৈশবের আসল মজা পেয়েছে। বেঁচে থাকুক সবার শৈশব সবার অন্তরে এই প্রত্যাশাই করছি। তবে যাই হোক গ্রামীণ পরিবেশে আপনি অনেক সুন্দর সময় কাটিয়েছেন এবং অনেক সুন্দর ফটোগ্রাফি করেছেন। দেখে অনেক ভালো লাগলো। তবে ঝড় বৃষ্টির কারণে ফসলের মাঠ অনেকটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আপনার ফটোগ্রাফির মাধ্যমে দারুন সব দৃশ্যগুলো উপস্থাপন করার জন্য আপনাকে জানাচ্ছি ধন্যবাদ। সেই সাথে আপনার জন্য শুভকামনা ও ভালোবাসা রইলো ভাইয়া।♥️♥️

আজ যখন আমরা শহরে জীবনে বন্দি, তারপরে যখন হুট করে গ্রামীন পরিবেশের ছোঁয়া পেয়ে যাই, তখন বেশ ভালই লাগে । সময়টা আমার বেশ কেটেছে ।

এক এক করে সব কিছু স্মৃতি জড়িয়ে অনেক কথা মনে পড়েছে দেখছি আপনার। হ্যাঁ মাটি দিয়ে দাগ কাটার খেলাটা আমিও খেলেছি। এরকম গ্রামের মেঠোপথে ছোটবেলায় অনেক হেঁটেছেন। অনেক বছর পর আবারো হাতে পেরেছেন দেখে ভালো লাগলো। প্রত্যেকটা কদমে ছোটবেলার কথা মনে পড়ছিল। এমনকি খুব সুন্দর একটি পুকুরে ছোটবেলায় অনেক বার গোসল করেছেন এখন আবার পুকুর পাড়ে এসে মনে পড়াতে বেশ ভালো লাগতেছে। বলতে গেলে এরকম স্মৃতিগুলো অনেক মধুর হয়। আমাদের মাঝে মুহূর্তটা শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।

সত্যি বলতে কি আমার অতীত জীবনটা ঠিক এমনই ছিল । হুট করে যখন দীর্ঘদিন পরে স্মৃতি গুলো চোখের সামনে ভাসছিল, তখন অনেকটাই আবেগপ্রবণ হয়ে গিয়েছিলাম ।

এইটাই প্রকৃত বুদ্ধিমানের কাজ যা পরিবেশের সাথে নিজেকে মানিয়ে নেওয়া মিশার চেষ্টা করা।আমিও এই খেলা অনেক খেলতাম বেশ ভালোই লাগলো। আপনার পোষ্টের মাধ্যমে শৈশবের কথা মনে পড়ে গেল । বর্তমান সময়ে ফোন এখন বাচ্চারা পেয়ে যাচ্ছে এই ধরনের খেলাধুলা নাই বললেই চলে এ শহর অঞ্চলে। এমন দৃশ্য আর দেখা যায় না বললেই চলে খুব একটা কম দেখা যায়। দিনে দিনে আধুনিক সব প্রযুক্তি হচ্ছে তো তাই আস্তে আস্তে এসব মুহূর্ত হারিয়ে যাচ্ছে । আমি অনেক চেষ্টা করতাম সাঁতার কাটার কিন্তু কখনই পারি নাই। পুকুরের পাশ দিয়ে আমি এক ডুব দিতাম😜।আজকে বেশ ভাল লাগলো প্রতিটা ছবির সাথে বর্ণনা একদম অসাধারণ ছিল। ছবিটা সত্যিই মনমুগ্ধকর ছিল গ্রাম অঞ্চলে দেখা যায়। ধন্যবাদ ভাইয়া এত সুন্দর অনুভূতি শেয়ার করার জন্য

যদিও আমার শুরুতে সাঁতার শিখতে অনেক কষ্ট হয়েছিল ।তবে আস্তে আস্তে তা মানিয়ে নিয়েছিলাম । একটা সময়ে তো বেশ ভালোই সাঁতার কাটতে পারতাম , এখনো পারি তবে এখন আর হয়ে ওঠে না ।

ছোটবেলার স্মৃতি মধুর ঘটনা এরকম সবারই ছিল, খুব ভালো লাগলো আপনি প্রতিটি পরিবেশ আপনার নিজের মতো করে তৈরি করার চেষ্টা করেন, চমৎকার একটি দিন আপনি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন খুব ভালো লাগলো আপনার দিনটি সাথে সংযুক্ত হতে পারে। গ্রাম বাংলার প্রাণবন্ত কিছু জিনিস দেখতে পেলাম আপনার এই পোস্টের মাধ্যমে।

ধন্যবাদ ভাইয়া আপনার সাবলীল মন্তব্যের জন্য।
আসলেই সময়টা আমার কাছে বেশ ভালই ছিল ।